নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুর!

বিকট

হাসান মাহবুব

আমার অপদার্থতাকে মাহাত্ম্য ভেবোনা...

হাসান মাহবুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে কারণে পৃথিবী কখনই মেশিনের হবে না

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৩


আগে অফিসে যার কাছে যত চাবি থাকতো সে তত পাওয়ারফুল ছিলো। অমুক ড্রয়ারের চাবি, তমুক আলমারির চাবি ইত্যাদি। এসব গায়েব হয়ে গেছে বলা যায়। কাগজের ফাইলপত্তরও খুব কমই ব্যবহৃত হয়। এখন হলো পাসওয়ার্ড, এক্সেস এইসব। অমুক সফটওয়্যার, তমুক ডাটাবেজ, এই প্যানেল সেই- প্যানেল ইত্যাদি। দুই বছর আগেও কাগজপত্র রাখার জন্যে দুইটা বড় ফোল্ডার ছিলো আমার ডেস্কে। বহুদিন পর্যন্ত সেখানে নানা জিনিসপত্র রেখে দিয়েছি অযথাই। একটা কিছু না থাকলে ডেস্ক কেমন দেখায়! এখন ডেস্কে গেজেট ছাড়া কিছু নাই। কিছু তার-টার তাও লাগে, কদিন পর দেখা যাবে সেগুলোও নাই। কোন মোবাইল যেন দেখলাম তাদের অফিসকে পেপারলেস ঘোষণা করেছে। কাগজের আর কোনো দরকার তাদের নাই। কদিন পর ওয়ারলেস অফিসও দেখা যাবে শিওর!

এই যে সবকিছু গায়েব হয়ে যাচ্ছে, কাগজ, কলম, তালা, চাবি,তার, সবকিছু ভার্চুয়াল হয়ে যাচ্ছে, এর শেষ কোথায়? এখন কিছু কিনতে বাজারে যেতে হয় না, অনলাইনে পেয়ে যাবেন সব। পকেট থেকে কষ্ট করে টাকাও বের করতে হয় না, টাকার লেনদেনও ভার্চুয়াল। অতি ক্ষমতাধর বিভিন্ন চৌকো বাক্সে সব বন্দি হয়ে যাচ্ছে।
সবকিছুই ডিজিটালাইজড হচ্ছে, এটা ভালো। শ্রম এবং সময় কমছে। কিন্তু মানুষের মূল্যও কি কমছে না? আগে যে কাজ করতে চারজন লাগতো, তা এখন একজনে করে। সামনে মানুষের কর্মসংস্থান নিয়ে ব্যাপক অনিশ্চয়তা দেখা দিবে, বেকারত্বের হার বাড়বে।
এখন প্রশ্ন হলো, তাহলে কি যন্ত্রই পৃথিবীর নিয়ন্ত্রণ করবে একসময়? এ নিয়ে নানারকম জল্পনা-কল্পনা আছে, সায়েন্স ফিকশন লেখক, সিনেমা পরিচালকদের তো এটা খুবই পছন্দের বিষয়! তবে আমার কাছে মনে হয়, এটা একটা সংকট তৈরি করলেও শেষপর্যন্ত মানুষই জয়ী হবে। কারণ, মানুষের জন্যে যন্ত্র, যন্ত্রের জন্যে মানুষ না।

