![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার ফেইসবুকঃ http://www.facebook.com/mohammad.rakibul আমি ছন্নছাড়া মানুষ। একটা লক্ষ আছে জীবনে। ভ্যাগাবন্ড হওয়া। মা-বাবা আর ভাইদের জন্য এখনো হতে পারিনি। তবে আর বেশীদিন মনে হয় বাকি নেই।
বাংলাদেশের রাজনীতির উপরে একটা বিতৃষ্ণা আগে থেকেই ছিলো। শেষ কয়দিনের সার্কাসে সেটা প্রায় অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। আজকাল রাজনীতিবিদদের দেখলেও কেমন জানি ঘেন্না হয়। এতো এতো মিথ্যা একজন মানুষ কিভাবে বলতে পারে? এতো পরিমান মিথ্যা যে এটাকে প্রকাশ করার জন্য আমি উপযুক্ত কোনো বিশেষন-ই খুজে পাই না।
সাধারণভাবে একজন নাগরিকের জাতীয়তাবোধ বা জাতীয় চেতনা থেকে যেখানে একটা রাজনৈতিক দলের পক্ষালম্বন করার কথা বা সমর্থন করার কথা, সেখানে আমাদের দেশে ঘটে ঠিক উল্টোটা। ঠিক উল্টোটাও না। এদেশে দলীয় সংকীর্ণতার ভীড়ে জাতীয়তাবোধ বা জাতীয় চেতনাকে খুজে পাওয়া যায় না। ক্ষমতার লোভ আর দলীয় স্বার্থের ডামাডোলে জাতীয় স্বার্থের কোনো স্থান এখানে নেই।
এদেশের বেশিরভাগ মানুষ ই দুইভাগে বিভক্ত। আওয়ামী লীগ আর বিএনপি। আর এই বিভক্ত মানুষেরা মনে করে সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ ই দুইভাগে বিভক্ত। আওয়ামী লীগকে পছন্দ না করলে সে বিএনপি। আর বিএনপি কে পছন্দ না করলে সে আওয়ামী লীগ। এর মাঝামাঝি কিছু নাই। কোনো দেশ নাই, জাতি নাই। কিচ্ছু নাই। শুধু দুইটা দল আছে। আর আছে এ দুই দলের একে অপরের প্রতি বিদ্বেষ। প্রচন্ড বিদ্বেষ। নিজ দলের জন্য এরা মিথ্যাচার করে, হানাহানি করে, মারামারি করে। এই দলের জন্য তারা জীবন দিতে প্রস্তুত। কিন্তু দেশের জন্য না।
আজ স্বাধীনতার ৪২ বছর পরেও আমাদের আলোচনা করতে হয় ১৯৭১ সালে যারা আমাদের এই দেশের জন্মের বিরোধীতা করেছিলো, যারা এই দেশের ৩০ লক্ষ মানুষকে হত্যায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অংশগ্রহন করেছিলো, যারা আমাদের ২ লক্ষ মা বোনদের গনিমতের মাল ফতোয়া দিয়ে ধর্ষন করেছিলো তাদের বিচার আমরা করবো কিনা? বিচার আন্তর্জাতিক মানের হচ্ছে কি না? এই বিচারের ফলে কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দল লাভবান হবে কিনা? সরকার পরিবর্তন হলে এই বিচার চলবে কি না? কত শত প্রশ্ন!!! প্রতিদিন সব টিভি চ্যানেলে উত্তাল বিতর্ক। কাপের পরে কাপ কফি শেষ হয়ে যায় কিন্তু আলোচনা শেষ হয় না। এই বিচার নিয়ে নোংরা খেলা শেষ হয় না।
এই বিতর্ক, এই আলোচনা যে কতটা অশ্নীল সেটা এই রাজনীতিবিদেরা বোঝেন না। তারা নির্লজ্জ মুখে আলোচনা চালিয়ে যান। ৪২ বছরেও ৩০ লক্ষ শহীদের হত্যার বিচার আমরা করতে পারি না। এই হত্যাকারীদের আমরা বাচিয়ে রাখি। গত ৪২ টা বছর ধরে রেখেছি। তাদের এদেশে প্রতিষ্ঠিত করেছি। মন্ত্রী করেছি, এমপি করেছি। যেই জাতীয় পতাকার জন্য ৩০ লক্ষ শহীদ প্রাণ দিয়েছে সেই জাতীয় পতাকা রক্ষার ভার এদের ওপরেই দিয়েছি। তারা গাড়ীতে জাতীয় পতাকা লাগিয়ে ঘুড়ে বেড়িয়েছে। কি বিচিত্র!! কি বিচিত্র!!! কি লজ্জা... কি লজ্জা...
