| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।
যে কারণে অবতারণা (স্কিপযোগ্য)
ঘটনা হল গিয়ে, খেয়াল করলাম, যেদিকে মানুষের বেশি টান, সেটা দূরেই থেকে যায়। আর টানটা চলে গেলে সব দূর কাছে চলে আসে। এই যেমন, আমার মোবাইল ফোন সাইকোসিস। একটা সময়ে কি আমিও মোবাইল ফোন সাইকোসিসে আক্রান্ত ছিলাম না? বিলক্ষণ ছিলাম! তারপর ঠিক করলাম, যাকে ব্রিটিশ ইংরেজিতে বলে, গম্ এ মোবাইল ফোন আর অ্যামেরিকান ইংরেজিতে বলে দরদ্ এ সেলফোন, সেটা দূরে যাও! শুধু কথা বলা, এইতো? তাই শুধু এমন একটা ফোন থাকলেই যথেষ্ট যা কথা বলতে পারে, সেইসাথে একটু অডিও প্লে করতে পারে।
কিন্তু তিনি তখন কী যে চাইছিলেন, আমি কি আর তা জানি? ফলাফল, জানুয়ারি মাসে কথা নাই বার্তা নাই, অ্যান্ড্রয়েড ফোন গিফটে পেয়ে গেলাম। এখন এই টেকনো জিনিস নিয়ে আমি কী কর্ব? যথারীতি অডিও শুনি আর কল করি। সিমের নেটই অন করিনি।
অ্যান্ডু ফোনের কত ঘিড়িঙ্গি দেখে তো টাস্কিত। কীসের অ্যাপস ম্যাপস নামায়। আবার সেইসব নামাতে হলে গুগল প্লেস্টোরে যেতে হয়। ইন্সটল করা যায় না ফাইল নিয়ে। তো কিছুটা ব্যবহার করলাম ওয়াইফাই। অ্যাপস ম্যাপস নামিয়ে ভর্তি করে আবার উগলে দিলাম। এরপর শুনলাম রুটমুটও করতে হয়। তামিম ইবনে আমানের ব্লগে সেইসব দেখা শুরু করতে না করতেই বিনা মেঘে বজ্রপাত।
আরেক ফোন সাহেব এসে হাজির। ইনিও গিফট। মেইড ইন চায়না। দেখে চোখ আর ফিরতে চায় না। আইফোন ফাইভ।
আমি যথারীতি অ্যাপস ম্যাপস নিয়ে আবার চিন্তায় পড়ে গেলাম। কিন্তু আমার কষ্ট কি কেউ বুঝবে? গেম-অ্যাপসের গুষ্টি কিলাই, আইফোনে অডিও ঢোকানো যাচ্চে না কেন পিসি থেকে?
মোদ্দা কথা হল, আমি এই বস্তু পেয়ে মাত্র দুইটা কারণে খুশি, প্রথম কারণ, প্যানারোমা ছবি তোলার সুবিধা, দ্বিতীয় কারণ- উফ্! আমার হাতের কাছে একটা মনোলিথ! কমপ্লিট ব্ল্যাক অ্যান্ড শাইনি অ্যান্ড ফিচারলেস মনোলিথ।
আর ফ্যামিলি খুশি টেম্পল রান পেয়ে। হায়রে টেম্পল রান! খালি দৌড়ায় আর দৌড়ায়। আমার চার বছরের বাপধন তো সকাল থেকে রাত পর্যন্ত টেম্পল রানের দৌড়ের উপরই আছে। ছোটভাই, বোনটা কিম্বা কাজিনগুলো খালি দৌড়ায়। দৌড়ায়া পয়সা গুণে। তোমার চেয়ে আমার বেশি। (আমিও দৌড়াই প্রায়ই, কিন্তু কই ক্যাম্নে, শরমের কথা না?)
