![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আশির দশকে জন্ম নেয়া বেশিরভাগ শিশুই খেলনা গাড়ী দিয়ে খেলে বড় হতো। তখন এদেশে এত বেশী গাড়ী ছিল না। সেদিক দিয়ে আমাকে ভাগ্যবান বলতে হবে। শৈশবে আমি ডিজেল/পেট্রোল চালিত গাড়ী দিয়ে খেলে বড় হয়েছি। হাহাহা, আমাকে খুব ধনী ব্যক্তি ভাবলে ভুল করবেন। কারন ঐগুলো ছিলো সরকারী গাড়ী।
আমার বাবা সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন। আমার জন্মের কিছুদিন পরেই আব্বা একটি প্রমোশন পেয়ে তার ডিপার্টমেন্টের একটি জেলার (মুন্সিগঞ্জ) দায়িত্ব পায়। তার প্রায় চার বছর পর আব্বা মানিকগঞ্জে বদলী হয়। প্রতিটি জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার জন্য একটি গাড়ী থাকে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী। তার সাথে বোনাস হিসেবে আমি পেয়ে গেলাম একটি নষ্ট গাড়ী। ঐ গাড়ীটাই হয়ে উঠল আমার খেলার সাথী। ( সরকারী গাড়ী নষ্ট হলে ঐগুলো ঐভাবেই পরে থেকে একবারে অকেজো হয়ে যায়!! )
যাইহোক, শৈশবের স্মৃতির একটা তালিকা করি :
মানিকগঞ্জঃ
১। ক্লাশ ওয়ানে পরা অবস্থায় আমি উলটা (বিপরীত) করে কথা বলা শিখে যাই। প্রথম শেখা উলটা বাক্য : নভীরপা মপ্রে রেক কুটু রয়েইভা থেসা (পারভীন প্রেম করে টুকু ভাইয়ের সাথে)। আমাকে চার বছর বয়সে ক্লাশ ওয়ানে ভর্তি করা হয়। প্রথমদিন ক্লাশে যার সাথে আমার পরিচয় হয়, সে আমার সাথে এখন একই কোম্পানীতে চাকরি করে (আমার চাইতে উপরের পদে। কোন একটা অজানা কারনে ও আমার সাথে সরাসরি কোন যোগাযোগ করে না!!!)। প্রথমদিন ক্লাশ করে এত বিরক্ত হই যে বাসায় এসে আমি আম্মাকে ম্যানেজ করি যাতে ঐ বছর আমার আর স্কুলে যেতে না হয়। পরের বছর থেকে আমি আমার শিক্ষা জীবন শুরু করি। ক্লাশ ওয়ান থেকে থ্রি এর অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা পর্যন্ত মানিকগঞ্জ সরকারী ইস্কুলে ক্লাশে রোল কল করার সময় সবার আগে আমার নাম ডাকা হত !!! স্কুলের হেড মাস্টার শংকর স্যার এর স্পেশাল একটা শাস্তি ছিল “চমচম দেয়া”(স্যার এমনভাবে আঘাত করতেন, যে আঘাত করা জায়গাটা চমচমের মত ফুলে উঠত।)।স্কুলের সবচেয়ে ভয় পেতাম যাকে দেখে তিনি ছিলেন ইংরেজী শিক্ষিকা “নীনা আপা” (নীনা রহমান, আমাদের জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয়ের মা।)।
(চলবে)
কিশোর
১০/০৩/২০১৩
©somewhere in net ltd.