![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রকাশিত লেখার স্বর্বস্বত্ব লেখক কতৃক সংরক্ষিত।লিখিত অনুমতি ব্যতিরেকে কোন অংশ হুবহু পুনর্ব্যবহার নিষিদ্ধ।ফেইসবুক : http://www.facebook.com/rafiuzzamansifat
(ক)
-দেখ , ছেলেটা মেয়ে !
-মানে ?
-আরে দরজায় দেখ ।
শিশিরের কথায় আমি দরজার দিকে তাকালাম । ক্লাস রুমের বাইরে আমাদের স্কুলের ড্রেস পড়ে একটি ছেলে দাড়িয়ে । লিকলিকে শুকনা এই ছেলেকে আগে দেখি নি । ছেলেটির গায়ের রঙ কাঁচা হলদে ফর্সা । মেয়েদের মতো । মাথার চুল পাতলা । কাঁধে লাল ব্যাগ । ব্যাগটা অনেক ভারী । ব্যাগের ভারে সে কুঁজো হয়ে আছে ।
-মে আই কাম ইন স্যার ? ছেলেটি মিহি কণ্ঠে বলল ।
ইকবাল স্যার আটেনড্যান্স খাতা চেক করছিলেন । ছেলেটির কথায় তিনি ঘাড় উঁচু করলেন । ফিতে বাঁধা চশমা নাকের ডগা থেকে ঠেলে চোখে ভালমতো সেট করে ভুরু কুঁচকে বললেন – কি চাই ?
ছেলেটি বলল – স্যার , আমার নাম শুভাশিস সাহা । হেডস্যার বললেন আমার নাম বললে ...
কথা শেষ করবার আগেই ইকবাল স্যার হইচই ঢঙে বললেন – হে হে শুভাশিস । তুমিই তাহলে সেই শুভাশিস । এসো এসো বাবা , কাম ইন ।
ছেলেটি ক্লাসে প্রবেশ করে স্যারের টেবিলের কাছে গিয়ে দাঁড়ালো । আমাকে খোঁচা দিয়ে শিশির বলল – শুনছোস গলার স্বর । পুরাই মাইয়া মানুষ । এমনকি হাটা পর্যন্ত । মেপে মেপে স্টেপ ফেলে । আল্লাহ্ মালুম প্যান্ট খুললে না জানি কি দেখা যায় ।
শিশির ফিচিক করে হাসি দিল । ছেলেটির গলার স্বর চিকন । চোখ বন্ধ করে শুনলে বোঝার উপায় নেই ছেলে না মেয়ে কে কথা বলছে ।
নতুন ছেলেটির সাথে ইকবাল স্যার কি নিয়ে যেন কথা বলছেন । স্যার মাঝে মাঝেই অট্টহাসি দিচ্ছেন । ছেলেটি গম্ভীর । কিছুক্ষন পর স্যার চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন । টেবিলে উপর ডাস্টার পিটিয়ে শব্দ তৈরি করে বললেন --
- ছাত্ররা , এটেনশন । এটেনশন । আজ তোমাদের ক্লাসে একজন নতুন বন্ধু যুক্ত হতে যাচ্ছে । তিনি শুভাশিসের কাঁধে হাত রাখলেন
এর নাম শুভাশিস সাহা । সে দিনাজপুর জিলা স্কুল থেকে ট্র্যান্সফার হয়ে আমাদের স্কুলে এসেছে । আজ থেকে সে তোমাদের সাথে ক্লাস করবে । শুভাশিসকে আমাদের সবার পক্ষ হতে ওয়েলকাম । ওয়েলকাম টু ময়মনসিংহ জিলা স্কুল ইন ক্লাস সিক্স ।
তারপর স্যার ছেলেটির দিকে মুখ ঘুরিয়ে বললেন -- তুমি তোমার বন্ধুদের সাথে পরিচিত হও । আর কোথাও কোন ধরনের কোন সমস্যা হলে সরাসরি আমাকে জানাবে । আমি টিচার্স রুমের ডান পাশের কোনায় বসি । ঠিক আছে ? ক্লাস ক্যাপ্টেন ইমতিয়াজ , শুভাশিসকে একটা সিটে বসতে সাহায্য করো ।
শিশির ফিসফিস করে আমার কানে বলল – ইকবাল স্যার এর চ্যালামিটা দেখতাছস ? পোলারে কি খাতিরটাই না দেখাইতেছে ! পোলায় কি ডিসি এসপির পুত নাকি রে ?
