ভালবাসা দিবস

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫০

ভালবাসা দিবস

কামরুল হাছান মাসুক





এক দল যুবক-যুবতী বিছিন্নভাবে বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৪ ই ফ্রেবুয়ারী বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছে। কেউ এসেছে ফরিদপুর থেকে, কেউ এসেছে নোয়াখালী থেকে, কেউ এসেছে গাজিপুর, নরসিংদী থেকে। যে যে জায়গা থেকেই আসুক না কেন তাদের উদ্দেশ্য একটাই। তারা ভালবাসা দিবসকে উৎযাপন করবে। উৎযাপন করতে নাকি পরিবেশ লাগে। পরিবেশটা পাওয়া যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টি এস সি এলাকায়। তাদের সবারই ধারণা টি এস সি এলাকা হচ্ছে সারা বাংলাদেশের প্রেমিক প্রেমিকা জুটির জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত এলাকা। এখানে সর্ট সর্ট কাপড় পড়ে ঘুরা যায়, প্রেমিক-প্রেমিকার হাত ধরে নাচা যায়, এক কথায় যা ইচ্ছা তা করা যায়। এখানে কেউ কাউকে কিছু বলে না। এখানে নাকি সবকিছু খোলা। যুবক-যুবতীরা অনেক আনন্দ নিয়ে এখানে এসেছে। তারা আজকে সবকিছু করতে চায়। এত দৌড় থেকে এসেও তাদের বিন্দুমাত্র কান্ত লাগছে না। তাদের শরীলে চার্জ নেওয়ার মত একে অপরের পাশে আসে। কান্ত হওয়ার কোন চান্সই নেই। সারাদিন হাত ধরে ঘোরাঘোরি, বিভিন্ন খাবার খাওয়া, এবং বিভিন্ন ধরনের দৃশ্য দেখা। তাদের কাছে মনে হতে তারা তারা মিনি স্বর্গে এসে গেছে। সন্ধ্যা হওয়ার পরই তাদের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসে। অন্ধকারে নাকি মানুষ বেশি অপকর্মগুলি করে। অন্ধকার কি তাহলে অপকর্ম করার জন্য। যাই হোক, যুবক-যুবতীরা অপকর্ম করার জন্য রাতের অন্ধকারকেই বেঁচে নিল। রাতের আঁধার যখন নেমে এল তারা অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে গেল। তারা বুঝল না, প্রেম মানে শরীল দেওয়া নেওয়া নয়। প্রেম মানে একটা পবিত্র জিনিস। অবৈধ কাজ করলে ধরা পড়তে হয় এটা সবাই জানে। তারাও ঐ দিন ধরা খেল। পরের দিন জাতীয় দৈনিক গুলিতে যুবক-যুবতীদের ছবি ফলাও করে ছাপা হল। তাদের জেলে রাখা হয়েছে। এই ছোট্ট ছেলেমেয়েদের কি করবে কেউ বুঝতে পারছে না। তাদের একজনের বয়স ও আঠার পেরয় নি। তাদের বিয়ে দিয়েও দেওয়া যায় না। শাস্তিও হয়ত দেওয়া যায় না। কারণ শাস্তি দিতে হলে উভয়কেই দিতে হবে। তারা উভয়ই দুষি। কেউ যদি বলে তারা স্বাধীন তাহলে আর কথাই থাকে না। স্বাধীন হলে তারা তাদের কাজ করতেই পারে। তাদের বাবা মার কাছ থেকে ভাল একটা প্রস্তাব পেয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হল। ভাল করে বুঝিয়ে দেওয়া হল ভালবাসা দিবস মানেই খারাপ কিছু করতে হবে এমন নয়। এটারও পবিত্র একটা সারমর্ম আছে। এই বিষয়টা সবাইকে বুঝতে হবে।



লালবাগ, ঢাকা।

০ টি +০/-০