নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসসালামু 'আলাইকুম

“তোমরা যেখানেই থাক না কেন, মৃত্যু তোমাদের নাগাল পাবেই; যদিও তোমরা সুউচ্চ সুদৃড় দুর্গে(High Fortified Castle) অবস্থান কর” [নিসা ৭৮]

আলোর-ভূবন

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম আস্সালামুয়ালাইকুম। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদেরকে এই ব্লগে লেখালেখির সুযোগ করে দিয়েছেন। ইসলাম আজ বহু অভিযোগে অভিযুক্ত একটি জীবন-ব্যাবস্থা।এর অনেক কারণের একটি কারণ, ইসলামের বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে অভিযোগকারীদের অজ্ঞতা(আপনারা ভাববেন না যে আমি নিজেকে আপনাদের সামনে বিজ্ঞ বলে প্রমাণ করতে চাচ্ছি)।আর আমি আপনাদের সামনে ইসলামের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরব-(ইনশা’আল্লাহ), বিশেষত তাওহীদ সম্পর্কে। জাযাকাল্লাহু খাইর(আল্লাহ আপনাদের উত্তম বিনিময় দান করুন)

আলোর-ভূবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাহাড়ের গুহায় আঁটকে পড়া তিন যুবক

২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৪৩

একবার তিনজন লোক পথ চলছিল, তারা বৃষ্টিতে আক্রান্ত হলো। অতঃপর তারা এক পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নিল। হঠাৎ পাহাড় থেকে এক খণ্ড পাথর পড়ে তাদের গুহার মুখ বন্ধ হয়ে গেল। তখন তারা একে অপরকে বলল, নিজেদের কৃত কিছু সৎকাজের কথা ছিন্তা করে বের করো, যা আল্লাহ্র সন্তুষ্টির জন্য করা হয়েছে এবং তার ওয়াসীলা করে আল্লাহ্র নিকট দু’আ করো। তাহলে হয়ত আল্লাহ্তোমাদের উপর থেকে পাথরটি সরিয়ে দিবেন। তাদের একজন বলতে লাগলো, হে আল্লাহ্! আমার আব্বা-আম্মা খুব বৃদ্ধ ছিলেন এবং আমার ছোট ছোট সন্তানও ছিলো। আমি তাদের ভরণ-পোষণের জন্য পশু পালন করতাম। সন্ধায় যখন আমি বাড়ি ফিরতাম তখন দুধ দহন করতাম এবং আমার সন্তানদের আগে আমার আব্বা-আম্মাকে পান করাতাম। একদিন আমার ফিরতে দেরী হয় এবং সন্ধ্যা হওয়ার আগে আসতে পারলাম না। এসে দেখি তারা ঘুমিয়ে পড়েছেন। তখন আমি দুধ দোহন করলাম, যেমন প্রতিদিন দোহন করি। তারপর আমি তাঁদের শিয়রে (দুধ নিয়ে) দাঁড়িয়ে রইলাম। তাদেরকে জাগানো আমি পসন্দ করিনি এবং তাঁদের আগে আমার বাচ্চাদেরকে পান করানোও অসঙ্গত মনে করি। অথচ বাচ্চাগুলো আমার পায়ের কাছে পড়ে কান্নাকাটি করছিলো। এভাবে ভোর হলো। হে আল্লাহ্, আপনি জানেন আমি যদি শুধু আপনার সন্তুষ্টির জন্যই এ কাজটি করে থাকি তবে আপনি আমাদের থেকে পাথরটা খানিক সরিয়ে দিন, যাতে আমরা আসমানটা দেখতে পাই। তখন আল্লাহ্পাথরটাকে একটু সরিয়ে দিলেন এবং তারা আসমান দেখতে পেলো। দ্বিতীয় ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ্! আমার এক চাচাত বোন ছিলো। পুরুষরা যেমন মহিলাদেরকে ভালোবাসে, আমি তাকে তার চাইতে অধিক ভালোবাসতাম। একদিন আমি তার কাছে চেয়ে বসলাম (অর্থাৎ খারাপ কাজ করতে চাইলাম) কিন্তু তা সে অস্বীকার করলো যে, পর্যন্ত না আমি তার জন্য একশ’ দিনার নিয়ে আসি। পরে চেষ্টা করে আমি তা জোগাড় করলাম (এবং তার কাছে এলাম)। যখন আমি তার দু’পায়ের মাঝে বসলাম (অর্থাৎ সম্ভোগ করতে তৈরি হলাম) তখন সে বলল, হে আল্লাহর বান্দা, আল্লাহ্কে ভয় করো। অন্যায় ভাবে মাহ্র (পর্দা) ছিড়ে দিয়ো না (অর্থাৎ আমার কুমারী সতীত্ব নষ্ট করো না) তখন আমি দাঁড়িয়ে গেলাম। হে আল্লাহ্! আপনি জানেন আমি যদি শুধু আপনার সন্তুষ্টির জন্য এ কাজটি করে থাকি। তবে আপনি আমাদের জন্য পাথরটা সরিয়ে দিন। তখন পাথরটা কিছু সরে গেলো। তৃতীয় ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ্! আমি এক ফারাক চাউলের বিনিময়ে একজন শ্রমিক নিযুক্ত করেছিলাম। যখন সে তার কাজ শেষ করলো আমাকে বলল, আমার পাওনা দিয়ে দাও। আমি তাকে তার পাওনা দিতে গেলে সে তা নিল না। আমি তা দিয়ে কৃষি কাজ করতে লাগলাম এবং এর দ্বারা অনেক গরু ও তার রাখাল জমা করলাম। বেশ কিছুদিন পর সে আমার কাছে আসল এবং বলল, আল্লাহ্কে ভয় করো (আমার মজুরী দাও)। আমি বললাম, ওই সব গরু ও রাখাল নিয়ে নাও। সে বলল, আল্লাহ্কে ভয় কর, আমার সাথে ঠাট্টা করো না। আমি বললাম, আমি তোমার সাথে ঠাট্টা করছি না, ওইগুলো নিয়ে নাও। তখন সে তা নিয়ে গেলো। হে আল্লাহ্, আপনি জানেন, যদি আমি আপনার সন্তুষ্টি লাভের জন্য এ কাজটি করে থাকি, তবে পাথরের বাকীটুকু সরিয়ে দিন। তখন আল্লাহ্পাথরটাকে সরিয়ে দিলেন।

[আব্দুল্লাহ ইবনে উমার(রা) হতে বর্ণিত, বুখারি হা/২৩৩৩, ‘চাষাবাদ’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ ১৩; মুসলিম হা/২৭৪৩]

শিক্ষাঃ

১. বান্দা সুখে-দুঃখে সর্বদা আল্লাহকে ডাকবে।

২. বিপদাপদের সময় আল্লাহকে ব্যাতিত কোনো মৃত ব্যাক্তি বা অন্য কাউকে ডাকা শির্কে আকবার বা বড় শির্ক(যা ইসলামের গণ্ডি থেকে বের করে দেয়)।

৩. সৎ আমলকে ওসীলা হিসাবে গ্রহণ করতে হবে।

৪. পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করতে হবে এবং স্ত্রী ও সন্তানদের উপর তাদেরকে প্রাধান্য দিতে হবে।

৫. শ্রমিককে তার ন্যায্য পাওনা প্রদান করতে হবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৫৩

রুয়াসা বলেছেন: ভাল লাগল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.