![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এটা আমার বর্তমান প্রোফাইল। ফ্রেন্ডলিস্টের কারো যদি পছন্দ না হয় অথবা আমার সঙ্গে আদর্শিক পার্থক্য অতিদূরের লক্ষ্য করেন তবে বিনাদ্বিধায় বলবেন এখানে, অথবা আমাকে আনফ্রেন্ড বা ব্লক করে দেবেন দয়া করে। শুরুতে আমার কর্মযজ্ঞ সম্পর্কে কিছুটা জানাই। আমি গল্প(ছোটোদের জন্য) লিখি মূলত, পাশাপাশি ইদানীং প্রাপ্তমনস্কদের জন্যও লিখছি; গল্প, কবিতা এবং প্রবন্ধ। প্রায় সব পত্রিকাতেই লিখি। শুরু করেছিলাম প্রথম আলো দিয়ে, বাংলাদেশের প্রথম গল্প লেখা প্রতিযোগিতায় ১ম হয়ে(তখন ক্লাস টু তে পড়তাম)। এখন কালের কণ্ঠে, সমকাল, নতুনদেশ(সাপ্তাহিক), উত্তরাধিকার(মাসিক-বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত) মিলেনিয়াম(ত্রৈমাসিক- ইংল্যান্ড থেকে প্রকাশিত ) ,যুগান্তরসহ প্রায় সবগুলোতেই লিখি, নিয়মিত লিখি নতুনদেশে। আমার দুটি গল্পের সংকলনও আছে "ঐতিহ্য-গোল্লাছুট-প্রথম আলো গল্পলেখা প্রতিযোগিতা ২০০৬- সেরা গল্প" এবং "ঐতিহ্য-গোল্লাছুট-প্রথম আলো গল্পলেখা প্রতিযোগিতা ২০০৮- সেরা গল্প" নামে যাদের প্রকাশক ঐতিহ্যের আরিফুর রহমান নাঈম ভাইয়া ; বই দুটির উভয়েরই প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ আর সম্পাদক মঈনুল আহসান সাবের। প্রথম গল্পের বই বেরিয়েছে যখন আমি ক্লাস ফাইভে পড়ি। গতবছর মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে সৃজনশীলতার জন্য পুরস্কার পেয়েছি। লেখালিখির পাশাপাশি গান, আবৃত্তি, বিতর্ক,ছবি আঁকতেও ভালোবাসি। আমার তিন ভাইবোন আর প্রিয় মানুষ হাসান আজিজুল হক(আমার তাওই), আসাদ মান্নান(প্রিয় মানুষ ও প্রিয় কবি) আবেদ চৌধুরী(প্রিয় লেখক ও বিজ্ঞানী), জাফর স্যার(মুহাম্মদ জাফর ইকবাল) এই সাত বন্ধুপ্রতিমের সাথে আড্ডা দিতে খুবই ভালোবাসি। আমার জীবন অসম্ভব আনন্দময় করতে বই আর এমন চমৎকার পরিবার ও বন্ধুদের অবদান অসামান্য। আমার পাঠকদের বলছি- যারা আমার লেখা পড়েছেন,পড়েন বা পড়ছেন সবাই ভাবেন আমি খুব বয়স্কা কেউ। এটা একদমই সত্য না। আমি পড়ছি ইন্টারমিডিয়েট ১ম বর্ষে, বিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহীর সুপ্রাচীন এবং সুখ্যাত রাজশাহী নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজে। বয়স সর্বসাকুল্যে সতের। তাই বলি, বয়স দিয়ে আমাকে কেন পৃথিবীর কাউকে মুল্যায়ন বা অবমূল্যায়ন করতে যাওয়াটা আমি সাপোর্ট করিনা। ঈশ্বরকে ভালোবাসা... I am what people call life Although you call it death. I am what people call Law Although you call it deliquesce. I am what you seek, And what you find, I am what you scattered And pieces you now gather up… এ তো আমার কথা নয়! দেবী ইশতারের কথা! নিজের কথা বলি তবে! প্রথমত আমি একজন মানুষ, তারপর আমি