যাকগা, আমার কাছে ঘটনা হল, এর ডিজাইন। দেখলে মনে হয়, এক টুকরা ব্ল্যাকহোল পড়ে আছে।
মনোলিথ: ২০০১: আ স্পেস ওডিসি থেকে
প্রতিটা মানুষের মাইন্ড শেইপ হয় শৈশব থেকে শুরু করে প্রথম তারুণ্যের উদ্দীপনার মাধ্যমে। আমার এই উদ্দীপনায় অন্যতম পালক ছিল ২০০১: আ স্পেস ওডিসি।
বইটা পড়ার প্রেরণা পেয়েছি সম্ভবত হুমায়ূন আহমেদের লেখা থেকে। তারপর পড়লাম বই। এরপর দেখলাম মুভি।
২০০১: আ স্পেস ওডিসি'র লেখক আর্থার চার্লস ক্লার্ক। এই সিরিজের চারটা বইই মূল ইংরেজিতে এক লহমায় পড়ে ফেলেছিলাম, ২০১০:ওডিসি টু, ২০৬১:ওডিসি থ্রি, ৩০০১: দ্য ফাইনাল ওডিসি সহ। পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সায়েন্স ফিকশন রাইটারদের মধ্যে তিনটা নাম বললে একটা বলতে হবে ক্লার্কের।
ক্লার্কের বই নিয়ে আবার স্ট্যানলি কুবরিকের মত মুভিমেকিং মাস্টারমাইন্ড সেই ষাটের দশকে বানান ২০০১: আ স্পেস ওডিসি। মজার বিষয় হল, মুভিটা আমি দেখেও ছিলাম ২০০১/ ২০০২ সালে। কী মেকিং! এই যুগেও তব্দা লাগানো বিষয়।
ক্লার্ক এই বইতে দেখান, মহাকাশের নক্ষত্র-এলিয়েনরা সারা সৃষ্টিজগৎ চষে বেড়ায়।
নক্ষত্র-এলিয়েন বা নক্ষত্র-শিশু'র ধারণা কিন্তু ক্লার্ক নিজে থেকে তৈরি করেননি। এই ধারণাটা এসেছে আত্মার ধারণা/ নিরাকার দেবতাদের ধারণা থেকেই। শক্তি অবিনশ্বর। শক্তি এক রূপ থেকে অন্য রূপে রূপান্তর হয় মাত্র।
তিনি দেখাতে চাইছেন, টেকনোলজির সর্ব্বোচ্চ পর্যায়ে যাবার পর, বিভিন্ন গ্রহের প্রাণীরা উন্নয়নের চরম শিখরে আরোহণ করে একটা পর্যায়ে দেহে আর আবদ্ধ থাকতে চায়নি। তারা দেহকে ছেড়ে দিয়ে নিরাকার ধারণ করেছে, যাকে বলা চলে স্টার চাইল্ড। সেই স্টার চাইল্ডদের ক্ষমতা প্রায় অসীম। কারণ তারা আলোর গতিতে গমনাগমন করতে পারছে এবং প্রয়োজন মত শক্তি নিতে পারছে নিথর মহাকাশ থেকে। তাদের স্মৃতিভান্ডারের এককও শক্তি, বিশ্লেষণ ভান্ডারের এককও শক্তি- ঠিক রূহের ধারণা।
তারা মহাকাশের চাষী। কেমন চাষী? যারা বিভিন্ন নক্ষত্রপুঞ্জ বা গ্যালাক্সিতে ছুটে বেড়ায় প্রাণের অস্তিত্ব আছে এমন গ্রহের খোঁজে।
প্রাণের অস্তিত্ব যদি পায়, তখন তারা সেখানে খোঁজে, উন্নততর প্রাণ পাওয়া যায় কিনা সেই সম্ভাবনা।
সমসাময়িক প্রাণগুলোর মধ্যে তথা খাস বাংলায় পশুদের মধ্যে তারা বেছে নেয় সবচে উন্নত জাতটাকে।
এরপরই মজার বিষয়। পাঠিয়ে দেয় একটা কালো, আয়তাকার জিনিসকে, যাকে বলা চলে এক পাথরে গড়া স্তম্ভ। সলিড, মিশকালো, চরম জিনিস।
