নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ।হাজারো মানুষের ভিড়ে মিশে থাকা একজন।এইতো আমি!

কুর্দি আয়লান

মৃত্যুর জন্য বেঁচে আছি!

কুর্দি আয়লান › বিস্তারিত পোস্টঃ

নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বই আমিই বুঝি না, ছাত্ররা বুঝবে কী?

২৭ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৮




বর্তমান কারিকুলামে পাঠ্যবই লেখার পদ্ধতি ভালো না বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। শিক্ষার্থীদের বোঝার ক্ষমতার তুলনায় তা বেশ কঠিন বলে মনে করেন তিনি। উদাহরণ টেনে তিনি বলেছেন, ‘নবম শ্রেণির বিজ্ঞানের বই আমি নিজে বুঝে উঠতে পারিনি, বাচ্চারা কীভাবে বুঝবে?’

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি মন্তব্য করেন।

মতবিনিময় সভায় অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল তিনটি বিষয়কে শিক্ষার ভিত্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেন। ভিত্তিগুলো হল, শিক্ষক, বই এবং পরীক্ষা। তিনি বলেন, ‘শিক্ষকের বিষয়টিতে নিয়ে আমি কিছু বলবো না। কারণ এ দিক দিয়ে আমরা খুবই দুর্বল। জিডিপির ৬ শতাংশ শিক্ষা খাতে ব্যয় হলে ভালো শিক্ষক পাওয়া সম্ভব হবে।’

তিনি বলেন, ‘পাঠ্যবই সহজভাবে লেখা উচিৎ। যেন শিক্ষক না পড়ালেও শিক্ষার্থী নিজে নিজে পড়ে বুঝতে পারে।’ দ্রুত ‘নষ্ট হয়ে’ যায়, তাই যত্ন নিয়ে পাঠ্যবই তৈরি করার কথাও বলেন জাফর ইকবাল। তিনি বলেন, ‘ভালোভাবে বই ছাপলে এক বই সাত থেকে আট বছর ধরে পড়ানো যায়।’

এসময় প্রশ্নের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এ শিক্ষাবিদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রশ্নের মান ভালো না, ভুল থাকে। যে ছবিগুলো দেয়া হয় সেগুলো অস্পষ্ট থাকে। কর্তৃপক্ষ চাইলে বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে প্রশ্ন প্রণয়নের কাজটি করতে পারে। টাকাও বেশি খরচ হওয়ার কথা না।’ পরীক্ষা পদ্ধতিটাই প্রশ্নবিদ্ধ বলেও মন্তব্য করেন জাফর ইকবাল।

এমসিকিউ প্রসঙ্গে ড. জাফর ইকবাল একবাক্যে বলেন, ‘এমসিকিউ তুলে নেয়া উচিত। এর কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই।’

এসময় শিক্ষাবিদ ড. ফরাস উদ্দিন বলেন, ‘কারিকুলাম ভারি হয়ে গেছে। দেখা গেছে নবম শ্রেণির পড়া, একাদশে আবার অনার্সে পড়ানো হচ্ছে। এতে করে এক পড়া তিন চার জায়গায় পড়ানো হচ্ছে। যার কোনো প্রয়োজন নেই। বেসিক বিষয়গুলো যুক্ত করে বাড়তি বিষয় বাদ দেয়া উচিত। কারণ বাড়তি বিষয় শেখানোর জন্য এখন আইসিটিতে আমাদের অনেক উন্নতি হয়েছে। এজন্য বই ভারি করার কোনো অর্থ হয় না।’

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন- অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল, ড. ফরাস উদ্দিন, অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ, সুলতানা কামাল, রাশেদা কে চৌধুরী প্রমুখ।
বর্তমান কারিকুলামে পাঠ্যবই লেখার পদ্ধতি ভালো না বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। শিক্ষার্থীদের বোঝার ক্ষমতার তুলনায় তা বেশ কঠিন বলে মনে করেন তিনি। উদাহরণ টেনে তিনি বলেছেন, ‘নবম শ্রেণির বিজ্ঞানের বই আমি নিজে বুঝে উঠতে পারিনি, বাচ্চারা কীভাবে বুঝবে?’