আজ এতো বছর পরে যখন বিচার শুরু হলো, এখনো আমরা বিভক্ত। আমরা আসলে আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্নেই বিভক্ত। আসলে আমরা কি? আওয়ামী লীগ- বিএনপি? নাকি এই বাংলাদেশের সন্তান? আজ যখন যুদ্ধাপরাধীদের বাচাতে সারাদেশ জুড়ে তান্ডব, ধর্মের নাম ব্যবহার করে এই রাজাকারদের বংশধরেরাই যখন ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে, এই দেশে থেকে এই দেশের বিরুদ্ধে যখন তারা যুদ্ধ ঘোষণা করছে তখনো আমরা দ্বিধাবিভক্ত। কারন আমাদের কাছে দেশ বড় না। আমাদের কাছে দল বড়। দলীয় অবস্থানটাই মুখ্য। দেশের ভবিষ্যৎ বা জাতির ভবিষ্যত আমাদের কাছে বিবেচ্য না।
সবচেয়ে আশ্চর্য লাগে, যখন দেখি এই দেশের সব সুযোগ সুবিধা নিয়ে বড় হওয়া কোনো তরুণ যখন এই সব রাজাকারদের পক্ষ নিয়ে কথা বলে, বিচারের বিরুদ্ধে কথা বলে। কোনো দলের মুখপাত্র হিসেবে বকে চলে আর প্রচন্ড বিদ্বেষ নিয়ে বলতে থাকে এই বিচার সম্পন্ন হলে বিপরীত রাজনৈতিক দলের কি লাভ হবে, ক্ষমতার পটপরিবর্তনে এর কি প্রভাব পড়বে, কে ক্ষমতায় যাবে। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের ঋণের বোঝা তার মাথায় আসে না। এই দেশের জন্মের ঋণ শোধের ভাবনা তার মাথায় আসে না। কলংক মোচনের ভাবনা তার মনে আসে না। কি লজ্জা... কি লজ্জা...
মানুষের ওপর থেকে নাকি বিশ্বাস হারাতে নেই। কিন্তু আমি বিশ্বাস রাখতে পারি না। এই নষ্ট রাজনীতির ওপরে আমি বিশ্বাস রাখতে পারি না। আশাবাদি হতে পারি না। আমি নিরাশ হই। একপ্রকার নগ্ন আতঙ্ক নিয়ে ভবিষ্যতের প্রহর গুনি।
২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:০৩
তৌফিক "সত্য-পথযাত্রী" হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। একই সাথে একটা অনুরোধ,
একটু কষ্ট করে যদি মতামত দেন, বাধিত হবঃ
শত্রুরা এখন এক এক করে আসবে (প্রসঙ্গঃ বিভক্ত জাতি, পথচ্যুত শাহবাগ, বেপরোয়া জামাত, ভারতের রাষ্ট্রপতি)
লিঙ্কঃ Click This Link
৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩
রাকিবুল৯০ বলেছেন: @ আইলসা। অন্যতম না। আমার কাছে এটাই প্রধান। জন্ম পাপ সুরাহা না করে, অন্য প্রসঙ্গ আসে কোথা থেকে?
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৪৪
আইলসা০ বলেছেন: শাহবাগের আন্দোলনের কারণে এখনও পর্যন্ত অনেকের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। জানেন তো আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে পুরোনো অভিযোগ-- তারা যুদ্ধাপরাধের বিচার চায় না কারণ এতে তারা রাজনৈতিক এজেন্ডা হারাবে। তাদের আর রাজনীতি করার এজেন্ডা থাকবে না। যদি এই কথা সত্য হয় তাহলে শাহবাগ আন্দোলনের ফলে যুদ্ধাপরাধের বিচরে যে গতি এসেছে তা আওয়ামী লীগের জন্যও ক্ষতিকর। তবে শাহবাগের প্রতি এখনও মানুষের আস্থা আছে। বাংলাদেশে যেসব বৃহত্ সমস্যা আছে তার মধ্যে অন্যতম যুদ্ধাপরাধের বিচার সম্পন্ন করা। শাহবাগ সেখানটাতেই ছাই দিয়ে ধরেছে। এখন শুধু ধৈর্য ধরে এগিয়ে যাওয়া। এই আন্দোলনে জয়ী হলে একটি অশুভ রাজনীতির অবসান ঘটবে। যার প্রভাব হবে সুদূর প্রসারী। চিন্তাশীল মানুষ মাত্র একথা বুঝতে পারেন। তবে একথা মনে রাখা দরকার এসব অশুভ শক্তির পুনরুত্থান ঠেকাতে দেশ থেকে অশিক্ষা, অজ্ঞানতা দূর করা ছাড়া বিকল্প নাই। শাবাগের নেতৃত্ব একথা বোঝো কিনা জানি না।