![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজন্ম শূন্য মানুষগুলোর কাছে খোলা আকাশ মূল্যহীন।
তারা একটু আড়াল খোঁজে, আড়ালে গিয়ে চুপচাপ নিজের অযোগ্যতা ঢাকে।
অসম্পূর্ণ মানুষদের শূন্যতা ঢাকার প্রয়াস চলে আজীবন।সম্পর্কের সুতোয় চেপে বৃত্ত ভরাট করতে চায় কেউ কেউ, কারো বিন্যস্ত খোঁপায় গুঁজে দিতে চায় সুতোয় গাঁথা বেলী ফুল।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সম্পর্কগুলো হয় ত্রিভুজ সম,কোন কোন ক্ষেত্রে ত্রিমাত্রিকতার খোলস ছেড়ে তা হয়ে উঠে চতুর্ভুজ,পঞ্চভুজ কদাচিৎ বহুভুজের মত।এত্ত ভুজের ভীড়ে অযোগ্যদের ভাগে জোটে মোটে কয়েক ছটাক!!
"তারপরো এরা ভালোবাসে, জেনেশুনে চুলকাতে লাগে কষ্টের ভগাঙ্কুর।"
রৌদ্রদ্বগ্ধ কোন স্বচ্ছ দুপুরে এদের বুকে কেউ একজন হেটে যায় হঠাৎ করেই।কাঁধে ঝোলানো কারো ব্যাগে কেমন করে যেন সেদিন ঝুলে যায় ভালোবাসা।অন্তর্গত সুখে মোড়ানো অসুখ চেপে মুঠোয় পুরে নেয় ফর্সা হাত।
ছেলেটা এভাবেই মুঠোভর্ত্তি হাতজোড়া ধরে বলেছিল___
"চলো পাল্টাই।নিয়ম ভেঙে বদলে যাই....
চলো... খণ্জর বসিয়ে দিই অসুস্থ সমাজের বুকে, ধুয়ে ফেলি বেদনার পুরো বর্ণমালা।
চলো....ভালোবেসে ধনী হই, মুছে দেই দারিদ্র্য।
চলো... নাহয় জাতিস্মর শকুন হই, দুজনে মিলে খুবলে খাই সব একাকীত্ব।"
প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসী মেয়েটা সাবলীলভাবে ঠোট নেড়ে বলে উঠে___
"তবে....তবে তাই হোক।"
উহু......শেষমেষ হয়নি ওরকম।
টেনেটুনে বছর খানেক গিয়েছিল সম্পর্কটা।তারপর একসময় আবারো সামনে এসে দাড়ায় ছেলেটার অযোগ্যতা।
শেষ যেবার দেখা হলো,মেয়েটার পড়নে ছিল দামী জামদানি...আর নাকে নাকফুল।
"এখন মেয়েটার জামদানিতে প্রায় রাতেই লেগে থাকে, কারো শিশ্নের সুখ।"
অবশেষে......
স্মৃতির ভগাঙ্কুর চুলকিয়ে দিয়ে, সিগ্রেটটা জ্বালিয়ে... ছেলেটা শূন্য আকাশে গোল করে আঁছাড় মাড়ে একদলা জমাট ধোঁয়া।আর অসম্পূর্ন জীবনের ভাগে আবারো পড়ে থাকে এক ছটাক স্বপ্ন, আর আজন্ম শূন্যতা।
(লোমান)
©somewhere in net ltd.