এই মনোলিথ হল স্টারচাইল্ডদের মাল্টিপার্পাস মেশিন।
এটাই বিশাল মেমোরি ও প্রোগ্রাম সমন্বিত কম্পিউটার, এটাই ট্রান্সমিটার, রিসিভার, আসা-যাবার গেটওয়ে, রিফ্লেক্টর এবং, সবচে ভয়ানক বিষয় হল, ভরকে শক্তিতে রূপান্তরকারী।
এখন বিষয় হচ্ছে,
এই মনোলিথ পৃথিবীতে দিয়ে যায় তারা।
তার ফলে মনোলিথ বানরকে বেছে নেয়।
(ক্লার্ক এখানে এক হিসাবে স্বীকার করে নিচ্ছেন যে, এম্নি এম্নি বানর থেকে মানুষ আসা সম্ভব নয়। তাই তাদের প্রয়োজন অতিরিক্ত জেনেটিক প্রণোদনা। এই পার্টটাই মুভির ও বইয়ের প্রথমে। দেখলে অসম্ভব মজা পাবেন।)
পাথরটাই বানরকে বারবার প্রণোদনা দিতে থাকে। শেখাতে থাকে। শাস্তি দেয়। স্বপ্ন পুঁতে দেয়, সুখে থাকার স্বপ্ন। আঙুল ও হাত চওড়া করতে শেখায়। ধরতে শেখায়। ধরতে শেখার পর সে কী তান্ডব প্রথম বানরের হাতে উঠে আসে হাড়ের রূপী অস্ত্র!
সবশেষে ক্লার্ক গল্পে দেখাতে চাইছেন,
প্রণোদনা ছাড়া বানর থেকে মানুষে রূপান্তর ছিল অসম্ভব। যার আরেক মানে হয়, মানুষ এবং বানরের মধ্যে একটা কিন্তু রয়ে গেছে। সরল গমনাগমন নয়। মানুষ ও বানর এক নয়।
এবং মানুষের এই রূপও পূর্ণ নয়।
তার পূর্ণ রূপ স্টারচাইল্ডে। রূহে।
অর্থাৎ সেই পুরনো কথা- বিজ্ঞান আর আধ্যাত্মিকতা একটা পর্যায়ে গিয়ে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।
আর মুভিটা কিন্তু মিস করবেন না।
আসল ঘটনার কিছুই বলা নেই এখানে। মহাকাশের বিদ্বেষী বুদ্ধিমান কম্পিউটার হাল কীভাবে মানুষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে, কীভাবে মানুষ আউটার প্ল্যানেটের দিকে গিয়ে অবাক বিস্ময়ে মুখোমুখি হয় মনোলিথের...
এখন, তিনি যদি স্টারচাইল্ডদের ফেরেস্তা আকারে দেখিয়ে থাকেন, তাহলে আব্রাহামিক রিলিজিয়ন গুলোর ধারণার একটা বৈজ্ঞানিক আবহ তৈরি হয়, এইতো।
অসাম।
সবশেষে,
আমার মনোলিথের একটা ডাউনলোড করা ছবি-
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৩৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই মাগ্নামুগ্না পেয়ে গেছি। নিজের পয়সায় কখনো কিনতাম কি> অপচয় আমার ভাল লাগে না। খরচ যা করি খাবার পিছনে। এত ইমোটিকন দেখে আমারো মনটা ভাল হয়ে গেল।
২|
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:০৪
মৈত্রী বলেছেন:
কিছু বললাম না। শুধু লিন্ক দিলাম...
Click This Link
Click This Link
মধ্যরাত্রীর ফান হিসেবে নিলেই খুশি হব...
