নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হতাশাগ্রস্ত মানুষের কদর্যতাই একমাত্র অস্ত্র।

ইসিয়াক

যা মানবতা বিরোধী তাই পরিত্যাজ্য মানবের সাধনা হোক মনুষ্যত্ব লাভ।

ইসিয়াক › বিস্তারিত পোস্টঃ

হোলি আর্টিজান হামলা: ২০১৬

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২৪


১ জুলাই ২০১৬, স্থানীয় সময় রাত ০৯:২০ মিনিটে,নয়জন হামলাকারী ঢাকার গুলশান এলাকায় অবস্থিত হলি আর্টিসান বেকারিতে গুলিবর্ষণ করে।হামলাকারীরা বোমা নিক্ষেপ ও কয়েক ডজন মানুষকে জিম্মি করে এবং পুলিশের সঙ্গে তাদের বোমাবর্ষণের ফলে অন্তত চার পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়। প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানায় হামলার সময় তারা "আল্লাহু আকবার" (আল্লাহ সর্বশক্তিমান) ধ্বনি উচ্চারণ করে গুলি ছুড়ে ও বোমা ফাটায়। এই ঘটনায় মোট আটাশ জন মানুষ নিহত হয়, যাদের মধ্যে সতের জন বিদেশী, দুই জন পুলিশ কর্মকর্তা এবং ছয় জন বন্দুকধারী। পরবর্তীতে বন্দুকধারীদের এক জনকে বন্দী করা হয় এবং ১৩ জন জিম্মিকে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব এবং যৌথবাহিনী কর্তৃক মুক্ত করা হয়।
পটভূমি
২০১৩ সাল থেকে, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু, ব্লগার এবং ধর্মনিরপেক্ষদের উপর হামলা বাড়তে থাকে। সেপ্টেম্বর ২০১৫ সাল থেকে, এদেশে এই ধরনের ৩০টি আক্রমণের ঘটনা ঘটে; আইএসআইএস (যা ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এন্ড দ্য লেভান্ট, ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এন্ড আল-শাম বা দায়েশ নামেও পরিচিত) যার মধ্যে ২১টির দায় স্বীকার করে। গুলশান ঢাকার একটি বিত্তশালী এলাকা এবং এখানে অনেক বিদেশী দূতাবাস অবস্থিত।
আক্রমণ
আক্রমণ স্থানীয় সময় ৯টা ২০ মিনিটের দিকে শুরু হয়। অন্তত সাতজন হামলাকারী রেস্টুরেন্টে বোমা, বন্দুকসহ প্রবেশ করে এবং একজন আক্রমণকারীর হাতে একটি তলোয়ার ছিল। ঢোকার পর রেস্টুরেন্টে জিম্মি করার আগে গুলি ছুড়তে থাকে ও বোমা ফাটায়, জিম্মিদের বেশীরভাগ ছিল বিদেশী। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের সাথে তাদের গোলাগুলি হয়, এতে দুই জন পুলিশ নিহত হয় ও আরো অনেক আহত হয়। পরে পুলিশ রেস্টুরেন্টে প্রায় এলাকা ঘেরাও করে রাখে এবং একটি উদ্ধার অভিযানের পরিকল্পনা করে। এ সময় পুলিশ মাইকে বারবার জিম্মিদের ছেড়ে দিয়ে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানালে জঙ্গিরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে তিনটি শর্ত দেয়:

ডেমরা থেকে আটক জেএমবি নেতা খালেদ সাইফুল্লাহকে মুক্তি দিতে হবে।
তাদেরকে নিরাপদে বের হয়ে যেতে দিতে হবে।
ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তাদের এই অভিযান- স্বীকৃতি দিতে হবে।
রেস্টুরেন্টে ভিতর থেকে ছবি টুইটারে আইএসআইএল-পন্থী অ্যাকাউন্টগুলি থেকে প্রচার হয় এবং এতে কয়েকটি লাশ ও রক্তের দাগ মেঝের উপর পড়ে থাকতে দেখা যায়।

উদ্ধার অভিযান
মূল নিবন্ধ: অপারেশন থান্ডারবোল্ট (২০১৬)
সরকার প্রধানের নির্দেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী 'অপারেশন থান্ডারবোল্ট' পরিচালনা করে। ৬ জুলাই শুক্রবার রাত থেকে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে অবস্থানরত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাবসহ যৌথভাবে অপারেশন থান্ডারবোল্ট পরিচালনা করা হয়। সেনাবাহিনীর প্যারাকমান্ডোর নেতৃত্বে ঘটনা শুরুর পরদিন, শনিবার, সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে অপারেশন শুরু করে ১২-১৩ মিনিটে ঘটনাস্থলের নিয়ন্ত্রণ নেয়া হয়। পরবর্তীতে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে প্রাথমিকভাবে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ৪টি পিস্তল, একটি ফোল্ডেডবাট একে-২২, ৪টি অবিস্ফোরিত আইআইডি, একটি ওয়াকিটকি সেট ও ধারালো দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

হতাহত
বিশ জন বিদেশী নাগরিক, ছয় জন বন্দুকধারী এবং দুই জন পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনার রাতেই নিহত হন। বিদেশীদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়। যেখানে আরও পঞ্চাশ জন, যাদের বেশিরভাগ পুলিশ সদস্য,আহত হন। নিহতদের মধ্যে দুই জন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন, যাদের একজন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী কমিশনার, এবং অন্যজন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।নিহতদের মধ্যে জাপানি ও ইতালীয় নাগরিক ছিল। ১৯ বছর বয়সী এক ভারতীয় নাগরিকও নিহত হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রাথমিকভাবে ঘোষণা করে যে নিহতদের সকলে বিদেশী ছিল, এবং তারা অপরাধীরা যাদের "ধারালো অস্ত্র দ্বারা নির্মমভাবে হত্যা করেছিল"। এদের মধ্যে যারা কুরআন থেকে একটি আয়াত বলতে পেরেছিল শুধুমাত্র সেসকল অ-মুসলিমরা রক্ষা পেয়েছিল। পরে মৃতদেহগুলির মাঝে বেকারির একজন শেফের লাশ শনাক করা হয়। ৮ জুলাই ২০১৬ তারিখে বেকারির একজন আহত কর্মী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান

নিহতদের মধ্যে সাত জন জাপানি নাগরিক ছিল – পাঁচ জন পুরুষ এবং দুই জন নারী – যাদের জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সির সাথে যুক্ত ছিল। সেই সময় নারীদের মধ্যে একজন গর্ভবতী ছিলেন। তরিশি জৈন, ভারতীয় জাতীয়তার, বার্কলির ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ বছর বয়সী ছাত্রীকেও হত্যা করা হয়।

নিহত জিম্মিদের জাতীয়তা
দেশ সংখ্যা
ইতালি ৯
জাপান ৭
বাংলাদেশ ৭
ভারত ১
সর্বমোট ২৪
মৃতদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:

ক্রিস্তিয়ান রসসি (ইতালীয়)
মার্কো তোন্ডাত (ইতালীয়)
নাদিয়া বেনেদেত্তি (ইতালীয়)
আদেলে পুলিসি (ইতালীয়)
সিমোনা মন্তি (ইতালীয়)
ক্লাউদিয়া মারিয়া ড'আন্তোনা (ইতালীয়)
ভিনসেনজো ড'আল্লেস্ত্রো (ইতালীয়)
মারিয়া রিভোলি (ইতালীয়)
ক্লাউডিও কাপ্পেল্লি (ইতালীয়)
হিদেকি হাশিমোতো (জাপানি)
নোবুহিরো কুরোসাকি (জাপানি)
কয়ো অগাসাওয়ারা (জাপানি)
মকোতো ওকামুরা (জাপানি)
ইউকো সাকি (জাপানি)
রুই শিমোদাইরা (下平瑠衣 শিমোদাইরা রুই; জাপানি)
হিরোশি তানাকা (জাপানি)
ফারাজ আইয়াজ হোসেন (বাংলাদেশী)
ইশরাত আখন্দ (বাংলাদেশী)
রবীউল করিম (বাংলাদেশী)
সালাউদ্দিন খান (বাংলাদেশী)
সাইফুল ইসলাম চৌকিদার (বাংলাদেশী)
জাকির হোসেন শাওন (বাংলাদেশী)
আবিনতা কবির (বাংলাদেশী)
তরিশি জৈন (ভারতীয়)
সামরিক ও যৌথ বাহিনী দ্বারা উদ্ধার অভিযানের সময় নিহত পাঁচজন সন্ত্রাসী হল:

নিবরাস ইসলাম
রোহান ইমতিয়াজ
মীর সামেদ মোবাশ্বে
খায়রুল ইসলাম
শফিকুল ইসলাম
আহতদের মধ্যে ২৫ জন পুলিশ সদস্য ছিলেন। এদের মধ্যে ছিলেন অতিরিক্ত মহানগরসহ ঢাকা মহানগর পুলিশের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, দুই অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও একজন পরিদর্শক।

ইতালীয় উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিও জিরো বাংলাদেশে আসেন এবং ঘটনার স্থল পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি ইতালীয় ৯ ব্যক্তির লাশ নিয়ে ইতালিতে ফিরে যান। ময়নাতদন্তে পাওয়া যায় যে ৯ ইতালীয় নাগরিককে হত্যার আগে নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করা হয়। মৃত্যুর আগে কয়েকজনকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয় ও কয়েকজনের শরীরের অঙ্গ বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। পরে তারা ধীরে ধীরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যায়। নয় ইতালীয় নাগরিক "মন্থর ও যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু" ভোগ করে বলে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করে।
এই হামলার সাতজন জাপানী নাগরিকের লাশ দেখতে ও তাদের সনাক্ত করার জন্য জাপানি নাগরিকদের স্বজনরা বাংলাদেশে আসেন, তাদের সঙ্গ দেন জেষ্ঠ্য উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেইজি কিহারা। তাদের সাথে জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ও দেশটির দাতা সংস্থা জাইকার কয়েকজন কর্মকর্তাও আসেন। ঢাকার বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় যেখানে জাপানের বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবেউপস্থিত থাকেন। ৫ জুলাই সাত জাপানী নাগরিকের লাশ নিয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৮টা ৪৫ মিনিটে একটি বিমান জাপানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করে।
আইএসআইএস-এর দায় স্বীকার
ইসলামিক স্টেটের অধিভুক্ত, আমেক সংবাদ সংস্থা, এই হামলার দায় স্বীকার করে এবং ২০ জনকে হত্যার দাবি জানায়। ঘটনার পর তারা একটি ভিডিও প্রকাশ করে এবং হুমকি দেয় এটি সবেমাত্র শুরু ভবিষ্যতে আরো হামলা হবে।

প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশ এই ঘটনায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। তিনি একে ধর্ম ও মানবতার অবমাননা বলে মন্তব্য করেন। তার মতে ইসলাম শান্তির ধর্ম এবং ইসলামের নামে মানুষ হত্যা বন্ধ হওয়া উচিত্। তিনি বলেন “দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে যে কোন মূল্যে আমরা ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্ত প্রতিহত করব।” রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানান। এছাড়া তিনি জিম্মি সংকটের অবসানে যৌথ অভিযানে অংশ নেয়া যৌথ বাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।
ইতালি ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও রেনসি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, “আমাদের মূল্যবোধ ঘৃণা ও সন্ত্রাস থেকে অনেক শক্তিশালী।” এছাড়া তিনি এই ঘটনাকে “বেদনাদায়ক ক্ষতি” বলে মন্তব্য করেন।
জাপান জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবে সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি জাপানিদের জীবিত উদ্ধারে ঢাকাস্থ দূতাবাসে নির্দেশনা দেয়ার কথা এক সংবাদ সম্মেলনে জানান এবং তিনি এটিকে “দুঃখজনক” হিসেবে আখ্যা দেন।এছাড়া অন্যান্য জাপানি সরকারি কর্মকর্তা ও সংস্থা যাদের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার, মন্ত্রিসভার মুখ্য সহকারী সচিব কোইচি হাগুইদা, মন্ত্রিসভার সহকারী সচিব ইয়োশিহিদে সুগা, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এই ঘটনায় তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করে।
ভারত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন “ঢাকায় আক্রমণ আমাদের অনেক কষ্ট দিয়েছে। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছি এবং এ আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানাই।”
মালয়েশিয়া মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে সমগ্র বিশ্ব এর মুসলিমদের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এক হওয়ার কথা বলেন।
ভ্যাটিকান সিটি পোপ ফ্রান্সিস হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেন এবং এই ধরনের হামলাকে “স্রষ্টা ও মানবতার বিরুদ্ধে আঘাত” বলে মন্তব্য করেন।
ভুটান ভূটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে ঢাকায় সন্ত্রাসী ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বলেন “তার দেশ সবসময় বাংলাদেশের পাশে আছে। বাংলাদেশের জনগণ এ ঘটনার মধ্য দিয়ে একটি বার্তা পেয়েছে, সেটি হলো সেদেশের সরকার কোন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড-কে প্রশ্রয় দেবে না।

রায়
হোলি আর্টিজানে হামলাকারীরা সহানুভূতি পেতে পারে না: বিচারক
বাংলাদেশে তথাকথিত জিহাদ কায়েমের জন্য ও আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য নব্য জেএমবির সদস্যরা গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে নারকীয় হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। সাজা প্রদানের ক্ষেত্রে এই আসামিরা কোনো ধরনের অনুকম্পা বা সহানুভূতি পেতে পারে না। দেশের ইতিহাসে নৃশংসতম জঙ্গি হামলার মামলায় সাজা ঘোষণা করে আদালত রায়ে এই কথা বলেছেন।

ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান বুধবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাত জনকে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড ও এক আসামিকে অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়।

রায়ে বিচারক বলেন, এই হামলার মধ্য দিয়ে জঙ্গিবাদের উন্মত্ততা, নিষ্ঠুরতা ও নৃশংসতার জঘন্য বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। জঙ্গিরা শিশুদের সামনে এই হত্যাকাণ্ড চালায়। মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য নিথর দেহগুলোকে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। কলঙ্কজনক এই হামলার মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চরিত্র হরণের চেষ্টা করা হয়েছে।

এসব পর্যবেক্ষণ থেকে আদালত বলেছেন, সেজন্য সাজা প্রদানের ক্ষেত্রে আসামিরা কোনো ধরনের অনুকম্পা বা সহানুভূতি পেতে পারেন না।

রায়ে আরও বলা হয়, তামিম চৌধুরীর পরিকল্পনা ও সমন্বয়েই হোলি আর্টিজানে হামলা হয়। তামিমই অন্যান্য জঙ্গিদের জানায়, নব্য জেএমবি আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস দ্বারা অনুপ্রাণিত। আইএসের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যই গুলশানে কূটনৈতিক এলাকায় হামলা করা প্রয়োজন। কাজেই এটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে তামিম চৌধুরীর নেতৃত্বে হোলি আর্টিজানে হামলা সংঘটিত হয়। বাংলাদেশ তথাকথিত জিহাদ কায়েমের লক্ষ্যে… নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে গ্রেনেড, আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো চাপাতি দিয়ে ১৭ জন বিদেশি, চার জন বাংলাদেশি ও দুই জন পুলিশ অফিসারকে হত্যা করে অনেককে গুরুতর আহত ও জিম্মি করা হয়।

শেষ সংবাদ
বহুল আলোচিত গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলা মামলায় সাত জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ বুধবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। এছাড়াও প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়।


মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো : হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা, অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবির নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ। আট আসামির মধ্যে নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড়ো মিজানকে খালাস দিয়েছে আদালত। রায় পড়ার সময় সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ১৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে বিচারক রায় ঘোষণার জন্য ২৭ নভেম্বর নির্ধারণ করেন। এ পর্যন্ত মোট ১১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। একই বছরের ২৩ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের জিআর শাখায় মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে ২৬ জুলাই সিএমএম আদালত মামলাটি ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেয়।

অভিযোগপত্রে নাম থাকা ২১ আসামির মধ্যে ১৩ জন মারা যাওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। নিহত ১৩ জনের মধ্যে আট জন বিভিন্ন অভিযানে এবং পাঁচ জন ঘটনাস্থলে নিহত হয়।

ঘটনাস্থলে নিহত পাঁচ আসামি হলো : রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল। আর বিভিন্ন ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানের সময় নিহত আট আসামি হলো তামিম চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ, রায়হান কবির তারেক, সারোয়ার জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোটো মিজান।

২০১৬ সালের পহেলা জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এ সময় তাদের গুলিতে পুলিশের দুই সদস্য নিহত হন। পরে অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। ঐ ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ।

####################################################################################
এক নজরে হোলি আর্টিজান হামলায় নিহত ব্যক্তিবর্গ
নিহত তিন বাংলাদেশি নাগরিক:

‪গুলশানের ওই জঙ্গি হামলায় অবন্তি কবির (১৮) নামের এক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী তরুণ নিহত হন। তিনি জর্জিয়ার ইমোরি অক্সফোর্ড কলেজের ছাত্র। ২০১৯ সালে স্নাতক সম্পন্ন করার কথা ছিল তার। পরিবার ও বন্ধুদের সাথে বেড়াতে ঢাকায় এসেছিলেন তিনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় ইফতারের পর বন্ধুদের সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নিতে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে যাওয়ার পর সেখানে জঙ্গি হামলায় নিহত হন অবন্তি কবির।

‪ওই হামলায় নিহত ফারাজ হোসেইন (২০)। তিনি ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের নাতি। ফারাজ অক্সফোর্ড কলেজ অফ ইমোরি ইউনিভার্সিটি থেকে ওই বছর স্নাতক অর্জন করেন। ২০১৬ সালের মে মাসের ১৮ তারিখে গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে ঢাকায় এসে দুই বন্ধুকে নিয়ে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে নৈশভোজে অংশ নেওয়ার পর জঙ্গিদের হামলায় নিহত হন তিনি।হলি আর্টিজান: সেদিনের নারকীয় জঙ্গি হামলায় নিহত যারা

বাংলাদেশের শিল্প ব্যক্তিত্ব ইশরাত আকন্দও নিহত হয়েছে গুলশানের ওই হামলায়। পরিবারে তাকে লায়লা নামে ঢাকা হতো। তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে শিল্পকলা চর্চা করে আসছেন। ইন্সটিটিউট অফ এশিয়ান ক্রিয়েটিভসের (আইএসি) তত্ত্বাবধানে ছিলেন তিনি। বাংলাদেশের শিল্পকলা এবং চারুশিল্পীদের তিনি আন্তর্জাতিক মাত্রায় নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। তিনি প্রায় ২শ শিল্পীকে নিজেদের প্রতিভা প্রকাশে সহায়তা করেছেন। তিনি একটি কোম্পানিতে মানব সম্পদ পরিচালকও ছিলেন।

ইশরাত ইতালীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শুক্রবার গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে নৈশভোজে অংশ নিয়েছিলেন। সেসময় রাত পৌনে নয়টায় ওই রেস্টুরেন্টে হামলার ঘটনায় নিহত হন তিনি। তিনি মুক্ত আকাশে পাখির উড়ার দৃশ্য খুব উপভোগ করতেন।

নিহত ভারতীয় নাগরিক:

হলি আর্টিজানের হামলায় তারুশি জেইন (১৮) নামের এক ভারতীয় নাগরিক নিহত হন। তিনি ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার ছাত্রী ছিলেন। জঙ্গি হামলার শিকার হওয়ার এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশে এসেছিলেন। নিহত হওয়ার আগে তিনি ইস্টার্ন ব্যাংকে ইন্টার্নশীপ করতেন। তার বাবা সঞ্জিব জইন ঢাকায় ২০ বছর ধরে গার্মেন্টস ব্যবসা পরিচালনা করছেন।

হামলায় নিহত হন নয় ইতালীয়ান নাগরিক:

ক্লাউদিয়া মারিয়া ডি এন্তোনা (৫৬)। তিনি ছিলেন ফেডো ট্রেডিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ওই ইতালীয় টেক্সটাইল কোম্পানী বাংলাদেশে কাজ করছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ভারতে ও তারপরে বাংলাদেশে ছিলেন। ডি এন্তোনা এবং তার স্বামী ২০ বছরে ধরে বসবাস করেছি্লেন বাংলাদেশে। ওই হামলায় ইতালীয় নাগরিকদের মধ্যে একমাত্র মারিয়ার স্বামী গিয়ান গালিয়াজ্জো বোসছেত্তিই সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন। তারা দুজন হলি আর্টিজানে নৈশভোজে অংশ নেন। পরে হামলায় মারিয়া নিহত হন এবং গিয়ান পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

