নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তত্ত্ব, তথ্য ও অনুভূতি ভাগাভাগি করা আমার অভিপ্রায়। কারও যদি ইচ্ছে হয় তবে যে কেউ আমার এই ব্লগের যে কোন কিছু নিজের সংগ্রহে রাখতে পারে।
সম্ভাব্য কিছু কথা মাথায় ঘুরঘুর করছে। সময়ের কাটায় স্থির করে রাখি। পরে না হয় সত্য বেরিয়ে আসলে নিজের ভাবনা কে যাচায় বাছায় করব।
ঘটনা ১. বুবু কি আদৌ সঠিক প্রতিবেদন পাচ্ছে? একসময়ের নোবেল বিজয়ী মানবতার প্রতীক মিয়ানমারের সূচি, যাকে গৃহবন্দী করা হয়েছিল। অত:পর যখন নতুন করে দেশ চালনার দায়িত্ব পেলেন, মিথ্যা তথ্য বা সংকুচিত সাজানো খবর দেয়া হত তাকে। ভুল তথ্যের বেড়াজালে ভুল সিদ্ধান্ত তাকে বিশ্ববাসীর কাছে রাতারাতি আগ্রসী আর মানবতা বিরোধী বানিয়ে ফেলল। আবারও গৃহ বন্দী তিনি। হারিয়েছেন শান্তি পুরষ্কার। সবটাই একটা জটিল চাল ছিল।
আমার ভাবনা হল, যিনি মেট্রো রেলের কিছু ঝলসানো ছবি আর ভিজিটিং এ গিয়ে স্বচোখে ভাঙ্গা কোরিডোর দেখে অঝরে কাঁদতে পারেন, তিনি কি ৩১৩ জন নিহত বাচ্চা কাচ্চা আর আমজনতার রক্তাক্ত ছবি, নির্যাতনের ছবি বা অস্ত্রের অপপ্রয়োগের খবরে নিরব থাকতে পারেন? তিনি হয়ত প্রটোকলের পুরু চাদরে ঢাকা, সূর্যালোক হয়ত পৌচ্ছাচ্ছে না।
ঘটনা ২: নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ: এই যে সেতু ভবন, বিটিভি ভবন, ত্রান মন্ত্রানালয় এ আগুন, ডেটা সেন্টার পোড়ানো, সরকারি গাড়ি পোড়ানো --- কিন্তু এসব আসলে কি?
কিছু বিশ্বাসযোগ্য ঘটনা, মারমার কাটকাট রণ ক্ষেত্র, তিল কে তাল বানানো ইমপ্রেসিভ প্রেজেন্টেশন, দুর্নিতির প্রমানপত্র নষ্ট করা, যে কোন মূল্যে সঠিক তথ্যাদি সময়মত দেশের ডিসিশন মেকারদের কাছে না পৌছানো। ভেবে দেখুন কোথায় যেন একটা লিঙ্ক আছে একে অন্যের সাথে।
এই যে এতগুলো সরকারী স্থাপনায় আগুন লাগানো হল, কেউ তো আগুনে পুড়ে মরল না। মানে হল, হয়ত সব পূর্ব পরিকল্পিত। তাই হতাহতের খবর নাই। কিন্তু ইমোশন তৈরী করা গেছে।
ঘটনা ৩: নরসিংদি ট্রাজেডি: ৮২৬ কারাবন্দী ৮৬টি আগ্ন্যেয়াস্ত্র সহ ৮০ হাজার গুলি নিয়ে পালিয়েছে। কারাগারে অদূরে ৪টি সাদা মাইক্রোবাস দাড় করান ছিল। একটি ভিডিওতে এসেছে আসামীরা সেই গাড়িতে করে পালিয়েছে। পুলিশ সামান্য কিছু আগ্ন্যেয়াস্ত্র ফেরত পেয়েছে, ৩০০ মত আসামী আদলতে আত্মসর্মপন করেছে। কিন্তু ঐ ৫*৪=২০ (কমপক্ষে) জন আসামী যারা ৪ টি গাড়িতে পালালো, তারা কিন্তু হাওয়া। হয়ত জায়গা মত এটাই বোঝানো হয়েছে, কোটা আন্দোলনকারীরা এসব করেছে। কিন্তু বস্তিবাসী এলাকাবাসী বলেছে আক্রমনের সময় সেখানে ছাত্ররা ছিল না। সন্ত্রাসী ছিনতায় দরকার ছিল, নাটকের প্লাটফর্ম রেডি ছিল, রিহার্সেলের দরকার পড়েনি। যেহেতু জামাত বিএনপির গায়ে আগেই দুর্গন্ধ ছিল, তাই মিডিয়া রচনা লিখল।
দেখা যাক দুধের সর কোন বিড়ালের গোঁফে লেগে থাকে। মিউ মিউ ডাকে বুবু কি আসল বিড়াল ধরতে পেরেছিল? নাকি জেনে বুঝেই কবি নিরব? ভাবটা এমন যে, বিড়ালের দুধ খাওয়ার দরকার ছিল, তাছাড়া দুধের হাড়িটা আমার না... যার হাড়ি তার মাথা ব্যাথা।
আরও ঘটনা আছে, ঘটনার পেছনেও ঘটনা আছে। লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে না আর...