(সিরিয়াস পোস্টে ফান- মনে হওয়ামাত্রই মুছে ফেলার অনুরোধ রইল)
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:২৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন:
৩|
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৪২
রিফাত হোসেন বলেছেন: অপচয় আপেক্ষিক ব্যাপার ! ![]()
অনেকের সখে বা কাজে বা বিলাসীতায় ব্যবহার করে ।
আপনার কাছে অপচয় আর আরেকজনের কাছে নয় !
আমার ক্ষেত্রে নিষ্প্রয়োজন জিনিসই অপচয় । ![]()
তবে আমি ড্রয়িডের পিছনে সময় ব্যয় করি, আমি মানষিক প্রশান্তি বা আনন্দ পাই, একে পরিবর্তন করতে ভালবাসি ।
যেটা আইফুনে সম্ভব কিন্তু সহজ নয় ।
আমি মন্দিরের পথে দৌড়ায়ই ক্লান্ত ,
হুম এই গুলার ক্র্যাক ব্যবহার করি .. হাজার হাজার মাগনা কয়েন নিয়ে বইসা থাকি ![]()
এপস ! ধুর.. সব গুলিই প্রো ভার্সন !
কিন্তু তবুও প্রশান্তি মিলে না, চিন্তা করি কি করা যায় এইটা নিয়া.. করতে করতে পাশের প্রতিবেশীর ওয়াইফাই ক্র্যাকের ধান্দায় আছি !
এই ড্রয়িড দিয়েই !
চিন্তা করতেছি নতুন এক্সপেরিয়া জেড নিব নিব, নিলেই পকেট হয়ে যাবে !
তাই সাহস পাচ্ছি না । পানিতে ভিডিও কল কি রকম টেস্ট হবে ,সেটা চিন্তা করতেছি ! জয়তু ড্রয়িড !
আপাতত গুগল চশমা বেটা মুডে আছে । প্রো মুডে আসলে এক খান নেওয়ার সাহস করব ।
মুভিটা গ্লাসেই দেখে শেষ করব সম্ভবত আগামী ২০ বছরের মধ্যে !
খালি চোখে থ্রিডি ভিডিও দেখার থেটা যুগে প্রবেশ করেছি ! (থেটা নামটা আমার দেওয়া, বাস্তবে এর অবস্থা মার্কেটিং বা প্রো হিসেবে) ..............
যাউগ্গা... হ্যাকার বা প্রোগ্রামার তো কিছুই হইতে পারলাম না, দুধের সাধ ঘোলে মিটাই আর কি, হাতুড়ি ডাক্তার হিসেবে ।
এন্ড ব্যবহারকারীদের আইফুন পারফেক্ট ![]()
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৫১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: খাইসে, ডিজিটালের একেবারে শেষ জমানায় আছেন। প্রতি মুহূর্তে আাপগ্রেডের উপরে...
আপ্নেও দৌড়ান তাইলে! ভাই ব্রাদার পাইলাম রে!
আমি দৌড় থিকা ইস্তফা দিসি। মানে, হায়েস্ট রেকর্ড করার বাসনা থিকা। ওরা এত বেশি ভাল দৌড়াচ্ছে যে, কিসসু করার নাই।
আসলেই, মানুষের শখ একটা পর্যায়ে আর অপচয় থাকে না। পরিপূরক হয়। যদি অন্তর থেকে চাওয়া হয়।
আপনি কিন্তু অবশ্যই প্রতিটা কাটিংএজ জিনিস ব্যবহারের পর পোস্ট দিবেন। খালিচোখে থ্রিডি দেখছেন, কাজটা ভাল হচ্ছে না, আমরা কী দোষ করলাম, একটু জানান টানান, বিশেষ করে চশমার সাথে পার্থক্যটা ভাই খুব দরকার। আমার কাছে চশমা থ্রিডিরে থ্রিডির জাত লাগে না। মেডিটেশনেই এমন কত থ্রিডি দেখি।
৪|
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৪৩
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: স্পেস ওডিসির সাথে আপনার মনোলিথের কম্বিনেশনটা দারুণ লাগল
বলার অপেক্ষা রাখেনা আর্থার সি ক্লার্ক একজন অন্যতম শ্রেষ্ঠ কল্পবিজ্ঞান রচয়িতা এবং অত্যন্ত উঁচু মানের যৌক্তিক চিন্তার অধিকারী। যদি কোনদিন শ্রীলংকা যাই সবার আগে দৌড়ে যাব আর্থার সি ক্লার্কের প্রতিষ্ঠা করা ইউনিভার্সিটিটা দেখতে।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:২৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনার সাথে আমার সম্পর্কটা একটু বুঝায় বলবেন?