-নতুন ছেলে তো , তাই হয়তো । আমি জবাব দিলাম । যদিও স্যার এর আধিখ্যেতা চোখে পড়বার মতো । নতুন ছাত্র তো মাঝে মাঝেই আসে । তাই বলে স্যার এতোটা ওয়েলকাম ঢং কারও সাথে দেখান না ।
ক্লাস ক্যাপ্টেন ইমতিয়াজ শুভাশিসকে নিয়ে আমাদের বেঞ্চের কাছে আসলো ।
-হীরা , তোদের বেঞ্চে দুইজন আছিস । শুভাশিস তবে এইখানেই বসুক ।
আমি সরে নতুন ছেলের জন্য জায়গা করে দিলাম । ছেলেটি বসলো । ছেলেটির গা থেকে মিষ্টি একটা গন্ধ আসচ্ছে ।নিশ্চয়ই কোন বিদেশী পারফিউম গায়ে লাগিয়েছে ।
ইকবাল স্যার বাংলা ব্যাকরণ পড়ানো শুরু করেছেন । সেই বিরক্তিকর ব্যাকরণ ! আমি বই বের করে ছেলেটির কাছাকাছি মেলে ধরলাম । আমাকে অবাক করে দিয়ে সে তার ব্যাগ থেকে চকচকে নতুন একটি বই বের করলো । আমি জিজ্ঞাস করলাম – দিনাজপুরের সাথে আমাদের সিলেবাসের কি মিল আছে ? একই বই দুই স্কুলে !
ছেলেটি মাথা নাড়ল ।
-না । এক নয় । বেশ কিছু পার্থক্য আছে । বিশেষ করে বাংলা আর ইংলিশ গ্রামার বুক আলাদা । আমরা বাংলায় হোসেন স্যার এর বই ফলো করি ।
-তাহলে তুমি আমাদের বই কই পেলে ?
-আমি তোমাদের সিলেবাস আগেই পেয়েছিলাম ।
আমি কিছুটা কৌতূহল নিয়ে জিজ্ঞাস করলাম – আচ্ছা , তোমার বাবা কি ডিসি এসপি পোস্টের কেউ ?
ছেলেটি কপাল কুঁচকে আমার দিকে তাকালো ।
-না তো । আমার বাবা ব্যাংকে জব করে । সোনালী ব্যাংকে । কেন ?
-না এমনিতেই । আমি ছেলেটির দিকে হাত বাড়িয়ে দিলাম
– আমার নাম হীরা আর ও হচ্ছে শিশির ।
ছেলেটি আমাদের দুইজনের সাথে হাত মিলালো । মুখ গম্ভীর । এই ছেলে কি হাসতে জানে না ?
ঘণ্টা বাজলো । এখন সেকেন্ড পিরিয়ড । আমি আর শিশির এই পিরিয়ডের জন্যই অধির আগ্রহে অপেক্ষা করে আছি । এখন ক্লাস নিতে আসবেন সুরভী মেডাম । মেডাম আমাদের সমাজ বিজ্ঞান ক্লাস নেন । আমরা সমাজ বিজ্ঞান জানবার জন্য আগ্রহী নই । আমরা সুরভী মেডামকে জানবার জন্য আগ্রহী । সুরভী মেডামের মতো এতোটা সুন্দর আমি আর কাউকে দেখিনি ।
আমার কাছে উনার সব কিছু ভালো লাগে । কি অসাধারণ মুখ । কি চমৎকার হাসি । তারচেয়েও অপূর্ব উনার ফিগার । বলিউড হলিউডের নায়িকারা উনার কাছে ধুর ছাই । সুরভী মেডামের কাছে তাবৎ ইউনিভার্স যেন দুধভাত । উনি যখন কথা বলেন কি সুমধুর স্বর বের হয়ে আসে । যেন তিনি আওরঙ্গজেবের যুদ্ধ ইতিহাস পড়াচ্ছেন না , ক্লাস রুমে চমৎকার সুরে গান গাইছেন ।
মেডামের সাথে আমার সবচেয়ে পছন্দের মুহূর্ত উনি পড়া ধরলে বলতে না পারা । পড়া না পারলে তিনি কপাল কুঁচকে স্কেল নিয়ে বেঞ্চের দিকে এগিয়ে আসেন । তারপর দু হাতের তলায় টাশ টাশ শব্দে দুটো করে চারটি বারি বসান । উনার ধারনা তিনি খুব কষে বারি দিয়েছেন । আসলে তা নয় । এই বারি হাজারটা খেলেও কোন অনুভূতি হবে না । এই সময় মেডামের খুব কাছাকাছি থাকা যায় । তার গা থেকে বের হওয়া আশ্চর্য রকমের একটি সৌরভ নাকে ভর করে । আমায় নিয়ে যায় অচিনপুরে । আহা
