নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একদা এসেছিলাম তোমাদের সান্নিধ্যে। ভালো মন্দ মিশিয়ে কেটেছে বেলা। বিদায় বেলায় শুধু এটাই জানিয়ে যাওয়া বড় ব্যথা জাগে মনে পেলে অবহেলা।

ইসিয়াক

আমার লেখা কবিতা আপনার পছন্দ হলে হোয়াটসঅ্যাপ এই চ্যানেলটি ফলো করুন প্লিজ Follow the রফিকুল ইসলাম এর কবিতা সমগ্র। channel on WhatsApp: https://whatsapp.com/channel/0029VbBPuTzBA1epLIRBZX1x

ইসিয়াক › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ মায়ের স্পর্শ

২২ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৫


(আমি কোন লেখা লিখতে গিয়ে কখনও আবেগের বশে চোখের পানি ফেলি নি কিন্তু এই লেখাটা যেমনই হোক না কেন,কেন জানি আমার চোখে জল চলে এসেছিল।বুকটা মুচড়ে উঠেছিল। কেন এমন হয়েছিল আমি জানি না।)
(১)
১২ই অক্টোবর ২০** সাল।আজ আমার জন্য অন্য রকম একটা দিন। আজকের দিনটা শুরুই হয়েছে বুকে চাপা কষ্ট ,চরম অনিশ্চয়তা আর শরীরের মধ্যে এক ধরনের ভয় মেশানো শিরশিরানি অনুভূতি নিয়ে।
এখন কত রাত কে জানে? সময় হিসাবে ভোর হয়ে আসবার কথা।কাকেরা এখনও জাগেনি।চারদিক শুনশান ।চাঁদ স্বমহিমায় আলো ছড়াচ্ছে।মাঝে মাঝে কোথাও একটা রাতজাগা পাখি করুন সুরে ডেকে চলেছে।হালকা প্রাণ জুড়ানো শীতল বাতাস প্রকৃতিতে। সেই স্নিগ্ধ বাতাস পুরানো আমলের বড় জানালা দিয়ে আমাদের এই চিলেকোঠার ঘরটায় হুড়মুড়িয়ে ঢুকছে।এরম সময় যে কারো সুখানুভব হতে বাধ্য কিন্তু আজকের বয়ে আসা বাতাস আর মনোময় প্রকৃতির মনোরম আবেশ কোন প্রকার সুখানুভূতি জাগাতে ব্যর্থ হলো এই ঘরে থাকা তিনটি প্রাণের মাঝে।
আনন্দ আশ্রম নামের তিনতলা বাড়িটার চিলেকোঠার ঘরের মানুষ তিনটির মন জুড়ে অজানা অস্থিরতা।সংগতকারণে বাইরের কোন আবেগ আমাদের তিনটি প্রাণকে স্পর্শ করছে না।
টানা শুয়ে থেকে অস্থির লাগছে সেকারণে মনের অজান্তে উঠে বসলাম।প্রায় সারা রাতই জেগে আছি।আমি জানি আমার পাশের মানুষগুলোরও একই অবস্থা।
আসলে আজ আমাদের জীবনের ভয়াবহ একটা দিন।এরপর আমাদের ভবিষ্যৎ কি আমরা কেউ জানি না।
আমি উঠে বসতেই মাও প্রায় সঙ্গে সঙ্গে উঠে বসলেন।তার পরপরই সীমা ও একই কাজ করলো।সীমা আমার একমাত্র ছোট বেন।আমরা একে অন্যের দিকে নিঃশব্দে তাকালাম।একে অন্যের চোখের ভাষা পড়তে চাইলাম। রাত নিশিথে সেখানে আবছা অন্ধকার ছাড়া আর কিছু নেই। আমার মা পরম স্নেহে আমাদের গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলেন।তিনি কি যেন বলতে চাইলেন তবে তার মুখ দিয়ে অদ্ভুত যান্ত্রিক আওয়াজ ছাড়া আর কিছু বের হলো না।অন্ধকার হলেও তার দু'চোখে জলের ঝিলিক আমাদের চোখের আড়াল হলো না।আমরা কোন কথা বলছিলাম না। আমাদের সব কথা বুঝি শেষ হয়ে গেছে। আমরা তিনজন ঘন হয়ে বসে একে অন্যের উত্তাপ শুষে নিতে লাগলাম।তৃষিত ভালেবাসার উত্তাপ।শেষ সময় সমাগত।
আজই আমাদের শেষ দিন আর একটু পরে... না ফাঁসি হবে না তবে জীবন্মৃত করে রাখা হবে আমাদের ।সমাজের বিশিষ্ট লোকজন দ্বারা আমাদের শাস্তি ঘোষিত হয়ে গেছে। যদিও জানি না আমাদের অপরাধ কি ছিল।
আর কিছু সময় পরে আমার আব্বার প্রতিনিধি আসবেন।তখন আমরা চিরতরে বিচ্ছিন্ন হবো।তিনি এসে আমাদের দুই ভাই বোনকে নিয়ে যাবে।মা থাকবে তাঁর বাবার বাড়িতে।
আর আমরা থাকবো আমাদের বাবার বাড়িতে।
সম্ভবত আর কোনদিন আমরা আমাদের মায়ের সাথে থাকতে পারবো না। তাঁর আদর পাবো না।তাঁর সাথে খেলতে পারবো না। পারবো না মন খুলে গল্প করতে।তাঁর হাতে খেতে পারবো না।মুছতে পারবো না তাঁর আঁচলে হাত।তাঁর শাসনও জুটবে না আর আমাদের কপালে। আরও কত শত না আমাদের দিকে ধেয়ে আসবে এরপর কে জানে? বাকি আছে আর কিছু সময়।যত সময় যাচ্ছে আমরা তত বেশি গায়ে গা লাগিয়ে এজে অন্যের সংঙ্গে মিশে যাবার চেষ্টা করছি। না আমরা আলাদা থাকতে চাই না। আমরা আলাদা হতে চাই না।পেট ভরে খাবার না পাই। ভালো পোশাক না পাই তবু আমরা একসাথে থাকতে চাই। শোনবার দেখবার কেউ কি আছে? আছে কি? এ সমাজটা এমন কেন? সমাজের বেঁধে দেওয়া নিয়মে আমরা আমাদের মায়ের থেকে যোজন যোজন দুরে সরে যেতে বাধ্য । মন বিদ্রোহ করতে চায় কিন্তু সাহস কই?
আমরা তিনটি অসহায় প্রাণী ভাঙাচোরা মন নিয়ে ভোর হওয়া দেখছি।আচ্ছা এই সময়কে কি কোন ক্রমে বেধে রাখার উপায় আছে?
না নেই। নেই। কেন নেই জানি না।কিন্তু আমার যদি ক্ষমতা থাকতো আমি আমার আব্বার পাঠানো লোককে ফিরিয়ে দিতাম।আমার নানাবাড়ির লোকজনের মন ঘুরিয়ে দিতাম।


