নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যা মানবতা বিরোধী তাই পরিত্যাজ্য মানবের সাধনা হোক মনুষ্যত্ব লাভ।
গল্পঃ মুখান্নাস ১ম পর্ব
(২)
অপমান আর অবহেলা আমার নিয়তি সেটা আমি বেশ বুঝে গেছি। বয়স অল্প হলেও আমার বোধবুদ্ধি যথেষ্ট ভালো এবং আত্নসম্মান জ্ঞানও প্রবল যদিও বয়স বা অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে অনেক কিছু আমার কাছে সঠিক বোধগম্য নয়, বলা যায় কিছু কিছু ব্যাপার অনেকটাই রহস্যময়।দূর্ভাগ্যজনকভাবে এ সব ব্যাপারে কারও সাথে আলাপ করবো সেরকম নির্ভরযোগ্য কোন সঙ্গী আমি জোটাতে পারি নি এ পর্যন্ত। এজন্য অবশ্য আমার লাজুক ও আড়ষ্ট স্বভাবই দায়ী।
কিছু দিন থেকে আমার মনের মধ্য একটা বোধ কাজ করছিল। যে করে হোক আমাকে এরকম অপমানের জীবন থেকে বের হয়ে আসতে হবে কিন্তু কিভাবে? সে পথ অবশ্য জানা নেই আমার। আজ সে পথ তৈরি হয়ে গেল। অনেক সময় বড় আঘাত পেলে সম্পর্কের বাঁধন আলগা হয়ে যায় । আর বয়ঃসন্ধি কালে আবেগ অনুভূতির মাত্রা থাকে নাজুক অবস্থায়। বাবার কথাগুলো যতবার মনে আসছে ততবার তীক্ষ্ণ ফলার মত বিঁধছে বুকের ভেতর। কান্না এসে চোখ ভাসিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে। আমি দুচোখে বাঁধ ভাঙা অশ্রু নিয়ে পথ চলছি একাকী।
এখন এই মুহুর্তে আমার নিজের দিক থেকে মনে হচ্ছে ,আমি বাড়ি ছেড়ে এসে কোন ভুল করি নি। বরং বাসা থেকে বের হবার পর ফুরফুরে একটা ভাব এসেছে মনের মধ্যে। কিছুটা কান্নার পর আমার মন খানিকটা শান্ত হলো।
মনে হচ্ছে দম বন্ধ করা পরিবেশ থেকে মুক্তো বাতাসে চলে এসেছি যদিও অনিশ্চয়তায় ভরা এ পথ কেমন হবে আমার জানা নেই। রাতের রাস্তা প্রায় ফাঁকা সেই ফাঁকা রাস্তা ধরে হাঁটতে হাঁটতে আর নানান হাবিজাবি ভাবতে ভাবতে স্টেশনে পৌঁছাতে পৌঁছাতে ফজরের আযান পড়ে গেল। পথের মধ্যে শুধু একবার পুলিশের একটা ভ্যান চলে গেল আমার পাশ দিয়ে। গুটি কয়েক পুলিশ আমাকে চেয়ে চেয়ে দেখল ঠিকই তবে কোন জিজ্ঞাসাবাদ করলো না। সম্ভবত ব্যস্ততা ছিল তাদের। তারা নিজেদের কাজে চলে গেল ও আমি বেশ একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলাম বলতেই হবে। যাহোক আমি হাঁটতে লাগলাম বড় রাস্তা ধরে ।যখন স্টেশনে পৌঁছলাম তখন রাত শেষের ভোর হলেও স্টেশন বেশ জমজমাট তখনও। কিছু যাত্রী, গোটা কতক কুলি, বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে থাকা কয়েকজন ঘুমন্ত মানুষ সেই সাথে কিছু দোকানও খোলা রয়েছে ।
চায়ের দোকান ঘিরে বেশ ভীড় দেখলাম।
একটা খাবারের হোটেল খোলা দেখলাম সেখান থেকে ভেসে আসা খাবারের গন্ধে আমার হঠাৎ খিদে পেয়ে গেল। যদিও এ-সময় খিদে পাওয়ার কথা না। পকেট হাতড়ে দেখি একশো টাকার একটা নোট আছে। গতকাল আমিই রেখেছিলাম পকেটে,টাকাটা বড় মামা দিয়েছিল। ঠিক তখনই মাথায় এলো মামার বাড়িতে গেলে কেমন হয়?
