![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত মাস থেকে এখন পর্যন্ত খেলা ৮ ম্যাচের (২টি টি২০ এবং ৬টি ওয়ানডে) এর ৭টিতেই আমরা পুরো সময় চালকের আসনে থেকেও শেষ হাসি হাসতে পারিনি। এই ৭ ম্যাচের সবকটিতেই শেষ ওভারে গিয়ে আমরা হেরেছি। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ইনিংস নিজেদের নিয়ন্ত্রনে রেখেও ব্যাটিং ব্যর্থতার কারনে আমাদের হারতে হয়েছে! যা আমরা পরের ম্যাচেই অর্থাৎ গতপরশু-ই বেশ ভালভাবেই কাটিয়ে উঠেছিলাম। যেখনে বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলিং লাইন-আপের বিপক্ষে ৩টি অর্ধশত আর ১টি শতকের সাহায্যে ৩২৬ রানের বিশাল স্কোর আমরা গড়েছিলাম। এখানে লক্ষ্যনীয় বিষয় যে; আমাদের কোন ব্যাটসম্যান-ই কিন্তু কমপক্ষে অর্ধশত রান না করে আউট হয়নি। কিন্তু আগের ৭ ম্যাচের মত গতপরশুও কপাল আমাদের সহায় ছিল না বিধায় এবারের এশিয়া কাপের সর্বোচ্চ স্কোর গড়েও আমরা আবার জয়ের মুখ দেখা থেকে বঞ্চিত হলাম!
পরাজয়ের কারণ খতিয়ে দেখতে গেলে হয়ত অধিনায়কের ২/৪টা ছোট-ছোট ভূল আমাদের চোখে পড়বে; যার মধ্যে অন্যতম হল পুরো ইনিংসে একবারও জিয়া’র হাতে বল তুলে না দেওয়া… এমনকি যখন আফ্রিদি স্পিনারদের বেদম প্রহার করছিল তখনও আক্রমনে জিয়াকে না আনা। কিংবা ৪৭ তম ওভারে আফ্রিদির আউটের পরও ৪৮ তম ওভার স্পিনারকে দিয়ে করা। কিন্তু শেষ কথা হলো আফ্রিদি কালে-ভদ্রে একদিন খেলে দেয়। আর যেদিন সে খেলে দেয় সেদিন কোন মন্ত্রই কাজ দেয় না। আর তাই তো ১ম থেকে ৯৭ তম ওভার পর্যন্ত ম্যচের উপর নিজেদের নিয়ন্ত্রন রাখার পরও আমাদের হারতে হয়েছে। তাই ছোট-ছোট এই ভূলগুলোকে পুঁজি করে খেলোয়ারদের উপর ক্ষোভ না ঝেড়ে, শেষ বল পর্যন্ত তাদের করে যাওয়া লড়াইয়ের মধ্যেই জয়ের তৃপ্তি খুঁজে নিতে হবে। আশা করি মুশিরা তাদের ভুলগুলো শুধরে আজকের ম্যাচেই শেষ বলটা আমদের কোর্টে ঠেলে দিয়ে প্রতিটি বাঙালির মুখে এনে দিবে শেষ হাসি।
তাই টাইগারদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নই; বরং ধারাবাহিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচ উপহার দেওয়ার জন্য রইল ভালবাসা ও অভিনন্দন। পাশাপাশি টি২০ বিশ্বকাপের জন্য রইল শুভকামনা, যাতে তারা শেষ ওভারের ব্যর্থতা কাটিয়ে প্রতিটি ম্যাচেই আমাদেরকে এনে দিতে পারে কাঙ্খিত জয়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:০৪
সূচিপত্র বলেছেন: View this link