আপনারা দয়া করে আমাদের আলাদা করবেন না। আব্বা দয়া করুন, নিজের স্বার্থে ছোট ছোট বাচ্চাদের তাদের মায়ের কাছ ছাড়া আলাদা করতে নেই।
এক্ষেত্রে যেমন আমার কোন ক্ষমতা নেই আমার মায়ের ও কোন ক্ষমতা নেই। আমরা অক্ষম অসহায়।আমাদের আর্তি শেনবার সময় কারো নেই।তাই আমাদের আলাদা হয়ে যাওয়াই নিয়তি।

(২)
আমার মায়ের যখন বিয়ে হয় তখন তার চৌদ্দ বছর বয়স।স্কুল থেকে সবে ফিরে শুনতে পায় আজ রাতেই তার বিয়ের অনুষ্ঠান।এ যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মত অবস্থা ।
ছেলে ভালো বংশ আবার চাকরিও করে। মোবারকগঞ্জ চিনি কলে বেশ ভালো পোস্টে আছে ।তারা মেয়ের খুত সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল। তবে এজন্য নানাজানকে মোটা অঙ্কের যৌতুক দিতে হবে।দাবি এটুকুই। সেও দিতে বাধা নেই। নানাজানের অঢেল সম্পত্তি। সেখান থেকে কিছু বেচে মেয়েকে ভালো পাত্রে পাত্রস্থ করলে লাভ বই ক্ষতি নেই।কে নেবে এই তোতলা মেয়েকে। বড় মামা না-কি আপত্তি করেছিল।তার উত্তরে নানাজান বলেছিলেন লিলির ভাগের অংশ থেকেই তার দেনা পাওনা মেটানো হবে।এ নিয়ে কাউকে না ভাবলেও চলবে।
আমার মা একটু তোতলা ছিলেন।এটাই তার শারীরিক খুঁত। এছাড়া দেখতে দারুণ ফুটফুটে হাসিখুশি পড়ালেখায় ও ভীষণ ভালো ছিল।জানবার আর পড়বার ইচ্ছে ছিল অদম্য । মা অবশ্য বিয়ে করতে চায় নি কিন্তু বিয়ে ঠেকানো তাঁর সাধ্য ছিল না।সবাই একদিকে সে অন্য দিকে আর তাই এই অসহায় আত্মসমর্পণ।
বিয়ের পর কয়েক বছর ভালো গেলেও আমি আর আমার বোন হবার পর থেকে আমার আব্বা ও দাদীর চাহিদা বেড়ে যায়। তারা আমার মাকে নানাভাবে অপদস্ত করে আরও টাকা পয়সার জন্য চাপ দেয়। কথায় কথায় তাঁর শারীরিক ক্রুটির জন্য নানা উপহাস করতে ছাড়তো না।প্রতিটা কাজে মায়ের খুৃত ধরা তাদের নিত্য নৈমিত্তিক ব্যপার হয়ে দাঁড়ালো। মা জানতেন তাঁর দূর্বলতা কি সে চুপ চাপ হজম করতো সব।তবুও সেসব যখন মাত্রা ছাড়ালো একদিন মা আমাদের নিয়ে এসে উঠলেন তার বাবার বাড়িতে। নানাজান স্বাগত জানালেও নানীজান ও তার পুত্র পুত্রবধূ ও কন্যারা তেমন একটা খুশি হলো না। নানা অবহেলায় আমাদের দিন কাটতে লাগলো কোনরকমে।
এর মধ্যে আমার নানাজান মারা গেলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে গেল।মামারা হঠাৎ দৌড়ঝাপ শুরু করলো।তারা সরাসরি জানিয়ে দিলো পরের ছেলেমেয়ের দায়ভার তারা নিতে পারবে না।প্রয়োজনে আদালতে যাবে। এতদিন নিখোঁজ বাবা নিমরাজি হয়ে আমাদের দায়ভার নিতে সম্মত হল।তারই ফল স্বরুপ এই চির বিচ্ছেদ।