তৎক্ষনাৎ আবার মাথায় এলো বড় মামার বড় ছেলে রাতুলের সেই বাজে ব্যবহার। গতবার গরমের ছুটিতে বেড়াতে গিয়েছিলাম একদিন রাতে হঠাৎ অন্ধকারে জড়িয়ে ধরে সে কী বিচ্ছিরি আচরণ!
এতো বড় বেয়াদব বলে কিনা,
- তুই মেয়ে হলে তোকে আমি ঠিক বিয়ে করতাম। তুই আমার জান তুই আমার প্রাণ তারপর দূর্গন্ধমুখে......ছিঃ ওয়াক থু। নাহ ওখানেও যাওয়া যাবে না।
আমি এক প্লেট ভাত, ডাল আর ডিমভাজি নিলাম। খাওয়ার পর বিল মিটাতে কাউন্টারে গেলে কাউন্টারের ম্যানেজার আমাকে দেখে পরিচিত ভঙ্গিতে হাসতে হাসতে বলল
- কি ? কি খবর? কেমন আছো?
আমি অবাক এবং কিছুটা বিরক্ত হলেও ভ্রু কুচকে জবাব দিলাম।
-ভালো।
- এতো রাতে এদিকে?
- কাজ আছে।
- রাতেও খেপ দেওয়া লাগে না-কি? বিজনেস তো জমেছে মনে হয়। শীতলা মা'র আন্ডরে থাকো নাকি?
আমি কিছু না বুঝলেও কথাটা অপমানজনক সেটা বুঝলাম। যথেষ্ট রিবক্ত হলাম
- নিন টাকা নিন তাড়াতাড়ি ।
লোকটা গলা নামিয়ে ফিসফিস করে বলল,
- আজ যে বড় টাকা দিচ্ছো? তোমাদের দলে তো কেউ টাকা দেয় না তবে পোষায়ে দেয় হা হা হা ।শিউলিকে চেনো? আমার বিয়ের আগে আমি ছিলাম শিউলির পারিখ। বউয়ের সাথে অশান্তিতে আর যাওয়া হয়ে ওঠে না।
- মানে?
লোকটি দাঁত কেলিয়ে অদ্ভুত ভঙ্গিতে হাসলো।তার দাঁত গুলো বিশ্রী রঙের।কালো কালো। পান খায় সম্ভবত।
লোকটার কথা আমার ভালো লাগছিল না।একটু রাগ দেখিয়ে বললাম,
- কি বলেন কিছুই তো বুঝি না।
আমার কথার উত্তরে আবারও গলা নামিয়ে বলল
- নাটক করিস না তো। মুশকিলে আছি,যাবি নাকি? ভাতের টাকা দেওয়া লাগবে না।আরও নগদ পাবি, খুশি করে দেবো।বউটা শালা বাপের বাড়ি গিয়ে বসে আছে। গল্প করার লোক নেই। হিজড়াগো আমি ভালা পাই।
মনে হলো লোকটিকে কড়া করে কিছু কথা বলি কি জানি কি ভেবে রাগ সংবরণ করলাম।
- টাকা নেন তো।
ম্যানেজার একটু মনোক্ষুন্ন হয়ে বিরস মুখে টাকা নিয়ে বাকি টাকা ফেরত দিল।
আমি সোজা স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের সামনে গিয়ে দাড়ালাম।সেবার কিশোরগঞ্জ যাওয়ার সময় এখান থেকে টিকেট কেটে ট্রেনে উঠে ছিলাম মায়ের সাথে।টিকেট কিনবো কি কিনবো না ভাবছি।কারণ হাতে বেশি টাকা নেই। সব টাকা ফুরিয়ে গেলে তারপর? ভোরের আলো ফুটছে...