তবে শিশিরের নাকে নাকি তেমন কোন গন্ধ লাগে না । তার সবচেয়ে পছন্দ মেডামের তলপেট । তিনি সর্বদা শুতির শাড়ি পড়ে ক্লাসে আসেন । আঁচল রাখেন বাম কাঁধে । ফলে বাম পাশ থেকে ভালো মতো লক্ষ্য করলে নাকি উনার দুধে আলতা তলপেট দেখা যায় । শিশিরের মতে এই পেট নাকি একবার যে দেখবে তার জনম সার্থক । মনে হবে এক টুকরো মাখন কেউ চোখে লেপটে দিয়েছে ।
আমি চোখে মাখন লেপটাতে চাই । এরজন্য আমাদের ক্লাসে কথা বলতে হবে । ক্লাসে কথা বললে তিনি খুব রাগ করেন । শাস্তি স্বরূপ ছাত্রদের ক্লাসের সামনে এনে নীল ডাউন করিয়ে রাখেন । বাম পাশে নীল ডাউন হয়ে থাকলে আড়চোখে মেডামের তলপেট দেখা যায় । শিশির এইভাবেই দেখেছে । আমি দেখিনি । শিশির আজ আমায় দেখাবে বলেছে । তাই প্ল্যান আজ আমরা কথা বলে নীল ডাউনের শাস্তি খাবো ।
মেডাম ক্লাসে আসলেন । আজ তিনি খয়েরীর উপর কালো গোল গোল বৃত্ত আঁকা একটি শাড়ি পড়েছেন । চুল খোঁপা করা । বরাবরের মতোই মুখে কোন প্রসাধনী নেই । গলায় চিকন একটা স্বর্ণের চেন চিকচিক করছে । আমার কাছে মনে হল অচিনপুরের সিনেমার কোন নায়িকা এক পুরনো ক্লাসরুমে ঘুরে ঘুরে প্রস্তর যুগের মানুষের ইতিহাস পড়াচ্ছেন ।
-হীরা , আবালের মতো তাকাইয়া থাকিস না । কথা ক
-কি কথা বলবো ।
-যা মনে আসে তাই ক । কথা বলে ধরা খাইতে হবে , নাহলে মেডাম নীল ডাউনের জন্য ডাকবেন না ।
আমি অনেক ভেবেও কথা বলার মতো কিছু খুঁজে পাচ্ছি না । গতকাল টিএন্ডটিতে আমরা চ্যাম্পিয়নস লীগের কথা শেষ করেছিলাম । আজ সকালে এসেম্বলি ক্লাসে মানিককে বিকালে ধোলাই করবার প্ল্যান কমপ্লিট হয়েছে । তাহলে আর কি কথা বাকি থাকবে ? কিন্তু আমার তো কথা বলতে হবে । আমাকে নীল ডাউন হয়ে মেডামের বাম পাশে যেতে হবে । উনার মাখনসম তলপেট দেখতে হবে । কিন্তু আমি কি কথা বলে ধরা খাবো ?
-দোস্ত আমি তো কোন কথা খুঁজে পাচ্ছি না । তুই কিছু শুরু কর ।
অ্যাই ছেলে তুমি দাড়াও । ক্লাসে কথা বলছ কেন ? আমি কতবার বলেছি আমার ক্লাসে আমি লুকিয়ে কথা বলা পছন্দ করি না । কি কথা বলছিলে উঠে দাড়িয়ে সবার সাথে শেয়ার করো আর বলতে না চাইলে হাই বেঞ্চে কান ধরে দাড়িয়ে থাকো ।
আমি বেকুবের মতো বেঞ্চের উপর দাঁড়ালাম । মেজাজ খারাপ হচ্ছে । মেডাম কেন তার কাছে ডাকল না । কেন হাইবেঞ্চে দাঁড়ানোর শাস্তি দিলেন ? কেন ভাগ্য আমায় এক টুকরো মাখন চোখে লেপটে দিল না ? কেন ? কেন ?