অতিশয় আবেগপ্রবণ কিশোরী, ভালোবাসি এমন কাওকে যে কিনা হাজার আলোকবর্ষ দূরের বাসিন্দা! নিজেকে বিলিয়ে দিতে ভালোবাসি ভালোবাসার মানুষের কাছে। বিশ্বাস করি- সত্যিকারের ভালোবাসা হয় ভস্ম হবে চড়ুইয়ের মতন অথবা ফিনিক্সের মতন অমর হবে! ফ্যান্টাসি ভালোবাসি, যদিও জানি সেটা ক্ষতিকর আমার জন্য; তবুও নিজেকে নিজের ক্ষতির কারণ বানাতে দ্বিধা হয়না। কেননা, ভালোবাসা মোহই হোক আর মোহই ভালোবাসা হোক, আমি ভালবাসতে ভালোবাসি! তবে আমি প্রেমে পড়তে ভালবাসিনা। কারণ প্রেম হল ভ্রমণের মত, যতক্ষণ এই ভ্রমণ চলতে থাকবে ততক্ষণ আপনি ভ্রমের মধ্যে থাকবেন! কি লাভ মিছেমিছি কাউকে ভ্রমের মাঝে রাখার?- এটা আমার দর্শন। একাকীত্ব ভালোবাসিনা, কিন্তু একাকীত্ব আমাকে ভালবাসে! প্রতিদিন কষ্টটাকে গ্রহণ করি সুখের পেয়ালায়, অন্যান্য মেয়েদের মতন ভান করি যেন সদ্য জন্মেছি; তবে অন্যায় সহ্য করিনা/করতে চাইনা। একারণেই কেউ কেউ বলে তসলিমা নাসরিন বুঝি তোমার প্রিয় লেখিকা?- আমি হাসি( এই হাসির অর্থ-Yes or no whatever you want to think!)...আবার কেউ বলে-তুমি হলে আধুনিক মৈত্রেয়ী! { জীবনটা যেন পোয়েট্রি! নাহ,প্রেমের মূল্য নয়।চাই ব্যথার প্রতিশোধ।তবে তাও নেব না,নিলে তা রাখবো কোথায়?এমনিতে অনেক কষ্ট জমে গেছে এ বুকে! -তবে? -তব কিছু নয়!সুখে থেকো,তোমার সুখই আমার দুঃখ!} কোন কোন সময় আবার- আমি মৃণ্ময়, আমি চিন্ময় আমি অজর-অমর-অক্ষয়, আমি অব্যয়! আড্ডাবাজ মানুষ-আড্ডা দিতে ভালোবাসি বইয়ের দোকানে; বেশীরভাগ সময় রাজশাহী নিউমার্কেটের বইপত্রে। কোন উত্তর যখন হ্যাঁ অথবা না এর মধ্যে হয় তখন বেশীরভাগসময়ই হ্যাঁ বলতে ভালোবাসি। কেউ যখন বলে- তোমার ওই লেখাটা খুব ভালো লেগেছে, শুনে আনন্দিত হই। তবে হিংসা করা এবং যে হিংসা করে উভয়ই এড়িয়ে চলি। নিজের শিল্পীসত্তাকে ভালোবাসি আমি, ভালোবাসি নতুন কিছু করতেঃ সে হোক আর না-ই হোক! অতিদুঃখে অথবা অতি আনন্দে অতি সহজেই পানি আসে চোখে, কিন্তু সেটা গোপন করার অদ্ভুত কৌশল আছে আমার জানা! সবচে বড় সমস্যা বোধ করি যখন কেউ আমার আত্মবিশ্বাসকে অহংকার হিসেবে গন্য করে। ছবি তুলতে ভালোবাসি নিজে মডেল হয়ে, বৃষ্টিরদিনে প্রাণ খুলে ভিজতে ভালোবাসি এবং ভেজার সময় প্রতিবারই গাই মনে মনে- যদি মন কাঁদে, তুমি চলে এসো এক বরষায়! আর... পৃথিবীর সবচে সুস্বাদু খাবার মনে হয় ফুচকাকে! মাঝেমধ্যে মনে হয়,কেউ যদি বলে পরেরজনমে কি হতে চাও তুমি?- আমি একটুও না ভেবেই বলব ফুচকাওয়ালা! অমর হবার বাসনা নেই তবে অমরত্বের প্রতি অদৃশ্য মোহ আছে আমার। সবচে প্রিয় শব্দঃ ভালোবাসা,দেবী,প্রিন্সেস, প্রিয়তম এবং পাগলী! কেউ যদি জানতে চায় তোমার জীবনে পড়া সেরা তিনটি বইয়ের নাম বলো, আমি বলব- ১।