সামনে অনেক ধরণের কাজে মানুষ লাগবে না; যেগুলো গঁৎবাধা কাজ, যেগুলোতে ক্রিয়েটিভিটি নেই, ক্রিটিকাল থিংকিং নেই। কিন্তু একজন কপিরাইটারের কাজ কে করবে? কিংবা মার্কেটিং বিশেষজ্ঞের কাজ? আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলেজিন্সের দৌড় কতটুকু? হ্যাঁ, খুব স্মার্ট এবং এফিসিয়েন্ট চিন্তা করতে পারবে যন্ত্র, কিন্তু আনস্মার্ট, অযৌক্তিক চিন্তা করতে পারবে কি? যন্ত্রের সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হলো এর লজিকাল এ্যালগরিদম। পৃথিবীতে অনেক অনেক শুভ কাজ হয়েছে অযৌক্তিক চিন্তা, পাগলামী আর আবেগ থেকে। যন্ত্রের পক্ষে সেটা কোনদিনই অর্জন করা সম্ভব না। তারপরেও অবশ্য তার আগ্রাসন চলবে। এতে অনেক মানুষ কাজহারা হবে ঠিকই, কিন্তু যেহেতু মানুষের মধ্যে একটা আদিম প্রবৃত্তি আছে টিকে থাকার, তাই মানুষই টিকে যাবে। যন্ত্রের ক্ষুধা নেই, তৃষ্ণা নেই, পরিবার টানার চাপ নেই, সন্তানের প্রতি দায়বদ্ধতা নেই, সবচেয়ে বড় কথা, তাদের মৃত্যুভয় নেই, জীবন জন্ম দেয়ার ক্ষমতা নাই। তারা কিসের প্রেরণায় এগিয়ে যাবে? যন্ত্রের কাছে মানুষই ঈশ্বর। হ্যাঁ, আলাদাভাবে তারা অদক্ষ এবং দুর্বল মানুষের চেয়ে ক্ষমতাবান হতে পারে, তবে সমগ্র মানবজাতিকে একটা আলাদা অস্তিত্ব হিসেবে ধরলে তারা অতি ক্ষুদ্র।

মুহম্মদ জাফর ইকবালের কপোট্রনিক সুখ দুঃখ বইয়ে একটা অসাধারণ গল্প ছিলো। একটি শহরে বা রাষ্ট্রে রোবটরা একসময় সব ক্ষমতার অধিকারী হয়। তারা মানুষের কাছ থেকে কর্তৃত্ব নিয়ে নেয়। সবকিছু খুব ভালোভাবে চলতে থাকে। তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ছিলো অসাধারণ পর্যায়ের, মানুষের মতই। ধাঁই ধাঁই করে সবকিছুর উন্নতি হতে থাকে। কিন্তু বছর খানেকের মধ্যেই সব মুখ থুবড়ে পড়ে। কারণ হিসেবে জাফর ইকবাল দেখিয়েছেন, তাদের মধ্যে ক্ষুধার অনুভূতি নেই। তারা কাজ করবে, উন্নতি করবে, কিন্তু কাজ না করলে কী হবে? কিছুই হবে না! দিব্যি বেঁচে থাকবে! না খেয়ে থাকার ভয় তো আর নেই! তাহলে কী হবে কাজ করে? এখানেই পার্থক্য, এখানেই মিল! পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর মানুষটি থেকে শুরু করে সবচেয়ে দুর্বল মানুষটি, সবাইকেই খাদ্যগ্রহণ করতে হয়, ঘুমোতে হয়। সবচেয়ে সফল মানুষটিও নিশ্চিন্ত নয়। পেটের ক্ষুধা মিটে গেলে জৌলুসের ক্ষুধা, বিলাসের ক্ষুধা, ওপরে ওঠার ক্ষুধা, ক্ষুধার তো শেষ নেই!

“গলিত স্থবির ব্যাঙ আরো দুই মুহূর্তের ভিক্ষা মাগে আরেকটি প্রভাতের ইশারায়”
এক্ষেত্রে আমরাও এই গলিত স্থবির ব্যাঙয়ের চেয়ে আলাদা কিছু না। একটা মুহূর্ত বেশি বাঁচার জন্যে মানুষ কি না করতে পারে! এখন আমি বুঝতে পারি এইসব জরা, শোক, ব্যাধি, মৃত্যু, মানুষের জন্যে কতবড় চালিকাশক্তি! যন্ত্রমানবকে এই ক্রাইসিস কে দেব? আদিম গুহামানব থেকে শুরু করে আধুনিক ভার্চুয়াল সেলিব্রেটি, মানুষ কিন্তু খুব বেশি বদলায় নি আসলে! বেসিক ইনস্টিংক্ট কখনও বদলায় নি, বদলাবেও না। আদিকাল থেকে এখন পর্যন্ত মানবজাতি একের পর এক ক্রাইসিস মোকাবেলা করে এসেছে, নতুন ক্রাইসিস তৈরি করেছে, যন্ত্রসভ্যতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, এসব এই যাপনেরই একটা অংশ, এর থেকে বেশি কিছু না!

