![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঘুরতে খুব ভালোবাসি,মোটামোটি প্রকৃতির কোলে গিয়ে ঘুমানোর স্বপ্নটাকে জীবনের মুল প্রতিপাদ্য করে নিয়েছি ৷
ভোর হলো! নতুন দিনের শুরু ৷ পাহাড়ের খাঁজে রোদের খেলা,সাথে প্রচন্ড বাতাস তো আছেই ৷ গাইড মেহেদী বলেছিলে ট্রেইল থেকে ফিরতে বিকেল ৫ টা বাজবে ৷ তবে আমাদের চাহিদা অন্যকিছু ৷ দ্রুত নাস্তা করলাম ৷ ১২ জনে মিলে ৪৫ টা পুরি আর এক পাতিল ডাল+আলু ভাজি সাবার করে দিলাম আমরা ৷ বিল উঠলো মাত্র ৩৩০ টাকা!!
এবার পথযাত্রা শুরু ট্রেইলের দিকে ৷ গ্রামের পথ ধরে কিছুক্ষন আগানোর পরেই রাস্তায় ছোট ছোট বহু পাথর ৷ কিছুক্ষন পরেই বিশাল দানবাকার পাথরের শুরু ৷ এক একটি পাথরের উচ্চতা ১২-১৫ ফিট ৷
আসল পরীক্ষা শুরু এইবার ৷ বাইজ্জাখুম চলে এসেছে , দুই পাশে ১৫০ ফিট খাড়া দুটো পাহাড়ের দেয়াল ৷ মাঝে গভীর সংকীর্ন গিরিখাদ,তার মধ্যে কিচকিচ করছে অগনিত বাদুর ৷ সাথে আছে বাদুরের বিষ্ঠার আশটে দূর্গন্ধ ৷ এই গিরিখাদ থেকে বাঁচতে হলে চড়তে হবে ৭৫ ডিগ্রি কৌনিক আপস্ট্রিম ৷ আপস্ট্রিম এর পথ এতটাই সংকীর্ন যে নিচে চোখ দিলে যে কারো মাথা ঘুরাতে বাধ্য ৷ কিছু কিছু যায়গায় পা দিয়ে বুঝতে পারলাম মাটি নেই সেখানে,শুধুই পাতা ৷ প্রায় ১২ মিনিট লেগেছিলো আমাদের আপস্ট্রিম শেষ করে বাইজ্জাকুমের শেষ প্রান্তে যেতে ৷ কিন্তু এখনো তো ট্রেইল শেষ হয়নি ৷ মাত্রই তো অর্ধেক আসলাম ৷ আরও প্রায় ৪৫ মিনিটের মতো বিশাল বিশাল পাথর আর কিছু পানির খুম পাড় করে আমরা পৌছালাম সৌনাইছড়ি ঝর্নায় ৷ বৃষ্টি হওয়াতে ভালোই পানি আছে ৷ হিম ঠান্ডা পানিতে সবায় শরীর ভিজিয়ে নিলাম ৷ এবার তো ফেরার পালা ৷ তবে সেই একি পথে ফিরতে হলে নামার সময় একটি দুর্ঘটনা হবেই ৷ এবার আমরা ফিরলাম স্থানীয় ভাবে ঢারের ঢালা নামে পরিচিত একটি খাড়া ৬০ ডিগ্রি কৌনিক পাহাড় বেয়ে ৷ উঠার সময় ধরেছে সবায়কে জোক ৷ পেরুতে হয়েছে মৌমাছির চাক,চুলকানো পাতা ৷ প্রায় ১৫ মিনিট পর আমরা নিজেদের প্রায় ১০০০ ফিট উপরে পেলাম ৷ উপর থেকে পুরো মিরসরাই রেন্জ আর সমুদ্র সৈকত দেখতে পেলাম আমরা ৷ আরও প্রায় ৪০ মিনিটের মতো নেমে আমরা পৌছাই ট্রেইলের মুখে ৷ তখন বাজে মাত্র ১ টা ৷ মাত্র ৪ ঘন্টায় আমরা মিরসরাই রেন্জ এর সবচেয়ে কঠিন ট্রেইল টি ৷ জয়নাল এর হোটেল এ খাওয়া দাওয়া করে নিলাম ৷ যেই কারনে আমরা তাড়াহুড়ো করে ট্রেইল শেষ করলাম,এবার তো সেই গন্তব্যের পালা ৷
হাদি ফকিরহাট ফিরে লেগুনা রিজার্ভ করে আমরা চলে গেলাম বাশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে ৷ অনেক শারিরিক কষ্টকে সমুদ্রের বাতাসে মুছে দিতে এসেছি ৷
সবুজ ঘাসের কার্পেট,সবুজ গাছ আর কাদামাটির সমুদ্র সৈকত ৷ অন্যরকম এক সমুদ্র ৷ সেখানে তাবু পিচ করে আমরা সন্ধ্যা পর্যন্ত কাটাই ৷ তারপর লেগুনায় করে ফেনী তে যাই ৷ ফেনী থেকে রাতের ইনা বাস এ করে আমরা ফিরি ঢাকার উদ্দেশ্যে ৷ এভাবেই শেষ হয় মাত্র ১৩০০ টাকায় আমাদের অসাধারন দুই দিনের ভ্রমন ৷
কিছু ছবিঃ
১)যাত্রা শুরু আমাদের
২)পাথরের শুরু
৩)প্রায় ১৫ ফিটের পাথর
৪)স্লিপ খাওয়ার যায়গা
৫)আমরা সবায়
৬)মাঝে মাঝে বানর ও হতে হয়
৭)পাহাড় ওঠা
৮)গিরিখাদের শেষে
৯)পাহাড়ি খাঁজ
১০)সোনাইছড়ি ঝর্না
১১)জোকের কামড়
১২)বাশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে আমি
১৩)আমরা সবায়
১৪)প্রকৃতি
১৫)অসাধারন সূর্যাস্ত
ইউটিউব ভিডিও সোনাইছড়িঃ https://youtu.be/X92t5MAGbNQ
২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৩০
ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: সৈকত দেখতে চাইলে ঢাকার থেকে চট্টগ্রাম এর বাস এ উঠবেন। নামবেন বাশবাড়িয়া,সিতাকুন্ড। সেখান থেকে সিএনজি তে ১৫ টাকা নিবে সমুদ্র সৈকত।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:০৩
সঞ্জয় নিপু বলেছেন: অনেক সুন্দর জায়গা,
যাবার জন্য এই দুর্গম রাস্তা ছাড়া আর কোন সহজ উপায় থাকলে জানাবেন।
শুধু সৈকত তা দেখার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ।