নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই রকম পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি যেখানে সবাইকে সমান দৃষ্টিতে দেখা হবে। যেখানে থাকবে না কোন পাপ পঙ্কিলতা।

ইসিয়াক

সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই।

ইসিয়াক › বিস্তারিত পোস্টঃ

থ্রিলারঃ গোরস্থানে গন্ডগোল

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৩৫





(১)
সারাদিনের বেশির ভাগ সময়টুকুই আজ এখানে ওখানে চায়ের দোকানে ঢুঁ মেরে চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিয়ে আর সিগারেট টানতে টানতে কেটে গেল।কাজের কাজ তেমন কিছুই হলো না। পথে তেমন কোন উল্লেখযোগ্য লোকজন নেই আজ, নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হয়নি কেউ । নিরবিচ্ছিন্ন বর্ষণ মুখর দিনে এটাই স্বাভাবিক।আজ সম্ভবত পহেলা আষাঢ়।নিতান্ত লোক চলাচল যা আছে সবই খুচরা পার্টি , এমন কুফা মার্কা দিন অনেকদিন আসেনি।অথচ আজই সবচেয়ে বেশি টাকার প্রয়োজন ছিল আমার।
এদিকে গাড়ির জমা পুরোটা জোগাড় করা হয়নি এখনও অথচ রাত গভীর হতে চলল। তার উপর মাসের প্রথম সাতদিন পার হয়ে গেছে গত পরশু এখনও বাসা ভাড়া দেওয়া হয়নি। বাড়িওয়ালী লোক সুবিধার না।এমনিতে বউয়ের সাথে প্রায় সময় দাঁত খিটিমিটি লেগে যায় তার।সবসময় যে তার দোষ তাও না আমার বউটা আসলে ভীষণ মুখরা। একটু ঝগড়া প্রিয় বলা চলে।এ কারণে যখন তখন লেগে যায় বাড়িওয়ালীর সাথে। এত করে বলি আরে বাবা এটা পরের বাড়ি একটু মানিয়ে গুছিয়ে থাকো। কে শোনে কার কথা। উনি আছে উনার মর্জি মত অনেক বার ওয়ার্নিং পড়ে গেছে তাই ভাড়া না পাওয়ার এমন যুৎসই অজুহাত পেলে নামিয়ে দিতে দ্বিধা করবে না সুযোগ মত সেটা আমি ভালো করে জানি।কি দিয়ে যে কি করবো ভাবতে ভাবতে উপশহর থেকে সোজা একটানে স্টেশন রোড়ে ট্যাক্সিটা চালিয়ে নিয়ে এলাম।একে তো বাদলা বরষার দিন তার উপর রাত হয়ে যাওয়াতে রাস্তা একদম ফাঁকা। বাসায় যেহেতু ফিরতে হবে সর্ট কার্ট পথ ধরা ভালো ছিল কিন্তু উপশহর থেকে খাজুরার এই পথে ছিনতাইকারীদের কার্যকলাপ ভীষণ রকম বেড়ে গেছে যখন তখন ছিনতাইকারীর কবলে পড়ার ভয় আছে। প্রতিদিনই আক্রান্ত লোকজনের খবর পাওয়া যায়।কলেজ মোড়টা চোর ছ্যচড়া আর নেশাখোরদের জমজমাট আখড়াই বলা যায়। ট্যাক্সিটা বেশ চলছিল ফাঁকা রাস্তার পথ ধরে। ইঞ্জিনে আপাতত কোন সমস্যা নেই মোটামুটি ফ্রেশ।কদিন আগে মালিককে ধরে অনেক কষ্টে ম্যানেজ করে কিছু প্রয়োজনীয় কাজ করিয়ে নেওয়া হয়েছে গ্যারেজ থেকে।এজন্য অবশ্য ভাড়ার জমার টাকা বাড়াতে হয়েছে। সব শালা মালিক পক্ষ রক্তচোষা।সুযোগ পেলেই এক হাত নেয়। খাই খাই অভ্যাস।
এ সময় বেখেয়ালে আচমকা ট্যাক্সির সামনের চাকা একটা গর্তে পড়ল।ভীষণ বিরক্তিকর অবস্থা। সবকিছুর জন্য এই সৃষ্টি ছাড়া বৃষ্টি দায়ী বলে মনে হল আমার। সারাদিনই আজ ঝুম বৃষ্টি।কোন মানে হয়? কোন কোন রোডে তো হাঁটু সমান পানি জমে গেছে। পলিথিন প্লাস্টিকের যথেচ্ছাচার ব্যবহার এই জলাবদ্ধতার জন্য বিশেষত দায়ী।
এখন অবশ্য বৃষ্টির দাপটটা আর নেই, সন্ধ্যার পর থেকে রেহাই মিলেছে কিছুটা তবে যখন তখন আবার ঝরবে না কে বলতে পারে? আকাশ ভর্তি ঘন কালো মেঘের ছড়াছড়ির কমতি নেই কোন । সাথে আবার দমকা বাতাস।বেশ শীত শীত লাগছে।
কাছাকাছিই ট্রেন স্টেশনটা একবার ঢুঁ মারলে কেমন হয় ভাবতে ভাবতে স্টেশনে গেটে চলে এলাম।দেখা যাক শেষ একটা ট্রিপ মারা যায় কিনা।যদিও সম্ভাবনা একেবারেই কম। শেষ ট্রেন চলে গেছে হয়তো, ছেড়ে যাবারই কথা।মোবাইলে সময় দেখলাম রাত একটা বাজে।দেরী হয়ে গেছে।একটু অপেক্ষা করে ফেরত যাবো কি না ভাবছি ঠিক তখনই দুরে ট্রেনে হুইসেল বেজে উঠলো। তার মানে ট্রেন আসছে। আমার ধারণা ছিল শেষ ট্রেন ছেড়ে গেছে, এদিকটায় ফড়কা যাত্রীর খোঁজেই আসা।বাবু বিবিরা রিসোটে যান রাত নিশি হলে।