শেষ পর্যন্ত পৃথিবীটা জীবন্ত যা কিছু তাদেরই শুধু। আপনার, আমার, একটা প্রজাপতির, একটা ডালিম গাছের, সোনালি মাছের; যন্ত্রের না।

মন্তব্য ৬৪ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৬৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮

বিজন রয় বলেছেন: রোবট নিয়ে অনেক কথাবার্তা অনেক সময় আমার ভয় করে। যদি সত্যিই তাদের দখলে চলে যায় সবকিছু!

যদি তাই না হয় তো পৃথিবী সুন্দর থাকবে।

ব্যতিক্রমী পোস্ট।

শুভকামনা।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫০

বলেছেন: আপনার এবং জাফর ইকবাল - দুইয়ের চিন্তায়ই খুঁত আছে। মানুষের টিকে থাকতে যেমন খাদ্য লাগে, যন্ত্রের তেমনি লাগে শক্তি। কোন রোবট কাজ না করলে সরকার নিশ্চয়ই অকারণে শক্তি ব্যয় করবেনা। হয় তাদের কপোট্রনে প্রোগ্রামের লজিক্যাল এলগরিদম আপডেট করবে, যাতে তারা নতুন করে কাজে উদ্যোগী হয়, অথবা শক্তি সরবরাহ বন্ধ করে স্ক্র্যাপ করে দেবে। আমরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল মেশিনারির ক্ষেত্রে যেটা করে থাকি।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: তো এগুলার নিয়ন্ত্রণ তো মানুষের হাতেই , না কি? আপনার ইন্ডাস্ট্রিতে কি রোবটরা ম্যানেজমেন্টের পদে বসে আছে? যদি কখনও সেই পদে তাদের বসার খায়েশ হয় তারা বেশিদিন চালাইতে পারবে না, যতই দক্ষ হোক না কেন। দৈনন্দিন এবং গঁৎবাধা কাজে রোবটের কার্যকরীতা নিয়ে কোনো দ্বিমত নাই। কিন্তু মানুষ কখনও রোবটকে মানুষের পর্যায়ে উন্নীত করতে পারবে না, বা দিবে না। ইহাই আমার বক্তব্য ছিলো।

৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৩

নতুন নকিব বলেছেন:




আগে অফিসে যার কাছে যত চাবি থাকতো সে তত পাওয়ারফুল ছিলো। অমুক ড্রয়ারের চাবি, তমুক আলমারির চাবি ইত্যাদি। এসব গায়েব হয়ে গেছে বলা যায়। কাগজের ফাইলপত্তরও খুব কমই ব্যবহৃত হয়। এখন হলো পাসওয়ার্ড, এক্সেস এইসব। অমুক সফটওয়্যার, তমুক ডাটাবেজ, এই প্যানেল সেই- প্যানেল ইত্যাদি। দুই বছর আগেও কাগজপত্র রাখার জন্যে দুইটা বড় ফোল্ডার ছিলো আমার ডেস্কে। বহুদিন পর্যন্ত সেখানে নানা জিনিসপত্র রেখে দিয়েছি অযথাই। একটা কিছু না থাকলে ডেস্ক কেমন দেখায়! এখন ডেস্কে গেজেট ছাড়া কিছু নাই। কিছু তার-টার তাও লাগে, কদিন পর দেখা যাবে সেগুলোও নাই। কোন মোবাইল যেন দেখলাম তাদের অফিসকে পেপারলেস ঘোষণা করেছে। কাগজের আর কোনো দরকার তাদের নাই। কদিন পর ওয়ারলেস অফিসও দেখা যাবে শিওর!

বাস্তবতাকেই তুলে ধরেছে আপনার সাবলিল বিশ্লেষন। এক দিন হয়তো কাগজ কলম আর কালির পরিবর্তে সহজ পদ্ধতিগুলোর উপর মানুষের নির্ভরতা ব্যাপকভাবে বেড়ে যাবে।

শেষ পর্যন্ত পৃথিবীটা জীবন্ত যা কিছু তাদেরই শুধু। আপনার, আমার, একটা প্রজাপতির, একটা ডালিম গাছের, সোনালি মাছের; যন্ত্রের না।

যন্ত্রপ্রীতি যতই বৃদ্ধি পাক, মানুষ, এই আমরা যতই নির্ভরশীল হই যন্ত্রাদির উপর, আপনার শেষের কথাটা ঠিকই থেকে যাবে পৃথিবীর শেষলগ্ন পর্যন্ত।

