নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখেনি ছেলেবেলায় এক বোষ্টুমি তার আগমনী গান হঠাৎ থামিয়ে বলেছিল শুক্লা দ্বাদশীর দিন অন্তরাটুকু শুনিয়ে যাবে তারপর কত চন্দ্রভূক অমাবস্যা চলে গেলো কিন্তু সেই বোষ্টুমী আর এলো না পঁচিশ বছর প্রতিক্ষায় আছি। কেউ কথা রাখেনি- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
কিছুদিন আগে ফেসবুকে স্ক্রলিং করতে গিয়ে দেখি, বৃষ্টিতে ভিজতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে জাবি ছাত্রের মৃত্যু। খবরটা শুনেই খুবই মর্মাহত হলাম। আহা, ছেলেটা কি শখ করে বৃষ্টিতে ভিজতে গিয়েছিল, আর কেমন দুর্ঘটনা হল। কয়েক ঘন্টা পর শুনি যে, ছেলেটি আত্মহত্যা করেছে। তার হলের রুমে ছোট্ট একটি চিরকুট রাখা ছিল। সেখানে লেখা ছিল, " নিজের সাথে যুদ্ধ করতে করতে আমি ক্লান্ত। এবার মুক্তি চাই" ( দৈনিক জনকন্ঠ, ২০২২)।
এই ছেলেটির মতো আরও শত শত ছেলেমেয়ে মুক্তি চাইছে, তারা ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত, অবসন্ন। কিন্তু প্রশ্ন হল, যখন যৌবনে উত্তাল-উদ্দাম-দুর্বার থাকার কথা, তারুণ্যের স্ফুলিঙ্গের বিস্ফোরণ হওয়ার কথা, ঠিক সেই বয়সেই তারা এমন বুড়িয়ে যাচ্ছে কেন? কেন তাদের জীবন হতাশার কুয়াশায় আচ্ছন্ন? তাদের মুক্তির পথ কি একমাত্র আত্নহত্যা?? যখন এমন খবর চোখের সামনে দেখি, এমন হাজারও প্রশ্ন মনের মধ্যে উকিঁ দেয়।
প্রথমেই জানি আত্নহত্যা কি? ল্যাটিন শব্দ সুই সেইডিয়ার থেকে সুইসাইড শব্দের উৎপত্তি, যার অর্থ হচ্ছে নিজেকে হত্যা করা। এ্যারোন এর মতে, আত্মহত্যা হল আত্মহত্যাকারী কর্তৃক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ইতিবাচক বা নেতিবাচক ঘটনা, যা মৃত্যু ঘটায় ( ঢাকা টাইমস, ২০২২)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি বছর ৭ লক্ষ ৩ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে মারা যায়, তন্মধ্যে ২০১৯ সালে ৭৭ শতাংশ আত্মহত্যাই ঘটেছে নিন্ম এবং মধ্য আয়ের দেশগুলোতে ( বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ২০২১)। আরেকটু তথ্য দেই, ২০১৯ সালে ১৫-২৯ বছর বয়সীদের মৃত্যুর চতুর্থ প্রধান কারণ ছিল আত্মহত্যা( বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ২০২১)।
এ তো কেবল কলির সন্ধ্যে। আরো শুনুন। শুধুমাত্র করোনাকালীন সময়েই বাংলাদেশে আত্মহত্যার সংখ্যা ১৪,৪৩৬ । তরুণদের সংগঠন আচঁল ফাউন্ডেশনের দাবি, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে দেশে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৪.৩৬ শতাংশ (প্রথম আলো, ২০২১)। ভাবা যায়??
ঢোক গিলে আবার পড়তে শুরু করুন। ২০২০ সালে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সহ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৭৯ জন শিক্ষার্থী এবং ২০২১ সালে ১০১ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন (প্রথম আলো, ২০২২)। কেন এত এত প্রতিভাবান ছেলেমেয়েগুলো অকালে ঝরে যাচ্ছে? স্বপ্নের কাঙখিত প্রতিষ্ঠানে পড়ার পরও কেন এইভাবে মুক্তির পথ চাইছে তারা?? কেউ কি খোঁজ রেখেছে তাদের??