আপনি যাবেন ভার্সিটিতে তো আমি যাব ক্লার্কস পয়েন্টে। নিয্যস।
৫|
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৪৫
নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: বিজ্ঞান আর আধ্যাত্মিকতা একটা পর্যায়ে এসে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় । বিজ্ঞান অতি সত্তর এটা মানতে শুরু করেছে, তবে একটু অন্য ভাবে ।
যাই হোক iphone5 কাভার ছাড়া use কৈরেন মজা পাবেন
আর হ্যা মুভিটা দেখব তো অবস্যই রিভু লেখার মত লেইখা তো আগ্রহ বাড়ায়া দিলেন ।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আমার কাভারটাও আইফোনীয় কাভার দিসেরে ভাই! এক্কেরে পাতলা।
ভালল্লাগছে না? দেখেন না একটু সময় করে। আরো ভাল্লাগবে। আসলে আমরা তো এখন স্পিডি। তাই একটু স্লো মুভি দেখতে চাই না।
৬|
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৪২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
পুরোই অন্যরকম একটি লেখা। আমি শেষে এসে হতবাক হয়ে গেলাম।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাল লেগেছে ভাই? আমারও ভাল লাগল আপনার স্পর্শী কথায়।
৭|
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭
ফ্রিঞ্জ বলেছেন: লেখাটা সেইরাম হইসে!
কালাকুলা আইফোন ফাইফ এর চেয়ে কালাকুলা সনি এক্সপেরিয়া আমার ভাল্লাগে।
মাঝে মাঝে পানি দিয়া ধুই
স্পেস ওডিসির প্রথমে বান্দরের চিল্লাপাল্লা শুইনা মাথা ধইরা গেসে তাই আর দেখা হয়নাই... আবার আগ্রহ পাইতেসি!
ধুর কারে রিপ্লাই দেই... আপনার লাস্ট পোস্ট দেইখা তো মনে হইলো আদিওস দিয়া দিসেন!
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: পপকর্ন একটু বেশি কোলে লইয়া তারপর বইতে অইব আরকী। মেজাজ ফুরফুরা অবস্থায়। তাইলে আরাম।
আদিওস তো জানাইসিলাম। পরে দেহি এক্টা পুস্ট করা ফরজ হইয়া গেছে গা।
৮|
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯
ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: আমি কিন্তু মুভিটা দেখিনাই। ফ্রিন্জের মত আমারও প্রথমে ভালো লাগেনাই। দেখতে হবে।
জিরো ডার্ক থার্টি দেখছেন?
