দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর সাক্ষাৎকার

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৬

- আসসালামু আলাইকুম



: ওয়ালাইকুমুসসালাম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু



- আপনি দেলোয়ার হোসেন সাঈদী?



: জি, জি।



- এ কি হাল হয়েছে আপনার?



: এখানে তো কারোর সাথে ফোনসেক্স করতে পারি না, পান খেতে পারি না, মেশিন চালাতে পারি না; মেশিন চালাতে চালাতে পিট ঘেমে গেলেও কেউ আঁচল দিয়ে মুছিয়ে দেয় না। তাই আমার শরীরের এই বেহাল অবস্থা।



- আপনি তো আপনার একজন ফোনসঙ্গীকে বলেছিলেন, আপনি চিকন হয়ে যাচ্ছেন আপনার বউয়ের অত্যাচারের কারণে।



: জি, জি। তখন তো ওকে পটানোর জন্য বলেছিলাম।



- আচ্ছা। আপনার বিচার চলাকালীন সময়ে আপনি বিভিন্নভাবে ধর্মের দোহাই দিয়েছেন। এটাও বলেছিলেন, আপনাকে সাজা দিলে আল্লাহ্‌র আরশ কেঁপে উঠবে।



: জি, জি।



- এটা কি নতুন কোরানের আয়াত অথবা হাদীসের বানী?

: রাজাকার, খুনী, ফোনসেক্সকারী, পরোকীয়াপ্রেমীরা সব সময় ধর্মের দোহাই দেয়। বিশেষ করে আমার মতো যারা ধর্মব্যবসায়ী।



- আপনার বয়স কত?



: ৫২ বছর।



- আস্তাগফিরুল্লাহ



: আলহামদুলিল্লাহ। আস্তাগফিরুল্লাহ কেন?



- আপনার বড় ছেলে রাফীক বিন সাঈদী ১৩ জুন ২০১২ তে যখন মারা গিয়েছিলো, তখন তো তার বয়স ৪৭ ছিলো। আপনি তাহলে ৩-৪ বছর বয়সের মধ্যে বিয়ে করে সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন? আপনি মিথ্যা বলছেন কেন?



: আমার মতো চরিত্রহীনের কাছে মিথ্যা বলাটা স্বাভাবিক নয় কি?



- অবশ্যই স্বাভাবিক। মিথ্যা বলা কি ইসলাম ধর্মে জায়েজ?



: রাখেন তো ধর্ম-টর্ম। সেক্স না করার কারণে হস্তমৈথুন করতে করতে আমার মেশিনের আমার শরীরের মতো বেহাল দশা।



- কী বলেন?



: জি, জি।



- আপনি বয়স পরিবর্তন করেছিলেন কেন?



: এটা তো সহজ প্রশ্ন। আমি জানতাম, আমাকে আটকানো হবে। তাই সব গোপন করতে, বয়স পরিবর্তন করেছিলাম।



- কী কারণে?



: আরে আমি তো যুদ্ধাপরাধী, মানবতাবিরোধী, ধর্মব্যবসায়ী। আমি মুসলমানদের হিন্দুদের প্রতি নানানভাবে বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিয়েছিলাম।



- আপনি একদিকে ধর্মপ্রচার করতেন, আবার এগুলো করতেন?



: জি, জি।



- কেন?



: কারণ একদিকে ধর্মপ্রচার করে আমি কোটিপতি হয়েছিলাম, আবার অন্যদিকে মুসলমানদের হিন্দুদের প্রতি ধর্মীয় বিদ্বেষ ঢুকিয়ে, মুসলমানদের আমার প্রতি দুর্বল করেছিলাম, যার কারণে আমার ধর্মীয় ব্যবসা ভালোই চলছিলো।



- বাঙলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কত তারিখে?



: ১৪ মার্চ।



- পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস তো ১৪ মার্চ।



: আসলে আমার কাছে বাঙলাদেশ মানে পাকিস্তান, আবার পাকিস্তান মানে পাকিস্তান।



- তাহলে আপনি স্বীকার করছেন?



: জি, জি। আল্লাহু আকবার।



- সম্প্রতি বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির আদেশ হয়েছে, তাতে আপনার মনের অবস্থা কী?



: মন হাউমাউ করে কাঁদছে। কখন না জানি, আমার ফাঁসির রায় দিয়ে দেয়।



- আপনাদের দল এ ব্যাপারে কী বলেছে?



: বিএনপির সমর্থক শব্দ জামায়াত। বিএনপি পরবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতায় আসলে, সব যুদ্ধাপরাধী মুক্তি পেতে পারে। তাই আমার ভবিষ্যত নিয়ে তেমন কোনো চিন্তা নেই।



- আপনার ফাঁসি তো হবেই।



: ধ্যাত, তেরি। আমার ফাঁসি কোন আহাম্মক দেবে? তামাম দুনিয়া ছাড়খার করে দেবো। আল্লাহ্‌র আরশ কেপে উঠবে।



- আল্লাহ যেমন আপনার সব অন্যায় নীরবে সহ্য করেছে, ঠিক তেমন আপনার ফাঁসি দিলেও আল্লাহ নীরবে সহ্য করবে। আর আল্লাহ্‌র দোহাই দিলেও কাজ হবে না। আমাদের হাত থেকে কোনো নেতা, কোনো দল, কোনো মানুষ আপনাকে বাঁচাতে পারবে না। সরকার যদি আপনার ফাঁসি না দেয়, তবে প্রয়োজন হলে আমরাই আপনার মৃত্যুদণ্ড দেবো এবং তা আমরাই কার্যকর করবো। জয় বাঙলা।

৩০ টি +৯/-০