নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটি জাতির বিশেষ জনগোষ্ঠী কে বুদ্ধিজীবী বলা হয় এক কথায় । যারা শিক্ষা-সংস্কৃতি ,বিচার
বুদ্ধি,জ্ঞান ,বিবেক দিয়ে সমাজ পরিবর্তনের ক্ষমতা রাখেন । পৃথিবীতে যত বিপ্লবী/সংস্কারপন্থী অান্দোলন হয়েছে ,সেগুলোর পেছনে পানি ঢেলেছেন; সে সমাজের বুদ্ধিজীবীরা ।রুশো কে ফরাসি বিপ্লবের মূল কারিগর ভাবা হয় । তিনি সক্ষম হয়েছিলেন তাঁর লেখার মাধ্যমে ফরাসি সমাজ পরিবর্তনের বার্তা পৌঁছে দিতে । ভলতেয়ারও যথেষ্ট অবদান রেখেছিলেন।
ছবিতে রুশো
এভাবে সমাজ বা রাষ্ট্রের প্রত্যকটি পরিবর্তন,সংস্কার বা বিপ্লবে বৃদ্ধিজীবীদের অবদান অনস্বীকার্য । আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক মুহূর্তেও একটি বৃহৎ সংখ্যার বৃদ্ধিজীবীরা বেঁজা বিড়ালে ভূমিকা পালন করেছে । এই সংখ্যা এখন ও কোন অংশে কম নয় ।রাষ্ট্রীয় যন্ত্রের চাপে,লোভে এসব বুদ্ধিজীবীরা বেশ নিষ্ক্রিয় । ট্যাগ পেয়েছেন চাটুকার,সুবিধাবাদী । আপনাদের বর্তমান অবস্থান ইতিহাস তাঁর ঘৃণিত পাতায় স্থান দিবে । একাত্তরে এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবী ছিলেন খুব প্রক্রিয়াশীল ও ধর্মান্ধ । তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা কে ঠিক ভাবে মেনে নিতে পারেন নি । এদের মধ্যে কেউ সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন ,মৌন সমর্থন বা ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানির মত’ অবস্থান নিয়ে ছিলেন । এখনও সে সবের ডালপালার সংখ্যাই বেশি । সত্যটা তাদের মুখ থেকে উচ্চারণ খুব কম হয় ,পাছে ভয় যে ।
এ রকম পা চাটাদের ইতিহাস নতুন নয় । একাত্তরে এরা বেশ সক্রিয় ছিল । মহান মুক্তিযোদ্ধের অংশ গ্রহণ না করে ,প্রাণের ভয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল । সেখানে কেউ আবার নিজের সুনাম অক্ষুন্ন রাখার জন্য নিজের নতুন নাম -পদবী নিয়েছেন। কলকাতার বুদ্ধিজীবীরা তাদের প্রকাশ্যে লজ্জা দিছেছে তবু তারা লজ্জিত হয় নি । দেশে যুদ্ধ চলছে ,জীবন সংকটাপন্ন ,কই যুদ্ধ করবে বা কোন গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে !সেখানে তারা নিরাপদ আশ্রয়ের খুঁজে । চেষ্টা করেছে বিদেশী ত্রাণে ভাগ বসাতে ,এমন কি বিদেশী সাহায্যে টাকা আত্মসাৎ ও করেছে । ছি ,ধিক্কার জানায় । আমি স্বীকার করছি না যে,সব বুদ্ধিজীবীরা এমন ;সংখ্যায় অল্প হলেও তাদের অবদান জাতি ভুলতে পারবে না; কোন দিন। আইয়ুব শাসনালে অনেক বুদ্ধিজীবীরা বিদেশে সফর করছেন ,নানান বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছে ; সরকারি খরচে নাম করা বিশ্ববিদ্যালয়ে ।এসব চাটুকার বুদ্ধিজীবীরা আবার পুরষ্ককৃত হয়েছিল পাকিস্তানী সরকার দ্বারা(আদমজী পুরষ্কার ,দাউদ পুরষ্কার ) ।দিল্লি গিয়ে আমিরিকানদের টাকায় ফুর্তি করছেন। যেখানে একজন শিক্ষক সে সময় নুন আনতে পানতা পুরায় অবস্থা; তখন তারা সরকারি বাস ভবনে থাকতো , এক কথায় বিলাসবহুল জীবন । সুবিধাবাদী ,চাটুকার হয়েছিল বলেই সম্ভব হয়েছে । এখন কি এরা লেজ গুটিয়ে নিয়েছে ?