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক কামাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘এক বছরে এতগুলো প্রাণ চলে যাওয়ার খবর ভীতিকর। তার মতোই ভীতিকর হলো বিষয়টি নিয়ে কেউ কিছু ভাবছে না। অথচ আমাদের দেশে প্রতিবছর আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে।’ (প্রথম আলো, ২০২২)।
সত্যিই বড় উদ্বিগ্নের বিষয়। কেন হচ্ছে এসব আত্মহত্যা? চলুন, একটু ভেবে দেখি।
আমরা একটা রোলার কোস্টার সিস্টেমের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। যখন থেকে আমাদের অক্ষরজ্ঞান হয়, বাবা মায়েরা একটা প্রতিযোগিতায় নামিয়ে দেন। "বাবা, তোমাকে প্রথম হইতে হবে" এটা আমাদের মননে-মগজে ঢুকিয়ে দেয়া হয়। শুরু হয় আমাদের ম্যারাথন রেস। যে সময় বাচ্চাদের আকাশের মেঘ কেমন হয় আর গাছের পাতা আর ফুল দেখে সময় কাটিয়ে দেয়ার কথা, ওইসময় তারা দৌড়াতে থাকে কোচিং সেন্টারে, শহরের নামীদামি স্কুলে এডমিশন পাইতেই হবে, তারা রেসে আছে, ফাস্ট তাদের হইতেই হবে। যখন তাদের মাটি দিয়ে হাড়িপাতিল বানিয়ে রোদে শুকাতে দেয়ার কথা, তখন তারা জ্যামিতি আকেঁ, সাধারণ জ্ঞান মুখস্ত করে, ভোকাবুলারি শিখে। যখন তাদের ময়ূরের পালক বইয়ের ভেতর রেখে একটু পর পর সেই পালক বাচ্চা দিয়েছে কিনা সেটা দেখার কথা, বৃষ্টিতে কাদায় মাখামাখি হয়ে লাফঝাঁপ করার কথা, তারা সেই সময়টুকু দেখে এনিমি, খেলে পাবজি। তাদের শৈশব কোথায় হারিয়ে গেল??
কৈশোর তো আমাদের সেই কবেই হারিয়ে গেছে। যবে থেকে ক্লাস ফাইভ, ক্লাস এইটের বোর্ড পরীক্ষা চালু হয়েছে। আর যাই করো, বৃত্তি তোমাকে পাইতেই হবে। ক্লাস, কোচিং, প্রাইভেট টিউটর- এগুলো থেকে অবসর পেলে তবে তো কৈশোরযাপন করব তাইনা??
এতসব চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আরো দুইটা বোর্ড পরীক্ষা পাস করে, এডমিশন যুদ্ধ ডিঙিয়ে যখন আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছাই, জীবনীশক্তি তখন শেষের দিকে। প্রথম বর্ষ তো নতুন ক্যাম্পাস, নতুন বন্ধুবান্ধবের সাথে ঘুরতে ঘুরতেই চলে যায়।
হতাশা বাসা বাধঁতে শুরু করে দ্বিতীয় বর্ষের শেষের দিকে। এসময় বন্ধুবান্ধবদের সংখ্যা কমে যায়, অনেকে পড়ালেখায় মনোযোগ দেয়, অনেকে চাকরির প্রিপারেশন নেয়, আর অনেকে হতাশায় ডুব দেয়। এই হতাশার পেছনে অনেক কারণই থাকে। কারো সিজি ভালোনা, কারো বাসা থেকে বলছে, আর কতকাল বাপের পয়সায় খাবি? এবার একটা কিছু কর, কারো আবার বাবার চাকরি চলে গেছে, সংসার তার দিকে চেয়ে আছে, কিন্তু চাকরিটা হচ্ছে না। কারো আবার বেলা বোস অন্যের সাথে ঘর বাধঁছে, কেউ বা জীবনে করার মতো আর কিছু পাচ্ছে না, কেউ মানসিক অশান্তিতে ভুগছে, কেউ খুব কষ্টে আছে কিন্তু বলার কোন মানুষ নেই, কেউ অন্যের সিজি ভালো চাকরি ভালো এইসব নিয়ে আত্মগ্লানিতে ভুগছে, কারো আবার খুব কাছের মানুষটা হুট করে পালটে গেছে আরো কত ইত্যাদি ইত্যাদি কারণ।
সবকিছুর সমাধান একটাই। আত্মহত্যা।।। আসলেও কি তাই??
অবশ্যই না। একটা কথা মনে রাখবেন, মরে গেলেন, তো হেরে গেলেন। কিন্তু যখন এসব আত্মহত্যার খেয়াল চাপে, তখন আর এসব নীতিবাক্য মাথায় থাকে না, অথবা মাথায় থাকলেও এগুলো খুব একটা অর্থবহ লাগে না।
অথবা আমরা নিজেদেরকে আর তখন ভালোবাসি না। তখন মরতে পারলেই বাচিঁ, শান্তি আর শান্তি। আসলে এইযে ছোটবেলা থেকে যে আমরা ফাস্ট হওয়ার ম্যারাথন রেসে দৌড়াই, আমরা নিজেদেরকে ভালোবাসতে ভুলে যাই, একদমই ভুলে যাই। ফাস্ট হব, ফাস্ট হব, ফাস্ট হওয়া লাগবে এর বাইরে আমরা কখনো দুদণ্ড সময় নিজেদের নিয়ে ভাবি না। এখন বলবেন, আরে কি ভাবব নিজেকে নিয়ে? এত সময় আছে নাকি?
এইযে সময় নেই, এজন্যই আজকের এই অবস্থা। আমরা গোলপোস্ট ছাড়া আর কিছু চোখে দেখিনা। আর যখন গোল হয়না তখন মরে যেতে ইচ্ছে হয়, সেটাকে আমরা আবার বাস্তবে রুপও দেই।
এইযে পড়াশোনা, ফাস্ট হওয়া, ভালো চাকরি, ভালো সিজি, ভালো বাড়ি গাড়ি এইসবের বাহিরেও একটা জীবন আছে। সকালের সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত অসম্ভব সুন্দর, শরতের পরিস্কার আকাশ যেমন সুন্দর, বৈশাখের কালো মেঘের আকাশও সুন্দর, প্রজাপতির রঙিন পাখা থেকে শুরু করে গাঙের খলিশা মাছটাও সুন্দর। আমাদের সমস্যা হচ্ছে আমরা সমসময় উপরের দিকে চেয়ে থাকি, নিচের দিকে তাকানোর অবসরই আমাদের নেই, জীবন আমাদের নেগেটিভ এ ভরপুর। রেজাল্ট ভালো হয়নি? তো কি হয়েছে, পৃথিবীর কত বিখ্যাত মানুষ স্কুল পাস করতে পারেননি। সিজি খারাপ? পৃথিবীর অনেক মানুষ লো সিজি নিয়ে বড় বড় কাজ করছে। চাকরি হচ্ছে না?? এখন হচ্ছে না তো কি হইছে?? একসময় হবে। প্রেম টিকল না?? তোমার ভালোবাসা তো সত্য ছিল। তা নিয়েই সুখে থাকো। টাকার অভাবে আছো? তোমার চেয়ে খারাপ অবস্থায় কত মানুষ আছে অনাহারে, অভুক্ত অবস্থায়। তার চেয়ে তুমি ঢের ভালো আছো।
জীবন একটাই, এবং জীবন অনেক অনেক সুন্দর। শুধু নিজেকে একটু ভালোবাসো, দিনের একটু সময় শুধুমাত্র নিজের জন্যই রাখো। নিজে যা ভালোবাসো, যা ভালো লাগে তাই ই করো। কেউ নেই কথা বলার? জোর করেই একজনকে বলো, আমি অনেক দুঃখে আছি। একটু শুনবা?? না শুনতে চাইলেও জোর করে শুনাব।
রেফারেন্স:
১. Click This Link
২. Click This Link
৩. Click This Link
৪. Click This Link
৫. Click This Link
ছবি: গুগল।
১৭ ই মে, ২০২২ রাত ১:৩৪
কৃষ্ণপক্ষের বোষ্টমী বলেছেন: এটা দুঃখজনক এবং উদ্বিগ্নের বিষয়। আত্মহত্যা মহাপাপ- শুধুমাত্র এই লাইনটার জন্যও মনে হয় কয়েক হাজার মানুষ জীবন্মৃত হয়ে বেচেঁ আছে। জীবন সুন্দর এটা মানুষ ভুলে গেছে। বেশিরভাগ মানুষের কাছে এখন জীবন মানে অভিশাপ।
ভালো থাকবেন এবং ভালো থাকার চেষ্টা করবেন। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার সময় সুন্দর কাটুক
