![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঘুরতে খুব ভালোবাসি,মোটামোটি প্রকৃতির কোলে গিয়ে ঘুমানোর স্বপ্নটাকে জীবনের মুল প্রতিপাদ্য করে নিয়েছি ৷
হাদি ফকিরহাট থেকে গ্রামের প্রায় ২ কিলো রাস্তা পার করে আমরা চলে আসি পরের দিনের গন্ত্যব্য সোনাইছড়ি ট্রেইল এর ঝিরিপথে ৷ ঝিরিপথের ধারেই পেয়ে যাই একটি সমতল ভূমি,যেখানে করবো আমরা তাবুবাস ৷
তখন প্রায় সন্ধ্যা,গ্রামের অনেক পিচ্ছি আর বড় মানুষেরা জোর হয়েছে আমাদের বাসা দেখতে
দ্রুত তাবু সেট করি আমরা পুরোদমে ক্লান্ত শরীরটাকে একটু বিশ্রাম দিতে ৷ কিছুক্ষন তাবু তে বিশ্রাম করেই আমরা ৬ জন হাটা শুরু করি বাজারের উদ্দেশ্যে ৷ রাতে করবো BBQ তার বাজার সদাই করতে ৷ বাকি ৬ জন ঘুমের রাজ্যে ৷ বাজারে গিয়ে নানান জনের নানান মন্তব্য আমাদের ব্যাপারে ৷ আমরা পাহাড়ে তাবুতে কেনও থাকবো তাতেই সবার সমস্যা ৷ কয়েকজন তো বলেও ছিলো থানা থেকে অনুমতি নিয়েছি কিনা! তাদের এরকম ব্যাবহার এ সবার মনেই কিছুটা ভয়ের জন্ম ৷
ক্লান্ত পরিশ্রান্ত শরীর নিয়ে বাজার সদাই করে তাবুর কাছে ফিরতে বাজে রাত ৯ টা ৷ মেহেদী ষষ্ঠ শ্রেনীতে পরে ৷ ওকেই ঠিক করেছি আমাদের গাইড হিসেবে ৷ ওর বাসা থেকে একটি বড় গামলা নেই ৷
সব ই তো হলো! মাংস ধোয়ার পানি পাবো কোই?? হাহা পলিথিন দিয়ে ঝিরি পথ থেকে পানি নিয়ে ধোয়া শুরু করি মাংস ৷ কিন্তু মহাবিপদ!!
আবহাওয়া তো আমাদের প্রতিকূলে ৷ ৬ জন মিলে অনেক রকমের কসরত করেও প্রচন্ড বাতাসের কারনে আগুন জ্বালাতে পারিনি ৷
সবায় হতাশ!!
তখনই বুদ্ধি করে চলে গেলাম পাশের বাড়িতে ৷ উনাদের অনুরোধ করার পর অনুমতি পাওয়া গেলো উনাদের রান্নাঘর ব্যাবহার করার ৷ মানুষ গুলো অত্যাধিক ভালো ৷ ঝিরির অপর পাশের বাড়ির মানুষ আসলো আমরা কিছু খেয়েছি কিনা তা দেখতে ৷ তারাই আমাদের আশ্বাস দিলো কোনো সমস্যা হবেনা, আমাদের মনের সকল ভয় দূর করলো ৷
BBQ করতে করতে রাত ১ টা বাজলো ৷ উনাদের কিছু মাংস দিয়ে আমরা চলে আসলাম তাবু তে ৷ বাকি সবায়কে ঘুম থেকে উঠিয়ে শুরু খাওয়ার পালা ৷
রাত ১ টায় চাঁদের আলোর নিচে বসে মুরগী খাওয়ার ফিলিংস আজীবন মনে থাকবে সবার ৷ অসাধারণ হয়েছে ঝিরির পানি দিয়ে ধোয়া মুরগীর BBQ ৷ খেয়ে তাবুতে ঘুমের পালা ৷ কেউ কেউ ঘুমালো,কেউ কেউ গান গাইলো আর আড্ডা দিয়ে রাত কাটিয়ে দিলাম ৷ অপেক্ষায় আছি সোনাইছড়ি ট্রেইলের, মিরসরাই রেন্জ এর সবচেয়ে কঠিন ট্রেইলের ৷
কিছু ছবিঃ
১)রাতের তাবুবাস
২)ঝিরি থেকে পানি সংগ্রহ করা
৩)ঝিরির পানি দিয়ে মাংস ধোয়া
৪)আগুন জ্বালানোর বৃথা চেষ্টা
৫)অবশেষে BBQ হচ্ছে
৬)সকাল হলো
৭)তাবু উঠানোর পালা
চলবে......
পরের ব্লগে লেখবো আমাদের সোনাইছড়ি ট্রেইল জয় গাঁথা ৷
২২ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪২
ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: বাথরুম এর কাজ গাইড এর বাসায় সেরেছি ভাই। মুরগিও কেনা ভাই,ধরিনি। আর যেখানে আগুন ধরিয়েছিলাম তা মালিক এর কাছ থেকে আদেশ নিয়ে তারপর।
২| ২২ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৫২
অতঃপর হৃদয় বলেছেন: বাহ বাহ! আমার অনেক দিনের শখ তাবু তে থাকার।
২২ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৫৩
ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: একবার অবশ্যই থাকবেন, অসাধারণ!!
৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:১৮
ওমেরা বলেছেন: আপনাদের তো সাহস আছে ভালই । আমার তো আপনাদের তাবু দেখেই কবর কবর মনে হচ্ছে আর ভয় লাগছে ।
২৩ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:২৫
ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: হাহা, তাবু তে থাকার মজাই আলাদা।
৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:৪৪
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: ভালোলাগলো গল্পোটা
২৩ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:২৬
ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:২০
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এমন এ্যডভেঞ্চারপূর্ণ রাতের অভিজ্ঞতা আমার রয়েছে। মনে হলেই ইচ্ছে করে ছুটে যাই বার বার........চলতে থাকুক
২৩ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:২৬
ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৫৩
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
২৩ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:২৭
ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: বান্দরবান থেকে ফিরে এসেই পরের পর্ব দিব ভাইয়া।
৭| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:২৯
নীল-দর্পণ বলেছেন: ঐটুকুন তাবুর মধ্যে কি পা ছড়িয়ে ঘুমানো যায়?
ভাল লাগল ছবি+লেখা
২৩ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:২৮
ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: অবশ্যই ভাই। ৫ জন ইজিলি থাকার পরেও যায়গা থাকে।
৮| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বেয়ার গ্রিলস হতে চেয়েছিলেন নাকি?
২৩ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫
ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: হাহা। আমরা আমাদের মতোই ভাই। কারও মতো হতে চাচ্ছিনা।
৯| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪৩
সালমান মাহফুজ বলেছেন: তাবু না মুর্গির খাঁচা
২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৪২
ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: হাহা।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
এলাকায় মুরগীর অভাব দেখা দেবে মনে হচ্ছে? সকালে বার্থরুমের কাজ কোথায় সারলেন? মানুষের যায়গা জমি নস্ট করেছেন?