![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুসলিম-সমাজে থার্টি ফার্স্ট নাইট!
আসছে ৩১শে ডিসেম্বর বল্গাহীন যুবসমাজের নোংরামীর সয়লাব ঘটে যে রাতে। চরিত্র নৈতিকতা ও সংস্কৃতির জন্য সম্পূর্ণ ধ্বংসাত্মক হওয়ার পরও নিরাপত্তা দেয়ার নামে এই রাতে নোংরামিকে প্রকাশ্যে অুনমোদন দেয় প্রশাসন।
বরাবরের মতই প্রশাসন সূত্রে যা বলা হয়-
১.প্রকাশ্যে মাতলামী করলেই ব্যবস্থা
*অর্থাৎ গোপনে করা যাবে।
২. আবার বলা হয় বিভিন্ন স্থানে কিংবা হোটেলগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ নোংরামি নষ্টামি যাতে নষ্টরা নিরাপদে করতে পারে সেজন্য নিরাপত্তা কিংবা পাহারার ব্যবস্থা।
৩. আবার বলা হয় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এত এত স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা অর্থাৎ নষ্টরা যা করবে সেটা প্রীতিকর, সেটাতে কেউ বাঁধা দিলেই অপ্রীতিকর।
আমাদের মিডিয়া একে আদর করে বলে ‘তারণ্যের উন্মাদনা’। যেন তরুণ মাত্রেরই উন্মাদ হওয়া অপরিহার্য। ওরে পাগলা “দেখা তোর ভেতরের পাগলামি” কিংবা দোলা দে রে পাগলা” এটা এ রাতের স্লোগান হয়ে দাড়ায়।
থার্টি ফার্স্ট নাইটের নামে উদ্দাম নাচ-গানের আসর, ডিজে পার্টি, অবাধ মেলামেশা, নোংরামি ও মাতলামীর নামে যে উচ্ছৃঙ্খল পশ্চিমা কালচার বিগত দেড় দশক যাবত বাংলাদেশে চর্চিত হচ্ছে। এদেশের ঈমানদার নাগরিকদের জন্য এর চেয়ে লজ্জার বিষয় আর কী হতে পারে?
মুসলিম পিতামাতার সন্তানরা এ রাতে ভেসে যায় আল্লাহর নাফরমানীর সয়লাবে। সর্বত্র ছেলেমেয়ের অবাধ মেলামেশা প্রকট রূপ ধারণ করে। তরুণ-তরুণীরা জোড়ায় জোড়ায় ঘুরে বেড়ায়, রেস্তোরাঁ, পার্ক-উদ্যান, নাইট ক্লাব ইত্যাদিতে। বহু অপ্রীতিকর (কারো জন্য প্রীতিকর) ঘটনাও ঘটে থাকে।
তরুণ-তরুণীদের প্রলুব্ধ করার জন্য নাইট ক্লাব ও ‘অভিজাত’ হোটেলগুলোতে দেয়া হয় নানা অফার প্যাকেজ, মদের আসরসহ থাকে নানা রকম আয়োজন। ফলে নারী ও মদে পঙ্কিল হয়ে ওঠে বছরের প্রথম দিনরাত্রিগুলো।
বলাবাহুল্য, পাপাচার ও নাফরমানির মধ্য দিয়ে যে বছরের সূচনা তা জাতির জীবনে কি বিশাল সুফল বয়ে আনবে তা খুব সহজেই অনুমেয়।
এই নোংরা কালচারটি আমদানী করেছেন এদেশেরই কিছু বুদ্ধিজীবী নামক পরজীবি নরকের কীট। এরা একটি শালীন সমাজের বুনিয়াদ গড়ার পরিবর্তে অশ্লীলতার ভাগাড় সৃষ্টি করতেই উৎসাহী। এরা একদিকে নববর্ষের, থার্টি ফার্স্ট নাইটের মাহাত্ম্য প্রচার করেন যুবসমাজকে ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ উদযাপনের উসকানী দিয়ে থাকেন। আশ্চর্যের বিষয়, তারাই আবার যুবশ্রেণীকে উপদেশ দেন ‘মাদক, সন্ত্রাস ও নারী নির্যাতনকে না বলুন’।
প্রশ্ন এই যে, উচ্ছৃঙ্খলা ও পাপাচারের অসংখ্য উপলক্ষ তৈরি করে মাদক, সন্ত্রাস ও নারী নির্যাতন বন্ধ করা কি কোনোভাবেই সম্ভব?
একজন সাধারণ রুচিশীল মানুষও থার্টি ফার্স্ট নাইটের এই নোংরামি সমর্থন করতে পারেন না। এই ধরনের পাপাচার বন্ধ করতে সচেষ্ট হওয়া প্রত্যেক সচেতন নাগরিকের অবশ্য কর্তব্য। আর একটি মুসলিম দেশের অভিভাবক হিসেবে দেশের সরকারের কর্তব্য এই ধরনের চরিত্র বিধ্বংসী বিজাতীয় উৎসব কঠোর হস্তে দমন করা।
২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:২৪
রাহুল মনিরূজ্জামান বলেছেন: আপনাকে ও পডার জন্য ধন্যবাদ !!!
ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল!!!
৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫০
লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: ঢাকায় যেভাবে মদ, গাজা আর অশ্লীলতার মধ্য দিয়ে থার্টিফার্স্ট উদযাপন করা হয় তা আসলেই হতাশাজনক। তার চাইতেও হতাশাজনক হলো এখন বাংলা নববর্ষ, গায়ে হলুদ, জন্মদিন, র্যাগ ডে সব একই স্টাইলে পালন করা হয়। আর এখন তো কোন দিবস নেই, সবই উৎসব। একুশে ফেব্রুয়ারির মতো দিনেও দেখি সোহরাওয়ার্দী আর হাতিরঝিলে যুগলদের ঢলাঢলি। আমরা যারা মুসলিম তারা তো পৃথিবী ধ্বংসে বিশ্বাস করি। ধ্বংসের প্রক্রিয়া মনে হয় শুরু হয়ে গেছে।
৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০১
রাহুল মনিরূজ্জামান বলেছেন: ভাই আপনী সঠিক বলছেন,তার জন্য ধন্যবাদ।দিনে দিনে আমাদের মূল্যবোধ টুকো হারিয়ে যাচ্ছে ভাই।ইংরেজী নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল!!!
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:১৫
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: সুন্দর পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ
ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানবেন