নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনুভূতি প্রকাশক!

এিভুবন

আপনার পাশের সীটে বসা অথবা পাশের বাড়ীতে থাকা লোকটার মতই সাধারন।

এিভুবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফিরে দেখা শৈশব-৪

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭

মানিকগঞ্জঃ



৮। যারা নব্বই দশক বা তার পরে জন্মেছে তারা অনেকেই মনে করে দেশটা মনে হয় এখনি বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত অথবা ঘুষের বিনিময়ে চাকরি বা লবিং এ চাকুরি বা প্রমোশন এগুলো মনে হয় এদেশে নতুনভাবে এসেছে গত দুই দশকে। ভুল !!! আমার ছোট চাচা (আইয়ুব কাকা) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাশ করার পর চাকুরির জন্য ময়না মিয়া নামক এক ভদ্রলোককে ঘুষ দেন। ময়না মিয়া টাকা নিয়েও চাকরিটা দিতে পারে নাই এবং টাকাও আর ফিরত দেয় নাই। যুগে যুগে এইদেশে চোর বাটপার ছিল এবং এখনো আছে। পরবর্তীতে চাচা নিজের চেষ্টাতেই একটি ভাল চাকুরিতে যোগদেন। বি সি এস পরীক্ষা নিয়ে লিখার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু এখন লিখতে ইচ্ছা করছে না। ভাবছি এই দুনিয়াতে আমি আমার ইচ্ছেমতো অনেক কিছুই করতে পারবো। কিন্তু পরবর্তী দুনিয়াতে আমার ইচ্ছার কোন মুল্য থাকবে না। তাই আজ জয় হোক আমার ইচ্ছার !!!



৯। মাছে ভাতে বাঙালি এই কথটা সেসময় প্রচলিত ছিল। আব্বা মাছ খেতে খুব পছন্দ করতেন। বাসায় মাছ আনলে মেপে দেখতাম আমি বেশী লম্বা নাকি মাছটা বেশী লম্বা!!!

যাই হোক, সাদা চামড়ার মানুষ (বিদেশী) দেখলেই আমরা তাকে বিশেষজ্ঞ বলে মনে করি। তাদেরকে একটু দেখা বা তাদের সাথে হাত মিলাবার জন্য অস্থির থাকি। কিন্তু আমরা একটা জিনিস ভাবি না ওদের দেশের মুর্খ ব্যক্তিরাও দেখতে এরকমই। শৈশবে আমিও এর ব্যতিক্রম ছিলাম না।জনি ওয়াকার নামক একজন আমেরিকান ভদ্রলোক প্রায়ই আসতেন আমাদের বাসায়। উনি আসলেই আমি খুব উৎফুল্ল হয়ে যেতাম। উনার যে জিনিসটা আমাকে অবাক করেছিল তা হল উনি খুব ভালো বাংলা বলতে পারতেন! চমৎকার একজন মানুষ ছিলেন তিনি। তিনি একবার আমার বুদ্ধিমত্তা নিয়ে খুব বড় ধরনের প্রশংসা করেছিলেন যাতে আমি খুবই খুশি হয়েছিলাম। এই ব্যাপারটা শেয়ার করছি না । কারন সবকিছু শেয়ার করতে নেই!!!



নেত্রকোনা (১৯৯১-১৯৯৪):



১। শুক্রবার । নেত্রকোনা শহরের মসজিদ কোয়ার্টার এলাকার ওসমান ফটোষ্ট্যাট এর সামনে দাঁড়িয়ে আছি। রাস্তা পার হলেই পুরাতন ফৌজদারী মাঠ। ঐ মাঠেই আমরা ক্রিকেট খেলি প্রতিদিন। সকাল এগারটার একটু বেশি বাজে। কিন্তু বন্ধুদের কাউকে খুঁজে পাচ্ছিনা। বাসায় ফিরে যাবো কিনা ভাবছি । এমন সময় দেখি একটি মিছিল আসছে। মিছিলে কয়েকজন পরিচিত মুখ দেখে সময় কাটানোর জন্য মিছিলে ঢুকে পড়লাম। মিছিলের স্লোগান ছিল “ধরধরধর শিবির ধর, ধইরা ওগোর জবাই কর”। মিছিলটা আঞ্জুমান স্কুলের (আমি এই স্কুলে পড়তাম) কাছাকাছি পৌছালে স্কুলের ছাদ থেকে বৃষ্টির মত ইট নিক্ষেপ শুরু করে শিবির কর্মীরা, এর মাঝে শুরু হয় পুলিশের লাঠিচার্জ। সবাই ছুটাছুটি শুরু করল, ইটের আঘাতে কয়েকজনের মাথা ফেটে রক্ত বের হচ্ছিল। আমি দৌড়ে বাসার দিকে যাচ্ছি । এই সময় একজন পুলিশ কোন কারন ছাড়াই আমার উপর লাঠি চার্জ করল। আমার মনে হচ্ছিল আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলছি। কোন রকমে বাসায় পৌছালাম। বিকেলে ঘটনা শুনলাম, আঞ্জুমান স্কুলের ভিতর শিবিরকে জমায়েত হওয়ার সুযোগ দেয়ার প্রতিবাদে ছাত্রলীগ ঐ মিছিল বের করে………:)

(চলবে)



কিশোর

২৭/০৩/২০১৩

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.