হালের জনপ্রিয় লেখক আহমেদ ছফা সাহেব ও ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল । অবশ্য; তখন তিনি চেষ্টা করেছেন ‘‘জাগ্রত বাংলাদেশ’’ শিরোনামে লেখালেখি করার । জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক স্যার তো মুসলিম লীগের জন্য প্রকাশ্যে গর্ব করতেন ।তিনি অধ্যাপক হেরল্ড লাস্কির ছাত্র ছিলেন (পিএইচডি করার সময়) । মসলিম লীগ করার জন্য ,একটু খুচা দিয়ে কিছু কথা বলেছিলেন,অবাক করার বিষয় জাতীয় অধ্যাপক লাস্কির কথার ডিপেন্স করেছিলেন(বিঃদ্র-তাঁদের মধ্যে ঠিক কি কথা হয়েছিল সে দিন ,সেটা সংরক্ষণে আছে, আমার কাছে ,কিন্তু খোঁজাখুঁজি,সময়ের অভাবে লিখতে পারছি না বলে,ক্ষমাপ্রার্থী প্রিয় সহ ব্লগারবৃন্দ)। ব্যক্তিগত ভাবে আমি এমন দুজন গুণি ব্যক্তির অবস্থান দেখে আমি খুব মর্মাহত। তাঁদের অবস্থান আরও ইতিবাচক হলে ,খুশি হতাম ,জাতি উপকৃত হত । এ রকম উদাহরণের অভাব নেই । সেই পলাশীর মীর জাঁফর যেন মুজিবনগর সরকারের ভিতরে ঢুকে পড়ছিলো ,সে সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করার কৃতত্ব দিতে হবে শহীদ তাজ উদ্দিন আহম্মেদ কে ।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে যে কয়টা মুক্তিযোদ্ধ বিষয়ক বই পড়েছি ,সেগুলোর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা এবং তিনি লেখক বা বুদ্ধিজীবী ছিলেন এমন বই পাইনি । পেয়ে থাকলে জানাবেন অবশ্যই । আমরা দেখেছি বিশ্বের বেশ কিছু দেশে বুদ্ধিজীবীদের সরাসরি অংশগ্রহণ করতে । তখন তাদের অভিজ্ঞলব্ধ জ্ঞান দিয়ে লিখেন বিখ্যাত বিখ্যাত বই অথচ আজ পর্যন্তু কেউ বলেতে পারবে না ,মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ আলোড়ন সৃষ্টিকারী বই রচনা হয়েছে ।স্পেনের গৃহযুদ্ধে হাজার হাজার বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী যোগ দিয়েছিল । সেসব গুণি বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ও শ্রমিক নেতা এটলী ,নোবেল বিজয়ী আর্নেস্ট হেমিংওয়ে অন্যতম । এই গুণি লেখক তার অভিজ্ঞতার আলোকে লিখেছিলেন বিখ্যাত গ্রন্থ ‘ফর হোম দি বেল টলস’ । আমাদের বুদ্ধিজীবীরা সক্রিয় অবস্থান নিলে আমরাও পেতাম কিছ না কিছু ।
মাঝে দেখতে পাচ্ছেন;নোবেল বিজয়ী লেখক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে কে;স্পেনের গৃহযুদ্ধে ।
মুক্তিযোদ্ধ নিয়ে লিখিত বেশ কিছু বইয়ে গরমিল লক্ষ্য করেছি ,এমন কি সুষ্ঠ গভেষণা সেখানে অনুপস্থিত । তখন তাদের অবস্থান ইতিবাচক হলে কিছূ পেলেও পেতে পারতাম ।
অথচ মুদ্রার উল্টো পিট দেখিয়েছে বেশ কিছূ বিদেশী বুদ্ধিজীবী । লিয়ার লেভিন ;এক সময়কার পৃথিবীর সেরা ১০ জনের একজন বিজ্ঞাপন নির্মাতা ছিলেন । কলকাতায় বিজ্ঞাপনের শুটিং করতে এসে থেকেছেন মাসের পর মাস শরণার্থী শিবিরে ।ক্যামারা বন্ধি করেছেন দারুণ কিছু মুহূর্ত । একাত্তরের ২০ সেপ্টাম্বরে; নয়াদিল্লিতে ‘ আন্তর্জাতিক বুদ্ধিজীবী সম্মেলন’ করা হয়েছিল ।সেখানে ২৪ টি দেশের ১৫০ জন বুদ্ধিজীবীরা বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালান । মজার ব্যাপার হলো প্রখ্যাত ফরাসি মনীষী আঁন্দ্রে মালরোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল । তাঁর জবাব টি পড়েই দেখি
‘‘আমার বয়স সত্তরের উর্ধ্বে । এমন সময় যদি প্যারিস থেকে দিল্লি যাওয়ার ধকল সহ্য করার মত সামর্থ্য থাকতো ,তাহলে আমি আরও কিছু দূর এগিয়ে ,অস্ত্র হাতে বাংলাদেশের রণাঙ্গনে ,বাঙালি মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কাঁধ মিলিয়ে পাকিস্থান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই -এ অংশ গ্রহণ করতাম। এতে অনন্ত এই বয়সে একটা নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হতো’’ তিনি আরও অবদান রেখেছেন ;;বাংলাদেশের পক্ষে সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন । কিছু বিদেশী বুদ্ধিজীবীদের উদাহরণ টানলাম,ভিনদেশী হয়ে তাঁদের আমাদের প্রতি সহমর্মিতা দেখে আমি আপ্লুত ।
কিছু পোষা, লেজুড় ও সুবিধাবাদী বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে আলোকপাত করা যাক
তখন সিপাহী বিদ্রোহ চরমে । উপমহাদেশের গৌরী শংকর সম্মাদিত ‘‘সংবাদ ভয়ংকর’’ নামক পত্রিকা ইংরেজদের প্রতিরোধের প্রশংসা করে শিরোনাম করে । যখন তিতুমীরের লড়াই ,ওয়াহাবী আন্দোলনে,ফকির বিদ্রোহ,কৃষক বিদ্রোহ ,হাজং বিদ্রোহ সহ বেশ কিছু সাড়া জাগানো আন্দোলনে আমরা বুদ্ধিজীবীদের কোন ভূমিকা খুঁজে পাইনি । সমর্থন পর্যন্ত তাদের নেই । এ প্রসঙ্গে শ্রদ্ধেয় সুপ্রকাশ রায়ের ভারতেই ‘কৃষক বিদ্রোহ’ নামক বই থেকে এই পোস্টের বিষয়বস্তুর সাথে সাদৃশ্য পূর্ণ তথ্য পাই ।
তিনি তাঁর বইয়ে লিখেছেন ‘‘ উনবিংশ শতাব্দিতে যখন বিহার ও বঙ্গদেশের উপর দিয়া কৃষক বিদ্রোহের ঝড় বহিতে ছিল ,তখন এই মধ্যবিত্ত শিক্ষিত শ্রেণি গনসংগ্রামের দিক থেকে মুখ ফিরাইয়া ,বিদেশী ইংরেজ প্রভুদের শাসন কে ‘ভগবানের আর্শীবাদ’ রুপ বরণ করিয়া ইংরেজী শিক্ষা দানের ভিত্তিতে নিজেদের নতুন ভাবে গড়িয়া তুলিতে ব্যস্ত হইয়া ছিলেন’’