(খ)
টিফিন পিরিয়ড চলছে । আমি আর শিশির মাঠের দক্ষিণ দিকে বট গাছে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে । শিশির উদাস হয়ে বলল – ব্যাপার না দোস্ত , কবি বলেছেন – একবার না পারিলে দেখো আরেকবার ।
-আরেকবার না , বলছেন শতবার
-ও , তাইলে তো আরও ভালো । শতবার দেখবি । তুই যদি শতবার ট্রাই করতে পারস তাইলে অবশ্যই তুই মেডামের মাখন পেট আটানব্বই বার দেখতে পারবি । আজ আনফরচুনেট ভাবে হাই বেঞ্চে তুলে শাস্তি দিয়েছেন । এর পরেরবার আর এমন হবে না । ঠিক ই বাম পাশে নীল ডাঊণ করে রাখবেন । তুই হিম্মত বাড়া দোস্ত । হিম্মত বাড়া
আমি হিম্মত বাড়াবার চেষ্টা করছি এমন সময় দেখলাম নতুন ছেলেটি টিচার্স রুম থেকে বের হয়ে আসচ্ছে । এই ছেলে টিফিন আওয়ারে টিচার্স রুমে করে কি !! তবে কি সে কিছু বুঝে ফেলেছে ? সে তো আজ আমাদের পাশেই তো বসে ছিল । নিশ্চয়ই সে মেডামের বিষয়টা বুঝে নিয়েছে । তারপর ইকবাল স্যার এর কাছে এখন নালিশ জানিয়ে এল ! টিসি । এইবার আমাদের টিসি । বাবা আমাকে কেটে ফেলবেন ।
আমি আতঙ্ক নিয়ে শিশিরের দিকে তাকালাম । শিশিরও ঐ দিকেই তাকিয়ে আছে । আমি বললাম -
-শিশির , আমি যা ভাবছি , তুইও কি তাই ভাবছিস ?
শিশির ছেলের দিক থেকে চোখ না সরিয়ে দুইবার মাথা ঝাঁকালো ।
-এখন ?
-কিন্তু হীরা , আমরা তো মেডামের নাম একবারও উল্লেখ্য করেনি । শুভাশিস বুঝবে কিভাবে ? এইটা সম্ভব নয় ।
আমি শিশিরের কথায় আশা রাখতে পারছি না । ইকবাল স্যার বলেছেন কোন সমস্যা হলেই নতুন ছেলেটি যেন টিচার্স রুমে উনার সাথে দেখা করেন । ছেলে নিশ্চয়ই টিচার্স রুমের ডান কোনায় ইকবাল স্যারের কাছে নালিশ জানিয়ে এসেছে ।
শিশির গলা চুলকাতে চুলকাতে আবারো বলল -- আচ্ছা এমনও হতে পারে ক্লাসের অন্য কোন ছেলে আজ তার সাথে মজা নিয়েছে । তখন শওকত তাকে নিয়ে ক্লাসে খুব হাসাহাসি করছিল । বলছিল – এই মাইয়ারে আইজ খামু । হয়তো শওকত তাকে কিছু বলেছে । তাই সে তার নামে স্যারের কাছে বিচার দিতে গেছিলো ।
আমি শিশিরের কথার জবাব না দিয়ে হঠাৎ ছেলেটিকে ডাক দিয়ে বসলাম
– শুভাশিস , এই শুভাশিস ।
শুভাশিস তাকাল । আমাদের দেখে এগিয়ে আসতে থাকলো । ছেলেটি এইভাবে কড়া চোখ নিয়ে এগিয়ে আসচ্ছে কেন ? আমার ঘাম হচ্ছে । খুব ।
ছেলেটি কাছাকাছি আসতেই শিশির বলল – ভাই , তুই টিচার্স রুমে কেন গিয়েছিলি ? কিছু হইছে ? হীরার গলার স্বর রীতিমত কাঁপছে । শুভাশিসকে সে তুমি থেকে ডিরেক্ট তুই বলা শুরু করেছে সেটা বোধহয় নিজেও খেয়াল করেনি ।
ছেলেটি অবাক হয়ে বলল – কি হবে ?
-না , মানে , তুই হঠাৎ ইকবাল স্যার এর কাছে গেলি । কোন সমস্যা ছাড়া তো আর যাস নাই ! ভাই , এতো রাগ করলে কি চলে । আমরা না হয় একটু ...
শিশিরকে কথার মাঝপথেই সে থামিয়ে দিয়ে বলল -- আরে আমি ইকবাল স্যারের কাছে কেন যাবো ? আমি গিয়েছিলাম মা 'র কাছে
-মানে কি ?
-মানে হল তোদের সমাজ বিজ্ঞান টিচার সুরভী সাহা আমার মা হোন । আমি গিয়েছিলাম তার কাছ থেকে টিফিন বক্স নিয়ে আসতে । ছেলেটি তার হাতের হলুদ টিফিন বক্স দেখালো ।
আমি এতো বড় ধাক্কা আগে কক্ষনো খাইনি । দেখলাম বিস্ময়ে শিশিরের মুখ হা হয়ে গেছে ।
-সুরভী মেডাম তোমার মা !