২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:২৫
অপলক বলেছেন: দয়ার শরীর, বোঝেন না ব্যাপারটা ...
ভূতের মুখে রাম নাম...
২| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:০৪
নতুন বলেছেন: আমার ভাবনা হল, যিনি মেট্রো রেলের কিছু ঝলসানো ছবি আর ভিজিটিং এ গিয়ে স্বচোখে ভাঙ্গা কোরিডোর দেখে অঝরে কাঁদতে পারেন, তিনি কি ৩১৩ জন নিহত বাচ্চা কাচ্চা আর আমজনতার রক্তাক্ত ছবি, নির্যাতনের ছবি বা অস্ত্রের অপপ্রয়োগের খবরে নিরব থাকতে পারেন? তিনি হয়ত প্রটোকলের পুরু চাদরে ঢাকা, সূর্যালোক হয়ত পৌচ্ছাচ্ছে না।
এই আক্রমনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হলো শেখ হাসিনার ইমেজের। এই প্রযন্ম তাকে ঘৃন্যার চোখে দেখবে।
আয়ামী নেতারা কেয়ার করেনা, তাদের ধান্দা হলেই হলো, সরকার ক্ষমতায় থাকলে টুপাইস আসতেই থাকবে।
২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:৩৫
অপলক বলেছেন: মেট্রো রেলে হামলা পেছন থেকে বাস মালিক সমিতির দুষ্ট লোকজনও চালাতে পারে । কেননা, মেট্রো রেল চালুর পর অনেকেই বাস চালাতে হিমসিম খাচ্ছিলো। হয়ত গোপন আক্রোশ ছিল।
৩| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:০৫
রানার ব্লগ বলেছেন: বিটিভিতে আগুন বা ডাটা সেন্টার পোড়ানো এই গুলা কি আপনি নিজের চোখে দেখেছেন? কারা করেছে? কিভাবে করেছে?
২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:৩২
অপলক বলেছেন: আগুন নেভানোর পরবর্তী কিছু ইউটিউব ভিডিও দেখেছি যেখানে মন্ত্রীরা যখন ভিজিট করছেন সেগুলাে। ভিডিও সম্পাদনা আর ক্যামেরা এঙ্গেল দেখে খুব সহজেই বোঝা যায় এমন করে উপস্থাপনার উদ্দেশ্য কি...
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:০১
নতুন বলেছেন: ঘটনা ৩: নরসিংদি ট্রাজেডি: ৮২৬ কারাবন্দী ৮৬টি আগ্ন্যেয়াস্ত্র সহ ৮০ হাজার গুলি নিয়ে পালিয়েছে। কারাগারে অদূরে ৪টি সাদা মাইক্রোবাস দাড় করান ছিল। একটি ভিডিওতে এসেছে আসামীরা সেই গাড়িতে করে পালিয়েছে। পুলিশ সামান্য কিছু আগ্ন্যেয়াস্ত্র ফেরত পেয়েছে, ৩০০ মত আসামী আদলতে আত্মসর্মপন করেছে। কিন্তু ঐ ৫*৪=২০ (কমপক্ষে) জন আসামী যারা ৪ টি গাড়িতে পালালো, তারা কিন্তু হাওয়া। হয়ত জায়গা মত এটাই বোঝানো হয়েছে, কোটা আন্দোলনকারীরা এসব করেছে। কিন্তু বস্তিবাসী এলাকাবাসী বলেছে আক্রমনের সময় সেখানে ছাত্ররা ছিল না। সন্ত্রাসী ছিনতায় দরকার ছিল, নাটকের প্লাটফর্ম রেডি ছিল, রিহার্সেলের দরকার পড়েনি। যেহেতু জামাত বিএনপির গায়ে আগেই দুর্গন্ধ ছিল, তাই মিডিয়া রচনা লিখল।
সারা দেশে ২০০ এর বেশি মানুষ হত্যা করলো।
আর কারাগারে আক্রমন করে আসামী পালিয়ে গেলো কিন্তু পুলিশ একটা সন্ত্রাসীকেও গুলি করলো না?
কি কিউট আমাদের পুলিশ, তারা ছাত্রদের ইউনির্ফম দেখে গুলি করতে পারে নাই।
এতো মহাত্ব দেখে আমার তো আবেগে কান্না পাচ্ছে।