ভাষা আন্দোলনে আমরা অল্প কিছু বুদ্ধিজীবীদের দেখা পাই । পরেও ছিল ;তবে এঁদের অধিকাংশের মুখ্য পরিচয় ছিল ছাত্র । ভাসানী-মুজিবের নেতৃৃত্বে যে স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন হয়েছিল সেখানেও বুদ্ধিজীবীদের অবস্থান ন্যাক্কার জনক । ১৯৬২ সালে যে রক্তাত্ব ছাত্র আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল;সেখানেও বুদ্ধিজীবীরা সম্পূর্ণ অনুপস্থিত বলে লাব্বায়িক বলেছে ।১৯৬৪ সালে ঢাকা ও খুলনায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় এই সব চেতনা বিক্রির ফেরিওয়ালাদের আমরা পাইনি । বঙ্গবন্ধু বিক্ষুদ্ধ হয়ে প্রেসক্লাবে হাজির হয়েছিলেন ‘পূর্ব পাকিস্থান রুখে দাঁড়াও’ প্রচারপত্র নিয়ে । ছয় দফায় আমরা খুব বেশি সংখ্যক বুদ্ধিজীবীদের পাশে পাইনি । হাতেগনা কয়েকজন ছাড়া । তবে স্রোতের বিপরীতে চলা বুদ্ধিজীবীরা আজ বরণীয় ,স্বরণীয় । তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন শিল্পী জয়নুল আবেদীন,কবি সুফিয়া কামাল,সিকান্দার আবু জাফর, সাংবাদিক জে কে মুস্তাফা,রণেশ দাশগুপ্ত,অধ্যাপক আহমেদ শরীফ,শহীদুল্লাহ্ কায়সার সহ প্রমুখ ব্যক্তিত্ব । মুজিব নগর সরকারের বেশ কিছু বুদ্ধিজীবীরা প্রশংসা করেছেন কিন্তু তারা সরাসরি রণাঙ্গণে অংশগ্রহন করেনি,দেখেনি নরপশুদের হত্যা কাণ্ড,মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখার মত সৌভাগ্য তাদের হয়নি ।
এসব চেতনাধারীরা সরাসরি আন্দোলনে অংশগ্রহন,মিছিলে স্লোগানে আকাশভারী করার প্রয়োজন নেই । তাদের জ্ঞান বুদ্ধি,বিশ্লেষণ,দিক নির্দেশনা,সুচিন্তিত মতামতে যে কোন আন্দোলন বা সংস্কার কে ভিষণভাবে প্রভাবিত করবে । করেছেও ,রুশ বিপ্লব,ফরাসি বিপ্লব,শিল্প বিপ্লবে বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা প্রশংনীয় । ন্যায় সত্য কথা বলতে এত দ্বিধা কেন ! আপনাদের কোন বিশেষ পক্ষকে খুশি করার দরকার নেই ;শুধু মাত্র সত্য টা বলুন,চাটুকারীতা আর কত ?
সুবিধাবাদী বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে দারুণ একটি কবিতা লিখেছেন ন্যাৎসি বিরোধী কবি মার্টিন নিমোল্যার । কবিতার সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য নিখরচা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি গুণি ব্লগার পদ্ম পুকুরের কাছে । তাহলে আসুন কিছু লাইন পড়েই দেখি -
যখন ওরা প্রথমে কমিউনিস্টদের জন্য এসেছিল, আমি কোনো কথা বলিনি,
কারণ আমি কমিউনিস্ট নই।
তারপর যখন ওরা ট্রেড ইউনিয়নের লোকগুলোকে ধরে নিয়ে গেল, আমি নীরব ছিলাম,
কারণ আমি শ্রমিক নই।
তারপর ওরা যখন ফিরে এলো ইহুদিদের গ্যাস চেম্বারে ভরে মারতে,আমি তখনও চুপ করে ছিলাম,
কারণ আমি ইহুদি নই।
আবারও আসল ওরা ক্যাথলিকদের ধরে নিয়ে যেতে,আমি টুঁ শব্দটিও উচ্চারণ করিনি,
কারণ আমি ক্যাথলিক নই।
শেষবার ওরা ফিরে এলো আমাকে ধরে নিয়ে যেতে,
আমার পক্ষে কেউ কোন কথা বলল না, কারণ, কথা বলার মত তখন আর কেউ বেঁচে ছিল না।
কবিতার মত আমাদের চেতনাধারীরা এমন ভাবনায় বিভোর ?
তথ্যসূত্র:গুগল,বিবিসি বাংলা,ইউকি,
মুক্তিযুদ্ধে বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা-আখতার মকুল,
যদ্যপি আমার গুরু-আহমেদ ছফা,কিছু অনলাইন পত্র পত্রিকা ।
দৃষ্টি আকর্ষণ
সবাইকে ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি । সবার ঈদ ভাল কাটুক । ত্যাগের মহিমায় শান্তি ভয়ে আসুক আমাদের মাঝে ।
ঈদের ছটির পর আাবার দেখা হবে সবার সাথে সেই প্রত্যাশা । ইনশাআল্লাহ্ ।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৮
রাকু হাসান বলেছেন:
বড় বাস্তবতার মন্তব্য করেছেন । ‘‘ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, সচিব, বিখ্যাত কবি সাহিত্যিকদের মুখ থেকে তাই ক্রিমিনালের মত কথাবার্তাই শুনেই বেশি অভ্যস্ত আমরা। খুব দুঃখজনক । এহেন অবস্থায় তাদের দায়িত্ব পালন করছে না ।
প্রথম মন্তব্যকারী হিসাবে আপনার জন্য চা ,খেয়ে নিন
২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০০
কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: বুদ্ধিজীবীরা একটি দেশ ও সমাজের যে কোন বিষয় কিংবা পরিস্থিতিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে কিন্তু আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবীদের বুদ্ধি দিন দিন লোপ পাচ্ছে ।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৫
রাকু হাসান বলেছেন:
হুম ঠিক বলেছেন আপু , তাদের বুদ্ধিলোপ পাওয়ার মত অবস্থা দেখছি । আসলে স্বার্থ সব । সুবিধাবাদী ।
শুভেচ্ছা নিবেন ,ভাল থাকবেন ।
৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২৭
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
বুদ্ধিজীবীদের কথা সাধারণ শোনে না, উনারা কথা বলার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫০
রাকু হাসান বলেছেন:
কবে যে আগ্রহ নিয়ে কথা বলেছিলেন ,সেটা বের করতে চিরুনি অভিযান চালাতে হবে । হ্যা আগ্রহ হারাতে পারে ,আর উনারা বলতেও পারে না ,সাহস সে রকম সৎ সাহস থাকা দরকার । তবে সবাই তো সমান না ,কেউ কেউ তো বলছে ।
শুভেচ্ছা নিবেন ভালবাসা নিরন্তর ।
৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৪
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আমাদের রাকু হাসান হরিণ সমাজের সাথে জোট বেঁধে আন্দোলনে নেমেছে নাকি???