(৩)
দিন তো আর বসে থাকে না। কোন না কোন ভাবে সময় বয়ে যায়।এরপর অনেক অনেক দিন পর আমরা আমাদের মাকে একবেলার জন্য দেখতে যাই।এখন মাকে দেখলে কেমন যেন অচেনা মনে হয়। শুকিয়ে রোগা কাঠ হয়ে গেছে।দেহে হাড় আর চামড়া ছাড়া কিছু নেই। চিনতেই কষ্ট হয়। গলার স্বরে বুঝতে পারি ইনি আমাদের মা।
মা!
আমরা যেদিন যাই সেদিন মায়ের একবেলা ছুটি হয়। সেই বেলাটা অবশ্য মায়ের উপোস দিতে হয় কেননা তার ভাগের খাবারটা আমাদের না খাইয়ে তিনি শোনেন না। আমরা ভাত খাই আর কাঁদি।মাও আমাদের সাথে কাঁদেন।
আমরা দুই ভাই বোন মায়ের শীর্ণ শরীরে হাত বুলাই। আজকাল মা কেমন যেন নিস্তেজ হয়ে গেছেন।আমাদের কষ্ট হয় ভীষণ কষ্ট হয়।আমরা বুঝি মা নিজের বাড়িতে দাসীর জীবন কাটাচ্ছেন। মামারা মায়ের সাথে বাজে ব্যবহার করে।একটা মেয়ের বিয়ের পর বাবার বাড়ি আর নিজের বাড়ি থাকে না। দুদিনের জন্য সেখানে বেড়াতে আসা যায় কিন্তু একেবারে থেকে যাওয়া যায় না।
একবার মা অনুরোধ করে বলেছিল " বড় হলে তোরা আমাকে নিয়ে যাবি মানিক? আমার না,তোদের ছাড়া থাকতে একটুও ভালো লাগে না। এখানে থাকতে থাকতে দেখবি একদিন ঠিক মরে যাবো "
সেদিন ই আমরা শপথ নিয়েছিলাম আমাদের মাকে এই নরকপুরি থেকে বের করে নিয়ে যাবো।আমরা মন দিয়ে পড়াশোনা করতে লাগলাম। আব্বা ও সৎ মায়ের মন জুগিয়ে চলতে লাগলাম। তার ফাঁকে এটা ওটা কাজ করে কিছু টাকা জমাবার চেষ্টাও করলাম।টাকার বিকল্প কিছু নেই। মাকে আমাদের ভালো রাখতেই হবে।
তবে আমরা মায়ের সাধ পূরণ করতে পারি নি।আমি জানি এই কষ্ট আমাকে সারাজীবন বয়ে নিয়ে বেড়াতে হবে। আমার মায়ের সম্ভবত ক্যান্সার জাতীয় কোন অসুখ হয়েছিল। তেমন একটা চিকিৎসা হয় নি অবশ্য। আমরা জানতেই পারি নি । যা কিছু জেনেছিলাম নানাজানের বন্ধু হরিহর ডাক্তারের কাছে। তিনি ক্যান্সারের আশঙ্কাই করেছিলেন।মায়ের মৃত্যুর পর দেখা হলে আমাকে বলেছিলেন পারলে না তোমার মাকে একটু ভালো ডাক্তার দেখাতে।তোমার মামারা তো মানুষ না।সব পাষণ্ড ।কতবার যে তোমাদের দেখতে চাইতো কিন্তু কেউ খবর পাঠাতো না তোমাদের কাছে।অনেক কষ্ট সয়েছে বেচারা। অনেক ।মা চলে গেল আষাঢ়ের এক ঝুম বরষার দিনে।আমি আর আমার বোন ঝড় বৃষ্টি মাথায় করে মাকে বিদায় জানালাম। এবার কি মা একটু শান্তি পাবে? জানি না। আমরা কবরে মাটি দিতে দিতে চিৎকার করে বললাম
- হে আল্লাহ এবার মাকে একটু শান্তি দিও। বড্ড যন্ত্রণা সয়েছে একজীবনে।
সেদিন মায়ের শোকে আমাদের সাথে সাথে প্রকৃতিও অঝোর ধারায় কেঁদেছিল।