গোপন যাত্রায় পয়সা বেশি পাওয়া যায়। যাক বাবু বিবির দেখা না পাওয়া গেলেও ট্রেনের দেখা পাওয়া গেল। কপাল যদি ভালো হয় এত রাত্রিতে যাত্রী মিললেও মিলতে পারে। কিছু ক্ষণের মধ্যে সশব্দে ট্রেন এসে পৌছালো স্টেশনে ।হতাশ ই হলাম যাত্রী তেমন নেই তবে বৃষ্টি বিঘ্নিত এত রাতে এটাই স্বাভাবিক।একেবারে শেষ মুহুর্তে একটা ছেলে আর একটা মেয়ে হাত ধরাধরি করে নামলো ট্রেন থেকে।তারা নামার সাথে সাথে দুলে উঠলো ট্রেন। ঘুমিয়ে ছিল নাকি! কে জানে? সম্ভবত নব দম্পতি।ভাব দেখে তাই মনে হচ্ছে। সাথে আবার ভারি লাগেজও আছে।ট্রেন থেকে নেমেই তারা দ্রুত এদিক ওদিক চাইলো।কাউকে খুঁজছে কি? চোখে মুখে উদ্বেগ উৎকন্ঠা সাথে তাড়াও আছে বোঝাই যাচ্ছে। কিছুক্ষণ চেষ্টা করে এদিক ওদিক ছুটে কোন যানবাহন না পেয়ে মেয়েটি ব্যকুল হয়ে বললো
- রাত তো অনেক এখন কি হবে? কোথাও তো কিছু দেখছি না।ছন্নছাড়া বৃষ্টির কিছু না বলে! এত জ্বালা আর ভালো লাগে না।
-অস্থির হচ্ছো কেন এত ,আমি তো আছি নাকি?
-ফোনেও তো চার্জ নেই যে বাড়িতে একটা খবর দিবো।এতবার করে বললাম গেম খেলো না গেম খেলো না। কে শোনে কার কথা।এখন বোঝো ঠেলা।এত রাতে কোন যানবাহন পাওয়া মানে আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া। এমন হবে আমি আগেই জানতাম।আগেই জানতাম।
-আমি কি জানি নাকি এত রাত হয়ে যাবে পৌঁছাতে ?ট্রেন লেট হলে আমার দোষটা কোথায় বুঝতে পারছি না তো। শুধু শুধু দোষ দিচ্ছ।
-মুখ না চালিয়ে একটু নড়াচড়া করো। বাড়ি ফিরতে হবে। বেশ জোরে সোরে কথা চলছে দম্পতিটির। চায়ের দোকানের ছেলেটা হা করে তাদের কথা গিলছে।তার কাজ শেষ । মালিক টাকা গুনছে।টাকা গোনা শেষ হলে সম্ভবত তার ছুটি।
আমি হাল্কা করে হর্ণ বাজালাম দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। কাজ হলো
দুরে হলেও আমার ট্যাক্সির দিকে মেয়েটির চোখ পড়ল ,সে এদিকটায় এক প্রকার উড়ে এসে সঙ্গীকে হাতছানিতে ডাকল।
- এই শোন শোন এই দেখো একটা ট্যাক্সি
-তাই নাকি? হ্যাঁ তাই তে।
-আরে ভালো হলো চল চল চল কি ভাই যাবেন তো নাকি?
আমি তো খুশিতে গদগদ যাহোক অতি রাত্রের ভাড়া সারাদিনের ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে নেয়া যাবে হয়তো । তবে দুরের পথ না হলে পোষাবে না।কাছাকাছি হলে খামাখা তেল পোড়াবো না ভাবছি।ফিরে যাবো।বউ ফোন দিয়েছে ইলিশ খেচুড়ি করেছে আজ।
আমি নির্লিপ্ত গলায় বললাম
-কোন দিক যাবেন আপনারা?
-তের খাদা, বীর নারায়ণপুর।
হঠাৎ আমার মুখটা কালো হয়ে গেল । সারা মুখে অজানা ভয়ের আতঙ্ক আমি শ শ ব্যস্ত হয়ে বললাম
-না না যাবো না। ও বড় দুর্গম পথ।অনেক ঝামেলা।
আমরা তো নিয়মিত যাই ভাই
-পথটা ভালো নয়। অনেক সমস্যা আছে
-ভালো নয় মানে? কি সমস্যা?
-পথে যেতে যেতে দুটো কবরখানা আর একটা শ্মশানও পড়ে। সেখানে নানা অশরীরি আত্না রাত হলে বের হয়ে আসে কবর ফুঁড়ে। মানুষের ঘাড় মটকে ধরে, রক্ত খায়। তারপর আক্রান্ত ব্যক্তি রক্ত শূন্য হয়ে মারা যায়। শোনা যায় কোন কোন সময় দিনের বেলাতেও নাকি উনারা বাইরে বের হন।
- আরে এসব তো আমি কখনও শুনিনি।সব গুজব।
- না,দাদা সত্যি বলছি আপনি অন্য কিছু দেখে তাতে না হয় চলে যান।আমি বেঘোরে প্রাণটা হারাতে রাজী নই।
-আমরা তো গাড়িতেই থাকবো। আপনি সোজা চালিয়ে যাবেন।আর আমাদের সাথে পবিত্র কোরআন শরীফ আছে। ইনশাআল্লাহ সমস্যা হবে না। ভালো ভাড়া দেব।
টাকার ও দরকার। কিছুটা সময় ভাবলাম তারপর আমি নিমরাজী হয়ে বললাম
-কিন্তু সে তো অনেকটেই পথ। আজ আর ফিরে আসতে পারবো না তো। রাত থাকতে হবে ওখানে।
মেয়েটি বলল
-না হয় আমাদের ওখানে থাকার একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে দাদা। আমাদের অনেক বড় বাড়ি ।অনেক ঘর খালি পড়ে থাকে এমনি এমনি।
-না থাক ,আমার আবার ভীষণ ভুত প্রেতে ভয়। বাড়িতেও বউটা একেলা। আপনারা যান আমি ফিরে যাই।
-ভাড়া পুষিয়ে দেব দাদা। বিপদে পড়েছি বলেই রিকোয়েষ্ট করছি।
-রাস্তা তো খারাপ ট্যাক্সি ফেঁসে যাবে।