২| ১৭ ই মে, ২০২২ রাত ১:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: প্রতিটা আত্মহত্যাই আসলে হত্যা।
১৭ ই মে, ২০২২ রাত ১:৪৪
কৃষ্ণপক্ষের বোষ্টমী বলেছেন: বেশিরভাগ মানুষ যারা আত্মহত্যা করে, তারা লিখে আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। এখানে অনেক পরোক্ষ, প্রত্যক্ষ কারণ থাকতেই পারে। তবে নিজেকে শেষ করে দেয়ার মধ্যে কোন সার্থকতা নেই। যে জীবন আপনি সৃষ্টি করেননাই, তাকে ধ্বংস করার অধিকারও আপনার নাই।
ভালো থাকুন।
৩| ১৭ ই মে, ২০২২ ভোর ৪:০৮
জোবাইর বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখেছেন। বেসিক সমস্যাগুলোও তুলে ধরেছেন। কিন্তু যারা জীবনের সব সমস্যার সমাধান হিসেবে "আত্মহত্যা"কে চুড়ান্ত বলে মনে করে তারা আপনার এই লেখা পড়বে না। সুতরাং আমরা যারা এই লেখা পড়ছি তাদেরকেই সচেতন হতে হবে এবং আশেপাশের মানসিক বিপর্যস্ত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে।
বেশিরভাগ মানুষ এখন টিকে থাকার এবং আরো ওপরে উঠার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। আর্থিক স্বচ্ছলতা ছাড়াও জীবনকে উপভোগ করা যায়। তারপরেও অনেকের সেই সময় নেই। শুধু কাজ আর কাজ। অনেকের ব্যক্তিগত দুঃখ-বেদনাগুলো প্রকাশ করার মতো কোনো বন্ধু-বান্ধব নেই, থাকলেও কেউ শুনতে চাই না, চরম দুর্যোগেও এরা কারো কোনো ভালোবাসা পায় না। এভাবেই অনেকের জীবনে শুরু হয় অবসাদ, বিষন্নতা, মানসিক চাপ, হতাশা, আত্মবিশ্বাসের অভাব। তা ছাড়া হেনস্থার শিকার হয়ে, সামাজিক লোক-লজ্জার ভয়ে, জীবনে ব্যর্থ হয়েও মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে।
বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে আত্মহত্যার ঘটনাগুলো কোনো মিডিয়াতে প্রকাশ করে না। কারণ এসব সংবাদ পড়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অনেক মানুষ আত্মহত্যা করতে উৎসাহিত হয়। তাছাড়া সেসব দেশে এ ধরনের মানুষদের সাহায্যের জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এগিয়ে আসে।
আত্মহত্যার মতো জটিল একটি বিষয় অল্প কথায় চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো। ভালো থাকুন।
ভালোবাসা দিয়ে এবং ভালোবাসা পেয়ে সবার জীবন স্বর্গীয় সুষমায় উদ্ভাসিত হউক।
১৭ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:১৮
কৃষ্ণপক্ষের বোষ্টমী বলেছেন: সত্যিকার অর্থে জম্বি বলে কিছু নেই.... তবে বিভিন্ন কারণে আমাদের অধিকাংশ মানুষেরই জীবনের কোন না কোন এক সময় মনে হয় যে ধুর! মরে যাব। আমার এই লেখা সেইসব মানুষদের জন্য। কারণ যাই হোক, সেটার সমাধান যে আত্মহত্যা নয় তা আমাদের বুঝতে হবে। আমরা যখন আমাদের কাঙ্ক্ষিত বস্তুটি পাইনা তখন আমরা তার নাম দেই জীবনে ব্যর্থতা। আমাদের চিন্তাই এমন যে যা চাই, তা পাওয়াই লাগবে। যা চাই তা না ও পাইতে পারি এইটা যখন আমরা মেনে নিতে পারব আমাদের জীবনের অধিকাংশ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৪| ১৭ ই মে, ২০২২ সকাল ১০:৫১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আত্মহত্যা কোন সমাধান নয়।