কিছুক্ষণের মধ্যে একটা ট্রেন প্লাটফর্মে প্রবেশ করলো আমি আর কোন চিন্তা ভাবনা না করে ঝটপট ট্রেনে উঠে পড়লাম। বগিটা বেশ ফাঁকাই ছিল আমি সহজেই আসন পেলাম এবং সুযোগমত হেলান দিয়ে একটা সিটে আরাম করে বসলাম। এখন আমার খুব ঘুম পাচ্ছে।এসবই রাত জাগার ফল।তারপর কখন যেন আমি ঘুমিয়ে পড়লাম নিজেই জানি না।
যখন ঘুম ভাঙলো তখন অনেক বেলা হয়ে গেছে। ট্রেন দাড়িয়ে আছে অজানা স্টেশনে। বগিতে বেশ ভীড়। কেউ একজন আমাকে ধরে নাড়াচ্ছে।
- একটু সোজা হয়ে বস তো বাবা। আমি একটু বসি। শুনছো?
- আমি বিরক্ত হয়ে চোখ মেলে তাকালাম।
তারপর মনে পড়লো তাই তো আমি তো টিকিট কাটি নি।তবে ভাগ্য ভালো টিকিট চেকার নয় লোকটি। আমি জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম। বুঝলাম এটা স্টেশন। কি যেন কি মনে হতে আমি নেমে এলাম ট্রেন থেকে।
এখন কি করবো সে সব চিন্তা এলো মাথায়। প্রথমে মনে হলো বাড়ি ফিরে যাই, অনেক হয়েছে। কিন্তু কিছু ঘটনা আর পরিস্থিতির কথা সহসা মনে পড়তেই আমি আমার সিদ্ধান্তে অটল রইলাম।
রোদ চড়ে গেছে আমি বড় রাস্তা ধরে হাটতে লাগলাম। এটা সম্ভবত বড় কোন শহর।
আমি হাঁটছি অজানার উদ্দেশ্য, আমার অপমানজনক জীবনকে পেছনে ফেলে । কোথায় যাচ্ছি কেন যাচ্ছি সে-সব পরিষ্কার না। তবে মনের ভিতর প্রচুর তোলপাড় চলছে অন্য সময় হলে আমি ঠিক ফিরে যেতাম কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ফিরে যাওয়ার প্রশ্ন নেই। আমি মনে মনে ঠিক করে নিয়েছি আর যাই হোক অপমানের জীবন আর নয়।সবচেয়ে বড় কথা যেখানে ভালোবাসা নেই সেখানে আর যাই হোক ভালো থাকা যায় না।
এদিকে অনেকক্ষণ রোদে ঘোরাঘুরির কারণে আমার ভীষণ পানি তেষ্টা পেল আমি রাস্তার পাশের সিটি করপোরেশনের পানির কল থেকে পানি খেলাম। পানি খাওয়ার পরে বুঝলাম আমার বেশ ক্ষিধেও পেয়েছে। এখন উপায়? পকেটে হাত দিয়ে অনুভব করলাম সেখানে এখনও কিছু টাকা তো অবশিষ্ট আছে।
আমি এদিক ওদিক তাকিয়ে খাবারের দোকান খুঁজতে লাগলাম।এমন সময় বুঝতে পারলাম কয়েকটি ছেলে মেয়ে আমার পিছু নিয়েছে আর ওরা নিজেরদের মধ্যে কি সব বলে হাসাহাসি করছে আর আঙুল তুলে আমায় নির্দেশ করছে।অবশেষে এটুকু বুঝলাম ওরা আমাকে বিচিত্র কোন প্রাণি মনে করেছে। মনটা ভীষণ ছোট হয়ে গেল। মানুষ আমার সাথে এমন করে কেন? না হয় আমার হাঁটার ভঙ্গিটা অন্য রকম।