সিমোনা মন্টি (৩৩) ছিলেন সাত মাসের অন্ত:সত্ত্বা। রোম থেকে কিছু দূরের মাগলিয়ানো সাবিনো শহরে বাস করতেন তিনি। জঙ্গি হামলার ঘটনার ওই সপ্তাহে ইতালিতে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তার। তাই বন্ধুদের বিদায় জানানোর জন্য তিনি হলি আর্টিজানে গিয়েছিলেন। সেখানেই জঙ্গি হামলায় নিহত হন।


গুলশানের রেস্টুরেন্টে হামলায় মারকো তোন্দাত নামে আরো এক ইতালীয় নাগরিক নিহত হন। তার বয়স ছিল ৩৯ বছর। এক বছর আগে তিনি কাজেরন সন্ধানে ঢাকায় এসেছিলেন। স্টুডিও টেক্স লিমিটেডে সুপারভাইজার পদে কর্মরত ছিলেন। ৪ জুলাই তার ইতালিতে ফিরে যাওয়ার কথার ছিল। ৫ বছর বয়সি এক মেয়ে সন্তান ছিল তার।


ইতালীয় নাগরিক নাদিয়া বেনেদেত্তি (৫২) বাংলাদেশে কর্মরত ছিলেন। তিনি স্টুডিওটেক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। ২০ বছর ধরে তিনি বাংলাদেশে বসবাস করছিলেন। ঢাকায় আসার আগে তিনি নেপাল থাকতেন। ওই প্রতিষ্ঠানটির সদর দফতর লন্ডনে অবস্থিত। এর ঢাকার শাখা অফিসেই ছিলেন নাদিয়া।

আদেলে পুগলিসি (৫০) ইতালির ক্যাটেনিয়ার নাগরিক। আদেলে আর্টসানায় একটি টেক্সটাইল গ্রুপের মাননিয়ন্ত্রক ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করতেন। তিনি শনিবারে নিজে দেশে যাওয়ার কথা ছিল। তার আগেই শুক্রবারের হামলায় নিহত হন তিনি।

‪ক্রিসটিয়ান রোজি (৪৭) ফেলেত্তো আমবারতো প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক ছিলেন। তিন বছরের জমজ কন্যা সন্তানের বাবা ছিলেন ক্রিসটিয়ান। তিনি বাংলাদেশে থেকে পণ্য নিয়ে ইতালিতে বিক্রি করতেন। ফিবরেস লিমিটেড নামে তার নিজের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাংলাদেশ এবং চীনে তার এই প্রতিষ্ঠান কাজ করছে।

‪ক্লাউডিও কাপেল্লি (৪৫) ভেদেনো ইতালির মোনজা প্রদেশের আল লামব্রো এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে নিজের একটি টেক্সটাইল কোম্পানী চালাচ্ছিলেন। তার ৬ বছর বয়সী এক কণ্যা সন্তান ছিল।

ভিনসেনজো দাল্লেসত্রো (৪৬) ইতালির পিয়েদিমোনতে মাতেসের কাসেত্রার নাগরিক। তিনি ১৯৯৩ সালে গ্লোসোপের নাগরিক মারিয়াকে বিয়ে করেন। তার সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। টেক্সটাইলের কাজে তিনি ঢাকা এসেছিলেন।‪

‪মারিয়া রিবোলি (৩৪) স্বামী এবং তিন বছর বয়সী মেয়ে নিয়ে ইতালির সোলজায় বাস করতেন। তার তিন বছর বয়সের একটি কণ্যা সন্তান রয়েছে। তিনি ব্যবসায়িক কাজে কয়েক মাস আগে বাংলাদেশে এসেছিলেন। তিনি একটি টেক্সটাইল কোম্পানীতে কর্মরত ছিলেন। শুক্রবার রাতে গুলশান রেস্টুরেন্টে হামলায় নিহত হন মারিয়া।

নিহত হন জাপানী সাত নাগরিক:

‪গুলশান রেস্টুরেন্টে ওই হামলার ঘটনায় সাত জাপানি নিহত হন। এদের মধ্যে পাঁচ পুরুষ এবং দুই নারী। এরা হলেন, তানাকা হিরোশি, ওগাসাওয়ারা, শাকাই ইউকু, কুরুসাকি নুবুহিরি, ওকামুরা মাকাতো, শিমুধুইরা রুই ও হাশিমাতো হিদেইকো। এদের মধ্যে ওকামুরা মাকাতো(৩২)ছিলেন বিবাহিত। তার বাবার নাম কোমাকিচি ওকামোতো।

নিহতদের মধ্যে ছয়জনই মেট্রোরেল প্রকল্পের সমীক্ষা কাজে নিয়োজিত ছিলেন। তবে এদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

এছাড়া জঙ্গি হামলায় অভিযানকালে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত:

গুলশানের জঙ্গি হামলায় অভিযানকালে নিহত হন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন খান। তার বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলা শহরের ব্যাংকপাড়ায়। ১১ ভাই বোনের মধ্যে ওসি সালাহউদ্দিন খান ছিলেন ষষ্ঠ। তিনি ১৯৯০ সালে যোগ দেন পুলিশ বাহিনীতে। চাকরি জীবনে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সুনামের সঙ্গে কাজ করায় পেয়েছেন জাতিসংঘ শান্তি পুরস্কার। ব্যক্তিগত জীবনে স্ত্রী রোমকিম এবং এক মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে ছিল তার সংসার।

ওই হামলায় নিহত হয়েছিলেন আরেক পুলিশ কর্মকর্তা রবিউল করিম। তিনি ছিলেন ঢাকা মহানগর (উত্তরের) গোয়েন্দা পুলিশের অ্যাডিশনাল কমিশনার। তার বাড়ি ঢাকার কাছের জেলা মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার শান্ত কাটিগ্রামে। তিনি ছিলেন বিসিএস পুলিশের ৩০তম ব্যাচের সদস্য। মৃত্যুর পর তার একটি কন্যা সন্তান জন্ম লাভ করে। এছাড়া তার ৮ বছর বয়সের এক ছেলে রয়েছে।
তথ্য সূত্র
https://bn.wikipedia.org
https://www.channelionline.com
https://www.ittefaq.com.bd
https://www.bbc.com
https://www.thedailystar.net

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: ভয়াবহ সেদিন আমরা পার করেছি।
সমস্ত দেশের মানুষ অবাক!
যাক অপরাধের শাস্তি হয়েছে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৩০

ইসিয়াক বলেছেন: ধন্যবাদ বন্ধু

২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৪৮

নীল আকাশ বলেছেন: পিছনের আসল ঘটনা কি বের হয়েছে? যা দেখছেন বা শুনছেন সেগুলি যে শুধুই মিডিয়ার প্রোপাগান্ডা নয় কিভাবে এত নিশ্চিত হলেন?

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫৪

ইসিয়াক বলেছেন: নীল আকাশ বলেছেন: পিছনের আসল ঘটনা কি বের হয়েছে? যা দেখছেন বা শুনছেন সেগুলি যে শুধুই মিডিয়ার প্রোপাগান্ডা নয় কিভাবে এত নিশ্চিত হলেন?

ভাইয়া আপনি বলুন....। যদি পিছনে কিছু থাকে তো সেটা সামনে আসা উচিত।
সত্য প্রকাশিত হোক।

৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫৮

নীল আকাশ বলেছেন: ভাইয়া আপনি বলুন....। যদি পিছনে কিছু থাকে তো সেটা সামনে আসা উচিত। সত্য প্রকাশিত হোক।
হুম , আগে শিখা আপুর নতুন কবিতাটা পড়ে আসুন!

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০৩

ইসিয়াক বলেছেন: গতকাল ই পড়েছি ......।মন্তব্য ও করেছিলাম।শিখা আপুর কবিতা আমি মিস করি না......।
বুঝতে পারলাম।
ধন্যবাদ ভাইয়া।

৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩৪

হাবিব বলেছেন: আমার ছোট ভাইকেও হোলি আর্টিজেন মামলায় ফাসাতে চেয়েছিল। সে নিয়ে একদিন পোস্ট দিবো........

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৯

ইসিয়াক বলেছেন: পোষ্টের অপেক্ষায় রইলাম হাবিব স্যার।

৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এক পোস্টে সব তথ্য উঠিয়ে এনেছেন। ভাল লাগল ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০৬

ইসিয়াক বলেছেন: পাঠে ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা লিটন ভাইয়া।

৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: তাদের বিচার হয়েছে, শাস্তি হয়েছে।
তবে আল্লাহর বিচার তাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৬

ইসিয়াক বলেছেন: অবশ্যই। সৃষ্টি সেরা জীব মানুষ। সেই মানুষকে হত্যা করার কোন অধিকার আল্লাহ কাউকে দেয়নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.