-হুম । মা আগে দিনাজপুর জিলা স্কুলে ছিলেন । সেখান থেকে মাসখানেক আগে ট্র্যান্সফার হয়ে এখানে আসেন । বাবা ঢাকায় চাকুরীতে । দিনাজপুরে আমি একা ছিলাম । তাই আমাকেও ট্র্যান্সফার সার্টিফিকেট নিয়ে এই স্কুলে আসতে হয়েছে । এখন থেকে মা আর আমি একসাথে থাকতে পারবো ।
কথাগুলো বলে ছেলেটি হাসল । এই প্রথম তাকে হাসতে দেখলাম । কি সুন্দর করেই না হাসচ্ছে ।
সে তার টিফিন বক্স খুলে আমাদের দিকে এগিয়ে দিল
- এই নাও , গাজরের হালুয়া । মা আজ সকালে বানিয়েছে । অনেকটুকু আছে । শেয়ার করে খাওয়া যাবে ।
শিশির বোকা বোকা মুখে হালুয়া তুলে মুখে ভরলো । আমি হালুয়া হাতে নিলাম । কিন্তু মুখে দেয়ার রুচি পাচ্ছি না । আমার কেবল ই মনে হচ্ছে এই কিছুক্ষন আগে আমি এই ছেলের ঠিক পাশে বসে তার মা’র নামে নোংরা চিন্তা করেছি ।
ছেলেটির গা থেকে ঘ্রাণ আসচ্ছে । খেয়াল হল এই ঘ্রাণ সুরভী মেডামের গা থেকেও আসে । নীল ডাউন হয়ে আজ আমি যে বেনামী শাস্তি প্রত্যাশা করছিলাম তার চেয়ে বহুগুণ বেশি শাস্তি আমি এখন এই সৌরভে পাচ্ছি । মিষ্টি এই ঘ্রাণ আমার নাকে আসচ্ছে আর আমার মগজ জানান দিচ্ছে – হীরা তুই নোংরা । তুই একটা নোংরা মগজের মানুষ হীরা ।
মগজের শাস্তি হয়তো দুনিয়ার সবচেয়ে কঠিন শাস্তি । আমি এই শাস্তি সহ্য করতে পারছি না । আমার খুব ইচ্ছে হচ্ছে নতুন ছেলেটির পা জড়িয়ে ধরতে । আমি কিভাবে শুভাশিসের পা জড়িয়ে ধরবো ? আমার একটি উপায় বের করতেই হবে , শুভাশিসের পা জড়িয়ে ধরবার উপায় ।
------------------------------------------------------------------
অনুগল্প - যৌনাবেগ - গৃহশিক্ষক এবং
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৮
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: হ , ফাজিল যেমন অপরাধবোধটাও তেমন
২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৮
উত্তরেরকল্পতরু বলেছেন: মন অনেক ভাল হয়ে গেল।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৭
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: উত্তরেরকল্পতরু , আপনাকে ধন্যবাদ
শুভ রাত্রি
৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০০
মামুন রশিদ বলেছেন: ক্লাস সিক্স! একটু বেশি ছোট হয়ে গিয়েছে । ক্লাস এইট-নাইন হলে কিছু ল্যাঙ্গুয়েজের সাথে ম্যাচ করতো ।
এনিওয়ে, শেষটা খুব ভালো লেগেছে ।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৬
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: মামুন ভাই , এখনকার পুলাপান যে পাকনা , আমার ক্লাস ফোর এর ছাত্রের মেচুরিটি দেখে মাঝে মাঝে তব্দা খেয়ে যাই । তাদের সময় আমার কই ছিলাম !!
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য
সর্বদা সুস্থতা কামনা করছি
৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১১
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
গল্প ভাল লাগল !!!
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৮
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: ধন্যবাদ , স্নিগ্ধ শোভন
সুস্থতা কামনা করছি সর্বদা
৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১১
আমাবর্ষার চাঁদ বলেছেন: লুল পুলাপাইনের সুন্দর পরিনতি.............
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৮
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: সেটাই
৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২১
বিশ্বাস করি 1971-এ বলেছেন: কঠিন বাস্তবতা।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৪
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: কঠিন মুহূর্ত , সহজ উপলব্ধি
ধন্যবাদ বিশ্বাস করি 1971-এ , সুন্দর নাম
৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৫
একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: স্কুলে থাকতে সুন্দরী ম্যাডাম-দের নিয়ে সব ছাত্রদেরই কমবেশী উত্তেজনা ছিলো
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪০
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: অনেকেরই ফ্যান্টাসি কাজ করে । তবে সবার নয় ।
ধন্যবাদ একাকী বাংলাদেশি , শুভ রাত্রি
৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৫
মদন বলেছেন: শেষের টুইস্টটা অসাধারন! অসাধারন! অসাধারন!
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৯
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: মদন , আপনাকে ধন্যবাদ
শুভ রাত্রি
৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৮
নূর আদনান বলেছেন: আসলেই ফাজিল পুলাপাইন...