সেই মুহুর্তে আমার মনে ভাবনা এলো আসলে আমি কি খুব বেশি অন্য রকম? না হলে আজ ভোরে সেই হোটেল ম্যানেজারের ইঙ্গিতপূর্ণ কথা আবার এই ছেলেমেয়েদের পিছু নেওয়া........আমাকে দেখে হাততালি দেওয়া। আমার সাথে ঘটে যাওয়া কিছু দিন আগের ঘটনাগুলো মনে পড়ে গেল....।
পরবর্তী দুটো দিন আমার চরম দুরবস্থার মধ্যে গেল।মন তো বিক্ষিপ্ত ছিলই ক্ষুধা তৃষ্ণায়ও আমার কাহিল অবস্থা হলো।কাজ খুঁজলাম। সবাই আমাকে দুর দুর করে তাড়িয়ে দিলো।রাতে ফুটপাতে শুয়ে ক্ষুধার জ্বালায় আর মশার কামড়ে নির্ঘুম রাত কাটিয়ে একটা আশ্রয় খোঁজার তাগিদ আরও শতগুণ বেড়ে গেল।
অনেক কষ্টে অনেক কাকুতি মিনতি করে তৃতীয় দিনে আমি একটা খাবারের হোটেলে কাজ পেলাম। কাজ বলতে থালা বাটি গ্লাস পরিষ্কার করা তার বিনিময়ে তিনবেলা খাওয়া আর রাতে একটু ঘুমাবার জায়গা দোকানের বারান্দায় । কাজটা শুরু করার পর আমি বুঝলাম এখানকার লোকগুলোও খুব একটা সুবিধার নয়। সুযোগ পেলে ইয়ারকি মুখ খিস্তি সমানে চালিয়ে যাচ্ছে। কাজ এবং পরিবেশ আমার খুব একটা পছন্দ না হলেও ছেড়ে দেওয়ার সাহস পেলাম না। কারণ স্বচ্ছল জীবনে অভ্যস্থ আমার পক্ষে ক্ষুধা সহ্য করা সম্ভব নয়। আর রাতের মশাগুলো ভীষণ ভয়ংকর।
তবে আশার কথা মালিক আমার কাজে বেশ খুশি হলেন এবং একদিন পরে দোকানের হেড বাবুর্চির খুপড়িতে তার সাথে আমার থাকার ব্যবস্থা করে দিলেন। এ নিয়ে অবশ্য একটা চাপা হাসির রোল উঠলো। নবী নামে এক মেসিয়ার আমাকে উদ্দেশ্য করে বলল
- কিরে সমির বসের লগে তো আজ তোর বাসর হইবো রে।বস কইছে তোরে নতুন বিবির মর্যাদা দিবো।হো হো হো......।
আমি বিরক্ত হয়ে বললাম
- দেখ নবী ইয়ারকি মারিস না। আমার ইয়ারকি পছন্দ না।
এবার আরেক দফা হাসি।
- তোর আজ বৌনি হইবো রে।সাবধান। হা হা হা। বস আমাগো ছাড়ে নাই আর তুই তো হাফ লেডিস হো হো হো ।
রাতে ঘুমাতে গিয়ে দেখলাম সেখানে আমরা সংখ্যায় চারজন। একটু গাদাগাদি হলেও বিছানাটা আরামদায়ক।
তবে ঘুমের একটু ব্যঘাত হল কারণ ওরা তিনজন কি সব ভিডিও দেখতে লাগলো ভিডিও ফোনে। আমি বালিশ দিয়ে কান চাপা দিলাম। এসব আমার ভালো লাগে না। ক্লান্ত ছিলাম তাই নানা অসংগতি স্বত্বেও আমি দ্রুত ঘুমিয়ে গেলাম।
কত রাত হয়েছে জানি না ঘুমিয়ে আছি। যেহেতু সারাদিন হাড়ভাংগা খাটুনি গেছে তাই ঘুমও হলো বেঘোরে..