এবার মেয়েটি কাঁদো কাঁদো হয়ে বলল
-প্লিজ দাদা একটু চলুন না। আমার মা ভীষণ অসুস্থ।এখন তখন অবস্থা। রাত পোহালে তাকে হয়তো এ জীবনে আর দেখতে পাবো না।
-ঠিক আছে এত করে যখন বলছেন।তবে ভাড়া কিন্তু বেশি লাগবে।
- আপনি যা বলবেন তাই হবে। তাই দেওয়া হবে দাদা। আপনি প্লিজ চলুন।আপনি গেলে আমাদের উপকার হয়।
অগত্যা ভালো দামের ভাড়া তার উপর আবার অসহায় মেয়ের সকরুণ মিনতি। যা থাকে কপালে আমি রাজি হয়ে গেলাম।তবে বউ রেগে যাবে তাই যাত্রার আগে আমি প্রয়োজনীয় দুটো ফোন সেরে নিলাম। একটা বাড়িতে স্ত্রীর কাছে অন্যটি ট্যাক্সির মালিককে।
যাহোক তেল চেক করে আমি গাড়ি স্টার্ট করলাম।ট্যাক্সিটা চলতে শুরু করলো পথ এখনও পর্যন্ত ভালোই মসৃণ। সিটি করপোরেশন ছাড়িয়ে কিছুটা রাস্তা পেরিয়ে ফাঁকা মাঠে চলে এলাম দ্রুতই। ভাবছি এদের পৌঁছে দিয়ে ফিরে আসা যায় কিনা। বেশ জোরে বাতাস বইছে। আমি গাড়ির সাইড গ্লাসটা বেশ খানিকটা টেনে দিলাম। আমার আবার ঠান্ডার ধাত।
আশেপাশে যেহেতু লোকালয় নেই তাই জনমানুষের চিহ্ন নেই কোথাও। সমস্ত চরাচর শুনশান। পথে কিছু শেয়াল রাস্তা পার হতে দেখা গেল।চোখগুলোতে গাড়ির হেড লাইটের আলো পড়ে ভীতিকর দেখাচ্ছে।মেয়েটি চিৎকার দিয়ে উঠলো
-ওফ মাগো কি ভয়ংকর!
আমি বললাম
-ওগুলো শেয়াল,ভয় পাবার কিছু নেই। খাবারের খোঁজে বের হয়েছে।
পিছন থেকে কোন উত্তর নেই। আবার চুপচাপ।
আমি গাড়ির স্পীড বাড়িয়ে দিলাম।এবার একটা লোকালয়ে এলাম বলে মনে হলো তবে কোনখানে লোক জনের চিহ্ন নেই। অবশ্য এত রাতে গ্রামের দিকে লোকজন জেগে থাকার কথা নয়।চারদিকে ঘুটঘুটে আঁধার । আজ সম্ভবত অমাবস্যার রাত। গাড়ির হেডলাইটের আলো ছাড়া আর কোন আলো নেই কোথাও। আমার গাড়ির যাত্রী দুজন গাড়িতে ওঠার পর থেকে কেমন যেন চুপচাপ হয়ে গেছে।চুপচাপ আর কতটা সময় থাকা যায়। আমি ভাব জমানোর জন্য বললাম।
-দাদা গান শুনবেন?
- না থাক আমাদের মন ভালো নেই আপনি তাড়াতাড়ি চলুন।
-ওহ সরি আমার তো মনেই নেই আপনারা রুগি দেখতে যাচ্ছেন। রুগি আপনাদের কে হন?
-আমার শ্বাশুড়ি মা।
-অনেকদিন অসুস্থ বুঝি?
-হু। কথাগুলো কাটা কাটা।সম্ভবত আলাপে আগ্রহী নয়।
কি বলবো বুঝতে পারছি না ,ওপাশ থেকে একদমই কোন সাড়া শব্দ নেই। আমি লুকিং গ্লাসে দেখতে পাচ্ছি স্বামী স্ত্রী দুজনেই জড়োসড়ো হয়ে বসে আছে।জড়ো সড়ো হবার কি আছে কে জানে? শীত লাগছে নাকি? নাকি ভয়!
-দাদা কি ভয় পাচ্ছেন?
-নাহ! ঠিক আছে আপনি একটু টেনে চলুন।
- একদম ভয় পাবেন না দাদা।ভুতে আমার ভয় আছে ঠিকই তবে মানুষকে আমার কোন ভয় নেই। বলেই আমি বা হাতে পায়ের কাছ থেকে একটা গাছি দা টেনে বের করে আনলাম।গাছি দাখানি দেখিয়ে বললাম
-কোন ফালতু লোক সামনে এলে একেবারে চুরিয়ে দেব না।পার্টি করা লোক আমি। এই সব এলাকার নাড়ী নক্ষত্র সব আমার চেনা। রাত বিরেতেই যত কাজ কাম ছিল।বুঝলেন। সেই সব দিন ছিল বটে। রাত দুপুরে মুরগীর ঝোল দিয়ে ভাত কিম্বা চালের রুটি হাঁসের কষা মাংস খেতে ইচ্ছে হয়েছে। যে কোন গৃহস্থ বাড়ি উঠলেই হল বানিয়ে জামাই আদরে খাওয়াতে বাধ্য। সাহসের কমতি তখনও ছিল না এখনও নেই।শুধু একটু ভুত প্রেতে যা ভয়।
-গল্প বাদ আপনি টেনে চলুন দাদা।
আমি যার পর নাই বিরক্ত হলাম। এমন কাঠখোট্টা যাত্রী এর আগে পাইনি।
এর মধ্যে প্রথম কবরখানার কাছে এসে গাড়ির হেড লাইটটা হঠাৎ করে অফ হয়ে গেল।
-শালা!
-কি হলো দাদা?
-দেখছি।
হেডলাইট বন্ধ হয়ে গেলেও গাড়ি চলছে ঠিকই। কি সমস্যা দেখার জন্য নামতে যাবো কি না ভাবছি। লোকটি আবার বলল,
-কি হয়েছে দাদা? কিছু বলছেন না কেন ?
-বুঝতে পারছি না আপনার কাছে কি টর্চ আছে?
- না?
- মোবাইল?
- আছে কিন্তু চার্জ নেই।
- বৌদির মোবাইল আছে না।
-ও মোবাইল ব্যবহার করে না।
- মুশকিল হলো দেখছি।
- এখন কি হবে?
-নেমে দেখতে হবে মনে হচ্ছে..। তারপর মনে পড়েছে এমন ভঙ্গিতে আমি বললাম আমার কাছেই তো মোবাইল আছে। কি ভুলো মন আমার।
-পাশে ওটা কবরখানা না দাদা।
