নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"নতুন কিছু জানার জন্য নতুন কিছু করো\"

পলাশ তালুকদার

পলাশ তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

★নাস্তিকরা ১০০ হাত দূরে থাকুন★ বিজ্ঞানে মুসলিমদের এবং মুসলিম দেশসমূহের (আরব) অপরিসীম অবদান নিম্মে বর্ণনা করা হলঃ

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৫০

নোবেল পুরস্কারের ইতিহাস নিয়ে পড়তে পড়তে এক জায়গাতে হোঁচট খেতে হল। লেখাটা অনেকটা এই রকম:

"১০৭ বছরের নোবেল পুরস্কারের ইতিহাসে (১৯০১-২০০৮) নোবেল পেয়েছেন ৪ জন মুসলিম। এর মধ্যে ১ জন সাহিত্যে, ২
জন পেয়েছেন নোবেল শান্তি পুরস্কার এবং
মাত্র এক জন বিজ্ঞানে।
বিস্তারিত : [এই চারজনের মধ্যে ইউনুস বাংলাদেশী (শান্তিতে), সালাম পাকিস্তানী (পদার্থবিদ্যায়), পামুক তুর্কি (সাহিত্যে), এল বারাদি মিশরী (শান্তিতে)] এখানে কোন আরব ব্যাক্তি নেই।
অথচ বিশ্বের জনসংখ্যার ২০ শতাংশর বেশি মুসলিম। আরো (মজার) ব্যাপার হলো, সেই একই ১০৭ বছরের ইতিহাসে বিশ্ব জনসংখ্যার নিরিখে ০.০২% ইহুদিরা জিতে নিয়েছে ১২৯ টি নোবেল পুরস্কার।এর মধ্যে শান্তিতে - ৮ টা, সাহিত্যে - ১০ টা আর বিজ্ঞানে - ১১১ টা।

কেন মুসলিমদের এই দুরবস্থা?

১. সমগ্র আরব দুনিয়া গত এক হাজার বছরে
যতো বই অনুবাদ করেছে,শুধু স্পেনেই ততোগুলো অনূদিত বই প্রকাশিত হয় মাত্র এক বছরে।

২. ১৯৬টা দেশের মধ্যে ৫৭ টা মুসলিম দেশ আছে বিশ্বে। আর সেই দেশগুলোতে গড়ে ১০টি করে বিশ্ববিদ্যালয় আছে।শুধু ভারতে ৮৪০৭ টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং আমেরিকায় ৫৭৫৮ টি। আরব দুনিয়ায় ২২ টি দেশ। গড়ে প্রত্যেক দেশে ১০ টি করে বিশ্ববিদ্যালয় ধরলে মোট ২২০টি। আরব দুনিয়ার জনসংখ্যা ৩৯ কোটি।আবার গড় করি,
তাহলে প্রত্যেক ১৭ লক্ষ ২৭ হাজার আরবীয়
পিছু একটি করে বিশ্ববিদ্যালয়।কিন্তু আরব দুনিয়ার গায়ে লেগে থাকা ৮০ লক্ষ লোককে নিয়ে ছোট্ট একটি 'শয়তান' দেশ ইসরাইল -এ রয়েছে ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়। গড়ে ২ লক্ষ ২৮ হাজার পিছু একটি করে বিশ্ববিদ্যালয়।
৩. ওপরের দুইটি তথ্য পড়ে আপনি যদি মনে
করে থাকেন যে মুমিন বান্দাদের শিক্ষার এই
অবনতি কেবল এই একবিংশ শতাব্দীতে,তাহলে আপনি ভুল করছেন। অনেক ইতিহাসবিদ দাবি করেন, ইসলামের শুরুর সময়টা বেশ তরতাজা,শিক্ষার একটা ঝড় এসেছিল আরব দুনিয়ায়। কিন্তু বিখ্যাত ইতিহাসবিদ Donald Quataert-এর দাবি অনুযায়ী - ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে মুসলিমদের শিক্ষার হার ছিল ২% থেকে ৩%।
শেষ করবো সারা দুনিয়ার মমিন মমিনাদের বিশেষ দেশ, মহানবীর দেশ সৌদি আরব-এর মহান শিক্ষাব্যবস্থা দিয়ে।
সৌদি আরবে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত কোনও হাই স্কুল ছিল না। সৌদি আরবে মহিলাদের জন্য প্রথম বিদ্যালয় স্থাপন করা হয় ১৯৫০ সালে। ২০০৮ এর তথ্য অনুযায়ী, ২ কোটি ৬০ লক্ষ সৌদি আরববাসীর জন্য মোটে ২৫০ টি পাঠাগার ছিল। ২০০৬ পর্যন্ত সৌদি আরবের সমস্ত পাঠাগারে মহিলা ও মমিনাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল।

বিঃদ্রঃ মূল বিষয় হলো 'ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার..' এ জাতীয় মানুষেরা মুখে মুখে সব করে ফেলে কিন্তু বাস্তবে নয়। এ জন্য সত্য তথ্য তুলে ধরতে পোস্টটি করা। (আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝ বোঝার তৌফীক দান করুক.... আমিন)

তথ্যসূত্র: Prophets and Princes -
Mark Weston/ ফেইজবুক

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.