The Man From St Petersburg- Ken Follett , ২। Eleven minutes-Paulo Coelho, ৩। Cleopatra- Sir Henry Ryder Haggard। এই বইগুলোর গুণ এই নয় যে তারা আমাকে আবিষ্ট করেছে, বইগুলির গুণ হল তারা আমাকে স্বপ্ন দেখিয়েছে, স্বপ্নদেখানিয়া বই! প্রিয় মানুষঃ আমার মা। প্রিয় রঙঃ লাল( একধরণের আকর্ষণ আছে এই রংটায়, টানে কিন্তু বাঁধনে জড়ায় না!)। প্রিয় তিন কবিঃ Edgar Allan Poe, Thomas Hardy, রবিঠাকুর। প্রিয় তিন কবিতাঃ The two were silent in a church, Whose mildewed walls, uneven paving-stones, And wasted carvings passed antique research; And nothing broke the clock’s dull monotones. Learning against a wormy poppy-head, So wan and worn that he could scarcely stand, -For he was soon to die, - he softly said, ‘Tell me you love me!’- holding hard her hand. She would have given a world breath ‘yes’ truly, So much his life seemed hanging on her mind, And hence she laid, her heart persuaded thoroughly ’Taws worth her soul to be a moment kind. But the sad need thereof, his nearing death, So mocked humanity that she shamed to prize A world conditioned thus, or care for breath Where Nature such dilemmas could devise. Her Dilemma (Thomas Hardy) My heart to joy at the same tone, And all I loved, I loved alone. Then in my childhood, in the dawn Of a most stormy life-was drawn From every depth of good and ill The mystery which binds me still. From the torrent, or the fountain, From the red cliff of the mountain. Alone (Edgar Allan Poe) জীবন যখন ছিল ফুলের মতো পাপড়ি তাহার ছিল শত শত বসন্তে সে হত যখন দাতা ঝরিয়ে দিত দু’চারটি তার পাতা তবুও যে তার বাকি রইত কত! আজ বুঝি তার ফল ধরেছে তাই হাতে তাহার অধিক কিছুই নাই হেমন্তে তার সময় হল এবে পূর্ণ করে আপনাকে সে দেবে রসের ভারে তাই সে অবনত। (রবিঠাকুর) প্রিয় বাক্যঃ প্লিজ ঘুম হয়ে যাও চোখে, আমার মন খারাপের রাতে! প্রিয় গানঃ (গানের তো শেষ নেই, গান দিয়ে আমি আর কষ্টগুলোকে অনুভব করি আর সুখটুকু উপভোগ করি!) ১।ভালোবেসে সখী নিভৃতে যতনে আমার নামটি লিখো তোমার মনেরও মন্দিরে, আমার পরাণে যে গান বাজিছে তাহার তালটি শিখো! (ভাবতে ইচ্ছে করে কোন এক রাজপুত্র গাইছে আমার জন্য সমুদ্রের পারে গিটার নিয়ে বসে, সেই সুর বাতাসে ভেসে লাগছে আমার হৃদয়ে এসে!) ২। Why does the birds go on flaying, Who do the stars glow above? Don’t they know it’s the end of the world? It ended when I lost your love! ৩। তুমি চাইলে জোছনা, স্বপ্নিল কোনো রাতে আকাশটা ঘিরে প্রার্থনা। চাঁদটা বলবে হেসে জোছনা এলে শেষে, জানিও তোমার অভ্যর্থনা! প্রিয় গানেরা, বেঁচে থাক এই চিরসবুজ হৃদয়ের জমিনে! বার্লিনের ফুটপাতে নয় অথবা নয় তাজমহলের অন্দরে, আমি মরতে চাই যাকে সবচে ভালোবাসি তার কোলে মাথা রেখে। সবচে কষ্ট পাই যখন কেউ আমার কোন সরল স্বীকারোক্তিকে বিকৃত করে, অবহেলা করে, অবজ্ঞা করে। সেই মুহূর্তগুলো কাটে মৃত্যাধিক যন্ত্রণায়। চাইনা কেউ আমার পদচিহ্ন অনুসরণ করুক কিন্তু নিজেকে অনুসৃত ভাবতে মন্দ লাগেনা! খুব কষ্টের মধ্যে মনের মধ্যে বাজে মিফতা নামের সেই প্রিয় শিল্পীর গান- হাজার বছর এমনি করেই আকাশের চাঁদটা আলো দেবে, আমার পথে ক্লান্ত ছায়া আজীবন রয়ে যাবে; তবু এ অসহায় আমি ভালবাসবো তোমাকে! মাঝে মধ্যে সুন্দরের প্রতি অদ্ভুত হাহাকার জাগে তার ক্ষণস্থায়িত্বের কারণে! চাঁদের জোছনা আর কালবৈশাখীর শোঁ-শোঁ আওয়াজেও হাহাকার মিশে আছে! টেরাকোটা ছিন্নভিন্ন মেঘেরা একত্রিত হবে এই উদার জমিনের সোঁদা ঘ্রাণে; যেমন করে বিস্মৃত স্মৃতিরা আলোড়িত হয় এবং করে, সমগ্র স্মৃতিসত্তার প্রজ্বলিত শিখাসমূহকে, আবেগের আদিগন্ত দৃষ্টিপাতের বৃষ্টিপাতে! নয়নের তাঁরায় আত্মসমর্পণ করে দৃষ্টি যখন, সময়ের পদচিহ্নের ছায়ালিপি আঁকে স্বপ্ন তখন। যাকে তোমরা প্রেম বলো, হয়তো আমরা গান বলি, আর তারা হয়ত কবিতা বলে! (আমার লেখা) কবিতার আশ্রিতা আমি আর ছোটোগল্প আমার আশ্রয়! এই দুইয়ে মিশেই স্পর্শ করি স্বপ্ন, সত্তা আর আত্মাকে, আমার ভালোবাসাকে! যে আমাকে খুব কষ্ট দিয়েছ জীবনে তার প্রতি প্রযোজ্য এটুকু- একটি চড়ুইয়ের সাথে দু-মুহুর্ত কাটিয়ে জীবনকে আবার ভালোবাসলাম। -হুমায়ুন আজাদ নিজেকে সান্ত্বনা দেইনা আমি, বলি-তোমারও প্রয়োজন ছিল আমার জীবনে কষ্ট চেনার জন্য, আমাকে কষ্ট চেনাবার জন্য! তাই, তোমাকে ধন্যবাদ! আর যে ভেবেছ, ঠকিয়েছ আমাকে তাকে বলি- সমগ্র পৃথিবী তোমাকে ঠকিয়েছে, তাই তুমি ভাবছ জিতেছ আমাকে ঠকিয়ে! আমার প্রতি এবং আরো অনেকের প্রতি অন্যায়গুলো আমাকে প্রতিবাদী হতে শিখিয়েছে। আমি তাই কে কি ভাবছেন সেই ধার ধারিনা। নিজের মতন লিখি। তবে সমাজের প্রতি যে দায় আছে তা না এড়িয়ে, কারণ আমি সমাজ বহির্ভূত নই! সমাজের কোন অন্যায় দেখলে আমি তা সমাজের মধ্য থেকেই সমাজকে বলবো,বাইরে থেকে নয়। সময় বয়ে যায়, আর ভাবি- সে সময়টা খুবই রঙিন ছিল! তাইরে নাইরে হৈরৈভইভই ছিল! ফুচাকার তেঁতুলের মত টক-টক ছিল! মোমের মত গলে যাওয়া আইসক্রিমের মতন মিষ্টি ছিল! ( আমার লেখা গল্প ‘রোজ শনিবার তেইশে আষাঢ় চোদ্দশ উনিশ বঙ্গাব্দ’ থেকে নেওয়া) ঈশ্বরকে প্রার্থনা জানাই- ও কারিগর দয়ার সাগর ওগো দয়াময়, চাঁদনি পহর রাইতে যেন আমার মরণ হয়! (হুমায়ূন স্যারকে ভুলিনাই!) কেউ যদি জানতে চায় কোন তিনটি দৃশ্য দেখার পর মনে হবে জীবন সার্থক, আমি বলব- ১।বৃষ্টিপাত, ২।জোছনা ঝরে পড়া এবং ৩।