-হ্যাঁ
-এখানে আপনি নামবেন? গাড়ি তো চলছে আপনি সামনে এগিয়ে যান না হয়।
এর মধ্যে আমার একটা ফোন এলো রাগে বিরক্তিতে আমি ফোনটা কেটে দিলাম। এখন কথা বলার সময় নেই।
এতো অন্ধকার চোখে দেখা যায় না।স্লো স্পীডে কোন রকমে গাড়ি চালাচ্ছি। ঘুটঘুটে অন্ধকার। গাড়ির কোন লাইটই কাজ করছে না।
মেয়েটি মনে হয় বেশ ভয় পেয়েছে । একদম সিঁটিয়ে গেছে। কোন সাড়া নেই।
-আর কতটা পথ।
-অর্ধেকটা এসেছি মনে হয়
-দাদা আপনার ফোনে বাসায় এটা ফোন করা যাবে? সবিনয় অনুরোধ
-আমি ফোনটা দেবো কিনা ভাবছি তখনই খেয়াল করলাম দ্বিতীয় কবরখানার সামনে আমরা। এই কবরখানাটির মধ্যখান দিয়ে রাস্তা চলে গেছে ।দুপাশেই কবর আর কবর। চারদিক মারাত্নক শুনশান। বাতাসের আওয়াজটুকুও নেই কোনখানে।হঠাৎ বাতাস থেমে গেল কেন? যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যা হয় বুঝি একেই বলে হঠাৎ গাড়ির স্টার্ট বন্ধ হয়ে গেল। আমি কয়েকবার চেষ্টা করলাম কিন্তু গাড়ি স্টার্ট নিতে না নিতে বণ্ধ হয়ে যাচ্ছে।আচ্ছা জ্বালাতন।
- কি হয়েছে দাদা?
-বুঝতে পারছি না।
আমি গাড়ির দরজা খুলে বের হতে যাবো তখন মেয়েটি বলল
-আপনি গাড়ির দরজা খুলবেন না। কিসের যেন আওয়াজ আসছে।ওই যে ওই যে ওদিক থেকে
আমি বললাম,
-ভয় পেলে চলবে না আপু মনে একটু সাহস রাখুন আমি ট্যাক্সির দরজা খুলে বেরিয়ে এসে দড়াম করে দরড়া লাগিয়ে দিলাম্ এত জোরে আওয়াজে নব দম্পতি সমস্বরে বলে উঠলো কি হলো আবার?
-ও কিছু না
ঠিক তখনই কবরখানার দুপাশ থেকে উলু ধ্বনির আওয়াজ এলো ।মিনিটখানেক তারপর চুপচাপ। আবার কারা যেন সমস্বরে কেঁদে উঠলো । এটাও মিনিটখানেক তারপর চুপচাপ। এসময় থেমে থাকা বাতাসের বেগ হঠাৎ বেড়ে গেল। আকাশে বিদ্যুৎ চমকালো ।বজ্রের বিকট আওয়াজ
- উফ মাগো কী ভয়ংকর। এই কবরখানার পিশাচরা মনে জেগে গেছে। আজ অমাবস্যা না?
ছেলেটা আর মেয়েটা সমস্বরে বলে উঠলো
- আজ বুঝি নিস্তার নেই। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ
হঠাৎ করে কয়েকটি প্রদীপ যেন দপ করে জ্বলে উঠলো আমি তখনও ঠাই দাড়িয়ে বাইরে সংগত কারণে আমার কোন ভয় নেই। কিন্তু গাড়ির ভিতরের যাত্রী দুজন তখন ততক্ষণে অজ্ঞান হয়ে গেছে।
আমার কাজ প্রায় শেষ।
আমি ধীরে সুস্থে সিগারেট ধরালাম। অনেকক্ষণ ধরে নেশার জণ্য মনটা উই চুই করছিলো। এখন একটু শান্তি। অপারেশন সাকসেসফুল। শিস বাজাতে ছুটে এলো সৌম্য আবির আর রাহাত একে একে মেয়েটির শরীর থেকে গহনা খুলে নিতে লাগলো। দ্রুত হাতে সুটকেসের চাবি হাতড়ে সুটকেস খুলে মূল্যবান জিনিস পত্র বাগিয়ে নিতে ভুল করলো না।মানিব্যাগ ঘড়ি মোবাইল সব হাতিয়ে নিয়ে আমরা সবাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ট্যাক্সিতে উঠে এলাকা ছাড়ার আয়োজন করলাম।ক্রাইম স্পটে বেশিক্ষণ থাকা ঠিক না। অজ্ঞান দেহ দুটো একটা ঝোপের নিচে ফেলে দিলাম তার আগে। সবাই বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছে। আজকের বিজনেসটা বেশ ভালোই হয়েছে।
সৌম্য মনে হয় গাঁজা টানছে। আমি আবিরকে বললাম
- স্টিয়ারিং ধর দুটান মেরে নেই । মাথাটা ভার হয়ে আছে সন্ধ্যা থেকে। মেয়েটা কিন্তু দারুণ দেখতে ছিল কি বলিস?
আবির বলল বাদ দে ওই লোভ করা যাবে না চিহ্ন থেকে যাবে।টাকা দিলে ামন মেয়েছেলে অনেক পাওয়া যাবে। তাড়াতাড়ি কেটে পড়ি চল।
একটু থেমে দুটান দিতে না দিতেই দেখি চারদিকে আলেয় আলোয় ভরে উঠলো। এক আলো!!!
সেই সাথে গাড়ি বহর আর মটর সাইকেলের আওয়াজ।
একি! নেশাটা দু্ইটানেই লেগে গেল নাকি! এত আলো,গাড়ি এই অসময়ে!!!!! কিভাবে সম্ভব?
এমন তো হবার কথা নয়!
ওসি রায়হানকে ফোন দিতে যাবো তার আগে মাইকে ঘোষণা এলো ,ট্যাক্সির আরোহীদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হচ্ছে। কেউ পালানোর চেষ্টা করলে গুলি করা হবে।.......
(২)
