![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঝরা পাতার দিন শেষ হতে না হতে
পলাশ শিমুলের আগুন ঝরা রক্ত হোলি খেলায় মত্ত;
আমার শহীদের জর্জর ক্ষত থেকে
ঝরে পড়ে রক্তাক্ত আটই ফাল্গুন।
ছালাম-বরকত, রফিক-জব্বার
অজানা আর কতো শহীদি আত্মা কাঁদে।
মধু বন- বনান্তরে গুঞ্জনে মাতোয়ারা ফাগুন ডাকে সাড়া,
কামিনী-হাসনাহেনা, নিশীত জাগরনে।
উঠে আসে মায়ের চির ছেঁড়া ধনেরা
নেবুর ফুল নেবে শুভ্র স্নিগ্ধতায়,
ফুটে থাকে আমার গৌরাবাম্বিত আশা
বাবার উচ্ছলতা, আবেগময় বোন আর নিশ্চিত ভাষা;
মায়ের তিল তিল সযত্ন রক্ত পিন্ড নিঃশেষ করে দিয়ে
মিনারে ভূইমালির গাঁধা-জবা চাপে
একগাদা চেতনা একত্র হয়ে যায়।
ও আমার বাংলা-
আমার দেশের মনোহর গান;
প্রকৃতিতে অগ্নি স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে দিয়ে
তুমি মধুর হাসিতে, বাঁকা অম্লান বদনে কাঁদ কেন সখী?
আটান্নর পিচ্ছিল পথ শুষেছে পলাশ শিমুল
আগুনে ঢেউ লগেছে কৃষ্ণচুড়া পত্র পল্লবে।
অনন্ত বাতাসে লেগেছে কাঁপন
বৃক্ষের সবুজ শোভায়; মৌ মৌ মদিরতাকে নিয়ে
জোয়ার বইছে ফসলে মাঝ মাঠে কৃষককলা।
তুমি এলে বাংলাদেশ!
ফুলের সৌন্দর্য দিয়ে মিছিলে মিছিল নিয়ে;
ফলের মতো সম্ভবনা শহীদদের দ্বারে দ্বারে
দৃপ্ত অঞ্জলী দেবে শ্লোগানের উচ্চারনে।
১২ পেব্রুয়ারী’ ১৯৯০খ্রীঃ
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৩
রেজওয়ানুল ইসলাম পাপ্পু বলেছেন: আপনাকে আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আমার কবিতার একজন নিয়মিত পাঠক।
২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২০
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: খুব সুন্দর
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩১
রেজওয়ানুল ইসলাম পাপ্পু বলেছেন: আরণ্যক রাখাল ভাই আপনাকে স্বাগত। আমার কতিায় আপনার মন্তব্য আমাকে অনুপ্রানিত করবে। আমি প্রীত হলাম, ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০২
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ছালাম-বরকত, রফিক-জব্বার

অজানা আর কতো শহীদি আত্মা কাঁদে।
মধু বন- বনান্তরে গুঞ্জনে মাতোয়ারা ফাগুন ডাকে সাড়া,
কামিনী ও হাসনাহেনা, নিশীত জাগরনে।
সুন্দর।