![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখাটা কিভাবে শুরু করব বুঝতেছিনা। বাস্তব গল্প গুলা কে লিখার মাধ্যমে প্রকাশ বেশ কঠিন। কিন্তু তবুও লিখছি একটি মেয়ের গল্প যে হয়ত আজ অনেক বড় কিছু হতে হতে পারত । তার পরিবারের বদনাম হোক আমি চাই না তাই নামটা গোপন করেই লিখলাম। আচ্ছা একটা নাম দেওয়া যাক সেনোরিটা । সেনোরিটা অসম্ভব মেধাবী এক মেয়ে আমার সাথে তার পরিচয়টা খুব বেশি দিনের না । এইচএসসি পর মেডিকেল কোচিং করতে যেতাম সেখান থেকে তার সাথে পরিচয় খুব ভালো বন্ধু হয়ে যায় বেশ অল্প দিনেই। সে দুইটা বোর্ড পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ পেয়েছিল। তো কোচিং এর সময় তার মা তাকে দিয়ে নিয়ে যেত , দেখে মনে হয়েছিল মেয়েটা বেশ বাবা মায়ের বাধ্যগত সন্তান। কখনও দেখে মনে হয়নি যে এই মেয়েটির কোন গভীর টেনশন বা যন্ত্রনা ছিল মানুষিক। যাইহোক ঘটনাটা ২০১০ এর। এরপর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা চলে এলো। মেয়েটা মেডিকেল ছাড়াও ভার্সিটি কোচিং করত। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা দিলাম এর পর এক্সামের ফলাফলের দিন ফলাফল এলো দেখলাম চান্স হয় নাই। তা মনটা বেশ খারাপ ছিল।
এর মাঝে রাত্রে বেলা হঠাৎ সেনোরিটার ফোন বেজে উঠল জিজ্ঞেস করল দোস্ত চান্স হয়েছে তোমার আমার নিরবতা শুনে বুঝে গেল হয়নি এরপর আমি সাহস করে জিজ্ঞেস করলাম তোমার হয়েছে সে বলল না ওয়েটিং এ আছি। যাইহোক এর পর সবাই ঢাকা ভার্সিটি পরীক্ষা দিলাম এইবার ও যথারীতি চান্স হল না আমার।
কিন্তু মেয়েটার চান্স হয়ে ঠিকই হয়ে গেছে। একটু হিংসায় লাগছিল যে একটা মেয়ে চান্স পেয়ে গেল। যাইহোক এর মাঝে নিজে সেকেন্ড টাইম মেডিকেল পরীক্ষা দিব বলে সিদ্ধান্ত নিলাম।
অনেকদিন ফ্রেন্ডটার সাথে যোগাযোগ করে ওঠা হয়নি , কিছুটা ইগো জনিত সমস্যার কারনে। দ্বিতীয়বার কোচিং এর সময় হঠাৎ একদিন ঢাকা ভার্সিটি এলাকাতে কোন বাক্তিগত কাজে গিয়ে ছিলাম সেইদিন কার্জন হলের ঐ দিকে, হঠাৎ চোখে পরল আমার ফ্রেন্ডটাকে । কিন্তু বিশ্বাস হচ্ছিল না সে কিভাবে এমনটি করতে পারে ? আমি নিশ্চিত হতে একটু কাছ থেকে যেয়ে দেখলাম দেখার পর সত্যি বমি চলে আসছে। আমার বন্ধুটি কাগজ দিয়ে মুড়ানো কিছু সেবন করছে। একটু খেয়াল করে দেখলাম টিকটিকির লেজ ও ছিল ঐখানে বেশ কয়েকজন মেয়ে ও ছেলে মিলে সবাই একি কাজ করছে । এরপর ঐদিন আর কিছু না বলে চলে গেলাম বাসায়। বুঝতে পারলাম এইটা হয়ত নেশা জাতিয় কিছু।
এরপরদিন জিজ্ঞেস করলাম এক বন্ধুকে টিকটিকি দিয়ে কি ধরনের নেশা করা হয়। সে বলল " তোর মত দুধের শিশু হঠাৎ এই ধরনের প্রশ্ন করছে কেন ?? যে কিনা সাধারণ সিগারেটের ধোয়া সহ্য করতে পারেনা সে নেশা করার শেষ ধাপ গুলো জিজ্ঞস করছে। কিরেই ঘটনা কি বলত ? " আমি বললাম ঘটনা কিছু না। তুই বল কি জিনিস এইটা ? সে বলল এইটা গাজা খোর দের নেশাগ্রস্থ হবার উপায় । যারা অনেক বেশি গাজা সেবন করে নেশা গ্রস্ত হতে চাই তারাই এইসব সেবন করে। অনেকের শুধু গাজা দিয়েও নেশা হয়না তাই তাঁরা অতিরিক্ত নেশার জন্য টিকটিকির লেজ ব্যবহার করে। আমি বন্ধুটির কথা শুনবার পর আকাশ থেকে পরলাম। এত সুন্দর মেধাবী একটা মেয়ে কিভাবে এই ধরনের বিধ্বংসী পথে এলো।
সাহস করে ঐ দিন রাত্রে ফোন দিলাম মেয়েটাকে বললাম -দোস্ত তোমার সাথে দেখা করতে চাই । যথারীতি তার ক্লাস শেষ করে দেখা হল ।
সেনোরিটাঃ এত তরি ঘড়ি করে দেখা করতে চাইলে প্রপোজ করার কোন চিন্তা ভাবনা থাকলে মাথা থেকে ঝেরে ফেল আমার বয় ফ্রেন্ড আছে কিন্তু"
আমিঃ না সেরকম কিছু না একটা প্রশ্ন করব ?
সেনোরিটাঃ হুম করো
আমিঃ তুমি কি গাজা খাও আই মিন নেশা কর ?
সেনোরিটাঃ হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন ? দেখেছ নাকি খেতে আমাকে
আমিঃ হুম দেখছি কিন্তু বিশ্বাস হয়নি তোমার মত এত সুন্দর একটা মেয়ে গাজা খাবে কেন ?
সেনোরিটাঃ আরে দোস্ত তুমি তো সে আগের জামানাই রয়ে গেছ বন্ধুদের সাথে চলতে হলে এইসব একটু আট্টু করতে হয়।
আমিঃ এইগুলা না করলে কি বন্ধুদের সাথে চলা যায় না??
সেনোরিটাঃ দোস্ত তুমি বুঝবানা ভার্সিটিতে উঠ তারপর বুঝবা।
আমিঃ তোমার বাবা-মা জানে ?
সেনোরিটাঃ মাথা খারাপ । সব কথা বাবা মাকে বলতে হয় । তুমি তো দেখি মহা বোকা । আর হা এইগুলা আমার বাবা-মাকে বলার দরকারও নেই।
আমিঃ আমি বলতেই বা যাব কেন বলো। কিন্তু তুমি যেইগুলা করছ এইগুলা ঠিক না, এই সব জিনিস খেয়েও না।
সে এইবার রেগে গিয়ে বলল তোমার এত সমস্যা কি আমি তুমি কি আমার বয় ফ্রেন্ড ? আমার বয় ফ্রেন্ড এর যেখানে সমস্যা নাই তোমার কি ?