১৭ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:১৮
কৃষ্ণপক্ষের বোষ্টমী বলেছেন: যেকোন সমস্যা থেকে পালিয়ে যাওয়া সে সমস্যার সমাধান নয়। আমরা লড়াই করতে ভয় পাই।
ভালো থাকবেন।
৫| ১৭ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:২২
গেঁয়ো ভূত বলেছেন:
অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সুন্দর আর্টিকেল।
স্টিকি করার জন্য অনুরোধ করছি।
১৭ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২১
কৃষ্ণপক্ষের বোষ্টমী বলেছেন: আপনাদের ভালো লাগার মধ্যেই আমার লেখার সার্থকতা। আপনাকে ধন্যবাদ
ব্লগিং এ আমি একদমই আনাড়ি। স্টিকি কিভাবে করে বা স্টিকি কি এ ব্যাপারে আমার ধারণা মাইনাসের কাছাকাছি। আপনি যদি জানেন, জানালে উপকৃত হব।
৬| ১৭ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:১৬
ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: কোথাও পড়েছি, আত্নহত্যা যারা করেন তারা দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগেন।হতাশায় দেয়ালে পিঠ ঠেকার পর মানুষ আত্নহত্যার পথ বেছে নেন।।
।
১৭ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৩
কৃষ্ণপক্ষের বোষ্টমী বলেছেন: ওইযে আমরা যা চাই তা আমাদের পাওয়াই লাগবে এমন টেন্ডেন্সি কাজ করে, না পেলে হতাশা, সেই থেকে মানসিক রোগ বাসা বাধেঁ।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৭| ১৭ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:৫৪
ইসিয়াক বলেছেন: আপনার বিশ্লেষণগুলো যুক্তি যুক্ত। অসুস্থ প্রতিযোগীতা আমাদের বাচ্চাদের জীবন দূর্বিষহ করে তুলছে।
১৭ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৫
কৃষ্ণপক্ষের বোষ্টমী বলেছেন: আমাদের এই ম্যারাথন রেস থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এই রেসে দৌড়ে আমরা জীবনকে উপভোগ করা ভুলতে বসেছি।
আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৮| ১৭ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১২
শায়মা বলেছেন: আমি খুবই ভাবি এই হতাশ মানুষগুলোকে নিয়ে। বিশেষ করে যেই ছেলে মেয়েরা কিশোর বা কিশোরকালীন সময় পেরিয়ে গিয়েও পড়া লেখা চাকুরী প্রেম এসব নিয়ে হতাশায় ভোগে।
বাবা মায়ের প্রেশারে পড়ে কুলিয়ে উঠতে পারে না এসব মানুষগুলোকে নিয়ে।
তখন ভাবি আমরাও কি কম প্রেশারে থেকেছিলাম??