শেষ রাতে বাড়ি ফিরেছে জাহাঙ্গীর। কম ধকল যায়নি কাল রাতে। আবিদ আর সুরমার দারুণ অভিনয় নিয়ে বিস্তর আলাপ আলোচনা হাসি ঠাট্টা চলেছে অবিরাম অপারেশন শেষে । আবিদ অবশ্য সদ্য বিবাহিত ওর বউ যদি জানতে পারে সুরমা নামে ওর আরও একখানা বউ আছে বেচারা কপালে কি কি দূর্যোগ দেখা দিতে পারে তাই নিয়ে যত টিকা টিপ্পনীতে আরও দেরি হয়ে গেল বাসায় ফিরতে। সুরমা কিন্তু সত্যি সত্যি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। গোরস্তানের ভুত বলে কথা! তবে একটা কথা না বললেই নয় অপূর্ব নামের ছেলেটি বি এ অনার্স পাশ।সময় নিয়ে এমন ছেলে এই লাইনে কিভাবে কি জানতে হবে জাহাঙ্গীরকে।
এসময় রান্নাঘর থেকে এসে মিলি চায়ের কাপ নামিয়ে রাখতে রাখতে বলল,
-শুনছো
-হু
-ঘুমাবে না একটু
- ঘুমাবো
-মুখতা এবার তোল নাকি তাতেও মানা। সারাদিন তো বাসায় থাকো না হেন কাজ তেন কাজ কত দোহাই যাও বা একটু সকালের টাইমে থাকো তো মোবাইলের স্ক্রীনে মুখ গুজে বসে থাকো। আমি কি এতোটাই অসুন্দর। কই বিয়ের আগে তো এমন ছিলে না। সারাদিন তো দেখতাম চাতক পাখির মতো আমাদের জানালায় চেয়ে থাকতে কখন আমাকে একটু দেখা যায় এই আশায়। তোমার ভাষায় দেবী দর্শন সেই দেবী বুঝি এখন তোমার চোখে ডাকিনি যোগীনি রূপে ধরা দিয়েছে?
এক নিঃশ্বাসে এতগুলো অভিযোগ! আমি মুচকি হেসে বললাম
-সকাল সকাল কি শুরু করলে বলো তো। আজ সারাদিন ছুটি যত খুশি চোখে চোখ রেখে গল্প করা যাবে শুধু কয়েকটা মেসেজ দিয়ে নেই একটু সময় দাও।
-কি যে করো সারারাত ডিউটির নামে কে জানে?
জাগাঙ্গীরকে আরো কিছু বলতে যাবে মিলি তখনই টিভি স্ক্রীনে চোখ গেল তার
গতরাতে দুর্ধষ এক ডাকাতদল ধরা পড়েছে ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে। সেই খবরই দেখাচ্ছে টিভি চ্যানেলে ব্রেকিং নিউজে
হালকা অভিমানে মিলি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল
-কই এতো কান্ড হলো সারারাত ধরে আমাকে তো কিছুই বললে না ।আমি কি এতোই পর হয়ে গেছি মিলির গলা ভারি হয়ে এলো।
অনেক অন্যায় হয়েছে আসলেই মিলিকে সময় দেওয়া হয় না তেমন ভাবে।তবে অফিসিয়ল খবর তাকে কিভাবে শেয়ার করে? আজ কোন কাজ রাখবে না বলে ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর মনে মনে শপথ করলো। বলল
-চল আজ তোমার মায়ের বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসি হাঁসের মাংস আর ছিটা রুটি খাবো,বহুদিন খাই না। ফোন দিয়ে দাও এক্ষুনি । মুহুর্তে মিলির মুখ থেকে সব অভিমানের মেঘ সরে গেল।দারুণ উচ্ছসিত হয়ে সে বলে উঠলো
-সত্যি! সত্যি বলছো?
-সত্যি, সত্যি ,তিন সত্যি.... মিলি আবেগে জাহাঙ্গীরকে জড়িয়ে ধরলো।
(৩)
কয়েক মাস ধরে বীর নারায়ণপুর উপজেলার প্রধান সড়কে ডাকাতির পরিমান মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল।প্রায় প্রতিদিন এই ব্যপারে পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ আসতেই থাকে। কিন্তু কি এক রহস্যময় কারণে বরাবরই অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে ।
গোদাগাড়ী কবরখানার কাছেই প্রায় সব ঘটনার কমন স্পট।গত দু মাস আগে এম পি সাহেবর ভাগ্নে জহির আব্বাস এরকম এক ঘটনার শিকার হবার পর উপর মহলে বেশ হৈ চৈ পড়ে যায়।
ঢাকা থেকে টিম আসে কিন্তু ঘুঘু আর ফাঁদে ধরা পড়ে না।সব শুনে জেনে ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীরের মনে হলো ভুত রয়েছে সরিষার মধ্যে। তিনি হেড অফিসের সাথে যোগাযোগ করে কিছু নিজের লোক আনিয়ে নিলেন গোপনে।ছক কষে অপারেশন পরিচালনা করলেন দারুণ বুদ্ধিমত্তার সাথে গত রাতে।
তারই ধারাবাহিকতায় ধরা পড়লো দুর্ধর্ষ ডাকাত অপূর্ব সৌম্য আবির ও রাহাত।পরদিন স্থানীয় পত্রিকায় বড় বড় হেড লাইনে আর জাতীয় দৈনিক গুলোতে প্রথম পাতা খবর বের হলো গোরস্তানের গন্ডগোলের মূল রহস্যের। সবাই বাহবা দিতে লাগলো ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীরের দলকে।
© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক

ছবির লিঙ্ক

আমাকে নিরন্তর অনুপ্রানিত করে যান যিনি ব্লগে এবং ব্লগের বাইরে সেই প্রিয় ব্লগার পদাতিক দাদাকে পোস্টটি উৎসর্গ করলাম। আজ দাদার জন্মদিন। শুভ জন্মদিন দাদা। ভালো থাকুন সবসময়।

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ইসিয়াক ভাই,

এইমাত্র আপনার পোস্টটি দেখেই চমকে উঠলাম। এ তো দেখছি রীতিমতো ডাবল ধামাকা চমকানো।একেতো ভৌতিক গল্প পড়তে গিয়ে গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়। বাদবাকি নিচের দিকে কথা তো বললামই না। তার উপর ফুটনোটে আবার চমক। আমি ভুতের ভয় পাই। সেই ছোটথেকে একা পেলে ওরা আমাকে ভয় দেখায়।আজ আপনি জোর করে ধরে বেঁধে আমাকে ওদের গুহায় বসিয়ে দিয়েছেন।বলি ভালোবাসার এ কি শ্রী? আমি যে কি করে ওদের হাত থেকে রেহাই পাই।
ব্যস্ততা আছে।সময় নিয়ে আবার আসছি।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩১

ইসিয়াক বলেছেন:


আহা গল্পটা একটু পড়ে দেখুন প্লিজ, একটুও ভয় পাবেন না। কথা দিলাম :(

যত সময় লাগুক আপনি কাজ সেরে আসেন গল্প কিন্তু পড়তেই হবে,হবেই। আজ কোন ছাড় নেই =p~ =p~ =p~

ভালো থাকুন সবসময় প্রিয় দাদা।
শুভকামনা সতত।

২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০৮

এস.কে.ফয়সাল আলম বলেছেন: খুবই আগ্রহ নিয়ে পড়লাম। উপভোগ্য ছিল।
যশোরের এই ঘটনা কি সত্যিই নাকি জাষ্ট গল্প জানার ইচ্ছে।

ধন্যবাদ চমৎকার লেখার জন্য।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪৭

ইসিয়াক বলেছেন: এস. কে. ফয়সাল আলম আপনাকে আমার ব্লগে স্বাগতম।
গল্পটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন। ভালো লেগেছে জেনে অনুপ্রেরনা পেলাম।
আপনি জানতে চেয়েছেন ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে। আসলে এই গল্পের সমস্ত চরিত্র কাল্পনিক। আর আমার সব থ্রিলার গল্পের নায়ক ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর। সামনে একটি থ্রিলার উপন্যাস পোস্ট দেব। সাথে থাকবেন প্লিজ।

শুভকামনা রইল।
ভালো থাকুন সবসময়।

৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
পড়লাম। ভালই লাগলো।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪৯

ইসিয়াক বলেছেন: প্রিয় ব্লগার গল্পটি পাঠ করে মন্তব্য করায় অনুপ্রেরণা পেলাম।

ভালো থাকুন সবসময়।
শুভকামনা রইল।

৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার ক্লাশের বাচ্চারা আপনার থেকে ভালো লেখার সম্ভাবনা আছে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৫৯

ইসিয়াক বলেছেন: আপনার শিক্ষকগণের মাঝে কেহ কি ব্লগিং করেছেন?

৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩৯

জিকোব্লগ বলেছেন:



আমি দেখেছি, আপনি ব্লগে জয়েন করার পরে থেকেই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা
নেগেটিভ কথা বলে আপনাকে জ্বালাতন করে। ওর ব্লগে গিয়ে ওর
পোস্টকে নেগেটিভ বলেন দেখবেন ও এটা মেনে নিতে পারবে না।

ওরে ঠিকমত একটা উষ্ঠা মারেন। জানি তারপরেও এটা আসবে।
ওর অবস্থা ঠিক মাছির মত, যতক্ষণ না মরবে ততক্ষন ভনভন করতেই থাকবে ।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৩

ইসিয়াক বলেছেন:

ঠিক বলেছেন প্রিয় ব্লগার ,
উনি একেবারে ফালতু । সবসময় ক্যাচাল করার জন্য পায়ে পা বাঁধিয়ে ঝামেলা পাকায়। ভদ্রতা সভ্যতার লেশ মাত্র নেই।আমার সময় নেই তাই এইসব ব্যপার এড়িয়ে যাই।আর একটা কথা সারমেয়র লেজ কি কখনও সোজা হয়?


ধন্যবাদ।

৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪৩

হাবিব বলেছেন: গল্পটা কেউ আমাকে যদি পড়ে শুনাতো!

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৫

ইসিয়াক বলেছেন: পর্ব করে দিলে অনেকে ব্লগার পোস্ট পড়তে চান না তাই একবারে দিলাম। সামনে আমার গল্পের অডিও বুক আসছে। আপনাকে লিঙ্ক দিয়ে দেব।

ভালো থাকুন প্রিয় ব্লগার।
শুভকামনা সতত।

৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: ওরে বাবারে---থ্রিলার!!!!

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৬

ইসিয়াক বলেছেন: পড়ে দেখুন আশা করি ভালো লাগবে।

শুভকামনা।

৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৩

শেরজা তপন বলেছেন: আহা এত দেরিতে পোষ্টটা পড়ার সুযোগ পেলাম :(

প্রিয় পদাতিক ভাই এর জন্মদিনে অফুরন্ত শুভেচ্ছা ও আন্তরিক ভালবাসা। আপনি সুস্থ্য সুন্দর ও ভাল থাকুন নিরন্তর!

থ্রিলার আমার পছন্দ বিষয় নয়- তাই এসব একটু এড়িয়ে চলি। তবে এটা বেশ ভাল লেগেছে- সত্যের মিশেল আছে সভবত!
ধন্যবাদ সুপ্রিয় ইসিয়াক। এমন একটা গল্প ও পদাতিক ভাই এর জন্মদিনের কথা স্বমণ করিয়ে দেবার জন্য।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৯

ইসিয়াক বলেছেন:


গল্পটি পুরোপুরি কাল্পনিক। গল্পটি ভালো লেগেছে জেনে অনুপ্রাণিত হলাম প্রিয় ব্লগার। আশা করি সবসময় এভাবে পাশে পাবো।

আপনিও ভালো থাকুন।
শুভেচ্ছা সহ শুভকামনা রইলো্।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৪

ইসিয়াক বলেছেন:




দাদার কমেন্টটি কপি পেস্ট করে দিলাম প্রিয় ব্লগার

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুবই দুঃখিত যে আট নম্বর মন্তব্যে প্রিয় শেরজা তপন ভাই আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অথচ আমি বিষয়টি খেয়াল করিনি। সরি সরি সরি। ভাইয়ের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা অন্তর থেকে গ্রহণ করলাম। নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় তপন ভাইকে।♥️

৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সুন্দর গোয়েন্দা গল্প পড়লাম। সেবা প্রকাশনীর কুয়াশা বা নীহাররঞ্জনের গোয়েন্দা গল্পের কথা মনে পড়ে গেলো।

দড়াটানা মোরের ফালুদার দোকানটার কথাও মনে পড়ে গেল (১৯৮৭-১৯৯০)। শানতলা, খয়েরতলার সন্ধার পরের শিয়ালের হুক্কা হুয়া ডাকের কথাও মনে পড়ে গেলো ( ১৯৭৭)। সম্ভবত গল্পে যশোরের কথা বলা হয়েছে, তাই বললাম।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৬

ইসিয়াক বলেছেন: দড়াটানা মোড়ের ফালুদার দোকানটা আর নেই।ওই দোকান সহ আরো অনেক দোকান ভেঙে রাস্তা সম্প্রসারিত করা হয়েছে। এখনও কাজ চলছে। আপনি এখন যদি যশোরে আসেন আপনার চেনা দড়াটানাকে আর খুঁজে পাবেন না।
জনবসতি মারাত্নকভাবে বেড়ে গেছে এখন আর সন্ধার পরে শানতলা, খয়েরতলার শিয়ালের হুক্কা হুয়া ডাক সম্ভবত শোনা যায় না। গল্পটিতে যশোরের কথা বলা হয়নি প্রিয় ব্লগার তবে কল্পনার কিছু ছবি মিলে গেলেও যেতে পারে।


পাঠে মন্তব্যে ও লাইকে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সত্যজিৎ রায়ের গ্যাংটকে গণ্ডগোল বইটার কথা মনে পড়ে গেল আপনার গোরস্থানে গণ্ডগোল পোস্ট পড়ে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৮

ইসিয়াক বলেছেন: হা হা হা কোনদিন লেখালেখি করবো ভাবিনি তবে প্রচুর বই পড়তাম বা পড়ি এখনও। সত্যজিৎ রায় আমার প্রিয় লেখক।
শুভকামনা রইলো।

১১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো গল্পটি। আগাগোড়া সাসপেন্স রেখে গেছেন।
জাহাঙ্গীর ও মিলির কেমিস্ট দারুন লাগলো।

শুভেচ্ছা প্রিয় ইসিয়াক ভাইকে

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৯

ইসিয়াক বলেছেন:

আপনার মন্তব্য সবসময় আমাকে অনুপ্রেরণা দেয়। গল্পটি পড়েছেন জেনে ভালো লাগলো্ । আবার মন্তব্যে আসার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভকামনা রইলো প্রিয় দাদা।

১২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:১০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অপূর্ব নামের ছেলেটি বি এ অনার্স পাশ এই চরিত্রটা হঠাৎ এলো! গল্পের কথকই কি এই অপূর্ব? বিষয়টা খোলাসা করা দরকার ছিল ২/১ লাইনে। তবে, গল্প হইছে সেরাম।

আপনে এক কাম করেন। কবিতা পুরাই বাদ দিয়া দ্যান। মাথায় কবিতার বদলে সব সময়ে গল্পের স্পট নিয়া নাড়াচাড়া করেন। আরো দারুন দারুন গল্প বাইর হইবো তাইলে। B-)

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৩

ইসিয়াক বলেছেন: অপূর্ব নামের ছেলেটি বি এ অনার্স পাশ এই চরিত্রটা হঠাৎ এলো! গল্পের কথকই কি এই অপূর্ব?

এই বিষয়টা ইচ্ছাকৃতভাবে ঘোলা করে রেখেছি। সামনে এই সিরিজের আরো গল্প আসছে তখন কোন এক গল্পে বিষয়টা পরিষ্কার হবে।
গল্প ভালো লেগেছে জেনে অনুপ্রাণিত হলাম প্রিয় ব্লগার। আর আপনার উৎসাহে আমার বেশি বেশি গল্প লেখার চেষ্টা সেটাও জানিয়ে দিলাম হা হা হা। কবিতা আমি প্রতিদিন লিখি। কবিতা আমার লেখা লেখালিখির অক্সিজেন বলতে পারেন। এদিকে আরো অনেক গল্প লেখা আছে শেষ করা হয় নি । কিছু প্লট কদিন ধরে রাখলে ভালো টুইস্ট যোগ করা যায়। আবার কিছু গল্প শেষ করতে পারিনা কিছুতেই । মন চায় না। সামনে আরো গল্প আসবে ইনশাআল্লাহ।

দুটো থ্রিলার উপন্যাস প্রায় শেষ । ব্লগে দীর্ঘ লেখা অনেকেই এড়িয়ে যায়। তাই ব্লগে পোস্ট দেবার সাহস পাই না।

শুভকামনা রইলো।

১৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুবই দুঃখিত যে আট নম্বর মন্তব্যে প্রিয় শেরজা তপন ভাই আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অথচ আমি বিষয়টি খেয়াল করিনি। সরি সরি সরি। ভাইয়ের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা অন্তর থেকে গ্রহণ করলাম। নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় তপন ভাইকে।♥️

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৫

ইসিয়াক বলেছেন:



প্রিয় দাদা আপনার কমেন্টটি যথা স্থানে পৌছে দিয়েছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.