নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

phon

I want to free from failure. I don,t belive failure is the piller of suceess

Masuk

অামি একজন ব্যর্থ মানুষ। জীবনে কখনো সফলতার স্বাদ পায়নি। জীবনে যা চেয়েছি তার বিপরীতটাই পেয়েছি। এর পর থেকেই হতাশা অামাকে গ্রাস করে। হতাশা থেকে মুক্তির জন্য ঘুরেত থাকি। হতাশা থেকে মুক্তি পাই না। কেউ অামাকে হতাশা থেকে মুক্তি দিতে পারে না। অামি নিজেকে ও হতাশা থেকে মুক্ত করতে পারছিলাম না। সমগ্র পৃথিবী তন্ন তন্ন করে খেঁাজেছি এক মুঠো শান্তির অাশায়। হতাশা থেকে মুক্তির অাশায়। কেউ অামাকে মুক্তি দিতে পারে নি। মুক্তি অামি শেষ পর্যন্ত পাই। মুক্তি পাই বই থেকে। প্রচুর বই পড়তে থাকি হতাশা থেকে মুক্তির জন্য। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক সব। সাহিত্যর সব জায়গায় বিচরণ করতে থাকি। এভাবেই চলে অনেক বছর। এর পর থেকে নিজের মনেই অাসতে থাকে কিছু সৃষ্টি করার। নতুন কিছু সৃষ্টি করার। নতুন কিছু সৃষ্টি থেকেই কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক লেখা শুরু করি। যা অামাকে হতাশা থেকে মুক্তি দেয়। এখানে ও জানি সফলতা পাব না। ব্যর্থতা যাকে ঘিরে ধরে সে সফলতা পায় না। অামি ও পাব না। অনেক লেখি। কোন লেখা বই অাকারে প্রকাশ পায় না। কোন লেখা থেকে জীবন বাঁচানোর জন্য এক কাপ চায়ের পয়সা ও অাসে না। লেখক হিসেবে ও স্বীকৃতি মিলে না। যাক কিছু না হোক হতাশা মুক্ত হোক

Masuk › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্লগার আন্দোলন

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৬

ব্লগার আন্দোলন

কামরুল হাছান মাসুক



ব্লগার আন্দোলন আমাদের দেশে নতুন মাত্রা আনয়ন করেছে। আজকের যুগে দেখা যাচ্ছে ব্লগের মাধ্যমে বিভিন্ন জাগরণি আন্দোলনের সূত্রপাত হচ্ছে। যা ১৯৫২ সালে, ১৯৭১ সালে হয়েছিল। অতীতে ছাত্র নেতারা জাতীয় বিভিন্ন ইস্যুতে রাস্তায় নামতেন। জনগনের দাবী দাওয়া নিয়ে সোচ্চার হতেন। ছাত্র রাজনীতির ভিতরে যখন দলীয় প্রভাব শুরু হয়ে গেল তখন থেকেই জাতীয় ইস্যুর পরিবর্তে দলীয় ইস্যুতে রূপ নিল। এর ফলে ছাত্র রাজনীতির যে ঐতিহ্য ছিল তা ক্রমেই হারিয়ে গেল। আজকে ছাত্ররা এখন আর জাতীয় ইস্যুতে রাজনীতি করেন না। তারা আজকে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, ধর্ষণ ইত্যাদি ইস্যুতে ব্যস্ত থাকে। যারা ছাত্র রাজনীতিকে ঘৃণা করতেন তাদেরকে আজ আশার আলো দেখাচ্ছে তরুণ ব্লগাররা। আমাদের মত তরুন ব্লগাররা বিভিন্ন ইস্যুতে ব্লগে সোচ্চার হচ্ছে। আন্দোলন করছে। আমরা যারা তরুণ ব্লগার আছি তাদের একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে আমরা যেন কারো দলীয় গোলাম না হয়ে যাই। যদি আমরা দলীয় গোলাম হয়ে যাই তাহলে ছাত্র রাজনীতির মতই অবস্থা হবে। ১৯৫২ সালে যারা মারা গিয়েছিলেন তাদের দলীয় কোন লেভাস ছিল না। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে যারা আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছিলেন তাদেরও দলীয় কোন লেবাস ছিল না। আমরা যারা ব্লগার আছি আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি আমরা আমাদের সোনালী যুগ ফিরিয়ে এনেছি। আমরা বিভিন্ন ইস্যুতে সক্রিয় ভূমিকা রাখছি। যা অনেকটা রেডিও, টেলিভিশন, পত্রিকা থেকেও বড়। আজকের যুগে মানুষ টেলিভিশন, রেডিও এবং পত্রিকাকে বিশ্বাস করে যা ততটা করে ব্লগকে। কারণ ব্লগে সব মতেই প্রাধ্যন্য থাকে। টেলিভিশন অথবা পেপারে যার যার পত্রিকা তার প্রশংসাই বেশি থাকে। ব্লগারদের মধ্যে যে নিরপক্ষতা আছে তা আমাদের সবাইকে বজায় রাখতে হবে। যদি ব্লগগুলোকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয় তাহলে একদিকে ছাত্ররাজনীতির মত গ্রহণযোগ্যতা হারাবে। অন্যদিকে মানুষ পেপার-পত্রিকা, টেলিভিশনের মত ব্লগ থেকেও মুখ ফিরিয়ে নিবে। আমরা যারা ব্লগিং করছি। অথবা করার চেষ্টা করছি। আমাদের এমন একটি ফ্লার্টফর্ম দিতে হবে যাতে আমরা নিরপেক্ষভাবে ব্লগিং করতে পারি। নিরপেক্ষভাবে যদি সবাই সবার মত দেয় তাহলে অনেক জিনিষই ভাল বেড়িয়ে আছে। সবার মতের প্রাধ্যন্য থাকে। কারো যদি কোন মতের সাথে দ্বিমত থাকে তাহলে সে মন্তব্য করতে পারছে। এখানেও সে উন্মুক্ত। তার চেয়ে বড় কথা কোন তথ্য কারো উপর চাপিয়ে দিচ্ছে না। সৃজনশীর মেধার একটা বিকাশ থাকে। সবার মতামত পড়ে নিজের সিদ্ধানে উপনীত হওয়া যায়। একটা সময় মানুষ মনে করত পেপার-পত্রিকা পবিত্র ধর্মগ্রন্থের মত। ওখানে যা লেখা থাকত তার সবই সত্য। এখন মানুষ ঐ অবস্থা থেকে বের হয়ে এসেছে। আমরা যদি সবাই দায়িত্ব নিয়ে ব্লগিং করি তাহলে আমার মনে হয় ব্লগ থেকে ভাল কিছু বের হয়ে আসবে। কোন দলীয় ভাবে না থেকে জাতীয় ইস্যু গুলোতে এগিয়ে আছি তাহলে তরুণদের সোনালী যে অধ্যায় ছিল তা আমাদের মাঝে আবার ফিরে আসবে।



কসবা, বি-বাড়ীয়া।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.