আহা বেশ বেশ!
অফটপিকঃ
সালার কুরবানির গরু এত বদ, আমাকে দেখলেই গুতাতে চায়...
১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫৭
রাকু হাসান বলেছেন:
হহাহাহা , হ্যা আমাদের বেশ কিছু লেখার টপিক কাকতালিয় ভাবে এক হয়ে যাচ্ছে ,মূল জিনিস টা । আসলে সাম্প্রতিক সময়ের তাদের ভূমিকা ও চাটুকারিতার জন্য খারাপ লাগছিলো । এছাড়া বইগুলো পড়ার পর অনেক দিন ধরে মনে হচ্ছিল একটা ব্লগ লেখা যায় তাই আর লেখা ।
কুরবানির গরু আমোকে গুতায় না , কাছে গেলেও ,আপনাকে কেন তাহলে ,রহস্য আছেনি ,তবে আদর করে দিন,গুতাবে না
৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০০
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: কুরবানির গরু না হলে পিটিয়ে ওর ছাল তুলে নিতাম না...
নাহ্, অনেক বড় লেখা। আরেকদিন ঠান্ডা মাথায় পড়তে হবে। (আহমদ ছফা ও আব্দুর রাজ্জাক স্যার আমার পছন্দের মানুষ।)
ঈদের মধ্যে ব্লগ একটু ঝিম ধরে থাকে, আমি চাচ্ছি এবার যেন তেমনটা না হয়। সারাদিন ঘোরাঘুরি খাই দাই শেষে রাতে আড্ডা হবে। ওকে!
আড্ডার অগ্রীম দাওয়াত.....
১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪২
রাকু হাসান বলেছেন:
হুম ছফা সাহেব খুব ভাল লিখেন । আমারও খুব পছন্দের । ওকে মাথা ঠান্ডা হোক তবে ,সে অপেক্ষায়
নিজাম ভাই ,আপনার আহবান কাজে হোক । ব্লগ টা জমলে ভাল লাগে না । বাড়িতে যাচ্ছি,সেখানে ফোন দিয়ে চালাের চেষ্টা করতে হবে । তবে নেটের যে অবস্থা ভাই। মন তো নিপপিস করতে থাকে । দাওয়াত রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে ,আমারও ভাল লাগে না ,ব্লগে না আসলে ।
তবে ব্রাদার কম কম করে ঘন ঘন খান ,েএকেবাড়ে বেশি কিন্তু
৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৮
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবিরা আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভোগেন। তারা নিজেরাও ঠিক বুঝতে পারে না তাদের অবস্থান কোথায়। তাদের দেখা যায় বিশেষ বিশেষ সময়ে সোচ্চার হতে। তারা দলকানা রাজনীতিবিদদের মতই একচোখা নীতি অবলম্বন করেন। তারা নিরপেক্ষ সাজতে গিয়ে নিজের পিতৃধর্মও অস্বীকার করেন...
১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৬
রাকু হাসান বলেছেন:
একেবাড়ে সঠিক কথা টা বলেছেন । অতি সংক্ষেপে তাদরে কথা বললে এভাবেই বলা যায় । তবে পাল্টানো দরকার । আমরা একটু নিজের অবস্থান পরিষ্কারের আশা করতেই পারি । ভুল টা হলে সেটাই বলুক । কিন্তু একদম মুগবন্ধ করে বসে থাকা টা ভাল লাগে না ।
আপনার কাছে একটা কথা আছে ,সারা জীবন ,বিচার মানলেন ,তালগাছ ও নিলেন ,কোন দিন তালগাছ আমাকেও দিয়েন কিন্তু
৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৪৭
জোবাইর বলেছেন: ব্যতিক্রমধর্মী লেখাটার জন্য রাকু হাসানকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।
দেশের প্রধান বিচারপতি থেকে ভাইস চ্যান্সেলর পদের লোকেরা পর্যন্ত যেখানে পদবী-সুযোগ-সুবিধার লোভে তোাষামুদীর নীতি গ্রহণ করে সেখানে বুদ্ধিজীবী ও সুশীল (দুই-একজন ব্যতিক্রম বাদে) সমাজ থেকে এর থেকে ভালো কী আশা করা যায়! এইতো সেদিন নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে শিশু-কিশোরদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের কেউ তো রাস্তায় নামেনি। সবাই ঘরে বসে প্রিন্টিং ও ডিজিটাল মিডিয়ায় বাণী পাঠালেন, "নিরাপদ সড়কের দাবী আদায় না করে ঘরে ফিরবে না", "তোমরাই পারবে", "এবার তোমরা ঘরে ফিরে যাও" ইত্যাদি ইত্যাদি।
এখন সব জায়গায় দলবাজি! অনেক পাবলিকও এখন সবকিছু দলবাজির দৃষ্টিতেই দেখে । শেখ মুজিবর রহমানকে কেউ 'জাতির পিতা' বা 'বঙ্গবন্ধু' বললে অনেকের চোখে সে আওয়ামী লীগের চামচা, আবার জিয়াউর রহমানকে 'বীর মুক্তিযোদ্ধা' বললে অনেকের দৃষ্টিতে সে চেতনা বিরোধী, ধর্মকে একটু অতি মাত্রায় গুরুত্ব দিয়ে কিছু বললে, সে মৌলবাদী।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:০৯
রাকু হাসান বলেছেন:
আহ কি চমৎকার মন্তব্য পেলাম আমি , ,আপনামত একজনের কাছ থেকে এমন মন্তব্য সত্যিই ভাল লাগছে । যখন নোটিফিকেশনে দেখলাম আপনি মন্তব্য করেছেন । তখন মনে মনে ভাবছিলাম কিছু পরামর্শ চাইবো মান সম্মত লেখা লেখার জন্য । মন্তব্য দেখে অনেক খুশি হয়েছি । এখন পর্যন্ত সেরা মন্তব্য । আপনার সাধুবাদ খুব যতনে গ্রহণ করলাম । । আপনি মন্তব্যে যে যে লাইন গুলো হাইলাইট করেছেন ,ঠিক সেই কারণে এই পোস্টটি লেখা । যা বলেছেন একদম সত্য বাস্তব কথা । এইসব বিষয়ে অনেক সময় সমালোচিত হই ব্যক্তিগতভাবে ,আজ জনতার কাছে । হয় আমার বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু করতে হবে ,অথবা জিয়াউর রহমান কে বীর মুক্তিযোদ্ধা বলতে হবে শুধু । কিন্ত আমার পক্ষে কারও অবদান কে অবহেলা করে দেখার সুযোগ নেই । অামার মনের ভাবনাগুলোই যেন বলেছেন ভাই।
অনেক অনেক ভালবাসা নিবেন । মন্তব্যে আন্তরিক শুভেচ্ছা নিবেন আমার । ভাল থাকবেন । ঈদের শুভেচ্ছা ও শুভরাত্রি ।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:১২
রাকু হাসান বলেছেন: মন্তব্য করে দেখি আর কয়েকটা কথা বলার বাকি ,তাই আবার বলি । পোস্ট করতে পরিশ্রম করতে হয়েছে । সময় লাগছে । আপনার েএমন মন্তব্য আমাকে উৎসাহ দিল । বড় হয়ে গেছে পোস্ট টা । চেষ্টা করেছি মান সম্মত লেখা লেখতে । আপনার পরামর্শ সব সময় মাথা পেতে নিব । েএভাবেইেউৎসাহ দিয়ে গেলে সত্যিই একদিন ভাল কিছু লিখতে পারবো
৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:৪৪
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: রুশোর 'দি কনফেস অফ রুশো' পড়েছি। পড়লেই চিন্তা ভাবনার ধার টের পাওয়া যায়। আমাদের দেশের কয়জন বুদ্ধিজীবীর সাহস আছে সেই ধরণের কনফেস করার। বুদ্ধি দিয়ে জীবিকা চালায় বলেই বুদ্ধিজীবীর এই সংজ্ঞা পাল্টে দিতে হবে। বরং বুদ্ধির সাথে সাথে সততা ও সাহস আছে যাদের তাঁরাই প্রকৃত বুদ্ধিজীবী। স্পেনের ওই যুদ্ধটাকে মুক্তিযুদ্ধ নয় গৃহযুদ্ধ বলা হয়। যে যুদ্ধ হয়েছিলো নিজ দেশের জনগণের সাথেই ফ্যাসিস্ট সরকারের। এক অর্থে এটাও জনগণের মুক্তির জন্যই যুদ্ধ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর বিদেশী নাগরিক এই যুদ্ধে জনগণকে সমর্থন দিয়েছিলো। তুমি যেমন দুজনের নাম উল্লেখ করলে তেমনি স্বক্ষেত্রে উজ্জ্বল নক্ষত্র এমন আরও বহু গুণী ব্যক্তি এই যুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়েছিলো। তাঁরা আসলে অত্যন্ত মানবিক অনুভূতি সম্পন্ন মানুষ ছিলেন। আমি আরেকজনের নাম উল্লেখ করি, বিখ্যাত আমেরিকান সাহিত্যিক জর্জ অরওয়েল যাঁর উপন্যাস থেকে পরবর্তীকালে 'এনিমেল ফার্ম' নামের মুভিটা দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো। ইউটিউবে সার্চ দিলে এনিমেশন মুভিটা পাবে। আমি এইজন্যই উল্লেখ করলাম, একটা উদাহরণ দিতে চাই উনার অভিজ্ঞতা থেকে। স্পেনের গৃহযুদ্ধে সাধারণ খেটে খাওয়া জনগণের সাথে সেদেশের বুদ্ধিজীবীরাও অংশ নিয়েছিলো যুদ্ধে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছিলো। কিন্তু জয়লাভের পর তাদের একটা বড় অংশই ক্ষমতায় গিয়ে আবার জনগণকে শোষণ করতে শুরু করে। জর্জ অরওয়েল যে দলের সূত্রে গিয়েছিলেন সে দল থেকেই বিতাড়িত হন। অর্থাৎ নিজেদের স্বার্থের জন্যই প্রথমে তারা জনগণের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলো, কিন্তু আদতে তাদের উদ্দেশ্যও সৎ ছিল না। যা নিয়ে আক্ষেপ করে পরবর্তীকালে বহু গুণীজনরাই আবার তাঁদের লেখায় লিখেছেন। তাহলে সততা এবং সঠিক বন্ধুকে চিনতে পারা ভীষণ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক বুদ্ধিজীবীরা যেমন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করেছেন তেমনি অনেক বুদ্ধিজীবীরাই ভারতে গিয়ে নিজেদের সংসার সাজিয়েছেন। বিয়ে করেছেন কেউ কেউ, এমনকি বিবাহবার্ষিকীর অনুষ্ঠানও পালন করেছেন নেতৃস্থানীয় কেউ। এদেশে ভণ্ড বুদ্ধিজীবীর সংখ্যাই বেশি। তখনো তাই ছিল, এখনো তাই। বঙ্গবন্ধু করুক আর জিয়াউর রহমান করুক এদের বড় অংশই স্বার্থপর, অসৎ।
আর্জেন্টিনার একজন কবি ছিলেন ভিগনোল। পাবলো নেরুদার বন্ধু ছিলেন তিনি। তাঁর সাথে সবসময় একটি গরু থাকতো। গরুকে নিয়ে তিনি 'গরুর সাথে সংলাপ', 'গরুর সাথে দিন যাপন' ইত্যাদি নামে একাধিক বই লিখেছেন। আমার খুব মিলিয়ে দেখার ইচ্ছা হয়, আহমেদ ছফার 'গাভী বৃত্তান্ত'র সাথে এই বইগুলোর লেখার কোন মিল আছে কিনা।
