নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই রকম পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি যেখানে সবাইকে সমান দৃষ্টিতে দেখা হবে। যেখানে থাকবে না কোন পাপ পঙ্কিলতা।

ইসিয়াক

সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই।

ইসিয়াক › বিস্তারিত পোস্টঃ

একাত্তরের বীরাঙ্গনা রমা চৌধুরী

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৪১



রমা চৌধুরী
জন্ম ১৪ অক্টোবর ১৯৪১
চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ
মৃত্যু ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (বয়স ৭৬)
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ

আমি জানি আপনারা সবাই উনাকে জানেন ও চেনেন ।হ্যাঁ উনি জননী। আমার জননী। আমাদের সকলের জননী ।
রমা চৌধুরী । একাত্তরের বীরাঙ্গনা রমা চৌধুরী ।আজ তার জন্মদিন।

জন্মদিনে রমা চৌধুরীকে বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানানোর জন্যই আমার এই আয়োজন!

১৯৪১ সালের ১৪ অক্টোবর চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানার পোপাদিয়া গ্রামে রমা চৌধুরীর জন্ম। মাত্র তিন বছর বয়সে বাবা রোহিনী চৌধুরীকে হারান। রোহিনী বাবুকে হারিয়ে পরিবারের স্বচ্ছল অবস্থার করুণ পরিস্থিতি তৈরি হলেও রমা চৌধুরীর মা মোতিময়ী চৌধুরী থেমে থাকার মানুষ ছিলেন না। মোতিময়ী চৌধুরী শত বাধা পেরিয়ে তাঁকে পড়াশোনা জন্যে অনুপ্রেরণা দিয়ে যান। মায়ের অনুপ্রেরণায় ১৯৫২ সালে মাত্র ১১ বছর বয়সে বোয়ালখালীর মুক্তকেশী গার্লস হাইস্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৫৬ সালে কানুনগোপাড়া কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। সেই সময় মেয়েদের এইচএসসি পড়া মানে অনেক দূর এগিয়ে যাওয়া। অল্প পড়াশোনার পর মেয়েদের বিয়ে দিয়ে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে দিতো। শুধু মায়ের অনুপ্রেরণায় তিনি ১৯৫৯ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ডিগ্রি পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে ভর্তি হন।

মায়ের উৎসাহ ও উদ্দীপনায় ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ষাটের দশকে তখন নারীদের উচ্চশিক্ষা এতো সহজ ছিল না। সেই সময় রমা চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।

দক্ষিণ চট্টগ্রামের তিনিই প্রথম নারী, যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পড়াশোনার প্রতি তাঁর আগ্রহ ছিল প্রবল। তাই তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানান, ‘সুযোগ পেলে আবার ভর্তি হতে চাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে মাস্টার্সটা করতে চাই ইংরেজিতে।’


মাত্র ২০ বছর বয়সে কক্সবাজার বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। দীর্ঘ এক যুগের উপরে তিনি বিভিন্ন উচ্চবিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব পালন করেন। শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে চলতে চলতে তিনি বৈবাহিক জীবনে আবদ্ধ হন। এরই মধ্যে আসে উনিশো একাত্তর, স্বাধীনতা যুদ্ধ।

১৯৭১ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় তখন তিনি চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর বিদুগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হিসেবেই কর্মরত ছিলেন। এই সময় তাঁর স্বামী তাঁকে ছেড়ে দেশান্তরী হয়ে যান। সাগর আর টগর দুই সন্তানকে নিয়ে রমা চৌধুরী পৈতৃক ভিটা পোপাদিয়ায় বসবাস শুরু করেন।

১৯৭১ সালের ১৩মে সকালবেলা, পোপাদিয়ায় স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীরা রমা চৌধুরীর বাড়িতে আক্রমণ চালায়। সেদিন পাকিস্তানি এক সৈনিক তাঁর সম্ভ্রম কেড়ে নেয়। তাঁর উপর চালায় শারীরিক নির্যাতন। এই ক্ষত তিনি কখনোই ভুলতে পারেননি।

ওই বিভীষিকার বর্ণনা রয়েছে তাঁর “একাত্তরের জননী” বইয়ে। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘যখন আমাকে নির্যাতন করতে উদ্যত হলো পাক সেনা, তখন জানালার পাশে দাঁড়ানো আমার মা ও দুই ছেলে বারবার আকুতি করছিলেন। ছিল আমার পোষা বিড়াল কনুও। তখন আমি মাকে আমার সন্তানদের নিয়ে সরে যেতে বলেছিলাম।’

সম্ভ্রম হারানোর পর রমা চৌধুরী পাকিস্তানি দোসরদের হাত থেকে পালিয়ে পুকুরে নেমে আত্মরক্ষা করেছিলেন। হানাদাররা তাঁকে না পেয়ে গানপাউডার দিয়ে ঘরবাড়িসহ যাবতীয় সহায় সম্পদ সবকিছুই পুড়িয়ে দেয়। এই সময় এলাকাবাসী কেউ কেউ তাঁর প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু তাঁর নিজের আত্মীয়রাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। রমা চৌধুরী তাঁর ‘একাত্তরের জননী’ বইয়ে লিখেছেন, ‘...আমার আপন মেজো কাকা সেদিন এমন সব বিশ্রী কথা বলেছিলেন, লজ্জায় কানে আঙুল দিতে বাধ্য হই। আমি লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছি না, দোকানে গিয়ে কিছু খাবারও সংগ্রহ করতে পারলাম না মা ও ছেলেদের মুখে দেবার জন্য।’

ঘরবাড়ি সহায় সম্বলহীন বাকি আটটি মাস তিনি দুইপুত্র সাগর, টগর আর বৃদ্ধ মাকে নিয়ে জলে-জঙ্গলে লুকিয়ে লুকিয়ে দিন পাড় করেছেন। পোড়া ভিটায় কোনোরকমভাবে পলিথিন আর খড়কুটো মাথায় আর গায়ে দিয়ে রাত কাটিয়েছেন। এইভাবে বহু কষ্টে যুদ্ধের দিনগুলো পার করেন।

মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল সময়ে তাঁর ছেলে সাগর ছিল সাড়ে পাঁচ বছরের। দুরন্ত সাগর মিছিলের পেছনে পেছনে ‘জয় বাংলা, জয় বাংলা’ বলে ছুটে বেড়াত। রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে একসময় সাগর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১৯৭১ সালের ২০ ডিসেম্বর মারা যায়। সাগরের মৃত্যুর ১ মাস ২৮ দিনের মাথায় ৩ বছরের ‍টগরও মারা যায়। ছেলেদের হিন্দু সংস্কারে না পুড়িয়ে তিনি মাটি চাপা দেন। দুই সন্তানের দেহ মাটিতে আছে বলে রমা চৌধুরী জুতা পড়া বন্ধ করে দেন।

ছেলেদের মৃত্যুর স্মৃতি কখনোই তিনি ভুলতে পারেননি। খালি পায়ে হাঁটতে হাঁটতে একসময় তাঁর পায়ে ঘা হয়ে যায়। আত্মীয়স্বজনদের অনেক অনুরোধে তিনি অনিয়মিতভাবে তখন জুতা পড়া শুরু করেন।

পর পর দুইটি সন্তান হারিয়ে রমা চৌধুরীর প্রায় পাগলের মতো হয়ে গিয়েছিলেন। সন্তান হারানোর কষ্ট যে কতটা কঠিন তা একমাত্র মা’ই জানেন। সেই কঠিন সময়ও তিনি পার করেছেন। প্রিয় সন্তানদের শোক তাকে ভয়ানক কাতর করে তোলে।

প্রথম সংসারের পরিসমাপ্তি ঘটলে রমা চৌধুরী দ্বিতীয় বারের মতো সংসার বাঁধার স্বপ্ন দেখেন। দ্বিতীয় বার সংসার বাঁধতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হন। দ্বিতীয় সংসারের ছেলে টুনু ১৯৯৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর বোয়ালখালীর কানুনগোপাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। টুনুর মৃত্যুর পর রমা চৌধুরী একেবারের মতো জুতা ছেড়ে দেন।

যুদ্ধপরবর্তী সময়ে তিনি লেখালেখিকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। তিনি বলতেন, ‘আমার কুষ্ঠিতে লেখা আছে আমি লেখ্যবৃত্তি গ্রহণ করেই জীবিকা নির্বাহ করব। অনেকটা সে কথাকে বাস্তবায়ন করার জন্যই লিখছি। আর এ ছাড়া এই অবস্থায় আমার অন্য কিছু করারও সুযোগ নেই। বাঁচতে হলে অর্থের প্রয়োজন। আমি কারো গলগ্রহ হতে কখনো পছন্দ করতাম না, এখনো করি না।’

প্রথমে তিনি একটি পাক্ষিক পত্রিকায় লিখতেন। সম্মানীর বিনিময়ে তাঁকে পত্রিকার ৫০টি কপি দেয়া হত। সেই পত্রিকা বিক্রি করেই চলত তাঁর জীবনজীবিকা। পরে তিনি নিজেই নিজের লেখা বই প্রকাশ করে বই ফেরি করতে শুরু করেন। তাঁর সমস্ত বইয়ের প্রকাশক আলাউদ্দিন খোকন ছায়াসঙ্গী হিসেবে সবসময়ই তাঁর পাশে থেকেছেন।

প্রবন্ধ, উপন্যাস ও কবিতা সবমিলিয়ে তিনি নিজের ১৮টি গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে ‘রবীন্দ্রসাহিত্যে ভৃত্য’, ‘নজরুল প্রতিভার সন্ধানে’, ‘স্বর্গে আমি যাব না’, ‘চট্টগ্রামের লোকসাহিত্যে জীবনদর্শন’, ‘শহীদের জিজ্ঞাসা’, ‘নীল বেদনার খাম’, ‘সেই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’, ‘ভাববৈচিত্র্যে রবীন্দ্রনাথ’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। । তিনি নিজেই নিজের বই ফেরি করে বিক্রি করেছেন। নিজের লেখা বইগুলো তিনি সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছেন। এ থেকে প্রতি মাসে তাঁর হাজার বিশেক টাকার মতো আয় হত। এ দিয়েই তিনি থাকা খাওয়ার সংস্থান করেছেন।

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী চেরাগী পাহাড়েই লুসাই ভবনের অবস্থান। সেই ভবনের ৪০৮ নম্বর কক্ষটিতে থাকতেন রমা চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে থাকত চারটি বিড়াল। আর তাঁর ছায়াসঙ্গী আলাউদ্দিন খোকনবীরাঙ্গনা ও তাঁর ভাইয়ের গল্প। এই কক্ষ থেকেই তিনি প্রতিদিনের জীবনযুদ্ধে নামতেন। লেখালেখির পাশাপাশি তিনি একই সঙ্গে পরিচালনা করেছেন ‘দীপংকর স্মৃতি অনাথালয়’ নামের একটি অনাথ আশ্রম। প্রচণ্ড কষ্টের জীবন কাটলেও তাঁর দু’চোখে স্বপ্ন ছিল সুখ সমৃদ্ধ বাংলাদেশের।
দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে অনাথ আশ্রম খুলতে চেয়েছিলেন। সকল ধর্মের অনাথরা সেই আশ্রমে থাকবে। মনুষ্য দীক্ষায় দীক্ষিত হয়ে তারা কর্মজীবনে প্রবেশ করবে। তিনি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন প্রতিনিয়ত।

২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগ্রহে রমা চৌধুরী তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি দেখা করেননি, বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে রমা চৌধুরী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। খালি পায়ে তার সাথে সাক্ষাতে নিজের কষ্টের কথা জানান। প্রধানমন্ত্রী আর্থিক সহযোগিতা করতে চাইলে রমা চৌধুরী বিনয়ের সঙ্গে তা ফিরিয়ে দেন। বরং উল্টো তাকে উপহার দিয়ে এসেছিলেন নিজের লেখা “একাত্তরের জননী” গ্রন্থটি।

সবকিছু হারিয়ে একরকম নিঃস্ব হয়েছেন তিনি। জীবনের দীর্ঘ সময় পাড় করে ফেলেছেন এখন এই আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে তিনি কিইবা করবেন তাই কোনো ধরনের আর্থিক সহযোগিতা গ্রহণ করেননি। নিজের সন্তানেরা শহীদের মর্যাদা পায়নি, কিন্তু তাঁর কাছে ওরা শহীদ। এই কথাটি তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন।

একাত্তর রমা চৌধুরীকে দিয়েছে পোড়া ভিটে, কাঁধের ঝোলা, ছেলের শোক আর খালি পা। এই নিয়েই ছিল এখন রমা চৌধুরীর দিনযাপন। ১৯৯৫ সালের মার্চ মাসে একবার মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণজনিত রোগে রমা চৌধুরী আক্রান্ত হয়েছিলেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গোটা দেড়মাস আলাউদ্দিন তাঁর সেবাশুশ্রূষা করেছেন। এই অসুস্থতায় তাঁর ডান পাশ অবশ হয়ে পড়েছিল, একটি চোখও নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এই ভয়ানক সময়ে আলাউদ্দিন যেন দেবতারূপে রমা চৌধুরীকে একা টেনে সুস্থ করে তুলেছিলেন।

আলাউদ্দিনের শুশ্রূষায় তিনি আবার চলার শক্তিও ফিরে পান। শুরু হয় আবারও তাঁর পথচলা। কাঁধে ঝোলা, কানে হিয়ারিং এইড লাগানো রমা চৌধুরী হেঁটে যাচ্ছেন চট্টগ্রামের ফুটপাত ধরে। এ দৃশ্য সকলের পরিচিত। বয়সের কারণে তাঁর সুস্থতা টিকে উঠতে পারেনি।বছরখানেক ধরে অসুস্থ অবস্থায় শয্যাশায়ী ছিলেন তিনি। সেই সময় চিকিৎসার সুব্যবস্থা করার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন আলাউদ্দিন। কোথাও সহযোগিতা পেয়েছেন, কোথাও পাননি। অবশেষে সরকারি নির্দেশে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর জন্য কেবিনের ব্যবস্থা হয়েছিল। এই সময়ও সার্বক্ষণিক জেগে ছিলেন সেই আলাউদ্দিন। তাঁর ইচ্ছা ছিল শত বছর বেঁচে থাকার। কিন্তু শত বছর আর ছোঁয়া হয়নি এ যোদ্ধার। ২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ভোরে ৭৬ বছর বয়সে রমা চৌধুরী নিজের জীবনের অধ্যায় সমাপ্ত করে দেন।
এই পোষ্টটি ইন্টারনেটের বিভিন্ন তথ্যের উপর নির্ভর করে করা হয়েছে। এতে আমার কোন কৃতিত্ব নাই।
কিছু ছবি







মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:১০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: রমা চৌধুরী বাংলাদেশের ১৭ কোটি জনতার বীর মা।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:১৬

ইসিয়াক বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: রমা চৌধুরী বাংলাদেশের ১৭ কোটি জনতার বীর মা।
বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই. ....মা ‘কে।

২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: রমা চৌধুরী গ্রেট লেডি।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:৫৩

ইসিয়াক বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই. ....মা ‘কে।

৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৫৮

বলেছেন: এক মহীয়সী রমনী -

শ্রদ্ধা।।।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:৫৪

ইসিয়াক বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই. ....মা ‘কে।

৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:১৭

চাটগাইয়া জাবেদ বলেছেন: আমার ছেলেরা এদেশের মাটিতে ঘুমিয়ে আছে, এখানে আমি কিভাবে জুতা পায়ে চলি! -রমা চৌধুরী দিদি

ভাবতেই অবাক লাগে প্রজন্মের আলোকবর্তিকা প্রিয় রমা চৌধুরী দিদি খালিপায়েই তিনি তার জীবনটা পার করে দিয়েছেন! আমি গর্বিত আমি রমা দিদি এলাকার সন্তান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা, বোয়ালখালীর সন্তান, একাত্তরের বীরাঙ্গনা, সাহিত্যিক লেখিকা, মহিয়সী নারী, জীবন যুদ্ধে ছুটে চলা আজীবন সংগ্রামী বীর, একাত্তরের জননী খ্যাত রমা চৌধুরী জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা, শুভ জন্মদিন হে মা।
ওপারে ভালো থাকুন হে মহীয়সী একাত্তরের জননী।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:৫৬

ইসিয়াক বলেছেন: অনেক শুভকামনা জানবেন চাটগাইয়া জাবেদ ভাই ।
সুপ্রভাত

৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:৫৬

জোবাইর বলেছেন:
একাত্তরের জননী খ্যাত রমা চৌধুরী জন্মদিনের বিনম্র শ্রদ্ধা।

দেশের নামীদামি অভিনেতা, শিল্পী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব যাদের আবাস ধানমন্ডি-উত্তরার মতো অভিজাত এলাকায় তারাও প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতার সুযোগ নিয়ে কিছু অর্থের জন্য আত্মসম্মান বিকিয়ে দিতে দ্বিধাবোধ করেনি। অথচ কুঁড়েঘরের বাসিন্দা সম্ভ্রম হারানো তথাকথিত সমাজের কাছে অস্পস্য-অপবিত্র নারী রমা চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহযোগিতার প্রস্তাব সবিনয়ে ফেরত দিয়ে নিজের কষ্টার্জিত অর্থে আত্মসম্মান নিয়ে বাকী জীবন কাটিয়েছেন।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:৫৭

ইসিয়াক বলেছেন: প্রিয় জোবাইর
শুভকামনা রইলো
সুপ্রভাত

৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৩:৪৮

শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: হৃদয় নি:স্মৃত শ্রদ্ধাধান বাংলার জননী ''রমা চৌধুরী'' কে। বেশ সুন্দর লিখেছেন। অনেক কিছু জানতে পারলাম। যদি কখনো সময় করে বীরপ্রতীক 'তারামন বিবি' কে নিয়ে কিছু লিখতেন, তবে বেশ কৃতজ্ঞ হতাম।
হৃদয় নি:স্মৃত শ্রদ্ধাধান বাংলার জননী ''রমা চৌধুরী'' কে। বেশ সুন্দর লিখেছেন। অনেক কিছু জানতে পারলাম। যদি কখনো সময় করে বীরপ্রতীক 'তারামন বিবি' কে নিয়ে কিছু লিখতেন, তবে বেশ কৃতজ্ঞ হতাম। নিচের ফটোটি 'তারামন বিবি' এঁর।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:৫৩

ইসিয়াক বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ শুভ্রনীল শুভ্রা আপনাকে ।
বীরপ্রতীক 'তারামন বিবি' কে নিয়ে লেখার ইচ্ছা আমারো ও আছে , আপনার কথা মনে থাকবে ।
@বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই. ....মা ‘কে।
সুপ্রভাত

৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এরকমই একটি পোস্ট আগে যেনো ব্লগে পড়েছিলাম ।সম্ভবত ওনার মৃত্যুর পরপরই এরকম একটি পোস্ট ব্লগে এসেছিল।। যাইহোক বীরাঙ্গনা মহীয়সীকে জানাই অন্তরের সশ্রদ্ধ প্রণাম। পোস্টে লাইক।
শুভকামনা প্রিয় ইসিয়াক ভাইকে।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:১৩

ইসিয়াক বলেছেন: অনেক অনেক শুভকামনা রইলো পদাতিক দা ,
সুপ্রভাত

৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৮

বিজন রয় বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা।

আপনাকে ধন্যবাদ এই পোস্টের জন্য।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪১

ইসিয়াক বলেছেন: বিজন দাদা
শুভকামনা রইলো

৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:১১

মা.হাসান বলেছেন: প্রিয় রফিক ভাই, পোস্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, দুঃখিনি মা এবং জনাব আলাউদ্দিনের জন্য অনেক শ্রদ্ধা।
ওনার কথা আগেও কয়েক জায়গায় পড়েছি, কিন্তু এত বিস্তারিত ভাবে না।
শেষের ছবিটা আমার কাছে তামাশা মূলক মনে হয়।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:১৬

ইসিয়াক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মা.হাসান ভাই ।
শুভকামনা রইলো ।
শেষের ছবিটা সরিয়ে দিচ্ছি ।
শুভরাত্রি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.