আমি সেইদিন কোন উত্তর না দিয়ে চলে এসছিলাম । শুধু বলছিলাম সেটাই আমার তো কোন সমস্যা হওয়া উচিত না।
ঘটনাটা এখন হলে হয়ত বন্ধটিকে আরও বুঝাইতাম। ঠিক এইভাবে শুধু আমার বন্ধুটির ভার্সিটিতে না আমার ভার্সিটি ও দেশের প্রায় সব ভার্সিটিতে অনেককেই এমন নেশার রাস্তা বেছে নিতে দেখছি প্রতিনিয়ত ।
অনেকে এখন স্কুল জীবন থেকেই এই অভিশাপের রাস্তা বেছে নিচ্ছে। এর জন্য পারিবারিক সম্পর্কের নড়বড়ে ভাব , এবং বাবা মায়ের সঠিক মূল্যবোধ অন্তরে না থাকাও একটা কারন।
আমার এক শিক্ষক বলত " সিগারেট হল নেশার প্রথম ধাপ " যেই ছেলে আজ ধূমপান করবে কাল সে অন্য নেশার উপাদান নিবে না এর গ্যারান্টি কে দিতে পারে?
আমার অনেক বন্ধুই ধুপমান করে দেখি মানা করি তবুও কাজ হয় না। তাঁরা বলে তাদের জীবনে যে দুঃখ তা আমি বুঝব না। তাঁরা নিশ্চিত আজ আমার লিখাটা পড়ার পর অট্ট হাসি দিবে । কিন্তু তারপর তাদের কাছে আমার অনুরোধ রবে জীবনে দুঃখ কখন ধোয়া বা নেশা দিয়ে কমিয়ে রাখা যায় না। দুঃখ হতাশা তো আসবেই কিন্তু তাই বলে সেইটার সাথে লড়াই না করে নিজেকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাব এইটার কোন মানেই হয় না। আর তোমাদের যেই গার্ল ফ্রেন্ড আর বয় ফ্রেন্ড তোমাদের বলে সিগারেট না খেলে স্মার্ট হওয়া যায় না আসলে তাঁরা তোমাদের ভালোবেসেছে কিনা সন্দেহ ?? একটা ভাল মেয়ে কখনও সিগারেট বা নেশার দ্রব্য কিনতে তার বয় ফ্রেন্ডকে টাকা দিবে না। যদি দেই তবে সেই মেয়ে অবশ্যই মার্কা মারা টাইপের মেয়ে। এত ধর্মের জ্ঞান দাও এইটা জানো না । নেশাগ্রস্থদের সকল নেক আমলের বৃথা হয়ে যাবে। আর এদেরকে মসজিদ থেকে ৭০ হাত দূরে থাকতে বলা হয়েছে। জানি এইগুলা জ্ঞান হিসাবে নিবে কেন কেউ??
যাইহোক আজ
" বিশ্ব মাদক দ্রবের অবৈধ ব্যবহার ও চোরাচালান দিবস"
এইসব দিবস গুলা তখনই কার্যকর হবে যখন মানুষ এই গুলার বিক্রি কেনা আমদানি রপ্তানি বন্ধ করবে। কিন্তু জানি এই দেশে এমন হওয়া অনেক কঠিন কারন এই দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রাজনীতিবিদ রায় যেখানে ফেনসিডিল ,ইয়াবা ,গাজা সেবন করে এবং এইগুলার বিজনেস করে তারা কি এইগুলা বন্ধ করতে দিবে ? কখনও না । তারপরও আল্লাহর কাছে এইটুকু প্রাথনা আল্লাহ এদের হেদায়েত দান করুক । আসুন সবাই
" মাদক কে না বলি একটা সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলি "
২| ২৬ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২
নিবিড় এখন বলেছেন: লেখাটা অনেক ভালো হয়ছে। ধন্যবাদ তোমাকে।
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৫
ফয়সাল ইসলাম িনশান বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ২৬ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩
সরদার হারুন বলেছেন: বাজারে বাল মন্দ সবই আছে যে বুঝে চলতে পারে সেই জীবন যুদ্ধে জই হয় ।
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৬
ফয়সাল ইসলাম িনশান বলেছেন: সেইটাই ভাইয়া
৪| ২৬ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯
অবাধ্য সৈনিক বলেছেন: +++++++
৫| ২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৫
ফয়সাল ইসলাম িনশান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাদের মূল্যবান মতামতের জন্য । লেখাটা ভালো লাগলেই লেখা সার্থক আমার
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ++++++++++++