নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমজনতার হৃদয়পটে

নপদার্থ

একজন খাটি নিরপেক্ষ আমজনতা হওয়ার চেষ্টায় আছি.....

নপদার্থ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে ১৬ এবং বাল্যবিবাহ!

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৫

শুনলাম সরকারের সেই কর্তাব্যক্তিরা নাকি আবারও সামনে হাটার চেষ্টা করছে যারা কিছুদিন আগেই মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে ১৬ করার একটা কুচেষ্টা করেছিলেন ৷ ঐ অবিবেচক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তখন সবাই সরব হয়েছিল বলেই উনারা পিছু হাটতে বাধ্য হয়েছিলেন ৷ এই ভুত হয়ত আমরা আবারও তাড়িয়ে দিব কিন্তু আইন রক্ষা করেই যে কান্ড করা হচ্ছে তা রুখবে কে? ছোট দুটো প্রাসঙ্গিক ঘটনা বলি……

ঘটনা - ১,
গ্রামের এক হত দরিদ্র কৃষক সেলিম মিয়া ৷ একটা ছেলে সন্তানের আশায় চার চারটা কন্যা সন্তানের বাবা হয়েছেন ৷ এখন বাবা যেহেতু হয়েছেন পিতার দায়িত্ব তো পালন করতেই হবে ৷ সেই দায়িত্ববোধ থেকেই হয়ত এখন বড় মেয়ের বিয়ে দিতে চাচ্ছেন! কিন্তু ঝামেলা হচ্ছে মেয়ের বয়স ১৮ হয় নাই ৷ এবার সেলিম মিয়া ধরলেন এলাকার মেমবারকে ৷ মেমবার সাহেব সব কথা শুনলেন ৷ সেলিম মিয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে দয়াশীল মেমবার সাহেব সব ব্যবস্থা করে দিলেন ৷ ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে সেলিমের ১৫ বছরের মেয়ে এখন ১৮! তার মেয়ের বিয়ে এখন আর ঠেকায় কে?
এরই কিছুদিন পর জানা গেল সেলিম মিয়াকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না ৷ বাল্যবিবাহ হচ্ছে জেনে পুলিশ হামলা দিয়েছিল বিয়ে বাড়িতে ৷ তখন থেকেই মেয়ের বাবা উধাও! পরে আরো জানা গেল, পারিবারিক অবস্থার কথা ভেবে যিনি বেআইনি কাজ করেছিলেন সেই মেমবার সাহেবকেও সেলিম মিয়া বোকা বানিয়ে দিয়েছেন ৷ বড় মেয়ের বিয়ের কথা বলে বয়স বাড়িয়ে যে জন্মনিবন্ধন করা হয়েছিল, সেই কাগজ দেখিয়ে মেঝো মেয়ের বিয়ের দিচ্ছিলেন সেলিম মিয়া!

ঘটনা - ২,
মেয়ের নাম নাসরিন ৷ বাবা-মা নাসরিনকে নিয়ে এসেছে ইউনিয়নের চেয়্যারম্যানের কাছে ৷ চেয়্যারম্যান সাহেব নাসরিনকে দেখে বিনা বাক্যে মেনে নিলেন এই মেয়ের বয়স নিশ্চিত ১৮ ৷ তার মানে নাসরিন বিবাহ উপযুক্ত মেয়ে ৷ চেয়্যারম্যানের লিখিত পেয়ে ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্র নাসরিনের জন্মনিবন্ধনে তাকে ১৮ বয়সী বানিয়ে দিল ৷
অবশ্য নাসরিনের বিয়ের পর জানা গেল, এ নাসরিন সে নাসরিন নয়! জন্মনিবন্ধনের কাগজ দেখে যায় কাবিন করা হয়েছে সে নাসরিনই ছিল ৷ তবে যাকে সেদিন চেয়্যারম্যানের কাছে হাজির করা হয়েছিল সে নাসরিন ছিল না ৷ সেদিন পাশের বাড়ির বিবাহিত এক মেয়েকে নিজের মেয়ে বলে চালিয়ে ছিল নাসরিনের বাবা-মা!