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪১

দেশপ্রেমিক পোলা বলেছেন: অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল স্যার এমন বোকা হলেন কবে থেকে? এটাও বোঝে না, খেক খেক -- এটা আমার কথা না, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞদের।

৩১ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৬

কুর্দি আয়লান বলেছেন: যেদিন থেকে নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষামন্ত্রী হয়েছেন

২| ২৭ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৭

প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ

৩১ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৭

কুর্দি আয়লান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

৩| ২৭ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০

তপোবণ বলেছেন: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের লোকজন যেন তেন ভাবে বই মোটা করার পক্ষে। শিক্ষার্থীদের প্রতি তাদের খেয়াল নেই। বে-খেয়াল এই বিশেষ- অজ্ঞদের দিয়েই দাপটের সাথে চলছে আমাদের শিক্ষমন্ত্রণালয়।

০১ লা জুন, ২০১৬ রাত ৮:৫৯

কুর্দি আয়লান বলেছেন: অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া দরকার

৪| ২৭ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২

দিস ইজ ইব্রাহিম বলেছেন: এখন আর পড়ালেখা করা লাগে নাকি

৩১ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৫২

কুর্দি আয়লান বলেছেন: বাহ! ভাল বলেছেন, তবে কি করা লাগে যদি বলতেন খুশি হতাম,

৫| ২৭ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৯

মার্কোপলো বলেছেন:





ওখানে যেগুলো আলোচনা হয়েছে, এগুলো আসল সমস্যা নয়।

৩১ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩

কুর্দি আয়লান বলেছেন: আসল সমস্যা কি? ভাই,

৬| ২৭ শে মে, ২০১৬ রাত ১১:৩১

সুমন কর বলেছেন: পোস্ট ২বার এসেছে !

২৮ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৭

কুর্দি আয়লান বলেছেন: আমি আন্তঃরিকভাবে দুঃখিত বিষয়টি না খেয়াল করার জন্য

৭| ২৮ শে মে, ২০১৬ সকাল ১১:৩৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ‘নবম শ্রেণির বিজ্ঞানের বই আমি নিজে বুঝে উঠতে পারিনি, বাচ্চারা কীভাবে বুঝবে?’ .........ঠিক কথা, বাচ্চাদের পড়াগুলো এখন আমাদেরও বুঝতে খুব কষ্ট হয়

৩১ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫

কুর্দি আয়লান বলেছেন: কিছু করার নাই ভাই!

৮| ২৮ শে মে, ২০১৬ সকাল ১১:৪৭

পবন সরকার বলেছেন: বাচ্চাদের পাঠ্যবই আগের চেয়ে অনেক কঠিন করা হয়েছে। আরো সহজ করা প্রয়োজন।

৩১ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৪

কুর্দি আয়লান বলেছেন: বই এর বদলে প্রশ্নব্যাংক দিয়ে রেখেছে

৯| ২৮ শে মে, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

আমি অথবা অন্য কেউ বলেছেন: ৯-১০ এর বিজ্ঞান আসলেই এত হেভি, কিংবা পদার্থ বিজ্ঞান অথবা ক্যামিস্ট্রি বই হাতে নিলে এমন ভয় লাগে যে বলার মত না। কঠিন, অনেক আজাইরা জিনিস আছে। ইচ্ছাকৃতভাবে কঠিন অংক বা সমস্যা ঢুকানো যা ওই লেভেলে দরকারই নাই। ওই লেভেলটা হওয়া উচিত সহজসরল। কিন্তু মাধ্যমিকেই বিজ্ঞানী বানানোর চেষ্টা করা হয়। ফল হয় উলটা, মুখস্ত করতে গিয়ে বেসিক খারাপ হয়ে যায়।

৩১ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৪

কুর্দি আয়লান বলেছেন: ভাল বলেছেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.