নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসসালামু 'আলাইকুম

“তোমরা যেখানেই থাক না কেন, মৃত্যু তোমাদের নাগাল পাবেই; যদিও তোমরা সুউচ্চ সুদৃড় দুর্গে(High Fortified Castle) অবস্থান কর” [নিসা ৭৮]

আলোর-ভূবন

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম আস্সালামুয়ালাইকুম। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদেরকে এই ব্লগে লেখালেখির সুযোগ করে দিয়েছেন। ইসলাম আজ বহু অভিযোগে অভিযুক্ত একটি জীবন-ব্যাবস্থা।এর অনেক কারণের একটি কারণ, ইসলামের বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে অভিযোগকারীদের অজ্ঞতা(আপনারা ভাববেন না যে আমি নিজেকে আপনাদের সামনে বিজ্ঞ বলে প্রমাণ করতে চাচ্ছি)।আর আমি আপনাদের সামনে ইসলামের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরব-(ইনশা’আল্লাহ), বিশেষত তাওহীদ সম্পর্কে। জাযাকাল্লাহু খাইর(আল্লাহ আপনাদের উত্তম বিনিময় দান করুন)

আলোর-ভূবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইখলাসের সংক্ষিপ্ত পরিচয় (ইবানা অনলাইন ক্লাস থেকে)

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:২২



১. ইখলাসের শাব্দিক অর্থ কোন কিছুকে দূষণ থেকে পরিষ্কার করা। ইখলাসের ইসলামিক অর্থ তিনভাবে চিন্তা করা যায়। ইখলাস হল কোন কাজ শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার জন্যে করা, কাজকে অন্যদের দেখানোর উদ্দেশ্য থেকে পুরোপুরি মুক্ত রাখা এবং প্রতিটি কাজের ভেতরের ও বাইরের অবস্থা একই রকম রাখা।



২. ইখলাসের বিপরীত হচ্ছে রিয়া। রিয়া হচ্ছে মানুষকে দেখানোর উদ্দেশ্যে কোন কাজ করা (showing off to the creation) রিয়া থেকে মুক্ত থাকার জন্য সমসময় সতর্ক থাকতে হবে। এটি কোন সহজ কাজ নয় এবং নিজেকে কখনোই রিয়া থেকে পুরোপুরি নিরাপদ ভাবার সুযোগ নেই।



৩. কুরআনে বিভিন্ন প্রসঙ্গে ইখলাসের কথা এসেছে। আল্লাহ তা’আলা প্রত্যেক ইবাদাত ইখলাসের সাথে করার নির্দেশ দিয়েছেন। ইবাদাতের মাঝে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ হচ্ছে দু’আ এবং দু’আর সময়ও ইখলাস অবলম্বন করা জরুরী।



৪. জান্নাত লাভের অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে ইখলাস অবলম্বন করা। ইখলাস সম্পন্ন ব্যক্তিকে শয়তান ধোঁকায় ফেলতে পারবে না।



৫. প্রত্যেক আমল তার নিয়্যাতের উপর নির্ভরশীল। মানুষ তাই পাবে যা সে নিয়্যাত করে। সহীহ বুখারীর প্রথম হাদীসেই এটি উল্লেখ করা হয়েছে এর অসামান্য গুরুত্বের জন্য।



৬. রসূলুল্লাহ (সঃ) এর শাফায়াহ লাভের অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে ইখলাস অবলম্বন করা। যে কোন ভাল কাজ আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়ার শর্ত হচ্ছে ইখলাস।



৭. কোন কাজ বাস্তবে করা না হলেও শুধুমাত্র নিয়্যাতের কারণে তা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে। অপরদিকে নিয়্যাত ঠিক না থাকলে শুধু কাজ কোন সুফল দিতে পারে না, এমনকি তা শাস্তির কারণও হতে পারে। শেষ বিচারের দিন মূলত মানুষের নিয়্যাত-ই পরীক্ষা করা হবে।



৮. রিয়ার আশঙ্কায় কাজ বন্ধ করে দেয়া একটি বড় ভুল। কাজকে নয় বরং নিয়্যাতকে পরিবর্তন করতে হবে এবং ভাল কাজ সঠিক নিয়্যাত সহকারে বেশী বেশী করতে হবে।



৯. ইখলাস অর্জনের জন্যে নিজের নিয়্যাতের ব্যাপারে সার্বক্ষনিক সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। প্রতিদিন নিজের অন্তরের অবস্থা নিয়ে কিছু সময় চিন্তা করা উচিত। এ ব্যাপারে অন্তরে আল্লাহর ভয় জাগ্রত রাখা একটি ভাল উপায়।



১০. নিজের গোপন এবং প্রকাশ্য কাজগুলোর তুলনা করা নিজের ইখলাসের অবস্থা নির্ণয়ের একটি ভাল উপায় হতে পারে। ইখলাস লাভের জন্যে গোপনে ভাল কাজ বেশি বেশি করা, রোযা রাখা ভাল কৌশল হতে পারে। পাশাপাশি অবশ্যই আল্লাহ তা’আলার কাছে দু’আ করতে হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.