![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঘুরতে খুব ভালোবাসি,মোটামোটি প্রকৃতির কোলে গিয়ে ঘুমানোর স্বপ্নটাকে জীবনের মুল প্রতিপাদ্য করে নিয়েছি ৷
আবারও সেই মেইল ট্রেন ৷ ঘুরতে থাকা চিলের আরও একটি সফল ট্যুর শেষ করে আসলাম আমরা ৷ এবার ১২ জন মিলে রওনা হয়েছি সিতাকুন্ডের উদ্দেশ্যে ৷ সারারাত ট্রেনে গান-বাজনা করে সকাল ৭ টায় আমরা পৌছাই সিতাকুন্ড রেলওয়ে স্টেশন এ ৷ সেখানে সকালের নাস্তা করেই আমরা রওনা হই বাড়বকুন্ডের উদ্দেশ্যে ৷ বাড়বকুন্ড থেকে আমাদের পায়ে হাটা শুরু ৷ হিন্দু ধর্মাবলম্বী দের কেনো উৎসব থাকাতে বেশ মানুষ দেখেছিলাম সেদিন বাড়বকুন্ড ধামের পথে ৷ মন্দির থাকাতে রাস্তা দিয়েই মন্দির পর্যন্ত যাওয়া যায় আবার রাস্তার ডান পাশেই রয়েছে ঝিরি পথ ৷ প্রায় ৪০ মিনিটের মতো পাহাড়ে কাটা মানুষের পথ ধরে আমরা পৌছে যাই বাড়বকুন্ড ধাম/ অগ্নিকুন্ড তে ৷ বাড়বকুন্ড কে অগ্নিকুন্ড ও বলা হয় ৷ সারা বছরই এই মন্দির টি তে পানি থেকে প্রাকৃতিক ভাবে আগুন জ্বলে ৷ হতে পারে তা প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে সৃষ্টি আবার হতে পারে তা হিন্দু ধর্মাবলম্বী দের মতানুযায়ী ধর্মীয় আশীর্বাদ ৷
বাড়বকুন্ড ধামের ঠিক পিছনেই সিতাকুন্ডের বিখ্যাত খাড়া কাম্বা পাহাড় ৷
মন্দিরটির সাথেই আছে একটি ছোট্ট পাহাড় যার উপর উঠলে পুরো মন্দিরের অসাধারন দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায় ৷
কিছুক্ষন সময় আমরা মন্দিরটি ঘুরে মন্দিরের নিচের ডান পাশের ঝিরি পথ ধরে এগুতে থাকি ৷ সিতাকুন্ডে তে বৃষ্টি হওয়ায় আমরা ঝিরি পথে মোটামুটি পানি পাই,যা থাকার কথা না এই সময়ে ৷ পথে উচু নিচু পিচ্ছিল কিছু ক্যাসকেড আছে , ৩-৪ টি গভীর খুম আছে যা বর্ষাকালে যারা সাতার পারেনা তাদের জন্যে মারাত্নক বিপদজনক ৷ যারা সাতার পারেনা তাদের অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ রইলো ৷
অনেকেরই প্রথম ট্রেকিং হওয়াতে পা পিছলে পড়েছিলো!! আশা করেছিলাম বাড়বকুন্ড ক্যাসকেড এ কিছুটা পানি পাবো কিন্তু তা আর হয়নি ৷ ক্যাসকেড পুরো পানি শূন্য ৷ তবে পাহাড়ের খাজে এই ঝিরিপথ গুলো সৌন্দর্যের আধার ৷
আমরা বাড়বকুন্ড ফিরে এসে সিএনজি তে করে চলে যাই সিতাকুন্ডের পন্থিছিলা বাজার এ ৷সেখানে দুপুরের খাবার খেয়ে রওনা হই পরবর্তী উদ্দেশ্য ঝরঝরি ঝর্নার উদ্দেশ্যে ৷ কিছুক্ষন হাটার পরই পেয়ে যায় রেললাইন ৷ তবে অন্যান্য ট্রেইল এর মতো এটি সরাসরি রেললাইনের ওপাশের রাস্তায় না৷ রেললাইন পৌছিয়ে হাতের বামে ৫ মিনিট হাটলেই একটি গ্রাম্য পথ পাহাড়ের দিকে চলে যায়,সেই পথ ধরেই এগুতে হয় ৷
গ্রাম থেকে আমরা সুজন নামের একজন গাইড ঠিক করি ৷ প্রথম বার হলে এই ট্রেইল এ গাইড ছাড়া যাওয়া প্রায় সম্ভব না ৷ গাইডের সাথে করে আমাদের পথ চলা শুরু ৷ প্রায় ৪০ মিনিটের মতো হেটে আমরা পৌছাই একটি নাম না জানা পাহাড়ের নিচে ৷ ভাবতে পারিনি পথ কঠিন হতে শুরু করেছে ৷ এই শুরু একনাগাদ সরু রাস্তা ধরে উপরে উঠে চলা ৷ প্রায় ৭০০ ফিট একটানা উঠতে আমরা সবায় কাহিল ৷ আবার ৭০০ ফিটের মতোই নিচে নেমে আমরা পেয়ে যাই ঝরঝরি ঝর্নার নিজস্ব ঝিরি পথ ৷ ঝিরিপথে ভালোই পানি ৷ ৩০ মিনিটের মতো হেটে পেয়ে যাই ঝরঝরি অপরূপ ঝর্না ৷ সারাদিন কাধে ব্যাগ নিয়ে হেটে অবশেষে একটু ঝর্নার দেখা পেয়ে সবায় মহাখুশি ৷ অপেক্ষা কীসের!! সবায় ভিজিয়ে নেই শরীর ঝর্নার ঠান্ডা পানিতে ৷ সেখান থেকে আমরা ঝর্নার আপস্ট্রিম ধরে এগুতে থাকি ৷ ছোট ছোট কিছু ক্যাসকেড পার করেই পেয়ে যায় অনিন্দ্য সুন্দর ঝরঝরি ক্যাসকেড ৷ এই ক্যাসকেড এ যাওয়ার পথ বর্ষাকালে প্রচুর কঠিন কারন, পথেই বিশাল একটা গভীর খুম আছে ৷
এবার ফেরার পালা,সেই ভঙ্গুর পথ পাড়ি দিয়ে পন্থিছিলা বাজার পৌছাতে আমাদের বাজে ৫ টা ৷ সেখান থেকে আমরা চলে যায় মিরসরাই এর হাদি ফকিরহাট ৷ সেখান থেকে ভিতরের দিকে হাটা শুরু করি, উদ্দেশ্য পাহাড়ে তাবুবাস করা ৷