আমাদের বাবা মায়েরাও কি চাপিয়ে দেয়নি তাদের ইচ্ছে অনিচ্ছেগুলো?
কই বরং সেসব নিয়ে প্রতিযোগীতায় মেতেও তো আমাদের আশা হারায়নি।
এমন আশা নিয়ে প্রেশার নিয়ে আসলে প্রতিটা মানুষই বাঁচে পৃথিবীতে......
গুটিকয় মানুষ এই প্রেশার নিতে পারে না কারণ তারা নিজেরাই নিতে চায় না এবং এই নিতে না চাইবার পরিস্থিতিটাকেও কন্ট্রোল করতে পারেনা ।
যারা নিতে চায় না তারা কিন্তু অনেকেই সেই সিচুয়েশন কন্ট্রোল করে ফেলে।
জীবন মানেই যুদ্ধ।
পরিবেশ পরিস্থিতির জন্য মানুষের সেল্ফ মোটিভেশন এর স্কিলও বাড়ানো জরুরী।
প্রেশার থাকবেই জীবনে কিন্তু বাচ্চাকে ছোট থেকেই সেল্ফ মোটিভেশন ও পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং মনের কথা স্পষ্টভাবে বলতে পারা বা সুন্দর ভাবে না বলা শিখাতে হবে।
১৭ ই মে, ২০২২ রাত ১০:২০
কৃষ্ণপক্ষের বোষ্টমী বলেছেন: আমি একটু অন্যরকমভাবে ভাবি। আমার মনে হয় ছোট বাচ্চাদের এইযে ফাস্ট হতে হবে, ফাইভে, এইটে ভালো রেজাল্ট করা লাগবে এসব প্রেসার দেয়ার কোন দরকারই নেই। একটা বাচ্চাকে বলা উচিত, বাবা, তুমি শিখো। ফাস্ট হওয়া মেইন কথা না, তুমি জানো, বুঝো, শিখো। একটা বাচ্চার বেসিক ক্লিয়ার থাকলে তার যেকোন বিষয়ে বেসিক জ্ঞান থাকলে জীবনের যেকোন ক্ষেত্রেই সে সাইন করতে পারে, সেখানে কেউ জিজ্ঞেস করে না, বাবা, ক্লাস ফাইভে কি বৃত্তি পেয়েছিলা, সেভেনে রোল কত ছিল, এইসব কিছুই ম্যাটার করে না। কিন্তু আমরা এই ফাস্ট হওয়ার ম্যাথারন রেসে বাচ্চাদের নামিয়ে দিয়ে ওদের শৈশবটাই নষ্ট করে দিচ্ছি।
প্রত্যেকের মধ্যেই ইউনিক কিছু থাকে। এই ফাস্ট হবার তাড়নায় বেশিরভাগ বাবা মা ই বাচ্চার মধ্যকার এই ইউনিক ব্যাপারটাকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে দেন। যেটা পরবর্তী জীবনে প্রচুর নেগেটিভ প্রভাব ফেলে।
জীবন মানে যুদ্ধ কারণ আমরা জীবনটাকে আজকাল যুদ্ধ বলেই ভাবি, আর দুনিয়াটাকে যুদ্ধক্ষেত্র। পড়াশোনা করতে হবে, ভালো রেজাল্ট লাগবে, ভালো চাকরি লাগবে, টাকা-পয়সা লাগবে, ভালো বাড়ি, ভালো গাড়ি এসবের পেছনে ছুটতে ছুটতে আমরা যুদ্ধে লিপ্ত হয়। আমাদের যত পাই, তার চেয়ে আরও বেশি চাই। না পেলেই হতাশা, ডিপ্রেশন, মানসিক অশান্তি। অল্পতেই যে তুষ্ট থাকা যায়, ভালো থাকা যায় এটা মানুষ ভুলেই গিয়েছে।
আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। বিপরীত মনোভাব পোষণ করি বলেই আপনার ভাবনাকে অশ্রদ্ধা করলাম এমন না ব্যাপারটা। আমরা মানুষ ভিন্ন, চিন্তাধারা ভিন্ন হওয়াটা স্বাভাবিক। আপনার ভাবনাকে কুর্নিশ জানাই।
৯| ১৭ ই মে, ২০২২ রাত ৮:৪৯
গেঁয়ো ভূত বলেছেন:
