নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গতকাল রাতে একটা লেখা শেষ করলাম! অনেক দিন বাদে। প্রায় তিন মাস পর!
ভীষণ আনন্দ হবার কথা। লেখালেখিটা শুরু করার পর এত দীর্ঘ সময়ের বিরতি এর আগে কখনোই নেয়া হয়নি। আরো বেশি আনন্দ হয়, লেখাটা পত্রিকায় পাঠানো পর। লেখাটা শেষ হলে পত্রিকায় না পাঠানো অবধি শান্তি নাই। পত্রিকায় পাঠানোর পর যা হয়, ওটাকে ঠিক আনন্দ না বলে চাপা টেনশন বলা ভাল! কবে ছাপা হবে সেই টেনশন। প্রত্যেক রাতে বারোটা বাজার সাথে সাথে প্রত্যেকটা পত্রিকার অনলাইন খুলে বসা। অনলাইন ভার্সনে দেখার পর, হুলস্থুল পড়ে যায় কখন মূল পত্রিকাটা সংগ্রহ করবো?
কত দিন গেছে, সেই আনন্দে রাতে আর ঘুমই আসেনি।
ছাপার অক্ষরে নিজের নামটা দেখবো। তারপর পাতাটা মেলে ধরে, নাকটা চেপে ধরে, লম্বা একটা শ্বাস! নতুন পত্রিকার ঘ্রাণ....ছাপার অক্ষরে নিজের নাম!!! আগের দিন পত্রিকায় চলে এসেছে, কোন কারণে মিস করেছি, ব্যস হয়ে গেল। এবার পুরনো পত্রিকা জোগাড়ের তোড়জোড়। কোথায় পাবো তারে???
অনেক দিন পর লিখলাম বলে, লেখাটা শেষ করতে বেশ কষ্ট হয়েছে। প্রায় তিন দিন খাটতে হলো। এক্ষেত্রে আনন্দটা আরো বেশি হবার কথা...
অথচ কালই প্রথম, কোন লেখা শেষ করে কোন আনন্দ হলোনা। চিৎকার করে শব্দ তুলে ‘ইয়েস’ বলে হাত-পা ছোঁড়া হলোনা, কালই প্রথম লেখাটা শেষ করে, আস্তে ধীরে ল্যাপটপটা বন্ধ করে ঘুমোতে গেলাম। এই প্রথম কোন লেখা শেষ করার কয়েক মিনিটের মাথায় পত্রিকায় পাঠানোও হলো না।
আমার লেখালেখির জীবনে কালই প্রথম মনে হলো, ধূর! কী হবে এইসব লেখালেখি? কার জন্য এসব রাত জেগে লেখা? কেউ কী পড়ে ওসব ছাইপাশ? যদি পড়ে, তবে এখনো এই ঘন অন্ধকার কেন? শুধু লিখবার অপরাধে কেন চাপাতির কোপ খেতে হয়? হুমায়ুন আজাদতো শুধু লিখেছিলেন, রাজীবও লিখতো, অভিজিৎরাও.....
০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:২৯
রাজু নূরুল বলেছেন:
মোটেও ব্যস্ত লেখক না গাজী সাহেব। এই একটু-আধটু চেষ্টা! তবে প্রত্যেকেই তো তার নিজের কৃতিত্বে আনন্দ বোধ করে তাই না? যাই হোক, আপনার জন্য নিচের লিংকটা। জাস্ট নামটা গুগলে রেখে চার্চ দিলেই বেশ কিছু লিংক পেয়ে যাবেন।
mohammed norul alam raju
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
মনে হচ্ছে, ভীষণ ব্যস্ত লেখক!
কিসের উপর লিখছেন?