সুন্দর পোস্টে ধন্যবাদ। +++

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ নকিব।

৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০২

নতুন বলেছেন: মানুষের চিরদিন বেচে থাকে না এবং তার জন্য বেচে থাকা একটা চ্যালেন্জ এই কারনেই পৃথিবি মজার।

আটিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্ট মানুষের অধীনই থাকবে... আমার মনে হয় না কখনো মানুষকে পরাধীন করবে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো।

৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম একদ সত্যি ; গুছিয়ে লিখেছেন ।
ভালোলেগেছে ।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা। শুভেচ্ছা রইলো।

৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লেখা ভাল লেগেছে ভাইয়া।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সোহেল। শুভকামনা রইলো।

৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৫

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: এই সুবিশাল ইতিহাসের কিছু অংশ যা আমরা ভুলে যাই ; কালের বিবর্তনের সাথে সাথে সেগুলো আমাদের কাছে নতুন প্রশ্ন নিয়ে আসে।


বিজ্ঞান কি মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে পেরেছে!!! ভবিষ্যতে পারবে বলেও মনে হয় না।

বিজ্ঞান বা মেশিন মানুষের জীবন যাত্রার মান সহজ করে দিতে পারবে শুধু, এতোটুকু।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার বলেছেন।

৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: কপোট্রনিক সুখদুঃখ পড়েছি।

একটা কথাই বলতে চাই,
Necessity is the mother of invention.

সেটা মানুষ হোক আর রোবট :)

Let time say...

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো।

৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫

অন্তরন্তর বলেছেন: আপনার লিখার সাথে সহমত। মানুষের হাতেই থাকবে সব চালানোর চাবিকাঠি। যদিও মাঝে মাঝে ভয় হয় যান্ত্রিকতার উৎকর্ষের জন্য কারন মানুষ এখন অনেকটাই যন্ত্রের উপর নির্ভরশীল হয়ে পরেছে।
অ, ট-- এবার মনে হয় বইমেলা দেখতে আসা হবে না হাসান ভাই। মন খারাপ তার জন্য। আপনার পরিবারের সকলকে শুভ কামনা।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকে মিস করবো অন্তর ভাই। শুভকামনা রইলো।

১০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭

শিখা রহমান বলেছেন: "শেষ পর্যন্ত পৃথিবীটা জীবন্ত যা কিছু তাদেরই শুধু।" --- আমারও তাই বিশ্বাস!!

সবসময়েই ব্যতিক্রমী কিছু লেখার জন্য ধন্যবাদ হাসান। শুভকামনা।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ শিখা। ভালো থাকবেন।

১১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২

রাকু হাসান বলেছেন:



মানুষের জয় হবেই । আপনার সাথে একমত যন্ত্রের জন্য মানুষ নয়,মানুষের জন্যই যন্ত্র --আশাবাদী,ইতিবাচক কথা।
তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বলার অপেক্ষা রাখে না মানুষের বড় প্রতিপক্ষ হবে। চাকরি হারাবে ,অনেক ক্ষেত্রে হেরে যাবে । কিন্তু দিনশেষে মানুষের বিজয় হবেই হবে বলে মনে করি । কেননা সেরা জীব মানুষ বসে থাকবে না ,নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কারও হবে সময়ের ব্যাপার। আপনি বইয়ের উদাহারণ টেনে খুব ভালো করেছেন পোস্টে। মূল পার্থক্যটা এখানেই । ক্ষুধার তাড়না/জানার আগ্রজের জন্যই পৃথিবী আজ এত দূর । নিশ্চয় আগামীতেও েএভাবেই চলবে পৃথিবী।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো।

১২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার বিশ্লেষন খুব সুন্দর হয়েছে।

তবে পোকা এই পৃথিবী দখল করে নিবে একদিন।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: কন কী! :-/

১৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: যন্ত্র কখনো মানুষের বিকল্প হয়ে উঠতে পারবে না। মানুষের কর্মসংস্থানও ঝুঁকিপূর্ণ হবে না। মানুষই যন্ত্রকে দিয়ে কাজ করাবে আর নতুন ধরনের কর্মসংস্থান গড়ে উঠবে।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিক হেনা ভাই। শুভেচ্ছা।

১৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: সব কিছুই, একসময় মৃত্যু চায়

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।

১৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮

কিরমানী লিটন বলেছেন: সত্যিই- অনেক ভাল লেগেছে ভাইয়া, শুভকামনা জানবেন...

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই। শুভকামনা রইলো।

১৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৫

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



আমি চাই না রোবট হতে । আমি চাই সকালে কুয়াশা ভেজা ঘাসে হেটে যেতে । সবার সাথে আড্ডা দিয়ে রাতের বেলা চাদের আলো উপভোগ করতে ।

সবচেয়ে বড় কথা যান্ত্রিকতা থেকে দূরে চলে যেতে চাই ।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: সুন্দর ইচ্ছা।

১৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৯

কাতিআশা বলেছেন: মাঝে মাঝে চিন্তা করি...বেঁচে থাকতে থাকতেই যে কত পরিবর্তন দেখে যাব!..এখন শুনছি ডিজিটাল/ভার্চুয়াল বাসাও হয়ে যাবে, ২০২০ এর দিকে মানুষের আর বেশি খাওয়ারও প্রয়জন থাকবেনা, উরন্ত গাড়ি..আরও কত কি! (গতকাল msn news এ পড়লাম)..সব চিন্তা করলে একটু কেমন যেন লাগে, ভয়-ভয়!...লেখাতে ভাল লাগা!

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: মানুষ একসময় নিয়ন্ত্রণের কথা ভাববে বলে আমার বিশ্বাস।

১৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:১৩

উম্মে সায়মা বলেছেন: ঠিক ঠিক হাসান মাহবুব ভাই। তবে সমস্যা একটাই। যন্ত্রের সাথে থেকে মানুষগুলোও দিনদিন যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছে। আমরা কি আর আগের মত হতে পারব?
শেষ লাইনটা খুব ভালো লেগেছে।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সায়মা। শুভকামনা রইলো।

১৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৫১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: the 100 টিভি সিরিজের একটা সিজন ছিল যেখানে এক AI পৃথিবীতে বেঁচে থাকা সবাইকে তার মত হয়ে যেতে বলে। যেখানে কোন মৃত্যু নেই,ক্ষুধা নেই, কষ্ট নেই। তবুও সিরিজের নায়িকা বলে, আমি রাজি না। যারা রাজি ছিল তারা বোঝাল, এত কষ্ট, ঝামেলার চাইতে AI-রে কথা মেনে নেয়াই তো ভাল, এই পৃথিবীতে আমরা কীভাবে টিকব? নায়িকা বলে, যেভাবে আমাদের পূর্ব পুরুষ টিকেছে। এ লড়াই টিকে থাকার, বেঁচে থাকার...

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪২

হাসান মাহবুব বলেছেন: খুবই সুন্দর কথাবার্তা। এই এপিসোডটা দেখতে হবে।

২০| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:২২

শুভ পাটগ্রাম বলেছেন: 'খেলায় বাংলাদেশ জিতুক' যেরকম চাই, যন্ত্র ও মানুষের ক্ষমতায়নের বিতর্কে মানুষই জিতুক সেটাই কাম্য।



ভাল লাগা পোস্ট।

____________________________
বুঝতে পরি দুঃখ সুখের যন্ত্রণায়-
মানুষ আমি মন্দ-ভালোয়,
যন্ত্র নয়।।
____________________________

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো বলেছেন। শুভকামনা রইলো।

২১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২০

রাফা বলেছেন: ভা্লো লাগলো লেখাটি পড়ে।আমিও বিশ্বাস করি শেষ পর্যন্ত্র সব কিছুর নিয়ন্ত্রণ মানুষের হাতেই থাকবে।সৃষ্টি কখনই স্রষ্ঠার চাইতে এগিয়ে থাকতে পারেনা।সৃষ্টির নিয়ন্ত্রণ স্রষ্ঠার হাতেই নিহিত।

ধন্যবাদ,হা.মাহবুব।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ রাহা।

২২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৯

অলিভিয়া আভা বলেছেন: শেষ কথাটা খুবই সুন্দর করে বলেছেন। এই পৃথিবী আসলেই মানুষের। রোবোট কখনই মানুষের স্থান দখল করে নিতে পারে না, যদিও কেউ কেউ জব হারাচ্ছে এই রোবটের জন্য। এটাকেও চাইলে প্রতিস্থাপন বলা যায়।

ভালো লিখেছেন হাসান মাহবুব

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ অলিভিয়া।

২৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮

রোকসানা লেইস বলেছেন: মেশিনের কাছে চলে যাচ্ছে মানুষের অনেক কাজ। মানুষ হয়ে যাচ্ছে কর্মহীন। আমার লেখা আছে একটা এ বিষয়ে, এবছরের শুরুর দিকে লিখেছিলাম।
মানুষই তৈরি করছে রোবট এবং এখন তৈরি হচ্ছে কথা বলা এবং ফিলিংস সম্পন্ন রোবট। যা এতদিন ছিল কল্পকাহিনী।
কার জয় হবে কোথায় যাবে অবস্থা ভবিষ্যৎ বলবে।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি বিশ্বাস করি, মানুষ তার সীমা টানার কথা ভাববে একসময়।

২৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: অনেক ভাল লিখেছেন।

মানুষের থেকে তার সৃষ্টি কখনো শ্রেষ্ঠ হবে বলে মনে হয় না।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

২৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৯

পুলক ঢালী বলেছেন: যন্ত্র ভার্সেস মানুষ নিয়ে খুব সুন্দর লিখেছেন। যন্ত্র যখন ভাবনা চিন্তার জগতে প্রবেশ করবে তখনই হতাশায় আত্নহত্যা করবে এটা ক্ল্পনিক হলেও আমার কাছে সত্য বলে মনে হয় (কপোট্রনিক সুখ দুঃখ)।
কয়েকদিন আগে প্রথম আলোয় দেখলাম শিক্ষার্থীদের বলা হচ্ছে রোবট আসছে তুমি প্রস্তুত তো ?
আমি ভাবি রোবটের উৎপাদিত পন্য ভোগ করবে কারা মানুষই তো ! সেই মানুষেরই কাজের জায়গা রোবট দখল করলে মানুষের কর্মসংস্থান না থাকলে সেই পন্য উৎপাদনে কি লাভ হবে মানুষ যদি ক্রয়ক্ষমতাই হারিয়ে ফেলে ?
ভাল থাকুন হামা ভাই।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার বলেছেন।

শুভেচ্ছা পুলক ঢালী।

২৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৭

রাফা বলেছেন: রাহা -কে? ভাইজান B:-)

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভুল লিখেছিলাম রাফা ব্রো, স্যরি।

২৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৫

নীলপরি বলেছেন: ঠিকই । বেশ অনেকদিন বাদে লিখলেন বোধহয় । অবশ্য আমিও একটু অনিয়মিত ।

শুভকামনা

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, অনেক দিন পর দেখা হলো! ভালো আছেন আশা করি।

২৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৫

নীলপরি বলেছেন: হুম । ভালো আছি । :)

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভরাত্রি।

২৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৬

ইয়াসিনুর রহমান ফাহিম বলেছেন: অসাধারন।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে!

৩০| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৪

নাজমুল হক সাগর বলেছেন: উপস্থাপন টা সুন্দর

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভসন্ধ্যা।

৩১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৮

আরইউ বলেছেন: হবে, হাসান, পৃথিবীটা একদিন যন্ত্রের হবে - অথবা আমরাই একদিন যন্ত্র হয়ে যাবো; আমরা যন্ত্র হয়ে যাচ্ছি!

ভালো থাকুন।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: "আমরাই একদিন যন্ত্র হয়ে যাবো; আমরা যন্ত্র হয়ে যাচ্ছি"
এই সেন্সে ঠিকই বলেছেন :(

৩২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১০

জাহিদ হাসান বলেছেন: ইতিমধ্যেই পৃথিবীর অর্ধেকেরও বেশি কাজ স্বয়ংক্রিয় বা আধা-স্বয়ংক্রিয় মেশিনে হচ্ছে। আগামী একশ বছরে এই যান্ত্রিকীকরণ আরও বেশি বাড়বে। অদূর ভবিষ্যতে এই পৃথিবীর শাসনকাজে থাকবে রোবট সোফিয়ারা ! :(

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখাটা ভালোভাবে পড়লে এই মন্তব্য করতেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.