তুমি লিখেছো, সরাসরি আন্দোলনে অংশগ্রহণ, মিছিলে, স্লোগানে আকাশ ভারী করার প্রয়োজন নেই। তাঁদের জ্ঞান, মেধা, বিশ্লেষণ, বুদ্ধি ও মতামত যে কোন আন্দোলন বা সংস্কারকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করবে। একদম ঠিক বলেছো। আবার জোবাইর ভাই বলেছেন বুদ্ধিজীবীরা ঘরে বসে শুধু কাগজ পাঠায়। উনার কথাও ঠিক, কিন্তু সেটা আংশিক মানার মত। তাঁদের সশরীরে উপস্থিতির চেয়ে তাঁদের বিশ্লেষণ এবং আন্দোলনের সঠিক দিক নির্দেশনা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ প্রসঙ্গে আঁন্দ্রে মার্লোর উদাহরণটা দেয়া যায়। আন্দোলনে শারীরিক অংশগ্রহন একটি সক্ষমতার ব্যাপার। সবার সেটা থাকে না। তাছাড়া সঠিক ও সৎ বুদ্ধি সফলতার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। কাজেই সৎ বুদ্ধির ধারকদের নিরাপদে রাখা আন্দোলনের স্বার্থেই আন্দোলনকারীদের দায়িত্ব। সম্প্রতি এই ছাত্র আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার একটি অন্যতম কারণ ছিল সঠিক নেতৃত্বের অভাব।
যাইহোক, বিরাট মন্তব্য করেছি । পোস্টটি প্রিয়তে নিলাম।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৩৯
রাকু হাসান বলেছেন: প্রথমে ভাবছি তুমি অনলাইনে নাই ,তাই ব্লক বাড়িতে গেলাম । পরে আসলে । পিপীলিকার মত পিল পিল করে তোমার পোস্টে কমেন্ট করার প্রতিউত্তর দিচ্ছ । ,আশায় বুক বাঁধলাম ,বোন তো কিছূ একটা বলবে ,সেটা শুনে একটু শান্তি নিয়ে ,তা না হলে মন কুটকুট করবে ,তো তারপর ৪:৪০+ পর্যন্ত অপেক্ষা ,তারপরের টা তুমি জান ।
এটা কমেন্ট নাকি কমেন্ট ভিত্তিক পোস্ট ।বাহ ,বলছিলে খুশি করে দিবে ,যদি সুযোগ পাও ,প্রথম সুযোগেই ! সত্যি মন্তব্যে বেশ কিছূর ব্যাপারে নতুন জানলাম আমি । সুন্দর বলেছো বুদ্ধির সাথে সততা ও সাহস আছে তারাই প্রকৃত বুদ্ধিজীবী কে দুঃখজনক এঁদের খুঁজে বের করতে মনে হয় গুগল করতে হবে । সংখ্যাটা খুব কম । আর স্পেনের গৃহযুদ্ধ নিয়ে দারুণ বললে । হ্যা তোমার সাথে আমি শতভাগ েএকমত গৃহযুদ্ধ বলা চলে । এবং সেটাই গৃহযুদ্ধ বলেই পরিচিত । আমি আসলে একটি বইয়ে মুক্তির যুদ্ধ বলে উল্লেখ করেছে সে হিসাবে দিয়েছিলাম । এডিট করে দিচ্ছি । গৃহযুদ্ধ বলাটা বেশ ভাল হবে । ঠিক বলেছো সে গৃহযুদ্ধে শতশত এমন বুদ্ধিজীবীরা অংশগ্রহণ করেছিল । তবে যার নাম বললে সে যে এ গৃহযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল তা জানতাম না । তবে সকবির কিছূ কবিতা পড়েছি ,একজন বিখ্যাত কবি । তাঁর এনিমেল ফার্ম দেখা হয়নি । অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা বলার জন্য ।
বঙ্গবন্ধু করুক আর জিয়াউর রহমান করুক এদের বড় অংশই স্বার্থপর, অসৎ। -খুব ভাল লাগছে । স্বাধীনতাকামী দলটি তাঁর আদর্শ থেকে সরে আসছে দিন দিন । এখন সেই একাত্তরের আদর্শ নেই । থাকলেও সেটা অতি সামন্য । মুজিবের আদর্শ বিক্রি করে চলা হচ্ছে কিন্তু বাস্তবে অবস্থা খুব হতাশা জনক । আর জিয়া কিভাবে ক্ষমতায় আসলো আমরা জানি ।তারপর তাঁর দলের ইতিহাস ,কর্মকাণ্ড সবই জানি অামরা । এসব বিবেচনায় বিনা ভাবনায় । এদের স্বার্থপর বলা যায়। দুজনের মাঝে আমরা মন্দের ভাল খুঁজি । কিন্তু এটা কোন দীর্ঘমেয়াদী সমাধান হতে পারে না । সুন্দর বলেছে । খুব ভাল লাগছে ।
তুমি দুনিয়ার সব কবির নাম জানো ,নিশ্চয় তাদের বই পড়া শেষ । এ কবির নাম ই জানতাম । ‘গাভী বৃত্তান্ত' পড়ার কথা বলেছে । আমি জীবনে দুইটা বই খুব চেষ্টা করেও শেষ করতে পারি নাই । সেটাগুলোর মধ্যে ‘গাভী বৃত্তান্ত' একটা । সে কবির ব্যাপারে যা বললে ,সে থেকে বলতে পারি ,এই গাভী বৃত্তান্ত' এর সাথে ঐ কবির লেখার সাথে মিল পাবে না । আমার কাছে সময় নষ্ট হওয়া লাগছে । ছফা সাহেবের অনেক গুলো ভাল লেখার মধ্যে বাজে একটি লেখা গাভী বৃত্তান্ত' -ব্যক্তিগতভাবে সেটা মনে করি । যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হও কোন দিন । ,বা শিক্ষকতা করো তাহলে পড়ে ফেলো । বইটিতে মূলত বিশ্ব বিদ্যালয়ের রাজনীতি,দ্বন্দ,কোন্দল,আর আবু জুনায়েদ অধ্যাপক সাহেবের গাভী পালনের শখ । এই সব ই মূল কাহিনী । কেউ যদি বিশ্ব বিদ্যালয়ের রাজনীতির ব্যাপারে জানতে চাই তাহলে বইটি ,বেস্ট । তবু দেখ ,পড়েও দেখতে পারো । তবে আমি এ বই থেকে তেমন কিছু পাই । পড়ার সময় ডাইরি নিয়ে বসছিলাম গুরুত্বপূর্ণ লাইন লিখতে ,আমি এক পাতার অর্ধেক পৃষ্ঠাও লিখতে পারেনি ।
সম্প্রতি এই ছাত্র আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার একটি অন্যতম কারণ ছিল সঠিক নেতৃত্বের অভাব। হুম হক কথা বলেছো ।
তুমি তো চাইলেই সুন্দর সুন্দর কমেন্ট করে খুশি করে দিতে পারো ,নতুন কিছু জানালে ,আমার চেয়ে তুমি এ টপিক টা নিয়ে লিখলে খুব ভাল লিখতে পারতে । কষ্ট করে মন্তব্য করছো,প্রতি উত্তর ও মনে হয় বড় যাচ্ছে । শেষে প্রিয়তে নিয়ে তো একটা চমক পেলাম । খুশিতে নাচতে মন চাচ্ছে । এত খাতিরের বোন যখন প্রিয়তে নেয় ,ভাইয়ের তখন তো একটু আনন্দ করলে দোষ নেই ।