তুষারপাত! এটা একটা প্রিয় কথা- A girl knows her limits, but a wise girl knows she has none...... - Marilyn Monroe এই প্রিয়কথা জানার পরেও কিন্তু আমি গোলোকধাঁধায় ঘুরপাক খাই, আমি কি বুদ্ধিমান,অতিবুদ্ধিমান,বোকা নাকি অতিবোকা? একেক পরিস্থিতিতে একেকটা মনে হয়! তবে আমাকে ঈশ্বর যদি কখনো প্রশ্ন করতেন-ধরো পরমাণুর ইলেক্ট্রন, প্রোটন না নিউট্রন হতে চাও? আমি কিছু না ভেবেই বলতাম- নিউট্রন! আমার কোন আধান থাকবেনা, অথচ সবাই আমাকে ঘিরেই ঘুরবে! এই অদ্ভুত চিন্তা হওয়ার কারণ জানিনা! তবে হয়েছে এটাই বড়কথা! আমার বেলায় এই গানটা খুব মানানসই বলে মনে হয় মাঝে মধ্যে( সম্ভবত এই গানের শিল্পীর গলায় মারিজুয়ানা মাখানো!) বুকে ঝড় তুমকালামই সঙ্গী আমি পেলেম কই? রুমালে নকশা হাজার প্রেমিক সাজার এলেম কই? ঘুমে কার মুখ দেখো তাই স্বপ্ন কিনে আনোনা! তোমার ঘরে বসত করে কয়জনা? প্রয়োজনীয় বিশেষ কথাটা বলে রাখি- একাত্তর সালে পাকিস্তান নামের দেশ থেকে এসে যারা ঘুমন্ত মানুষের উপর গুলি চালিয়েছিল তারা যুদ্ধ করতে আসেনাই! এসেছিল মানুষ মারতে, ভূখণ্ড দখল করতে। সেই দখলদারদের সরাতে আমাদের সময়ের প্রয়োজনে যুদ্ধ করতে হয়েছে। আমরা করেছিলাম যুদ্ধ, তারা কিন্তু না! এইমুহূর্তে যা বলছি তাও সময়েরই প্রয়োজনে। সময় আমাকে প্রতি মুহূর্তে শেখায়- কি বলতে হবে এবং কেন বলতে হবে। আমি সময়ের কাছে দায়বদ্ধ এবং সেই দায় এড়াবার অধিকার, যোগ্যতা ও মানসিকতা এই তিনটার একটাও নেই আমার; চাইও না কখনো হোক সেটা। গর্বিত বোধ করি আমার মা’কে নিয়ে যিনি আমাদের সেই মহান বিদ্রোহী নারী প্রীতিলতার নামানুসারে আমার নাম রেখেছিলেন। আমি প্রিতিলতা নই, জান্নাতুন নাঈম প্রীতি। তবে আমি তার আদর্শে বিশ্বাসী। [বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ যারা আমাকে অ্যাড করতে চাচ্ছেন বা যাচ্ছেন তাদেরকে বলছি- কাউকে মুগ্ধ করার জন্য আমি আমার প্রোফাইল লিখিনি আমি। সেটাই লিখেছি যেটা আমি নিজে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ‘মে বি’ বলা এবং শোনা আমার স্বভাব বিরুদ্ধ। যেমন -কারো জীবন-মরণের প্রশ্ন যেখানে। আমি মনে করি কাপুরুষের মত 'না' অথবা সাহসীর মত 'হ্যাঁ' বলাটাই উচিত। মধ্যম পন্থা ‘মে বি’ নয়।যারা ১৯৭১ এর ৪১ বছর পর খতিয়ান দেখতে যায় সেটা করা উচিত না অনুচিত ছিল তাদের প্রত্যেকটাই কাপুরুষ। আমি কেন, পৃথিবী নিজেই কাপুরুষদের ছুঁড়ে ফেলেঃ ইতিহাস তাই-ই বলে। তাই আমিও ছুঁড়ে ফেলব। গ্রহণ না করলেও জোর করে গ্রহণ করানোর স্বভাবটাও কিন্তু সমস্ত কাপুরুষের মধ্যেই দেখি! এটা যাদের মধ্যে দেখি তারা দয়া করে আমাকে অ্যাড রিকোয়েস্ট পাঠাবেন না। আমি কাপুরুষ দিয়ে আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ভরা এটা দেখতে চাইনা। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি খুব ঘৃণা করি। যে যার ধর্ম পালন করুক, না করলে না করুক; এটা ব্যাক্তিগত বিশ্বাস-অবিশ্বাসের ব্যাপার, আমার মাথাব্যাথার বিষয় নয়। আমি ফ্যানাটিক পছন্দ করিনা, তারা আমার বৃত্তের বাইরে থাকুক। গসপেল, শ্লোক, হাদিস, সূরা বা কোন আয়াত শুনে এবং শুনিয়ে একে অন্যের প্রতি কাদা ছোড়াছুড়ি করার মানসিকতা আমার নেই এবং সেটা করাটা নিষ্প্রয়োজন আমার কাছে । মনে প্রানে বিশ্বাস করি- চেতনা না থাকলে অচেতনদের চেতনা জাগাতে হবে, নিজেও যদি অচেতন হয়ে যাই তাহলে তো কিছুই হবেনা। বরং অচেতন মানুষের সংখ্যা আরো বাড়বে! আমি তা হতে দেবনা। অন্যায় সহ্য করবনা, করবনা এবং করবনা। আরও বলে রাখছি- আমি যুদ্ধ করব তখনই যখন, শত্রুপক্ষ যে অস্ত্র ব্যাবহার করেছে সেটা ব্যাবহার করে লড়াই করাটাকেই যুদ্ধ বলে। কেউ যদি বেরেটা পয়েন্ট টু ক্যালিবারের অস্ত্রের সামনে হায়ার সফস্টিকেটেড মিসাইল নিয়ে আসে তাহলে আমি সেটাকে যুদ্ধ বলিনা, বলি- ক্ষমতা প্রদর্শন! তাই-ই কারো যদি ইচ্ছা হয় আমাকে গালাগালি করার, সেটা আমার সামনে করলে খুশি হবো। আড়ালে নয়। আপনার মতামত, চরিত্র, ব্যাবহার, নৈতিকতা-ই প্রমাণ করবে আপনি কে এবং কি! আমি পরিমাপক নই বা সাইক্রিয়াটিস্টও নই! জাস্ট দর্শক! তবে এটাও বলে রাখা ভালো দর্শক ততক্ষণই থাকবো যতক্ষণ আপনি দর্শিত হবেন। আপনি অন্যায় করবেন বা সেই জাতীয় কথা বলবেন আর আমি মুখ বুজে চুপ করে সহ্য করব,এটা আমার বেলায় অসম্ভব।]
কেউ কি খেয়াল করেছেন, এই জামাত-শিবিরের মুনাফিকেরা ব্লগার হত্যা করে,শহীদ মিনার ভাঙে, জাতীয় পতাকা আর বইমেলায় আগুন দেয়, বাংলাদেশকে পাকিস্তান বাননোর কুচেষ্টা চালায় আবার এরা বাংলাতেই আমাদের ব্লগারদের নাস্তিক বলে,...
জামাত শিবিরের বদমাইশগুলো রাজীব ভাইকে যে শুধু হত্যা করেছে তাই-ই না, তার মৃত্যুর পর ‘থাবা বাবা’ নামে ‘নূরানিচাপা’ নামের যেসব নোট দিয়েছে তার একাউন্ট হ্যাক করে তাকে মুসলিমদের কাছে হেয়...
রাজীব ভাইয়াকে মেরে এই মুনাফেকেরা বুঝতে পারেনি যে আমাদেরকে উসকে দিয়েছে ওরা। আমরা শরীরের শেষ রক্তবিন্দুটি থাকা পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যাবো...
আমরা যারা আন্দোলন করছি সবাই নাকি নাস্তিক! কবে না...
আজ চ্যানেল টুয়েন্টিফোরে Channel24 আজকের মহাসমাবেশ নিয়ে বক্তব্য দেবেন লেখক ও কবি রুদ্র সাইফুল, কাদের মোল্লাসহ সকল রাজাকারদের ফাঁসির দাবীতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বন্ধুদের কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত বর্ণনা দেবেন তিনি। আমন্ত্রণ...
“বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি বুঝে নিক দুর্বৃত্ত” অভিনন্দন রাজশাহীর তরুণদেরকে! তারা একযোগে যোগ দিয়ে সফল করেছেন আজকের ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া ইভেন্টটি। বন্ধুরা, তোমাদের জানাই ভালোবাসা।
আজ আমরা সফলভাবে স্বাক্ষর গ্রহণ...
কোন কবিতা লিখতে এত উত্তেজনা বোধ করেনি কোন কবি!
যেন এক শতাব্দীর একসহস্র প্রেমের
একশটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছি আমি!...
©somewhere in net ltd.