নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইস আমি তো ভুলতে পারিনি

পিকেকে টিটু

পিকেকে টিটু › বিস্তারিত পোস্টঃ

পেশাগত সাফল্যের কোয়ান্টাম পঞ্চসূত্র

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২১

পেশাগত সাফল্যের কোয়ান্টাম পঞ্চসূত্র





১ম সূত্র ॥ আস্থা-বিশ্বস্ততা



o নিজের প্রতি আস্থা রাখুন। কাজের প্রতি বিশ্বস্ত থাকুন। কাজই হোক আপনার প্রেম।

o আংশিক নয়, পেশাকে পরিপূর্ণরূপে গ্রহণ করুন। যখন যে পেশায় থাকবেন, সে পেশার কাজের সঙ্গে একাকার হয়ে যান।

o কাজকে অবহেলা করবেন না। গোঁজামিল বা ফাঁকি দেবেন না।

o কোনো অপারগতায় অজুহাত দেবেন না। যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখিয়ে সরল স্বীকারোক্তি করুন।

o ভান বা অভিনয় নয়, মনের আনন্দে কাজ করুন। প্রয়োজনে নতুন প্রতিষ্ঠানে যোগ দিন। কাজে বৈচিত্র্য আনুন।

o যতদিন যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন, ততদিন তার স্বার্থরহ্মার আপনার পক্ষে করণীয় সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুন।



•২য় সূত্র ॥ কর্মকৌশল



o সিদ্ধান্ত নিতে সাহসী হোন; অহেতুক বিলম্ব করবেন না। প্রজ্ঞাপূর্ণ সিদ্ধান্ত পরিস্থিতিকেই বদলে দেবে।

o উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সবচেয়ে কম ক্ষতি স্বীকারi করে সবচেয়ে বেশি লাভবান হতে সচেষ্ট থাকুন।

o যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করেই সমস্যা সমাধানের কৌশল ঠিক করুন।

o প্রতিদিন অন্তত একজন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হোন। পূর্বপরিচিতদের সঙ্গেও যোগাযোগ অব্যাহত রাখুন।

o কাজের প্রয়োজনে অন্যদের সঙ্গে সুসম্পর্ক ও যোগাযোগের মাত্রা/ধরন ঠিক করুন।

o আবেগপ্রবণ হবেন না। প্রো-অ্যাকটিভ থাকুন। অভিমান-অভিযোগ না করে সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নিন।



৩য় সুত্র ॥ পেশাদারিত্ব



o অফিসকে বাসায় বা বাসাকে অফিসে নিয়ে আসবেন না। পেশাগত বা পারিবারিক দুশ্চিন্তা ও সমস্যা যেন একটি অপরটির শান্তিকে বিঘ্নিত না করে।

o কথায় ও কাজে আন্তরিক প্রাতিষ্ঠানিকতা বজায় রাখুন।

o কোনো মন্তব্য বা আচরণের প্রেক্ষিতে বস/ সহকর্মীর সঙ্গে বিরোধে জড়াবেন না। প্রকাশ্যেও কাউকে অপমান বা হেয় করবেন না।

o কর্মক্ষেত্রে সম্পর্কের জটিলতা বা ভুল বোঝাবুঝিকে ব্যক্তিগতভাবে না নিয়ে সবসময় সাংগঠনিকভাবে দেখুন।

o কোনো ভুল হয়ে গেলে যুক্তিখণ্ডন করবেন না। অন্যেরা বলার আগে নিজেই তা নিঃসংকোচে স্বীকার করুন।



• ৪র্থ সূত্র ॥ পদ-আনুগত্য



o চেয়ার/বসের প্রতি আন্তরিক আনুগত্য প্রদর্শন করুন। তাহলে আপনিও আপনার অধীনস্থদের আনুগত্য লাভ করবেন।

o প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিটি কাজে বসকেই সবচেয়ে নির্ভুল মডেল মনে করুন।

o চাকরির কাজে বসের কথা ও সিদ্ধান্তকে সবসময় ‘হাঁ’ বলুন। তার প্রতি মনে কোনো ক্ষোভ রাখবেন না। মনে ক্ষোভ থাকলে বাস্তবেও দূরত্ব বেড়ে যাবে।

o আনুগত্য ও জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব সাংগঠনিক পদক্রম অনুসরণ করুন।

o বসের যুক্তিসঙ্গত প্রশংসা করতে কখনোই কার্পণ্য করবেন না। যেকোনো ছোট আনুকূল্যের জন্যেও তাকে ধন্যবাদ দিন।



• ৫ম সূত্র ॥ ক্রম-উৎকর্ষ



o পেশাভিত্তিক যোগ্যতা-দক্ষতা অর্জনের মাপকাঠিতে প্রতিদিন নীরবে আত্মপর্যালোচনা করুন।

o প্রচ্ছন্ন নেতৃত্বের (ঘোষিত নয়, কিন্তু সবকিছুর নিয়ন্তা যেন তিনিই) অবস্থানে নিজেকে নিয়ে যেতে সচেষ্ট থাকুন।

o ব্যবস্থাপকীয় গুণাবলি ও সাংগঠনিক দক্ষতা বাড়ান। তাহলে অন্যদের শক্তিকে কাজে লাগাতে পারবেন।

o চাকরি সংক্রান্ত ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জনে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করুন।

o সহকর্মীকে সহযোগী, বসকে অভিভাবক এবং নিজেকে নিজের প্রতিযোগী মনে করুন। সুস্থ প্রতিযোগিতা আপনার কর্ম-উৎকর্ষকে বেগবান করবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: .

২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮

এম.এস. রানা বলেছেন: ভালো পোষ্ট। +++ সহ প্রিয়তে নিলাম।

৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

কালীদাস বলেছেন: এইটা কোন কোয়ান্টাম? কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের নাকি?

৪| ২০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৪৯

গোবা বলেছেন: যারা কোয়ান্টাম মেথড নিয়ে আগ্রহী তারা দয়া করে নিচের লিংকটি হতে একটু কষ্ট করে ঘুরে আসুনঃ
https://quantummethodbd.wordpress.com

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.