অনেক বেশি ভাল থেকো । মন্তব্য করেছো পরিশ্রম হয়েছে ,পড়েছো তাও ,এক গ্লাস ঠান্ডা পানি খেয়ে নাও । হাসিখুশি ভাল থাক ।ভালবাসা থাকলো বোন অামার ।
৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:০৯
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আমাদের বুদ্ধিজীবীরা সরকারের পা চাটা গুলাম।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪০
রাকু হাসান বলেছেন:
এটাই দেখতে পাচ্ছি । বদলানো দরকার । রাহমান ভাই ! যাদের আমরা শ্রদ্ধা করি ,মানি , স্যার স্যার কি ,তাদের কাছ থেকে এতটুক আশা করা কি অন্যায় !! আমরা খুব বেশি আশা করে ফেলেছি !!
অনেক ধন্যবাদ । মন্তব্যে শুভেচ্ছা থাকবে । ভাল থাকবেন ।
১০| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:২০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার কপালটা খারাপ, গতকাল একবার কমেন্ট লিখলাম মনের মতকরে নেট সংযোগ না থাকায় পাঠাতে পারলাম না। এখন আবার লিখলাম। জমা করতে গিয়ে দেখালো লগ ইন করা হয়নি। আসলে তোমার পোষ্টে দুবারই অনেকটা বড় কমেন্ট লিখেছিলাম। মুড অফ আর কিছু লিখবো না।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪২
রাকু হাসান বলেছেন:
শুনে আমার খুব খারাপ লাগছে ভাইয়া । আসি একটা সুন্দর কমেন্ট থেকে বঞ্চিত হলাম ,আমার কপাল ও খারাপ । এ রকম আমার হয় মাঝে মাঝে ,সত্যি পরে কমেন্ট করার ইচ্ছা আর থাকে না । খুব খারাপ লাগা কাজ করে । তাই এখন থেকে কোন কমেন্ট লেখার পর সেটা কে সাথে সাথে কপি করে তারপর মন্তব্য করুন অংশে ক্লিক করি । অনেক সময় পেইজ লোড হয় না ঠিক মত ।
ভাইয়া দুইবার চেষ্টা কোন অংশে কম না । আর ছোট ভাইয়ের প্রতি বড় ভাইয়ের কমেন্ট টা কি রকম ভাল এবং গঠন মূলক হতে পারে ,সেটা আগেকার কমেন্ট দেখে বুঝে নিলাম ,সেটাও খুব ভাল লাগেছে ভাইয়া ।
প্রিয়জনদের নিয়ে সব সময় হাসিখুশি ভাল থেকো ,সে প্রত্যাশা । শুভকামনা নাও ।
১১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:২৪
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
দারুন ভাল লাগার একটি পোস্ট; খুব ভাল লেখেছেন। মুগ্ধ হয়ে পড়লাম।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫
রাকু হাসান বলেছেন:
আহ ,কি সুন্দর চা টা চেয়ে আছে অামার দিকে । হুম খেয়ে নিলাম কয়েক টানে ই । । এখন আরেকটু রিলাক্স হতে পারবো । ভাইয়া তো দারুণ চা বানাতে পারেন ,লোভ পেযে বসলো কিন্তু ।চা এর সাথে প্লাস ,খুব খুব খুশি হলাম শুনে । মুগ্ধ হয়ে পড়েছেন । জেনে আনন্দ;লাগছে ।
চা টা তো চমৎকার ছিল । ভাল থাকুন ভাই । সুস্থ থাকুন ।
মন্তব্যে শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা ।
১২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭
রাকু হাসান বলেছেন:
এত বড় একটা পোস্ট পড়ে জানার জন্য অনেক ধন্যবাদ । আপনাদের মত ব্লগারা যখন চমৎকার ,ভাল বলে স্বীকৃতি দেয় তখন খুব ভাল লাগে । কষ্ট স্বার্থক মনে হয় ,ভাল লিখতে েইচ্ছা হয় । ভাল থাকুন শ্রদ্ধেয় রাজীব ভাই ।
১৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২১
পদ্মপুকুর বলেছেন: রাকু হাসান,
আমাকে গুণী ব্লগার বলেছেন, ধন্যবাদ। যদিও আদতে আমি তা নই, খুবই সাধারণ।
ওই কবিতাটা প্রথম পড়েছিলাম বিবিসির সাবেক সাংবাদিক সিরাজুর রহমান এর একটা প্রবন্ধ সংকলনে। বছর ছয়েক আগে। এখন হাতের কাছেই সব জ্ঞান। ক্লিক করলেই পাওয়া যায়।
অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক এবং আহমদ ছফা, দু'জনেই আমার খুবই পছন্দের মানুষ। বিশেষ করে আহমদ ছফার সাক্ষাৎকারগুলো অনবদ্য। কোনো ভনিতা নেই। 'আহমদ ছফা বললেন...' নামে উনার একটা সাক্ষাতকার সমগ্র আছে, 'যদ্যাপি আমার গুরু'র সাথে সাথে ওইটাও আমার খুবই পছন্দের বই।
এ সব কারণে এবং আহমদ ছফার সাথে কিঞ্চিত ব্যক্তিগত সংশ্লেষের কারণে আপনার বক্তব্যে আহমদ ছফার অন্তর্ভূক্তিকরণ মেনে নিতে পারছি না। অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাককেতো এই ব্রাকেটবন্দী করার প্রশ্নই আসে না। ওই একই বই (যদ্যাপি...) যদি আবারো পড়েন, দেখবেন, ওখানে রাজ্জাক স্যারকে বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। (এইটা কোনো রাজনৈতিক স্বপ্ন না)। হ্যাঁ, উনি মুসলিম লীগের সমর্থক ছিলেন। তো এখন বলুনতো, ভারত ভাগের প্রেক্ষাপটে এই অঞ্চলের কোন মুসলীম ব্যক্তি তখন মুসলীম লীগের সমর্থক ছিলেন না?