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০২
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: ফাজিল এবং -------
ধন্যবাদ নূর আদনান
শুভ রাত্রি
১০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২০
খেয়া ঘাট বলেছেন: চমৎকার গল্প। একেবারে মুগ্ধ হয়ে পড়লাম।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২১
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ খেয়া ঘাট
সর্বদা সুস্থতা কামনা করি
১১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:২১
আমিই মিসিরআলি বলেছেন: সত্যিই দুর্দান্ত একটা গল্প
বরাবরের মতই প্লাস ++++++++
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৩৪
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ , আমিই মিসিরআলি
শুভ ভোর
১২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:২২
শান্তির দেবদূত বলেছেন: দারুল লিখেছেন, শেষের চমকটা ফাটাফাটি ছিল, যদিও আগেই কিছুটা আচ করতে পেরেছিলাম। অনেক ভাল লাগছে আমনার এই যৌনাবেগ নিয়ে লেখাগুলো। আপনার লেখাও অনেক সাবলীল। চালিয়ে যান। শুভকামনা রইল।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৩৫
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: শান্তির দেবদূত ভাই , শুভেচ্ছা জানবেন ।
ধন্যবাদ
১৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
বাস্তব ঘটনার নিরিখে ভাল লিখেছেন। গল্পে ভাবনার খোরাক আছে বেশ।
মামুন ভাইয়ের সাথে একমত ক্লাস সিক্স না হয়ে ক্লাস এইট হলে ল্যাঙ্গুয়েজ পুরো ম্যাচ করে যেতো।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৮
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: আসলে ক্লাস এইট এ এমন কাজ সাধারণত হয় না । তখন তাদের চোখ আরও উপরে উঠে যায়
কান্ডারি অথর্ব , আপনার বিশ্লেষণী মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ
সর্বদা শুভ কামনা জানবেন
১৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অণুগল্প এত বড়! গল্পটা খুব অস্বস্তিকর। আর ক্লাশ সিক্স মোটেও ছোট মনে হয় নাই। শয়তান এই সময়টাতেই বীজ বুনতে শুরু করে।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫০
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: হামা ভাই , আমার পয়েন্ট ঠিক এটাই ছিল । আমি ক্লাস ফোর এর ছেলেদের আরও অনেক বেশি এডভান্স দেখেছি , তাদের চিন্তা ভাবনা অনেক বেশি অন্য রকম । আমাদের সেই সময়ের তুলনায়
গল্পের পরিধি কি বড় হয়ে গেল ! আসলেই তো একটু বড় হয়ে গেছে ।
যাই হোক , আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । বরাবরের মতোই সুস্থতা কামনা করছি
১৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯
একজন আরমান বলেছেন:
মগজের শাস্তি হয়তো দুনিয়ার সবচেয়ে কঠিন শাস্তি ।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫১
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: প্রতিনিয়ত খোঁচায় , জ্বালা ধরায় ।
একজন আরমান , আপনাকে ধন্যবাদ , শুভেচ্ছা জানবেন
১৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২১
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: এই ধরনের কাজের জন্য ক্লাস সিক্স খুব ছোট নয়, বরং ইংলিশ মিডিয়ামের স্টুডেন্টরা আরো ছোট ক্লাস থেকেই এসব শুরু করে। আর তারা এমন কি টিচারকে সরাসরিও অনেক কথা বলে থাকে।
কেমন একটা অনুভূতি হচ্ছে গল্পটা পড়ে। বিচ্ছিরি!
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৪
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: আপনার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত , সমুদ্র কন্যা
কিছুটা অস্বস্তি লাগতে পারে । এই সিরিজে আমাদের ভিতরের সেই অস্বস্তিকে বারবার খোঁচা দেয় ।
ধন্যবাদ জানবেন , ভালো থাকবেন কিন্তু
১৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪
আমি ইহতিব বলেছেন: প্রথমে একটু বিরক্ত লাগলেও শেষটা পড়ে মনটা ভালোলাগায় ভরে গেলো। ভালো লিখেছেন।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: যাক ,শেষ পর্যন্ত একটা ভালো ফিল তৈরি হয়েছে জেনে ভালো লাগলো ।
ধন্যবাদ আমি ইহতিব
১৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭
সোহেল রনি বলেছেন: ছেলেদের বয়ঃসন্ধির সময়ে আজব ফ্যান্টাসি মাথায় ভর করে, গল্পটা সেই বাস্তবতার সর্বোচ্চ কাছাকাছি।
ভিষণ ভালো লেগেছে।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: সুন্দর মতামতের জন্য শুভেচ্ছা নিবেন , সোহেল রনি
১৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৬
অ্যানোনিমাস বলেছেন: আসলেই পড়তে একটু অস্বস্তিকর লাগলো। তবে এই বয়সের ছেলেরা এমন চিন্তা করে। বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকেই বলা। আপনার হাত আছে। ভালো লিখে যান। কিছু ব্যাপার আরও সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা যায় অশ্লীলতা প্রশ্রয় না দিয়েই। ইদানিং সামুতে কেন যেন অশ্লীল টাইপের গল্পই বেশি দেখতে পাই। ব্যাপারটি দুঃখজনক। ভালো থাকবেন।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৪
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: বিষয়টা শেষ পর্যন্ত শালীন আর অশালীনে দাঁড়ালো ?