বুঝাই যাচ্ছে আমাদের দেশের জনগণ বাল্যবিবাহের আইন কিভাবে মেনে চলছেন! উপরের দুটি ঘটনাই আমাদের সমাজের বাস্তব চিত্র ৷ শহর ছেড়ে একটু পাশে তাকালেই এসব অহরহ দেখা যায় ৷ সরকার কঠোর হলেও কাজ হচ্ছে না ৷ আসলে সবার আগে দরকার জনসচেতনতার! সেই দায়িত্বটা আমাদেরই ৷ দেশের প্রত্যেকটা শিক্ষিত সচেতন নাগরিকদের ৷ কিম্তু আমরা কোন ভুমিকা পালন করছি না ৷ আমাদের সকল দেশ সেবা এখন অনলাইনেই সীমাবদ্ধ ৷ প্রতিদিন সরকারের সমালোচনা করে রাতে এক গ্লাস দুধ খেয়ে ঘুমিয়ে যাই ৷ আমাদের নারীবাদিরাও শহুরে শিক্ষিত নারীদের নিয়েই ভাবেন ৷ কি পেলেন কি পেলেন না সে দাবি নিয়েই উনারা ব্যস্ত! গ্রামের মেয়েদের নিয়ে ভাবার টাইম উনাদের নাই ৷ এভাবে কেবল জনসচেতনতার অভাবে আজকের একজন জরিনা-মর্জিনা আগামীতে নতুন করে একটা জরিনা-মর্জিনা পয়দা করবে এবং এভাবে চেইনটা যুগ যুগ ধরে হয়ত চলতেই থাকবে…

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩০

তারিকুল ইসলাম রাসেল বলেছেন: ১৬ বছরে পেয়ার করে গর্ভবতী হতে পারলে বিবাহ দিয়ে বৈধ করে সমাজ থেকে অবৈধ কাজ বন্ধ করলে ক্ষতি কি?

২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৩

আবু আবদুর রহমান বলেছেন: বিয়ে ছাড়াই যেখানে বাচ্ছা হচ্ছে ।
http://www.somewhereinblog.net/blog/abuabdurrahman/30090507

৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১৮

ফারুক১ বলেছেন: কৈ? প্রেমের বয়স বাইন্ধা দিতে তো মানবাধিকার যায়! তাইলে বিয়ের মত প্রয়োজনীয় বিষয়ে মানুষের ঘরে হামলা করতে মানবাধিকার যায় কেমনে? আজ ঘরে ঘরে অবোইধ প্রেম আর যৌনতা যেভাবে ঢুকে গেছে তাতে শারীরিক শিক্ষা নামে নির্লজ্জতা শিখানো হচ্ছে! স্কুলে কনডম বিতরন শুরু হচ্ছে!আর আপনি আছে প্রাচীন অমানবিক ধারনা নিয়ে!

যে ছেলে বা মেয়েটা যোউনতার কারনে নষ্ট হচ্ছে, আত্মহত্যা করছে, বাবা-মায়ের অবাধ্য হচ্ছে তাঁদের দায় যদি সরকার বহন করতে অপারগ হয় তাহলে সরকারের জন্য এটা মানবিক ভাবেই অবৈধ হবে। যে প্রতিক্রিয়া আপনি বন্ধ করতে প্রবেন না, তার ক্রিয়া আপনার জন্য অবশ্যই অপরাধ।

দেশের পরিস্থিতি। ধর্ষন, অপহরন, প্রেমের নামে প্রতারণা দেখেও যারা চোখ বন্ধ করে সেই পুরাতন গীত গায় তাঁদের জন্য করুনা ও ঘৃণার বাইরে আর কিছুই নাই। এটা সিরিয়াস ব্যাপার। এখানে সুশীলগীরি মানায় না। আরো বহু বিশয় আছে সুশীলটা করার জন্য। মানুষের ঘরের বিষয়, পার্সোনাল বৈধ বিষয়কে অবৈধ করবার অধিকার কে দিয়েছে? স্বয়ং রাসূল সাঃ যেখানে অনুমোদন দিয়েছেন সেখানে কোন মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর শক্তি প্রয়োগের সরকার কে!?
আমরা এতই সহনশীল যে, আমাদের ধুতি খুলে নিলেও কথা বলতে ভয় পাই!

৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১৯

ফারুক১ বলেছেন: _ _ _

৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৩

আবদুল্লাহ-আল-মারুফ বলেছেন: নপদার্থ - আপনার মত যাদের চোখ থাকতেও অন্ধের মত আচরণ করসেন, তাদের কি করে বুঝানে যায়? একটু চোখ খুলে আসে পাশে দেখেন কি অবস্তা চলছে ?

ভাই, বই-পুস্তকের পরিসংখ্যান না দেখে নিজেই একটু পরিসংখ্যান করুন।
ফারুক ভাই আপনে যথার্থ বলেছেন।

৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৯

নপদার্থ বলেছেন: সবার মন্তব্য পড়ে নিজেকে আবাল আবাল লাগতেছে ৷ ভুল জায়গায় ভুল কথা বলে ফেলছি :-<

৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৮

আবদুল্লাহ-আল-মারুফ বলেছেন: নপদার্থ - ভাই নিজেকে আবাল ভাবলে তো আর কিছু শিখতে পারবেন না, নিজেকে মানুষ ভাবুন আর নিজের বিবেককে খাটান আর পরিসংখ্যানকে অন্ধের মত বিশ্বাশ কইরেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.