নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শূন্যের বৃত্তে শূন্য খুঁজে ফিরি নিত্য

রেজওয়ানুল ইসলাম পাপ্পু

সমর অসমর কাল

রেজওয়ানুল ইসলাম পাপ্পু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুড়োতোষ উপলব্ধি

২১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩৪

বাবাদের দিন বাবার মতন অন্তরমাখা ছোঁয়ায়,
প্রাণ ফিরে পায় নবীন সূর্য দীপ্তি ছড়ায় ধরায়।
তাদের মতন মহৎ মানব আমরা বানাই নারদ,
বিষম দুঃখে উড়ছে পবন উঠতে দিলাম পারদ।
চারটি বয়স যখন আমার ভাবতাম বসে কতই,
অসীম সাহস, মনোবল তার শক্তিশালীর মতই।
ভাবনা আমার চড়তেই থাকে ছ'য়ের ঊর্ধ্বে হলেই,
বিশ্বাস জমে, সবটাই জানে বিজ্ঞজনের দলেই।
বছর দশেক হলাম যখন ভাবনা আমার অন্য,
রাগতে থাকেন যখনতখন অল্প ভুলের জন্য।
বারোর ঘাটেই বন্দি হলাম প্রেম-মমতার বাইরে,
ছোট্টকালের আদর-সোহাগ এখন তেমন নাইরে।
বর্তমানের ধার ধারেন না দ্বাপর যুগের বাঁদর,
ষোলোর ভেলায় চড়ছি বন্ধু বুকের ভিতর পাথর।
আঠারোর কাল চলন্ত ষাঁড় কেমন জীবন পেলাম,
অকারণ সব নিন্দার ঝড় ডাণ্ডাবেড়ির গোলাম।
বিরক্তিকর কাণ্ড করেন আমার উপর এখন,
একটুখানিক নাক গলাবেই সুযোগ পাবেন যখন।
বিশের কোঠাও- নিস্কৃতি নাই সহ্য সীমার বাইরে,
কীসের মন্ত্রে সামলান মা যে? নাছোড়বান্দা হায়রে!
পঁচিশ কালের কঠিন প্রশ্ন, পারবেন কবে বুঝতে?
সব কিছুতেই আপত্তি তার অনিয়ম চায় রুখতে।

এই তো জীবন ত্রিশের খাতায় ভাবছি অন্যরকম,
আমার বাচ্চা লালনপালন করতে হচ্ছি জখম।
ছোট্টবেলায় এমন ছিলাম! কথার বাইরে যেতাম?
ভয়ের ডাঙায় সর্ব জিনিস সরল কথায় পেতাম।
পঁয়ত্রিশ কালে বুঝতে পারছি রীতিবন্ধন পালন,
শক্ত হাতেই কঠোর ভাষায় আদবকায়দা যাপন।
কীসের মন্ত্রে হৃদয়ের বেগ ঢালল মোদের গাত্রে,
অবাক ব্যাপার সে সব এখন জীবন পথের পাত্রে।
চল্লিশ এলে সফল সোপান পেলাম বাবার সন্তে,
তাহার দৃষ্টি অসীম সুদূর বুঝতে পারছি অন্তে।
পঁয়তাল্লিশে উপলব্ধির বহ্নিশিখায় জ্বলছি,
গড়ছেন তিনি নিষ্ঠার শ্রমে তাঁর আদর্শে চলছি।
হাড়ভাঙা শ্রম, ত্যাগ মহিমায় নিঃস্ব করছে যতই,
বাচ্চা দুইটি লালন করতে ভিরমি খাচ্ছি ততই।
পঞ্চাশ বলে, "দূরদৃষ্টির নিবিষ্ট এক মানুষ,"
সুন্দর করে বাগ করেছেন আমরা বানাই ফানুস।
বুড়োতোষকাল সুখের কাঁটায় দুঃখ-বেদন মাখেন
এইসময়েও সংসারটাকে আলগোছ করে রাখেন।
বাপজান সবে সত্যের পথে অদ্বিতীয়ার রতন,
মনের কোঠায় অস্থি-মজ্জা, রক্ত-মাংসে যতন।
বটবৃক্ষের উদার ছায়ায় আদেশ-নিষেধ ঝুলতো,
সেই চেতনায় বুড়োর হাড়েই নবীন আঁকশি দুলতো।

বিষম ব্যথায় ক্ষয় হয়ে যায় কোন সে পাবক ধরায়,
নিত্য দিনের ঝুঁকির বোঝায় সঙ্গী হলাম মরায়।
এতদিন পর বুঝলে সবাই গভীর মুখের বাপকে,
মরার পরেই শ্রদ্ধা না দেই শপথ নিলাম আজকে।
এই কথাটির সত্য-বীণায় বাজাও তোমরা নিনাদ
একটি কথার মর্ম বুঝতে ক্যান যে হচ্ছো নিষাদ

উৎসর্গ~ স্বর্গীয় পিতা ডাঃ আবদুর রহমান ও অপর বাবাদের করকমলে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর কবিতা।

২১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:১১

রেজওয়ানুল ইসলাম পাপ্পু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

২১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:১৫

রেজওয়ানুল ইসলাম পাপ্পু বলেছেন: একটি পরামর্শ চাইছি

তা হলো আমার প্রোফাইল নামটি পরিবর্তন করতে চাই। কীভাবে সেটি পরিবর্তন করা যায়?

২| ২১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০

জাহিদুল হক শোভন বলেছেন: ভালো লাগলো বাবাকে নিয়ে লেখা।

২১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:২২

রেজওয়ানুল ইসলাম পাপ্পু বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ভাই, ভালো থাকবেন।

৩| ২১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪২

দি এমপেরর বলেছেন: খুব সুন্দর কবিতা! ভালো লেগেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.