রাজীব রাজন রাকিবে জাগ্রত প্রশাসন তকী বুলেট কন্যায় নীরব কেন ???

০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৩৩

মিথ্যা অপবাদ কাঁধে নিয়ে পৃথিবীর মায়া সাঙ্গ করে নির্মমতার সাক্ষী বহন করে বিদায় নেয় রাজন। ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন জেলায় হারিয়ে যায় অসংখ্য রাজন। সব মিডিয়ায় আসে না মিডিয়াতে সব আসতে নেই। রাকিবের কথা মিডিয়াতে আসছে জনতার হাত থেকেও বাঁচতে পারেনি অপরাধীরা। সকল স্তরে সোচ্চার অপরাধীর বিচার আদায়ে। এমনটাই হওয়া উচিত। অপরাধীর আলাদা কোন পরিচয় হওয়া উচিত নয়। অপরাধী আওয়ামী লীগ বি এন পি বা জামায়াত হওয়া উচিত নয় বরং দেশের ও জাতির স্বার্থে বিচারে সমতা আনা উচিত। কিন্তু আমরা তা দেখছি না। মিডিয়ার মাধ্যমে বিরোধী পক্ষের অপরাধকে ফলাও করে প্রচার করে ছাড় দেয়া হয় দলীয় সদস্যর অপরাধ। রাজনের অপরাধীরা যেমন দোষী একই রকম দোষে দুষ্ট রাকিবের হত্যাকারীরা। নিরাপরাধ নয় কিন্তু বুলেট কন্যাকে আঘাত কারীরাও। পৃথিবীতে সব থেকে নিরাপদ স্হান মায়ের গর্ভ। কিন্তু ক্ষমতা লোভী একদল পিচাশ সেখানেও নির্মামতার প্রকাশ ঘটিয়েছে। শরীরে বুলেটের আঘাতের চিহ্ন নিয়েই আগমন করেছে পৃথিবীতে। এই বিচার কিন্তু সমান ভাবে সবাই চাইতে পারেনি।
কারণ একটাই, ক্ষমতাসীনদের বিচার চাইতে নেই বিচার চাওয়া অপরাধ।
.
২০১৩ সালে রাজাকারের বিচারের দাবীতে গনজাগরন মঞ্চ আন্দোলন করেন। সেখানের অন্যতম সংগঠক ছিল রাজীব হায়দার। ধর্মীয় কুত্‍সা লেখায় তাকে হত্যা করা হয়। তখন রাজীব হায়দারকে দাবী করা হয় দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ হিসাবে। একই সময় নারায়নগন্জের গনজাগরন মঞ্চের সংগঠকের ছেলে এবং সংগঠক তকীকেহত্যা করা হয়। বিভিন্ন বিবৃতিতে তখন বিরোধী দলকে দোষারোপ করে বিচার চাওয়া হয়। কিন্তু রাজীবের হত্যাকারীরা ধরা পরলেও নাগালের বাহিরে থেকে যায় তকীর হত্যাকারী। কারণ রাজীবের হত্যাকারীরা ছিল বিরোধীদলের আর তকী যে সরকারী দলের। একই রকম ভাবে বুলেট কন্যাকে আঘাত কারীরা সরকারী দলের হওয়াতে ধরা ছোয়ার বাহিরে থেকে যাচ্ছে। আমরা বিচারের সমতা চাই। অপরাধী যে দলের হোক না কেন তাকে বিচারের আওতায় আনা হোক। বন্ধ করা হোক গুম খুন...

০ টি +০/-০