পরিশিষ্ট
________
এখন আমি কলেজে পড়ি। আমার বোনটার বিয়ে হয়ে গেছে দুর গাঁয়ে।সে মোটামুটি ভালোই আছে। কিন্তু আমার একাকী নিঃসঙ্গ জীবন মায়ের স্মৃতি নিয়ে বেঁচে আছি নিজের অক্ষমতাকে সঙ্গী করে। হ্যাঁ আমাকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। মা তো তাই চাইতো।
এক সকালে চয়ন এলো আমার মেস বাড়িতে আমার সাথে দেখা করতে।ও সম্পর্কে আমার মামাতো ভাই।এই ভাইটির সাথে আমার ভারি ভাব। মামার বাড়ির লোকজন বলতে ওর সাথেই আমার যোগাযোগ আছে। ওর উপস্থিতিতে আমি অবাক হলে খুশিও হলাম।
একথা সেকথার পর চয়ন যাবার বেলায় আমার হাতে একটা কাপড়ে মোড়া থলে ধরিয়ে দিলো। আমি অবাক হয়ে জানতে চাইলাম কি আছে এতে?
চয়ন বলল
- বড় ফুপির ডায়েরি।
- মায়ের ডায়েরি? মা ডায়েরি লিখতেন?
-অবাক হবার কিছু নেই।ফুপি তো কাউকে কোন কথা শেয়ার করতো না।সব দুঃখ কষ্ট বুকে চেপে রাখতেন। মনের ভিতর যা কিছু জমানো ছিল মনে হয় সব এখানেই লিখে গেছে।
- তুই পড়েছিস?
চয়ন মাথা নাড়ালো
- না, তবে কয়েক পাতা উল্টে নিশ্চিত হয়ে তোকে দিতে এসেছি। এটা অন্য কারও হাতে পড়ুক, তা আমি চাই না।
আমি ডায়েরিটা বুকে জড়িয়ে নিলাম। মা! এ যে মায়ের স্পর্শ। না আমি এ ডায়েরি কোনদিন পড়বো না। কাউকেও পড়তে দেবো না।তবে ডায়েরিটা আমি হাতছাড়াও করবো না।এটাই আমার মায়ের শেষ স্পর্শ।
যেখানেই থাকো ভালো থেকো মা। খুব ভালো।আমিও ভালো থাকবো।
© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: মা !
আমার জীবন কেন ,
সকলের জীবন এই মার জন্য মন কাঁদে