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: না, নাম যখন বললেন, জিনিস নিশ্চই। দেখব নির্দিধায়।
হ্যা, এই বিষয়টা প্রথমে একটু বোরিং। বান্দরে চিল্লাইতেই থাকে, চিল্লাইতেই থাকে।
৯|
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩
শব্দহীন জোছনা বলেছেন: সাধারণ দর্শক যদি এই মুভি দেখতে দেখতে ঘুমায়ে যায়, আর ঘুম থেকে উঠে আবার দেখতে থাকে ,তাহলে এই রকম ফিল হতে পার যে, নাহ! মুভি তো একটুও এগোয় নি
আসলেই তাই , এই মাস্টার পিস দেখতে যেয়ে এই অবস্থাই হয়েছিল।যদিও অনেক আগেই আলীমুজ্জামান এর বাংলা ভার্সন, সম্ভবত সেবা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত তা পড়া ছিল, তার পরেও মুভি টা দুর্বোধ্য লেগেছিল এবং মুভি টা এখনও দুর্বোধ্য - ই লাগে। তবে সামুর অনেক পোস্টে - ই যদিও মনোলিথিক নিয়ে অনেক ব্যাখ্যা পড়েছিলাম, তবে আজকের ,আপনার পোস্টের ব্যাখ্যা সবচেয়ে ভালো লাগল। আপনি অনেক সহজ ভাষায় , গুছিয়ে লিখেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
+
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: সাধারণ দর্শক যদি এই মুভি দেখতে দেখতে ঘুমায়ে যায়, আর ঘুম থেকে উঠে আবার দেখতে থাকে ,তাহলে এই রকম ফিল হতে পার যে, নাহ! মুভি তো একটুও এগোয় নি ![]()
এইটুকুতে অবশ্যই দু চারশো সহমত!
আহ, আলীমুজ্জামানের বাংলা অনুবাদটাও পড়েছি।
তিনি নাম দিয়েছেন, 'সন্ধানী'।
অস্সাম অনুবাদ। সেবার মান নিয়ে কথা বলার কিছু নেই।
ভাই ভাল মন্তব্য পেয়ে কৃতজ্ঞ হলাম। ধন্যবাদ।
১০|
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২৫
বোকামন বলেছেন:
সম্মানিত লেখক,
মুভিটির কিছু স্পেশাল ইফেক্ট সেলুলয়েডে ধারন করাকে “ever made” নি:সন্দেহে বলা যায়।
আর আল্লাহর সৃষ্টি সে নিয়ে তো ভাবাই যেতে পারে। ইউনিভার্স অন্ধকারময় সীমাহীন অস্ত্বিত্বের জগতকে ভাবনায় আনতে পারা, নিজের মত করে ভাবতে পারা; বিষয়গুলোকে আধ্যাত্মিকতা বলবো নাকি কল্প বিজ্ঞান। কল্পনা যাই হোক বাস্তবতায় ভাবতে থাকি ....... ঐ যে খুজে ফেরা !
সামনে যত অন্ধকারই আসুক না কেন আমাদের নিজস্ব জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করে তোলা কী যায় না সেই পথকে !
যাই হোক, ভাবা যেতে পারে অনেক কিছুই তবে ব্রেন ভাইরাস ইনফেকটেড হলেই তো সমস্যা ...... ফিল্ম দেখে ভাবতে পারি তবে অজানায় যেন ভাইরাস .........
আর্থার চার্লস ক্লার্কের ফাউন্টেন প্যারাডাইস পড়েছেন কী ?
(স্বল্পজ্ঞানে আপনাদের জ্ঞানে ভরপুর পোস্টগুলোতে মন্তব্য করার সাহস করি, প্রাসঙ্গিক বা অপ্রাসঙ্গিক মাথায় থাকলেও বোকামন কী লিখতে কী লিখে .... বিরক্ত হবেন না আশাকরি)
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: দ্য ফাউন্টেনস অভ প্যারাডাইজ!