লেখক বলেছেন: আপনাদের ভালো লাগার মধ্যেই আমার লেখার সার্থকতা। আপনাকে ধন্যবাদ
ব্লগিং এ আমি একদমই আনাড়ি। স্টিকি কিভাবে করে বা স্টিকি কি এ ব্যাপারে আমার ধারণা মাইনাসের কাছাকাছি। আপনি যদি জানেন, জানালে উপকৃত হব।
এটা মডু সাহেবের কাজ আপনাকে কিছুই করতে হবে না।
১৭ ই মে, ২০২২ রাত ১০:২১
কৃষ্ণপক্ষের বোষ্টমী বলেছেন: ধন্যবাদ জানানোর জন্য। আমি ব্লগের ব টাও জানিনা।
১০| ১৭ ই মে, ২০২২ রাত ১০:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের সুন্দর উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
১৮ ই মে, ২০২২ রাত ১২:২৯
কৃষ্ণপক্ষের বোষ্টমী বলেছেন: আমি অতি ক্ষুদ্র পৃথিবীর একজন মানুষ। সামু আমার জন্য এক বৃহৎ পৃথিবীর দ্বারপ্রান্ত। এবং সামুর সবাই প্রচন্ডরকম আন্তরিক। সামুতে আমার বয়স মাত্র ১ সপ্তাহ ৬ দিন। এর মধ্যেই আমার ঝুলিভর্তি প্রাপ্তি। সামুর সবাইকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
১১| ১৮ ই মে, ২০২২ রাত ১:০৭
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া যুদ্ধ করতে করতেই কিন্তু নিজের মাঝে ইউনিক জিনিসগুলি খুঁজে পাওয়া যায় অনেক সময়ই।
শুধুই হেসে খেলে জীবন কাটিয়ে দিলে নিজের ভেতরের ইনটেলিজেন্সী একটিভেট না করলে অনেক সুপ্ত প্রতিভাই অঙ্কুরে বিনষ্ট হয়।
১৮ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:৪১
কৃষ্ণপক্ষের বোষ্টমী বলেছেন: আমি হয়ত আপনাকে বুঝাতে পারিনি। আমার বলার অর্থ এই ছিল যে, বাচ্চাদের বলা হবে, তোমরা শিখো, জানো, বুঝো। শুধু এই ফাস্ট হওয়ার ম্যাথারন রেস টা থাকবে না। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার তাড়া থাকবে না। এমনিতেও এই দেশে বাচ্চাদের ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার প্রেসারে কোন প্রতিভা বিকশিত হওয়ার সুযোগ পায় বলে আমার মনে হয়না। আর হলেও সে সংখ্যা খুবই কম। ফাস্ট হওয়ার প্রেসার না দেয়ার মানে এই না যে জীবন হেসে খেলে কাটিয়ে দিবে। সামনে যখন একটা গোলপোস্ট সেট করে দেয়া হয়, তখন স্বভাবই আমরা গোলপোস্ট ছাড়া আশেপাশে আর কিছু দেখি না। কিন্তু আমি চাই, বাচ্চারা সবকিছু নিজ ইচ্ছায় দেখুক, তাদের জানার আগ্রহ জাগ্রত হোক। বয়সের চেয়ে অতিরিক্ত প্রেসার দেয়ার ফলে বাচ্চাদের জানার আগ্রহ মরে যায়।
যখন তারা নিজ আগ্রহে জানবে, শিখবে তখন তাদের মধ্যে এমনিতেই ইন্টেলিজেন্সি একটিভেট হবে। আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
বিঃদ্রঃ যদিও এ পৃথিবীর সবাই একে অপরের ভাই ভাই৷ তবুও বলছি, কৃষ্ণপক্ষের বোষ্টমী একজন পুরোদস্তুর সন্ন্যাসিনী ঠাকুরন। প্রোফাইলেও একজন কেশবতী বোষ্টমীর ছবি যুক্ত করিয়াছি।
১২| ১৮ ই মে, ২০২২ ভোর ৪:৫৮
সোনাগাজী বলেছেন:
এরা সঠিকভাবে পড়ালেখা না'করার ফলে, নিজের জীবনের মুল্য বুঝতে পারে না; ভাবনাশক্তি ললিপুটিয়ানদের সমান।
১৮ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:৫৩
কৃষ্ণপক্ষের বোষ্টমী বলেছেন: বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা, চাকরিব্যবস্থার সিস্টেম খুবই জঘন্য প্রকৃতির। আমরা ৪ বছর অনার্স পড়ি বিভিন্ন সাবজেক্ট এ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। যেখান থেকে পরবর্তীতে বড় বড় গবেষক বের হওয়ার কথা। তার পরিবর্তে আমরা ঝুঁকি বিসি এস এ, ব্যাংকের জবে। তাহলে আমাদের ৪ বছরের অনার্স করে লাভ টা কি! এমবিবিএস পাস করার পর বিসি এস দেয়া লাগে!! নাহলে সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার হওয়া যাবে না! ইভেন প্রাইমারি স্কুলশিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অনার্স পাস ছাড়া নেয়না যেখানে বাচ্চাদের ক খ শেখানোর জন্য নিশ্চয়ই অনার্স পাস করার প্রয়োজন হয়না। আমরা একটা ভুল সিস্টেমের মধ্য দিয়ে বড় হচ্ছি, এটা আমাদের ভুগাচ্ছে, এবং ভবিষ্যতেও ভোগাবে।
আমাদের সিস্টেম আমাদের অথর্ব করে তুলছে, যতদিন না সিস্টেম এ পরিবর্তন আসছে, আমরা নিজেদের পরিবর্তন করতে না পারছি, ততদিন আমাদের নিস্তার নেই।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
১৩| ২১ শে মে, ২০২২ সকাল ৯:৫৫
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: চমৎকার আর্টিকেল। চমৎকার লেখা।
একটা স্কুল কলেজের ছেলের কি এমন হতাশা?
জীবনে দেখেছেটা কি?
২১ শে মে, ২০২২ দুপুর ১২:০৫
কৃষ্ণপক্ষের বোষ্টমী বলেছেন: আমার মনে হয় তাদেরকে কিছু দেখার সুযোগ দেয়া হয়না কিংবা তারা জীবনটাকে নিজের মতো দেখার সুযোগ পাচ্ছে না বলেই তাদের জীবনে এতো হতাশা। আমাদের ছেলেবেলায় হতাশার কোন চিহ্নও ছিলনা। আমাদের শৈশব ছিল দুরন্ত, উচ্ছল। অথচ আজকাল শহরের একটা বাচ্চার সাথে কথা বললে মনেই হয়না তার জীবনে কোন শৈশব ছিল, তারা নির্জীব, প্রাণহীন।
আপনার আর্টিকেলটি ভালো লেগেছে শুনে ভালো লাগল
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই মে, ২০২২ রাত ১:২৫
ঘুম ঘুম চোখে বলেছেন: মানুষের হতাশার বাঁধ মনে হয় ভেংগে যাচ্ছে। মধ্যেখানে ইসলাম ভিত্তিক একটা ওয়েব সাইটের ভিজিটর পরিসংখ্যান নিয়ে কথা বলছিলেন এক ভাই। তিনি বললেন তার সাইটে প্রতিদিন যেই ভিজিটর আসে, তার প্রায় ৩৫-৪০% ভিজিটরই আত্মহত্যা কিওয়ার্ডে আসে।