............................................................................
মা - বাবার অভাব বুঝা যায় , তাদের মৃত্যুর পর !
মাঝে মাঝে ভাবি কি, জে ভূল করেছি,
কত কথা বা উপদেশ শুনি নাই ।
তাহলে আমার জীবনটা আরও সুন্দর হতে পারতো ।

২৬ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:০৫

ইসিয়াক বলেছেন:






এই পৃথিবীতে মায়ের মত আপন কেউ নাই

ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।
ভালো থাকুন সব সময়।

২| ২২ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭

মোগল সম্রাট বলেছেন:



ইসিয়াক, আপনার লেখা পড়ে নিজের গলাও ধরে আসছিলো। কি ভয়নক বেদনার কথা এভাবে বর্ননা করলেন।

শুভকামনা নিরন্তর।

২৬ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৭

ইসিয়াক বলেছেন: আমি সবসময় ই চাই একটা সুন্দর গল্প লিখতে। যেখানে দুঃখ কষ্ট থাকলেও সুখ থাকবে। আনন্দ থাকবে অবিরাম কিন্তু আমার প্রায় প্রতিটি গল্পে শেষটায় কেন জানি দুঃখ ই প্রাধান্য পায়।
আপনাদের মনে দুঃখ জাগানোর জন্য আমি দুঃখিত। পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো।
ভালো থাকবেন।শুভেচ্ছা রইলো।

৩| ২২ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপাতত ডেক্সটপে কমেন্ট করছি।কাজেেই মন খুলে কমেন্ট করকে পারছিনা।

২৬ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

ইসিয়াক বলেছেন: আপনার পোস্টের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। দুই দুটো গল্প শেষ করেন নি।
এক কাজ করুন নোট প্যাডে লিখে এখানে পোস্ট দিন।

৪| ২২ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৪২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: যেহেতু এটা জীবনের গল্প খুবই মর্মর্স্পরসী।আমি আগে থেকেই আপনার সম্পর্কে কিছুটা খো্জখবর রা্খি কাজেই আলাদা করে কিছু বলার নেই।দিন কখনও থেমে থাকে না।যাইহোক ভালো থাকুন।শুভেচ্ছ় আপনাকে।

২৬ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৩১

ইসিয়াক বলেছেন: আপনার জন্য শুভকামনা রইলো প্রিয় ব্লগার।
সব সময় পাশে থাকার জন্য অন্তরের অন্তস্তল থেকে ভালোবাসা।

৫| ২৩ শে জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:১৭

কাছের-মানুষ বলেছেন: আপনার জীবনে অনেক ঝড় বয়ে গেছে। সব কিছু মেনে নিয়ে সামনে এগিয়ে যান। গল্পটি নাম, "সেদিন বৃষ্টিও নামছিল" অথবা "ডায়রিটি আমি পড়ব না" হলে ভাল মানাত তবে আপনি যেটা অনুভব করেছেন সেটাই লিখেছেন!