আমি ঘুমিয়ে আছি হঠাৎ মনে হলো আমার বুকের উপর কিসের যেন প্রচন্ড চাপ এবং আমার সারা শরীরে যান্ত্রিক থাবা চলমান। অসহ্য দম বন্ধ অবস্থা। বিশেষ স্থানে অস্বস্তিকর স্পর্শে আমার ভীষণ অস্বস্তি হতে লাগলো আমি কখনও এমন পরিস্থিতিতে পড়ি নি। আমি চিৎকার করতে গেলাম। কে একজন আমার মুখ চেপে ধরলো। হুমকি দিলো,
- চুপচাপ মটকা মাইরা পইড়া থাক। যা করতাছি মজা ল। আরাম লাগবো। বাড়াবাড়ি করলে কইলাম খবর আছে।
প্রচন্ড যন্ত্রণাময় সে রাতে আমার সময় যেন আর ফুরচ্ছিল না। রাগে দুঃখে আমার মরে যেতে ইচ্ছে হলো।
পরদিন ভোরে আমাকে খুব তাড়াতাড়ি উঠতে হলো।হোটেলে ক্ষেত্রে এটাই নিয়ম ।অনেক কষ্টে গোসলঘরে গিয়ে পৌঁছাতে না পৌঁছাতে হড় হড় করে বমি করে দিলাম।
চলবে
© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫১
ইসিয়াক বলেছেন:
সেডরিক ,
চমৎকার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।
আমি আসলে প্রাথমিক পর্যায়ে কাহিনীটি দুই পর্বের মধ্যে রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এই ব্যাপারে কিছু পড়াশোনা করতে গিয়ে মনে হলো এই কাহিনী দুই পর্বে শেষ করা সম্ভব নয় । তবে অযথা দীর্ঘও করবো না। পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো।
শুভকামনা রইলো।
ভালো থাকুন সবসময়।
২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এ পর্বটাও ভাল হয়েছে। ওদের জীবন যন্ত্রনা বড় কঠিন।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০৫
ইসিয়াক বলেছেন: ধন্যবাদ মাইদুল সরকার ভাই। পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভ কামনা সতত।
৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩০
জুল ভার্ন বলেছেন: গত পর্বের চাইতে এই পর্বে লেখা ম্যাচুরিটি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। পরের পর্বের অপেক্ষায়।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪৩
ইসিয়াক বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার। অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা রইলো। গত পর্বে বলেছিলাম গল্পটি দুই পর্বে হবে কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আরও কিছুটা লিখতে হবে না হলে গল্পটি সম্পূর্ণ হবে না।আশা করি পরবর্তী পর্বে আপনাকে পাশে পাবো।
ভালো থাকুন সবসময়। শুভ কামনা রইলো।
৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩০
জুল ভার্ন বলেছেন: গত পর্বের চাইতে এই পর্বে লেখা ম্যাচুরিটি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। পরের পর্বের অপেক্ষায়।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:০৫
ইসিয়াক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৩২
শেরজা তপন বলেছেন: গত পর্ব পড়া হয়নি- এ পর্বটা পড়লাম। ভাল লেগেছে
সুযোগ পেলে আগেরটা পড়ে নিব
০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:১৮
ইসিয়াক বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ সহ কৃতজ্ঞতা রইলো প্রিয় ব্লগার।
শুভ কামনা রইলো।
ভালো থাকুন সবসময়।
৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:৩৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: অতীব সুন্দর উপস্থাপন।
০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:১৮
ইসিয়াক বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।
শুভ কামনা সতত।
ভালো থাকুন সবসময়।
শুভ রাত্রি।
৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ ভোর ৫:৩১
কাছের-মানুষ বলেছেন: আমি অফলাইনে পড়েছিলাম আগেই।
