![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খেয়াল করুন, পুলিশ বলছে ওই চার স্কুলছাত্র এবং মেয়েটি একই এলাকায় বসবাস করত। তাঁরা প্রায়ই একে অন্যের বাড়ি যেত। একসঙ্গে পড়াশোনা করত। অর্থ্যাৎ তারা শুধু সহপাঠীই না তারা একে অন্যের ভালো বন্ধুও ছিল!
কিন্তুু এই মেয়েটি কি কখনও চিম্তা করতে পেরেছিল যে একদিন তার এই চার সহপাঠীর দ্বারাই সে ধর্ষিত হবে! সে তো জানতোই না ভালো বন্ধুর রূপধারী তার এই সহপাঠীর মনে তাকে নিয়ে কত কলুষিত কল্পনা চলছে!
গত ৮ নভেম্বর ওই কিশোরদের একজন ফোন করে মেয়েটিকে বাসায় আসতে বলে। মেয়েটি তো আর জানতো না যে সেখানে তার জন্য কি অপেক্ষা করছে? সে বন্ধুর সাথে দেখা করতে যায়! তারপর মেয়েটিকে তার চার কিশোর সহপাঠী গণধর্ষণ করে। শুধু পালাক্রমে তারা ধর্ষণই করে নি! ধর্ষনের ভিডিওচিত্রও ধারণ করেছে ৷ এবং ধর্ষণের সেই ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে এর পর আরও কয়েকবার মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়।
সর্বশেষ গত বুধবার ধর্ষণের ভিডিওচিত্র হোয়াটস অ্যাপে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। মেয়েটির পরিচিত একজন ভিডিওটি দেখে তাঁর আত্মীয়াকে বিষয়টি জানায়।
উপরের এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে ৷ এখন আমাদের অনেকেই এটা শুনে বগল বাজাবে আর সন্তুষ্ট চিত্তে বলে বসবেন, “ধর্ষণের দেশ ভারত ৷ তাই এমনটা তো অনাকাঙ্খিত ছিল না!"
এমনটি যদি আপনার ধারনা হয়েই থাকে তাহলে বলতেই হবে আপনি মহামূর্খ ৷ কেননা প্রতিবেশীর বাড়িতে আগুন লাগলে চুপচাপ বসে থাকলে একসময় নিজের বাড়িতেই আপনাকে আগুনে পুড়ে মড়তে হবে ৷ এই একই রকম ঘটনটা যখন আমাদের দেশে ঘটতে থাকবে তখন আপনি কি বলবেন?
ছেলেগুলোর বয়সই বা আর কত হবে? বড়জোর ১৫ কি ১৬? এই বয়সেই এখন তারা ধর্ষক! ভারতের ওই চার কিশোরকে আদালতের মাধ্যমে এখন একটি সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে! প্রশ্ন হচ্ছে ঘটনা ঘটার পরে এই সংশোধনটা আসলে কতটা কাজে দিবে?
আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সবাইকে যেন এরকম সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো না লাগে সেটাই আগে নিশ্চিত করতে হবে ৷ এটা আমাদেরই দায়িত্ব ৷
©somewhere in net ltd.