![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিশুর সুসাস্থের জন্যে যথেষ্ট পুষ্টির প্রয়োজন। কারণ, পুষ্টির অভাবে শিশুর ঘন ঘন রোগের সৃষ্টি হয়। এবং, শিশুর জন্যে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর প্রয়োজনীয় বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে। বাচ্চাকে যে শুধুমাত্র জন্মের পর পুষ্টিকর খাওয়াতে হবে তা নয়, বরং জন্মের আগে মাকেও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। জন্মের আগে পুষ্টিকর খাবার, এবং জন্মের পর পুষ্টিকর খাবার। এই দুই সময়ে শিশুর জন্যে পুষ্টিকর খাবার খুবই প্রয়োজন।
জন্মের আগের পুষ্টিকর খাবার
যেসব মায়েরা গর্ভাবস্থায় দিনে দুবার মাছ খায়, সেসব মায়েদের সন্তানদের মস্তিষ্ক বিকাশ খুব ভালো হয়। এবং, এটা গবেষণায় পাওয়া গেছে। তবে, সবধরণের মাছ খাওয়া যাবে কিনা, সেসম্পর্কে ডাক্তারের পরামর্শ নিলে ভালো। অনেক গবেষক বলছেন 'ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ ডিম’ গর্ভবতী মায়ের জন্যে অনেক উপকারী। ডিম সুন্দর মস্তিষ্ক গঠনে এবং বিকাশে অনেক উপকারী। তাই, গর্ভাবস্থায় ডিম খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। খেতে পারেন ওমেগা সমৃদ্ধ ডিম।
গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন ধরণের শাক খেতে পারেন, কারণ এইসব খাবার সন্তানের কাছে অক্সিজেন পৌঁছে দেই। তবে, এসব খাবার খাওয়ার পরিমাণ সম্পর্কে আরও জানতে পারবেন ডাক্তারের পরামর্শ নিলে। ভিটামিন ডি বাচ্চার সুস্থ্য মস্তিষ্ক বিকাশে অনেক উপকারী। তাই, ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিম, চিজ, মাশরুম, দুধ ইত্যাদি খাওয়া প্রয়োজন। এই খাবারগুলো বাচ্চার মস্তিষ্কের জন্যে যেমন ভালো, তেমনি গর্ভবতী মায়েদের জন্যেও ভালো।
বাচ্চা জন্মের পর পুষ্টিকর খাবার
বাচ্চার জন্মের পর প্রথম ছয় মাস মায়ের দুধেই সবধরণের পুষ্টি মেলে। প্রয়োজন পরেনা অন্য কোনো পুষ্টিকর খাবারের। তবে, শিশুর বয়স ছয় মাস হয়ে গেলে বিভিন্ন ধরণের সবজি সেদ্ধ করে খাওয়ানো যায় অধিক পুষ্টির জন্যে। তবে, মনে রাখবেন, বাচ্চার খাবার যাতে নরম হয়, কারণ, এই বয়সে বাচ্চার জন্যে শক্ত খাবার উপযোগী না। গলায় আটকে যেতে পারে। বাচ্চার বয়স ১ বছরের উর্দ্ধে হয়ে গেলে পর বাচ্চার জন্যে শক্ত খাবার খাওয়াতে পারেন। তবে, মায়ের বুকের দুধ ছাড়া, বাচ্চার জন্যে যেকোনো খাবার খাওয়ানোর আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিবেন।
শিশুকে পানি খাওয়ানোর বিষয়টা অনেক শুনতে পাওয়া যায়। যেটা বাচ্চার জন্যে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। প্রথম ছয় মাস মায়ের বুকের দুধেই বাচ্চার সকল পুষ্টিকর চাহিদা, কিংবা ক্ষুধা মিটে যায়। তাই, এসময় বাচ্চাকে কোনোভাবেই পানি খাওয়ানো যাবেনা।
এছাড়াও, নরম খিচুড়ি, ভাত, মাংস নরম করে খাওয়ানো ছাড়াও অনেক কিছুই খাওয়ানো যায়। এগুলো ছাড়াও, বাচ্চার জন্যে খাওয়াতে পারেন ফর্মূলা দুধ, অন্যান্য খাবার এবং দুধ, জুস ও পানীয়। তাছাড়াও খাওয়াতে পারেন ঘরের তৈরী নানা ধরণের খাবার। তবে, বাচ্চার শারীরিক দিক বিবেচনা করে, বাচ্চার খাবার, পরিমাণ এবং সময় সম্পর্কে শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে রাখা জরুরী।
©somewhere in net ltd.