![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঘুরতে খুব ভালোবাসি,মোটামোটি প্রকৃতির কোলে গিয়ে ঘুমানোর স্বপ্নটাকে জীবনের মুল প্রতিপাদ্য করে নিয়েছি ৷
এবারের ইদে কোথায় যাবো,ঠিক করে ভেবে পাচ্ছিলাম না ৷ শেষে আবারও শ্রীমঙ্গল যাওয়ার ভুত চাপলো মাথায় ৷ প্রাথমিক চিন্তা হামহাম যাওয়ার হলেও অতিরিক্ত বর্ষার জন্যে একটু পরিবর্তন আনলাম ৷ যাবো আমার স্বপ্নের পাংতুমাই,বিছানাকান্দি তে ৷
ইদের পর দিন রাতে আমরা চারজন হানিফ এন্টারপ্রাইজ এর বাস এ করে রওনা হই শ্রীমঙ্গল এর পথে ৷ পরদিন ভোর ৫ টায় আমরা পৌছায় শ্রীমঙ্গল এ ৷ নেমেই আমরা আগে থেকে ঠিক করা হোটেল আর-রহমান এ উঠি ৷ কিছুক্ষন বিশ্রাম নিয়ে আমি বের হয়ে সারাদিনের জন্যে একটা সিএনজি ঠিক করলাম ৷ সকালের নাস্তা শেষে আমাদের প্রথম গন্তব্য শমসেরনগর বিমান বন্দর এর দিকে ৷ প্রায় ২০ কিমি রাস্তা অতিক্রম করে যখন আমরা বিমানবন্দর এর সামনে,তখন হতে হলো আমাদের হতাশ ৷ ভিআইপি থাকার কারনে আজ আমরা ভিতরে প্রবেশ করতে পারবোনা ৷ তো হতাশা নিয়েই আবার ফিরতি পথে আমরা ৷ মনের মধ্যে একটাই ভাবনা মাধবপুর লেক যেনো আমাদের নিরাশ না করে ৷ কমলগঞ্জ এ অবস্থিত মাধবপুর লেক এক কথায় অসাধারন ৷ বিশাল আঁকাবাঁকা লেকটিকে ঘিরে আছে অসংখ্য চা পাতার টিলা ৷ লেকের সর্বোচ্চ টিলা থেকে লেক টি আরও সুন্দর মনে হয় ৷ তার থেকেও সুন্দর ছিলো অল্প দূরত্বের ত্রিপুরার পাহাড় গুলো ৷ ইচ্ছা ছিলো একপাশ থেকে শুরু করে অন্যপাশ দিয়ে বের হবো,কিন্তু প্রচন্ড রোদ এ বাধা ৷ অর্ধেক গিয়ে আবার ঐ রাস্তা দিয়ে ফিরলাম ৷ যাক মনটা অনেকখানি তৃপ্ত ৷
শহরে ফিরতি পথে পুরোনো সৃতি কে তাজা করার জন্যে ঘুরে এলাম জেরিন টি গার্ডেন,ইস্পাহানী তে ৷
জেরিন টি গার্ডেন থেকে যখন বের হই তখন দুপুর ৷ ফিরলাম আমরা হোটেলে ৷ কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আবারও বের হবো ৷ এবারের গন্তব্য এমন একটা যায়গা যেখানে হয়তো আগে কেও কখনো যায়নি ৷
আমার একটা অভ্যাস হলো কোথাও যাওয়ার হলে গুগল ম্যাপ্স এ বসে আশেপাশের যায়গার নাম ও দূরত্ব জানতে চেষ্টা করি ৷ সেই প্রচেষ্টাতেই আমার সামনে ধরা দিলো সিন্দুরখান উপজেলার খেজুরীছড়া চা বাগানে ৷ বিকেল ৩ঃ৩০ এর দিকে আমরা রওনা হলাম সিন্দুরখান এর উদ্দেশ্যে ৷ শ্রীমঙ্গল থেকে ১৫ কিমি দূরে গ্রাম রাস্তা ধরে পৌছালাম সিন্দুরখান ৷ কিন্তু এবারের বাধা হলো অবিরাম বৃষ্টি ৷ তাই সিএনজি তে বসেই দেখতে থাকলাম সিন্দুরখান এর অপরূপ চা বাগান আর গাছে ঘেরা রাস্তা ৷ এখান থেকে ত্রিপুরা বর্ডার খুব বেশী দূরে নয় ৷
বৃষ্টিস্নাত অবস্থায় আমরা প্রবেশ করলাম নীলকন্ঠ টি কেবিন এ ৷ সবকিছু সেই আগের মতোই আছে মানে চা এর দাম আরকী!!
চারজন এ চারটা সাত রঙা চা পান করে ফিরলাম শহরে ৷ তখন প্রায় সন্ধ্যা, সিএনজির টাকা মিটিয়ে আমরা হোটেলে ফিরলাম ৷ রাতে শহর টাকে হেটে হেটে দেখলাম ৷ সঙ্গী ছিলো লটকন!! আধ কেজি লটকন চোখের পলকেই খতম করে দিছিলাম আমরা ৷
এবার ঘুমের পালা,পরদিন সকাল সকাল উঠতে হবে তো ৷
কিছু ছবিঃ
১)সেলফি
২)মাধবপুর লেক
৩)বিনয়
৪)শরীর টাকে ঠান্ডা করার প্রচেষ্টা
৫)তানভীর ভাই
৬)এই পথ ত্রিপুরা যায়
৭)জেরিন টি গার্ডেন এ তানভীর ভাই ও বিনয়
৮)আমরা চারজন সিন্দুরখানে
৯)সিন্দুরখানের চা বাগানে আমি
১০)নীলকন্ঠ টি কেবিন
১১)শ্রীমঙ্গলের সকাল
১২) শমসেরনগর আর হতাশা
১৩) হবিগঞ্জ এর ভোর
১৪)অপরুপ সিন্দুরখান
১৫)মাধবপুর লেকে শাপলা
চলবে.....
১৬ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৮
ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর ভাই ৷
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪০
সুমন কর বলেছেন: লেখা আর ছবি দেখে ভালো লাগল। +।