নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ।হাজারো মানুষের ভিড়ে মিশে থাকা একজন।এইতো আমি!

কুর্দি আয়লান

মৃত্যুর জন্য বেঁচে আছি!

কুর্দি আয়লান › বিস্তারিত পোস্টঃ

\' আনিকা \'

২৩ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:০১

বসন্তের চতুর্থ দিন । প্রকৃতি ছিল বড়ই চমৎকার । রোদেলা দুপুর, বিজন বন, দক্ষিনা বাতাস ছুয়ে গেল,নিঃশেষ করে দিল এক যুবককে । যার সমস্ত অহংকার ও আত্মমর্যাদা তথা সংগ্রামী জীবনকে করে তুলল মাতাল । ২২ বসন্তের কোন ক্ষনে এমন লেগেছিল কিনা সে নিজেও জানেনা –যদি লাগতই তবে নবীন আলোকে আর জীবন উৎফল্লিত হতনা । কখন যে শুভলগ্ন আসে তা কেউ বলতে পারে না –আর সেই লগ্নে কেউ পারেনা তাকে তার কৃত্রিম দেয়ালে বন্দী রাখতে । এমন একটা দিনের প্রতিক্ষায় আনিকা, কোনদিন যে শিল্পী আসবে -যে তার তুলি দিয়ে সুন্দর একটা ছবি তৈ্রি করবে । যে ছবির রঙ হবে প্রেমের সুধা পানে আকন্ঠ নীল । যার চোখে থাকবে প্রেম আর আত্মায় থাকবে শুধু ভালবাসা । সে ভালবাসায় কোন স্বার্থ নেই- নেই ঘর বাধার সাধ, সে ভালবাসা শুধু ভালবাসারই জন্য । যা অন্তরের ক্ষুদা নিবারন করবে । যে প্রেম দেহাতীত সেই প্রেম । আম ফুলের মাতাল গন্ধের মত হবে সেই ভালবাসা । আনিলা কোনদিন আত্মার খোরাক জোগায়নি, যুগিয়েছে সমাজের খোরাক, জীবনের খোরাক !


আত্মাকে কঠিন লোহার শেকল দিয়ে দৃঢ় করে বেধে রেখেছিল। আজ আত্মার প্রবল স্রোতে লোহার সে শিকল ছিড়ে গেছে। আত্মা তার জয়ের উল্লাস ঘোষনা করছে । আর সে বার্তায় জয়ধ্বনি অনুরনিত হয়েছে । চোখে মুখে,আকাশে-বাতাসে ।

আনিকার মাঝে একটা সংকীর্ণতা বড়াবড়ই কাজ করতো সেটা হল তার রুপ । তার রুপ নেই বললেই চলে । আর তার ভাবভঙ্গিতে মনে হয় যেন জন্মের সময় কে যেন তাকে কানে কানে বলে দিয়েছিল- কালো ছেলেদের কাউকে ভালবাসাতে নেই । আর তাই চিরদিন সে তার ভালবাসাকে আচ্ছাদিত করে রেখেছে । কিন্তু আজীন তার সাধনা ছিল, আকাংখা ছিল এই যে-কেউ তাকে ভালবাসে এই কথাটা শোনার । এই কথা জানার জন্য অনেক সময় সে ব্যাকুল হয়ে উঠত । কিন্তু এই দীর্ঘ জীবনে তা আজকের পূর্বে আর ঘটেনি।

-ডাইরির পুরানো পাতাটা উল্টাল আনিকা ।

এ দগ্ধ হ্রদয়ের যন্ত্রনা কোনদিন শেষ হবেনা । না হোক,সেই ভালো । এই যন্ত্রনাকে আমি যুগ যুগ ধরে খুজেছি । শেষ পর্যন্ত যেহেতু পেয়েছি-তাকে আর নিঃশেষিত হতে দেব না । এত্ত অবেলায় তোমার দেখা না হলেও পারত । যাক ভালোই হলো-সূর্য পৃথিবীর কাছ থেকে যখন বিদায় নেয় তখন বেদনায় লাল হয়ে উঠে । যা দেখে প্রেমিকা নয়ন জুরিয়ে দেয় । আমার প্রেম ছুড়াবে এমনি ভালবাসার আয়লান ।ভেবেছিলাম আমিই ভালবাসতে জানি, তুমি নও। স্বার্থপরের মত কাঠগড়ায় দাড়িয়ে দেখলাম আমি ভূল, তুমিও ভালবসাতে জানো । তুমি বড় বুদ্ধিমান কেননা তুমি আমাকে লিখতে বলেছ -কিন্তু কি লিখব ? লেখার তো কিছু নেই। ভাবের সৃষ্টি হয়নি । হ্যাঁ,তবে ভাষার বদল হয়েছে । তোমার অনেক ভাষাকে আমি কন্ঠহার করেছি । তোমার দিকে আর হয়ত তাকাতে পারবোনা। আমি তোমাকে মুগ্ধ নয়নে দেখতাম । সে চাহনী তুমি বন্ধ করে দিলে এক বিজন বসন্তে ।

জানো আমি শিল্পী নয়, তবুও অনেক বছর ধরে তোমার যে ছবি আমি এঁকেছিলাম তা তোমাকে হয়ত কোনদিনই দেখাব না । তুমি কিন্তু আবার বায়না ধরোনা । তোমার বায়না কেন যেন আমাকে নিরুপায় অসহায়ের মত রাখতে হয় বারবার ।
আমি এখন প্রতি সন্ধায় মোমবাতি জ্বালায় । তোমার আমার কেন্ডেল লাইট ডিনারটা কে স্বরন করে । তোমাকে এই কথাটা বারবার বলেছি-আজ আবার বলছি-অই দিনটাই ছিল আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন । তোমাকে সবসময় খুব মনে পড়ে । আজ সন্ধায় খুব খারাপ লাগতেছিলো । ঘুরতে বেড়িয়েছিলাম । শুনবে জায়গাটা কেমন ছিল ? মাঠের ফাঁকে ফাঁকে থাকে জোড়া তাল গাছ……শন শন বাতাসে ওরা একে অন্যকে জড়িয়ে ধরছে । মনে হচ্ছিল দূর ! এমন জায়গায় কেন আসলাম ! তুমিই বল এমন মনোহর দৃশ্য দেখলে কার না প্রিয় মানুষকে মনে পড়ে ! আর তুমি যে এমন দৃশ্য দেখতে ভীষন পছন্দ করতে । তবে জানো, আমি এখন আমার পৃথিবীকে তোমার দৃষ্টি দিয়ে দেখি ।

তাইতো এখন ভাললাগে এই দৃশ্যগুলো !

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.