নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরোক্ষ কল্পনায় একেঁছিলাম এ জীবনটার এক রঙীনছবি । যেখানে ছিল রামধনুর সাত রং আর আমি। কিন্তু আদৌ মিলেনি প্রত্যক্ষ বাস্তবিক জীবনের ছবি।

Orthohin shajib

Orthohin shajib › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিয়ের সময় মেয়েরা যে কারণে কাদে

১১ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:২৭


পারিবারিক দৃষ্টিকোন থেকে:>>
একটা মেয়ে তার ক্ষুদ্র জীবনের এক তৃতীয়াংশ সময় তার বাবার বাড়ীতে থাকে । জন্মের পর থেকে বাবা-মায়ের কোলে পিঠে করে বড় হয়েছে । ভাই বোনদের সাথে হেসে খেলে হৃদয়ের ভালবাসা বেড়েছে । এতো দিনের এই মায়া-মমতা একটু পরেই অধরা হয়ে যাবে । আর একটু পরেই এ মায়ায় ভরা পরিবারের সকলকে ছেড়ে যেতে হবে । নতুন এক পরিবারের সদ্য নবীন সদস্য হতে হবে । বিয়ের দিন এই ভাবনা গুলো একটি মেয়েকে পেরেক ঢুকার মতো করে হৃদয়ে ক্ষতবিক্ষত করতে থাকে । তাইতো বিদায় ঘন মূহুর্তে বাধঁ ভাঙ্গা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে…
**সামাজিক দৃষ্টিকোন থেকে: >>
একটা মেয়ে জীবনের বিশটা বছর যে এলাকায় বেড়ে উঠেছে । যে মাঠ-ঘাট সে চসে বেড়িয়েছে । যে নদীর সাথে সে সদা খেলা করেছে । যে বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে তার সারাদিন কেটেছে । সেই সমাজের সকল মানুষের সকল প্রকৃতিকে বিদায় জানিয়ে অন্য কোন পরিবেশে, অন্য কোন সমাজে চলে যেতে হচ্ছে । বিয়ের দিন হয়তো এগুলো ভেবে মন ভারাক্রান্ত হয়ে অঝরে ঝড়ো বৃষ্টি বর্ষন শুরু করেন…….
**ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে: >>
ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে একটি মেয়ে বিয়ের পর থেকে স্বামীর নিয়ন্ত্রনে চলে যান । স্বামীর মতের সাথে মিলিয়ে চলতে হয় । সে ভালো করেই বুঝতে পারছে বিয়ের পরে ইচ্ছে করলেও আগের মতো দৌড়ে পেয়ারা গাছে চড়া যাবেনা । ইচ্ছে করলেও এখন আর আগেরমতো এদিক ওদিক বেড়াতে যেতো পারবেনা ।স্বামীকে সন্তুষ্টিতেতার উপর অনেক দায়িত্ব বর্তাবে । শ্বশুর_শাশুড়ীর খেদমত করতে হবে । এখানে জিন্দেগীর অনেকটাই কোরবানী দিতে হবে । বিয়ের সময় এইসব ভেবে হয়তো পাহাড়ের চূড়া থেকে নেমে আসা ঢলের মতো কাঁন্নার বন্যা বইয়ে দেন…
**বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোন থেকে: >>মেয়েদের শরীরের হরমোন ও ছেলেদের শরীরের হরমোনের মধ্যে অনেক পার্থক্য বিদ্যমান । এই ধরুন টেস্টোটেরন হরমোনের আধিক্যর কারনে ছেলেদের কন্ঠস্বর মোটা হয় এবং গালে দাড়ি গজায় । পক্ষান্তরে মেয়েদের শরীরে এই হরমোন কম বলে তাদের কন্ঠস্বর চিকন ও গালে দাড়ি গজায় না । অনুরোপ ভাবে প্রোলাকটিন হরমোনের আধিক্যর কারনে মেয়েরা বেশি কাঁদে ।হয়তো বিয়ের সময় সকল কষ্টগুলো একত্রিত হওয়ার দরুন শরীরে এই হরমোন বেশি নিঃসৃত হয় । ফলে জোয়ারের পানির মতো দু’চোখ গলে পানি গড়িয়ে পরে……
**মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোন থেকে:>>
ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের আবেগ অনেক বেশি । মেয়েদের মন ছেলেদের তুলনায় অনেক বেশি নরম । তাইতো দেখি মায়ের মমতা ও পিতার আদরের মধ্যে একজন সন্তান মাকেই বেশি ভালবাসে । সেই আবেগী নারী যখন বিয়ের দিন সকল মায়ার বাধঁন ছিন্ন করে নতুন বাঁধনে আবধ্য হতে যাচ্ছে তখন নিজের আবেগ ধরে রাখতে না পেরে । নিয়ন্ত্রনহীন ভাবে বর্ষন করে বারিধারা……..
**অভিনয়ের দৃষ্টিকোন থেকে:>>
অনেক মেয়ে আছে যারা মনের দিক থেকে অনেক শক্ত । তারা সহজেই কাঁদে না । আবার অনেক মেয়ে আছে প্রেমের বিয়ে, ভালবাসার মানুষটিকে পেয়ে তার চিত্ত নিত্যই উচাটন ।প্রিয় মানুষটির কাছে যেতে আর তর সইছে না। বিয়ের সময় যে কাঁদতে হয় এটাও ভুলে যায় । অগত্যা বাধ্য হয়ে কোন ভাবী বা সই মনে করিয়ে দেয় কিরে বিয়ের সময় সব মেয়েরাই কাঁদে তুই এমন ভোতা হয়ে আছিস কেন ।উপস্থিত সবাই কি মনে করবে । মেয়েও অগত্যা বাধ্য হয়েই অভিনয়ের কান্না জুড়ে দেয় । চোখে পানি আসুক আর নাই আসুন । কান্নার চিৎকার আসে……

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:৪১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এক সময় সত্যিকারের কান্না আসলেই মেয়েরা করতো শুধুমাত্র সবাইকে ছেড়ে যাচ্ছে এ কারণেই। আর এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা আর মোবাইলের কারণে তেমন একটা খারাপ লাগেনা মেয়েদের। যারা কান্না করে তাদের বেশীরভাগ অন্যরা কী মনে করবে এই চিন্তায় কান্না করে...

২| ১১ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:৪৪

Orthohin shajib বলেছেন: অনেকটা তাও বলতে পারেন।নাহলে তো সবাই লাজ শরম হীন বলবে....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.