এই গল্পটা দারুণ পরিপক্ক মনে হচ্ছে, আপনার লেখার হাত চমৎকার। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জীবন আসলেই যন্ত্রণার বিশেষ করে আমাদের সমাজে। গল্প কোন দিকে যাবে বলা মুশকিল, তবে লেখতে থাকুন, এদের জীবনের গল্প নিয়ে কম লেখা হয়, আরো অনেকগুলো পর্ব হলেও পড়তে ভাল লাগবে।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:২১
ইসিয়াক বলেছেন:
পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো প্রিয় ব্লগার।
গল্পটি কোন দিকে যাবে আসলে আমিও জানি না তবে আরও কয়েকটি পর্ব লিখবো আশা করি।
শুভ কামনা রইলো।
৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:২৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
গল্পের গাথুনি মজবুত হয়েছে । প্রচ্ছদ সুন্দর হয়েছে ।
পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের সবখানে তারা কেবল অপমান,উপহাস, তাচ্ছিল্য আর নিগ্রহের শিকার।
সম্মানজনক কোনো একটি কাজ করে জীবন কাটানোর মতন একটি সামাজিক বাস্তবতা কি আমরা তৈরি
করতে পেরেছি? নিন্দা আর লজ্জা জারি রাখার সমাজ না পাল্টালে তারা ভয়-লজ্জা-আড়ষ্টতা ও
হীনমন্যতা নিয়ে বড় হবে। তার মনের মধ্যে জমা হবে ক্লেদ, দুঃখ ও বঞ্চনা। লোকলজ্জার ভয়ে
একটা সময়ে পরিবারও নীজের এমন সন্তানকে 'দায়' মনে করে। অতএব পরিবার থেকে
পালিয়েই যেনো ওদের মুক্তি।
গল্প সুন্দরভাবে এগিয়ে চলেছে , লিখে যান ।
শুভেচ্ছা রইল
০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:১০
ইসিয়াক বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো প্রিয় ব্লগার। পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন । আশা করি পরবর্তী পর্বগুলোতে আপনাকে পাশে পাবো প্রিয় ব্লগার।
নববর্ষের শুভেচ্ছা সহ শুভকামনা রইলো।
ভালো থাকুন সবসময়।
শুভ রাত্রি।
৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫৫
অপু তানভীর বলেছেন: দুই পর্ব এক সাথে পড়লাম । সমিরদের জীবন ছোট থেকেই এমন দুর্বিশহ হয়ে ওঠে । তখন কেমন না জানি তাদের মনভাব হয় । তারা কোন ভাবে বুঝতে পারে না যে মানুষজন তাদের সাথে ওমন কেন করছে যেখানে তাদের এই ওমনটা হওয়ার পেছনে তাদের কোন হাত নেই । সেই পরিস্থিতিটা ফুটে উঠেছে আপনার গল্পে চমৎকার ভাবে ।
গল্প এগিয়ে চলুক । সামনে কি হয় পড়ার অপেক্ষায় !
০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১২
ইসিয়াক বলেছেন: আগামীকাল পরবর্তী পর্ব দিয়ে দিবো আশা করছি।
পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো প্রিয় ব্লগার।
নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো।
ভালো থাকুন সবসময়।
শুভ কামনা।
১০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পরপর দুটি পর্বই পড়লাম, বাস্তবতার উপর নির্ভর করে লিখেছেন ভালো হয়েছে। যাতনাময় সমিরের জীবনের পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১৪
ইসিয়াক বলেছেন: দেরিতে প্রতিমন্তব্যে আসার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আগামীকাল পরবর্তী পর্ব পোস্ট দিবো বলে আশা করছি।
সবসময় পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো প্রিয় দাদা।
নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো।
ভালো থাকুন সবসময়।
শুভ রাত্রি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪০
সেডরিক বলেছেন: গত পর্বে বলেছিলেন ২ পর্বে শেষ হবে। কিন্তু যেভাবে কাহিনী এগোচ্ছে, তাড়াহুড়ো করে জলদি শেষ না করাই ভালো হবে। বিশদভাবে লিখে যান, কাহিনী চলুক আপন গতিতে। নির্দিষ্ট পর্ব সংখ্যায় বাধতে যাবেন না।
ভালো লেগেছে, আরেকটু সময় নিয়ে কাহিনী তুলে ধরেন। মনে হচ্ছে দ্রুতই সব ঘটে গেলো। শুভকামনা