তবুও আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ , অ্যানোনিমাস
সর্বদা সুস্থতা কামনা
২০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৯
অ্যানোনিমাস বলেছেন: ডুন্ট গেট মি রং, আপনি আমার কথা ধরতে পারেননি। একটা সময় ছিলো যখন সামান্য কিছু অশ্লিল লিখলেই সেখানে মহা হইচই শুরু হয়ে যেত। এমনকি আমাকে নিজেও চটি লেখকের মত গালি হযম করতে হয়েছে। কিন্তু সাহিত্য কিন্তু এই অশ্লীল শব্দকেই সুন্দরতম শিল্পে রূপান্তর করতে পারে। এবার কি বুঝতে পেরেছেন?
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৬
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: একদম পরিস্কার
আসলে আমি শালীন আর অশালীন এই দুইটা শব্দ ঠিক মানতে পারি না ।
যা একজনের কাছে শালীন তা কিন্তু পাশের জনের কাছে অশালীন হতে পারে । জিনিসটা একদম পানির মতো । যখন যেখানে থাকে
আবারো ধন্যবাদ
২১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩০
সাদরিল বলেছেন: একটানে পড়ে ফেললাম, ভালো লেগেছে।
প্রিয় লাইনঃ মগজের শাস্তি হয়তো দুনিয়ার সবচেয়ে কঠিন শাস্তি
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৯
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: ধন্যবাদ সাদরিল
শুভেচ্ছা নিবেন
২২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৯
অ্যানোনিমাস বলেছেন: মানামানির ব্যাপার নিজের কাছে। কিন্তু সভ্য সমাজ একটা মাত্রা ঠিক করে দিয়েছে শ্লীলতার। কে কি করবে সেটা একান্তই নিজস্ব ব্যাপার।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫১
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: আসলেই কি ? শালীনতার কিন্তু কোন মান দণ্ড নেই । আমরা একেজন একেকভাবে একটা সীমা তৈরি করে নিয়েছি । এবং সেটাকে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছি । তাই একেক সময় শালীনতার সংজ্ঞা একেক রকম হয় ।
বিষয়টা খারাপ নয় । ভালো
২৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৪
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ফিনিশিংটা আসলেই ভাল হইছে
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩০
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানবেন আমি তুমি আমরা
শুভ রাত্রি
২৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৮
নেক্সাস বলেছেন: আপনার লিখাটি অসাধারণ লেগেছে। খুব সুন্দর একটা প্লট নিয়ে লিখেছেন। শুরুর চাইতে ফিনিশিংটা বেশী পরিপক্ক হয়েছে
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩১
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: তারমানে সার ঘর লেপে দুয়ারে কালি হয় নি
ধন্যবাদ নেক্সাস
২৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৫
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ক্লাস সিক্সের পোলাপান এমনভাবে কথা বলবে এটা টোটালি অবাস্তব মনে হল।
ক্লাস নাইন হইলে মানিয়া নেয়ন যাইতো!
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৪
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: ক্লাস নাইন এমন সিলি কাজ করবে সেটাও কিন্তু অসম্ভব
হামা ভাইয়ের সূর ধরেই বলি -- আর ক্লাশ সিক্স মোটেও ছোট মনে হয় নাই। শয়তান এই সময়টাতেই বীজ বুনতে শুরু করে।
আপনাকে ধন্যবাদ মাসুম ভাই , কেমন আছেন ?
২৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: লেখাটা ভালো লেগেছে। আপনার লেখনী শক্তি অবশ্যই ভালো, এই বিষয়ে নতুন করে বলার কোন দরকার নেই। গল্পের পরিনতিটা হয়ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনুমান যোগ্য হলেও উপস্থাপনের কারনে সেটা অবশ্যই আকর্ষনীয় হয়েছে।
আর হ্যাঁ এই গল্পের কিছু কিছু বর্ননা সত্যি বেশ অস্বস্তি সৃষ্টি করেছে। সাহিত্যের শিল্প মান দিয়ে এই অস্বস্তিদূর করা বেশ মুসকিল। তবে এই ধরনের গল্প এক দেড় বছর পূর্বে ব্লগে প্রকাশিত হলে, লেখক হিসেবে বেশ কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হত।
এখন পাঠকদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটছে- এটাকে বেশ পজেটিভ একটা দিক। যাই হোক, অনেক শুভেচ্ছা এবং শুভ কামনা রইল।
শুভ রাত্রি।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৭
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: আমিও আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত । আমাদের পাঠকদের পড়বার ধরন পাল্টেছে এবং এর জন্য এখন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখা যায় । প্রান খুলে ।
আমি এটাকে খুব ভালো দিক হিসেবে বিবেচনা করি ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ , কাল্পনিক_ভালোবাসা
শুভেচ্ছা জানবেন
২৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৫
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: আমার ভালই লাগছে । অস্বস্তিবোধটাকেই এনজয় করেছি পুরো গল্পে ।
তবে একটা জিনিস ।
হিন্দু ছেলেরা তার মা'কে মা বলে আম্মু না । এমনকি যখন কোন মুসলিম ছেলের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলবে তখনও নিজের মায়ের বেলায় আম্মু বলবে না , মা'ই বলবে ।
অন্যের মা হলে আম্মু বা মা দুইটাই বলতে পারে । বাট নিজের মায়ের বেলায় সব সময় মা'ই বলবে ।
বিষয়টা একতু খেয়াল রাখবেন ।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: চমৎকার অব্জারবেশন !!
ডাক পয়েন্টটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ছিল । আমি পাস করে গিয়েছিলাম ।
আমি পরবর্তীতে সংশোধন করবো অবশ্যই ।
অনেক ধন্যবাদ , মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়
আমার গল্পগুলোতে আপনার মতো পাঠকের খুব প্রয়োজন ।
আশা করি পাবো আপনাকে
সর্বদা সুস্থতা কামনা করছি
২৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: এই তো চলে যাচ্ছে। আপনার কি খবর? এই গপ তো আর অনুগপ রয় নাই, বড় গপ হইয়া গেছে
ক্লাস সিক্সে পুলাপন যদি এরকম হয় তাহলে বলতে হয় - দিন আসলেই বদলাইছে
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৭
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: অনেক বেশি বদলাইছে ! কল্পনার বাইরে
আমার খবর খারাপ না
হুম , গল্পটা একটু বড় ই হয়ে গেছে ।
২৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৭
মাথা ঠান্ডা বলেছেন: ভাল লেগেছে। প্রথমে একটু অস্বস্তি লেগেছিল।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৮
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ , মাথা ঠান্ডা
আপনার নাম খুব পছন্দ হইছে
ভালো থাকবেন
৩০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১
দি ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারো বলেছেন: গল্পের নাম সার্থক
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪০
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: অকে
ধন্যবাদ
৩১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫০
এ্যাপোলো৯০ বলেছেন: সিমপ্লি অসাধারন, খুব সহজ ভাবে বাস্তবিক ব্যাপারটা তুলে ধরেছেন ভালো অনেকেই লিখতে পারে কিন্তু সহজভাষায় উপস্থাপন অনেকেই করতে পারে না।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৪
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: চমৎকার মতামতের জন্য ধন্যবাদ এ্যাপোলো৯০
শুভেচ্ছা জানবেন
৩২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৭
পথহারা নাবিক বলেছেন: শেষটার তুলনা নাই!! u rokz!!
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৮
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ পথহারা নাবিক
শুভেচ্ছা জানবেন
৩৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯
মশিকুর বলেছেন:
পুঙটা পুলাপাইন
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৬
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: তা বটে
৩৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪২
অপ্রচলিত বলেছেন: দুর্দান্ত লিখেছেন। বাস্তবের প্রতিফলন, একটি সময়ের গল্প।
২৮ শে জুন, ২০১৪ রাত ২:০৯
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: ধন্যবাদ
৩৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৮
রাজীব বলেছেন: আমার মনে হয় স্কুল থেকেই ছেলে মেয়েদের সম্পর্ক আরো স্বাভাবিক হওয়া উচিৎ। যারা বয়েজ স্কুলে পড়ে ও মেয়েদের সাথে কথা বলার সুযোগ কম পায় তাদের মনেই এরকম ফ্যান্টাসী জন্ম নেয়।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:১৯
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: ভুল বলেন নি
৩৬| ২৮ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:১২
হেডস্যার বলেছেন:
পরপর দুইটা গল্প পড়লাম আপনার। দারুন লিখেন আপনি। জটিল।
২৯ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৭:১৩
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: ধন্যবাদ , হেডস্যার
৩৭| ১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ২:৫৫
আশিক আহমাদ বলেছেন: অসাধারণ
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪২
ফিরোজ খাঁন তুষার বলেছেন: ফাজিল পুলাপাইন।