অসাধারণ বই। একটু পড়েছিলাম। পরে আর এগোনো হয়নি।
না ভাই, আসলে এখানে শুধু আমরা লেখককে মাপছি। আমাদের বিশ্বাস বা ধারণাকে তো নয়। তাঁর ভাবনার জগত নিয়ে এগুচ্ছি, তাঁর ভাবনাকে আমার বিশ্বাসে পরিণত করতে হবে এমন কোন কথা তো নেই।
বিনোদন ছাড়া আমাদের সায়েন্স ফিকশন দেখার ও পড়ার কারণ মাত্র একটা, ভাবনার জগতকে বিশাল ও বহুমুখী করা।
আসলে সায়েন্স ফিকশনে আধ্যাত্ব্যবাদকে স্রেফ কু সংস্কার হিসাবে দেখানো হয়। তাঁরা আধ্যাত্ম্যবাদকে বা ধর্মীয়তাকে একেবারে জাদুটোনা বা ভুজুং ভাজুঙের জগতে ফেলে দেন। কিন্তু মহান সায়েন্স ফিকশন রাইটারের কলম থেকে যখন অসাধারণ লেখা বেরোয়, আর সেখানে আধ্যাত্ম্যের বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান আসে, আমরা জানি বিষয়টাতো এত সরল নয়, তার পরও স্বাগত জানাই।।
আর মহাকালের উত্তর না পাবার যন্ত্রণা তো মানুষের ডিফল্ট যন্ত্রণা।
এত সুন্দর আর পরিপূর্ণ আলোচনা পেয়ে ভাল লাগল।
(ও, প্রিয় সাহিত্যের প্রতি একটু ফ্যাসিনেশন তো থাকবেই।)
১১|
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৪০
জাকারিয়া মুবিন বলেছেন:
আপনার পোস্ট পড়ে দেখার আগ্রহ জন্মালো। দেখব ছবিটা।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে ভাই। সবচে ভাল হয় মুভি দেখার পাশাপাশি বইটা পড়লে। কারণ বইতে অতি ডিটেইলে লেখক আলোচনা করেছেন যেখানে সিনেমাটোগ্রাফার ইঙ্গিতে তুলে এনেছেন।
এটা অবশ্য কুবরিকের স্বাতন্ত্র্য।
১২|
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২০
দন্ডিত বলেছেন: আমার সবচেয়ে প্রিয় সিনেমাগুলোর একটি কুবরিকের স্পেস অডিসি। যতবার দেখেছি ততবার শিহরিত হয়েছি।
মহাবিশ্ব সম্পর্কে এতটা অবজেক্টিভ হতে পারা সাধারন মননের পক্ষে অসম্ভব।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: হাত মেলান ভাই।
স্পেস অডিসি সবার ভাললাগে না। হয়ত লেংদি প্রসেসের জন্যই। কিন্তু তিনি যা তুলে আনতে চেয়েছেন সেটা তো লেংদি আইডিয়া।
শেষ লাইনটা খুব ভাল লাগল।
১৩|
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: বইটা পড়নাই, সিনেমাটা দেখসি। দেখার পরে অনেক কিছু বুঝিনাই, কিন্তু খুব ভালো লাগসিলো। পড়ে এইটা নিয়ে অনেক পড়ালেখা করসি। এখন মনে হয় মুভিটা দ্বিতীয়বার দেখার সময় চলে আসছে! আরেকটা পোস্টের লিংক দেই আপনাকে, সেখানে এই মুভিটা নিয়ে বিশদ এবং চমৎকার আলোচনা হৈসে, Click This Link
আপনার ভাবনার ধরণটা আমার পছন্দ হৈসে।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: হামাভাই আসলে এথানে কিন্তু শুধু প্যাটার্ন নিয়ে আলোচনা হৈতে পারে। এরচে বেশি কিছু না।
কারণ, এসএফ হল স্পেকুলেশন। জাস্ট লাইক থিওরিটিক্যাল সাইন্স।
তাই লেখকের ভাবনাটাকে ছুয়ে দেখার ইচ্ছা, সেইসাথে একটা যোগবিয়োগ।
দারুণ লিঙ্ক দিসেন। ওইখানে গিয়ে হারায় গেসিলাম। থ্যাঙ্কু ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৩৫
রিফাত হোসেন বলেছেন: আইফূন :-&
, ড্রয়িড পাওয়ার
, পাওয়ার ইন ইট !