২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:২৩

ইসিয়াক বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।

৬| ২৩ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: আমি পড়েছি- মনোভাব লিখে প্রকাশ করার ভাষা নেই।

২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:২৩

ইসিয়াক বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা রইলো প্রিয় ব্লগার।
ভালো থাকুন সব সময়।

৭| ২৩ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৩৮

নজসু বলেছেন:



মা।

২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:২৫

ইসিয়াক বলেছেন:





হ্য্ঁ। পৃথিবীতে মায়ের মত আপন কেউ নাই।

ভালো থাকুন প্রিয় ব্লগার।

৮| ২৩ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:১৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
পড়তে পড়তে চোখ আদ্র হয়ে এলো।

২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:২৬

ইসিয়াক বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় মাইদুল ভাই।
ভালো থাকুন।
শুভ রাত্রি।

৯| ২৩ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৪৮

শায়মা বলেছেন: এই লেখার কোনো মন্তব্য হয় না।

সান্তনারও ভাষা নেই। :(

২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:২৭

ইসিয়াক বলেছেন: অজস্র কৃতজ্ঞতা রইলো।
ভালো কাটুক আপনার আগামী দিন গুলো।
শুভেচ্ছা সতত।

১০| ২৪ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:০৮

সোহানী বলেছেন: এ লিখায় মন্তব্য করার মতো সাহস, মন কোনটাই নেই, ইসিয়াক।

ভালো থাকুক মা ওপারে।

তুমি ভালো আছে, প্রতিস্ঠিত হয়েছে, এটা মায়ের আশীর্বাদ। এটাই যে অনেক বড় পাওয়া একজন মায়ের।

২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:২৯

ইসিয়াক বলেছেন: আপু আপনাদের আন্তরিক মন্তব্য আমাকে আপ্লূত করে।এমনই শুভকামনায় রাখবেন আশা রাখি।

ভালো থাকুন সবসময়।
শুভেচ্ছা।

১১| ২৫ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৯

মুগ্ধ নয়নের আগন্তুক বলেছেন: আমার ইমেইল ও পাসওয়ার্ড আইডি ভুলে গেছি দেখে আমার ব্লগে ঢুকতে পারতেছি না, শুধু আমার ইউজার নেম মনে আছে, এখন কিভাবে আমার ব্লগে ঢুকতে পারি কারো কোন আইডিয়া ?

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২২

ইসিয়াক বলেছেন: আপনি জাদিদ ভাইয়াকে মেইল করে জানান। কিম্বা কাল্পনিক ভালোবাসা নিকের পোস্টে মন্তব্যের ঘরে মন্তব্য করুন। আশা করি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

১২| ২৬ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:০২

শাওন আহমাদ বলেছেন: অফিসে বসে কাঁদছি, কেউ দেখে ফেলার লজ্জায় দ্রুত চোখ মুছে নিচ্ছি।

২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৩১

ইসিয়াক বলেছেন: কোন কোন ঘটনা ভীষণ মন ছুঁয়ে যায়। এই লেখাটিও তেমনই মনে হয়েছে আমার কাছে।যদিও এটি আমার জীবন কাহিনী নয়। তবে গল্প হলেও একটা গল্পে লেখকের জীবনের কিছু চিহ্ন থেকেই যায়।শুভেচ্ছা সতত।

১৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: মায়ের স্মৃতি নিয়ে লেখা এ গল্প পাঠ করে মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে উঠলো। কি মর্মন্তুদ একটা কাহিনী নিয়ে হৃদয়বিদারক একটি পোস্ট!
আপনার জন্য আন্তরিক শুভকামনা এবং গল্পে প্লাস। + +

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২৪

ইসিয়াক বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা রইলো প্রিয় ব্লগার। আপনার মন্তব্য আমার জন্য সবসময় অনুপ্রেরণা।
ভালো থাকুন সবসময়।

১৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩২

নাইমুল ইসলাম বলেছেন: অদ্ভুত বেদনাময় গল্প। চমৎকার লিখেছেন।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২৫

ইসিয়াক বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।
শুভেচ্ছা সতত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.