![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাবার মুখে ছেঁয়ে থাকা তিক্ত অবিশ্বাস
সলজ্জ মান ভ্রু কুঞ্চিত চোখ
স্থিরতা নেই স্বদেশের সন্তানের।
হুতোম পেঁচার ডাক শুনে শুনে
কুয়াশার পাহাড় ভেঙ্গে চলে কল্পনার তট;
অভিজ্ঞতার ফলাহার এঁকে দিলে মনে, পথে পান্তরে।
মায়ের তরী জীবনের খাদে দুদোল্যমান,
দুর্বোধ্য এক নিষ্ঠুরতা নিয়ে
প্রমত্ত পদ্মা, স্বরস্বতী
শিশির মাখা প্রাতঃকালে আজান হাঁকে;
সংগীত বীণা কুরুক্ষেত্রে জন্ম
চির বাসনা ফসলের ছোঁয়া লাগা মনে।
রঙ্গীন বোধ ছেঁয়ে যায় সবটুকু
ঘোমটা তোলা সলাজ হাসিতে,
বাসনা মোর পুঞ্জিভূত কামনায়
অতৃপ্ত স্বপ্ন গেছে কেটে নবরাগে।
ধোঁয়ার মত হয়ে যায় লীন
বাঁচার কথা, অধিকার-আদর্শের স্বদেশে;
রক্ত নদীতে পাথর যেথায় ভেসে যায়,
নিশ্চিত আশা নিরাপদ নোঙ্গর-বন্দরে।
মেঘের ফাঁকে আলোময় সর্পিল চমক
ক্ষীণ আশার দ্বীপ দেখে ডাক দেয় নোনাজলে;
উদ্দিপ্ত স্বরে সাথীহারা অশরীরি আত্মা
ঝড় বিধ্বস্ত পথহারা উম্মুখ যাত্রায়।
জীবন পিষ্ঠ যাঁতাকলে, পাইন গাছের গুড়ি
মৃদু ঘর্ষণে বাঁক খায় বারে বারে;
ভীষণা ঝড় ঝঙ্কারিয়া ছিড়েছে নোঙ্গর
অশান্ত বারি বাঁধহীন কল্লোলে।
আত্মবিশ্বাসী বাবা-মার স্নেহমাখা অবিশ্বাস
অকোতুভয় ভাই-বোন ভাগ্য বিড়ম্বিত;
উষ্ণ পরশ অহেতুক প্রলাপ
আর কী দিতে পারে? সমাজ-দেশকে।
বিশাল চরে লকলকে এক ঘা
সদ্বিগ্ন চোখে হতাশায় কাটাবে পৃথিবী?
সুখের জন্য সুখহীন
ভাবের জন্য ভাবহীন
প্রাণের জন্য প্রাণহীন
মনের জন্য মনহীন
সূর্যের জন্য প্রতীক্ষায়।
তুলেছি পাল ধরি হাল
নবদ্বীপের অপেক্ষায়,
নোঙ্গর করা সুখ রবি
নব্য সভ্যতা অবিশ্বাসী বাবার ধরণী।
২রা ফেব্রুয়ারী ১৯৯৪খ্রীঃ
২০ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৪৪
রেজওয়ানুল ইসলাম পাপ্পু বলেছেন: ভাল লাগা রইল। ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:০৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভাল লাগল