গাইড সুজনঃ 01812-847578
জনপ্রতি ৫০ টাকা করে নিবে ৷
কিছু ছবিঃ
১)দিনের শুরুতে
২)ট্রেইলে হালকা পানির ছোয়া
৩)পথে পথে
৪)বাড়বকুন্ড ধামের নিচে
৫)বাড়বকুন্ড ধামের নাম ফলক
৬)পাহাড় দেখতে পাহাড় চড়ি
৭)পুরো মন্দির টা
৮)অগ্নিকুন্ডের প্রবেশ মুখ
৯)অগ্নিকুন্ডের ভিতরে
১০)বাড়বকুন্ড ক্যাসকেড এর পথে খুম
১১)ক্যাসকেড পার করার চেষ্টা
১২)ঝরঝরি ট্রেইলের শুরু
১৩)ঝরঝরি ঝর্নায় আমরা সবায়
১৪)ঝর্নায় ভিজি
১৫)ঝরঝরি ক্যাসকেড
১৬)ঝরঝরির পথে মারাত্নক গভীর খুম
১৭)ঝরঝরি থেকে ফিরি
চলবে.....
পরবর্তী ব্লগে লিখবো চাঁদনী রাতে তাবুবাসের অভিজ্ঞতা নিয়ে ৷
২০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:১৮
ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: দলবল নিয়ে একবার অবশ্যই ঘুরে আসবেন । তবে প্রচুর হাটার মানসিকতা আর ভঙ্গুর পথ পারি দেওয়ার সামর্থ্য ভেবে যাবেন ।
২| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:১৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভ্রমনেই সূখ ভ্রমনেই শান্তি
+++++++++
২০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:১৯
ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: আসলেই ভাই । ভ্রমনের মতো শান্তি আর কিছু তেই নাই । অন্তত আমার জন্য ।
৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৭
জাহিদ হাসান বলেছেন: অনেকটা ব্রেয়ার গেইলস এর মত লাগলো আপনাদের। দু:খের কথা হল
আমার মত মানুষ এই রকমভাবে পাহাড় আর জঙ্গল পেরুতে পারবে কিনা সন্দেহ ! তাই আপনাদের মত মানুষদের
ব্লগ পড়েই আশা মিটাতে হবে। খুব ভালো লাগল। আমি ভ্রমন বিষয়ক ব্লগ পড়তে খুবই ভালোবাসি। চালিয়ে যান লেখালেখি।
++++++++++++++++++++++++++
২০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:০৯
ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১৮
অতঃপর হৃদয় বলেছেন: যেতে ইচ্ছে করছে খুব। অনেক সুন্দর সুন্দর ছবি তুলেছেন।
২০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:২৯
ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: দলবল নিয়ে একবার অবশ্যই ঘুরে আসবেন । তবে প্রচুর হাটার মানসিকতা আর ভঙ্গুর পথ পারি দেওয়ার সামর্থ্য ভেবে যাবেন ।
৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:২৩
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ছবি গুলো দারুন হইছে।
২০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:২৯
ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৫৩
সুমন কর বলেছেন: ডিজিটাল ভ্রমণ করে নিলাম। দারুণ শেয়ার।
২১ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৪৩
ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইজান ৷
৭| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:০৭
সঞ্জয় নিপু বলেছেন: আমার এই ধরনের ট্রাকিং মূলক জায়গায় যেতে মন চায় ভীষণ কিন্তু আমি সাপ জোঁক অনেক ভয় পাই , আপনারা তেমন কিছু দেখেছেন কিনা জানাবেন, তবে ঝর্না টা অনেক ছোট বর্ষা কালে মনে হয় সেই রকম পানি হয়।
পোস্টে ভাল লাগা রইল। ধন্যবাদ।
২১ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৪৩
ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: ভাই বর্ষাকালে পানির জন্যে একজন আরেকজন কে ঝর্নার নিচে দাড়ালে দেখতেই পারেনা ৷ দুই দিনের ট্রেইলে সাপ দেখিনি তবে জোক থাকবেই ৷ বর্ষাকালে আরও প্রচুর বেশী থাকবে ৷ একসময় আমি ভয় পাইতাম জোক রে,তবে এখন অভ্যাস হয়ে গেছে ৷
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:১৩
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার টুররে ভাই এসব টুরের কথা শুনলে যেতে খুব ইচ্ছে হয়❤