নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তমনা লেখক ও বিজ্ঞান কর্মী, প্রকৃতির ছাত্র !
প্রশ্নটি অবান্তর মনে হলেও এর ব্যাখ্যা নিশ্চয় আপনাকে অবাক করবে। এমনকি রোমাঞ্চিত হবেন আপনি। জেনে অবাক হবেন প্রাচীন মিশরীয়রা ডুমুর থেতলে দিত দ্রুত পাঁকানোর জন্য। প্রাচীন চীনা নাগরিকেরা নাশপাতির গুদামে কেরোসিন জ্বালাতো। বিশ শতকের প্রথম দিকে ফ্লোরিডার চাষীরা একটি বড় পাত্রে লেবু নিয়ে কেরোসিন তেলের আগুনে তাপ দিত।
এমনকি আপনি নিজেও অনেকগুলো আমের মধ্যে একটি পাকা আম রাখেন যেন অন্য আম দ্রুত পাকে। নিজে না করলেও আপনার বাবা বা দাদা একথা জানতেন। কিন্তু কেন?
এটা কি সত্যিই ধারণা, নাকি বিজ্ঞান ভিত্তিক? বিজ্ঞান জানিয়েছে ফল পাকানোর জন্য ইথিলিন দায়ী। প্রাকৃতিকভাবে উদ্ভিদ দেহে এই বিস্ময়কর উপাদান উৎপন্ন হয়। ফল পাকলে আমাদের নাকে পাওয়া ঘ্রাণ হলো সেই ইথিলিনের প্রভাব।
তাহলে কেরোসিন আগুনের তাপ কেন? ১৯২৪ সালের ইউএসডিএ’র গবেষক ফ্রাঙ্ক ই. ডেনি গবেষণায় দেখান যে কেরোসিন পোড়ালে নির্গত ধোঁয়ায় সামান্য ইথিলিন থাকে যা পাত্রের ফলের নিজস্ব ইথিলিনকে সক্রিয় করে, ফলে দ্রুত ফল পাঁকে।
একইভাবে পাকা ফল থেকে অনবরত ইথিলিন নির্গত হয়। এই ইথিলিন পাশের ফলের (যেটি পুরোপুরি পাকে নি, তবে পাকার উপযুক্ত) নিজস্ব ইথিলিনকে সক্রিয় করে, ফলে ফল দ্রুত পেকে যায়ে। এছাড়াও উদ্ভিদের অন্যান্য অনেক ক্রিয়ায় ইথিলিন কাজ করে, যা পার্শ্ববর্তী উদ্ভিদ বা নিজ দেহের অন্য অংশকে সক্রিয় করে।
বাইরের ইথিলিনের উপস্থিতি ফল কিভাবে বুঝতে পারে? তাহলে কি উদ্ভিদ ঘ্রাণ নিতে পারে?
এর প্রকৃত রহস্য বুঝতে আমাদের ভাবতে হবে নতুন ভাবে। আমরা ঘ্রাণ অনুভূতি বলতে যা বুঝি তা উদ্ভিদের জন্য হুবুহ এক নয় তা বুঝতে হবে। একইভাবে পাশের উদ্ভিদের সাথে উদ্ভিদের কথা বলা বা লজ্জাবতী গাছে আপনার কোমল স্পর্শ পড়ামাত্র চুপসে যাওয়ার কারণ উদঘাটন করতে হবে।
অনুভব করতে হবে গাছকে হৃদয় থেকে, বিচক্ষণতার সাথে গাছের প্রতিটি পরিবর্তন লক্ষ্য করতে হবে, সাথে জীববিজ্ঞান তথা উদ্ভিদ বিজ্ঞানের জ্ঞানের প্রয়োগ ঘটাতে হবে।আর তখনি আপনি হারিয়ে যাবেন অন্য জগতে, আপনার সাথে গাছের মিতালি হবে, কথোপকথন হবে অজানা সংকেতে।
সূত্রঃ ’গাছেরাও কথা বলে’ শিরোনামে বিজ্ঞান বইয়ের ধারাবাহিক নোট থেকে (বিখ্যাত বই What a plant knows by Daniel Chamovitz এবং প্লান্ট নিউরোসায়েন্স নিয়ে গবেষণা করছেন এমন বিখ্যাত চারজন বিজ্ঞানীর বই, সাক্ষাতকার ও লেকচার অনুসরণে লিখিত)
১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:১২
রফিকুল ১৯৯০ বলেছেন: ২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড স্পেস উইক এসোসিয়েশনের আয়োজেন বিশ্বব্যাপী এক প্রতিযোগিতায় অন্যদেশের চারজনের সাথে আমি নির্বাচিত হয়েছিলাম। ভিসা জটিলতায় আর আমার যাওয়া হয় নি!
২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি বিজ্ঞানী? না গবেষক?
১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:১৩
রফিকুল ১৯৯০ বলেছেন: ভাই, আমি সামান্য পাঠক, বিজ্ঞান কর্মী, প্রকৃতির ছাত্র। শখের বসে অনুবাদ করি, https://www.virtualschoolbd.org/
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার মহাকাশ ভ্রমণের আমত্রণের ব্যাপারটা কি?