তখনকার অন্যসব বুদ্ধিজীবিদের মত অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকও এত বেশি প্রভাবশালী ছিলেন, নিজের মত ও জ্ঞানের প্রতি এত বেশি আস্থাশীল ছিলেন যে হ্যারল্ড লাস্কি কেনো, উনার সামনে ম্যাকিয়াভেলি আসলেও উনি উনার মতকেই ডিফেন্ড করতেন বলেই আমার মনে হয়।
@ চঞ্চল হরিণী
গরুর সাথে সংলাপ পড়িনি, ইনফ্যাক্ট ভিগনোলার নামই আজ শুনলাম। কিন্তু গাভীবৃত্তান্ত পড়েছি, এটা মনে হয় মৌলিক। একেবারেই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশীয় সংস্কৃতি নিয়ে লেখা।
@ পদাতিক চৌধুরী
আপনার মন্তব্য মিস করলাম!
ভালো থাকবেন। ইদানিং ব্লগে একাডেমিক আলোচনা কম হয়, আপনাদের দেখলে ভালো লাগে যে সেই ধারাটা লুপ্ত হয়ে যায়নি।
শুভ ব্লগিং এবং ঈদ মোবারাক।
চ
১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৫
রাকু হাসান বলেছেন:
শ্রদ্ধেয় পদ্ম পুকুর আপনার মন্তব্যে কে সাধুবাদ জানাই । গঠনমূলক মন্তব্য আমার সব সময় ভাল লাগে । আহমেদ ছফা সাহেবের সকল বই আমার খুব ভাল লাগ ।ে আামার ও পছন্দের একজন । উনার বেশ কিছু বই পড়ে বস্তুনিষ্ঠ সত্য জানতে পেরেছি । সেটার জন্য হাজারো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি সব সময় । আমার ও পছন্দের একজন । এমন লেখক বাংলাদেশে একজন ও নেই,তাঁর নিজ জায়গায় । আব্দুর রাজ্জাক স্যারের ব্যাপারে যা বললেন ,আমিও আপনার মত পোষণ করি । রাজ্জাক স্যারের কাছ থেকে আমরা অনেক কিছু পেতে পারতাম । রাজ্জাক স্যারের মত বুদ্ধিজীবীরা যদি বাংলাদেশের সংগ্রামী সময়ে এগিয়ে আসতেন । তাহলে আমাদের অনেক ভাল হত ,কিন্তু আসেননি ,সেটা দুঃখজনক । সে জায়গা থেকেই আমার একটু ব্যক্তিগত খারাপ লাগা । ছফা সাহেবের পালিয়ে যাওয়া টা ও আমার ভাল লাগেনি । হ্যা ,তিনি যদি শহীদ হতেন তাহলে আমরা এত সুন্দর সুন্দর বই উপহার পেতাম না । আমি ছফা সাহেবরে এই বিষয়টা ভাল লাগেনি । আরেকটি খারাপ লাগা আছে উনার প্রতি অবশ্য । তবে তাঁর যথেষ্ট সম্মান প্রদর্শন করতে কাপন্য ও হয় না ,আমার । আমার একজন অন্যতম প্রিয় লেখক । রাজ্জাক স্যার কে বাংলাদেশের স্বপ্ন দ্রষ্টা বলেছেন ;তবে আমার কাছে বিষয় টা কেমন জানি লাগলো ,একই সাথে বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা আবার কট্টর মুসলিম লীগ ,বোধহয় দুটি বিষয় একসাথে যায় না । তবে আমি শ্রদ্ধাশীল এবং ছফা সাহেবের বক্তব্য কে উড়িয়ে দিচ্ছি না । মুসলিক লীগ তখন তো অনেকেই করতো ,এটাই যেহেতু প্রধান দল ,আওয়ামী লীগ তো অনেক পরে ,আসলো জানেন ই । তবে ব্যক্তিগতভাবে তিনি ধর্মভিরু ছিলেন । সেই জন্যই মুসলিম লীগের প্রতি টান । আমাকে অবাক করছে আইয়ূব সরকার এত বির্তকীত কাজ করেছে তবু সমর্থন দিয়ে গেছেন । তিনি তো ২৫ মার্চ কি হয়েছে দেখেছেন ,রাজারবাগে কি নারকীয় হত্যা কান্ড হয়েছে ,ইত্যাদি দেখেছেন বা উপলব্দি করার কথা । তারপরেও শ্রদ্ধেয় রাজ্জাক স্যারের অবস্থান আমাকে মর্মাহত করেছে ।
উনার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার মত ,বিন্দু মাত্র সাহস আমার নেই । লাস্কি সাহেবের প্রতি উত্তর টা ছিল ,খুব সাহসী, এতে থেকে বুঝাযায় তিনি কতটুক মুসলিক লীগ কে পছন্দ করতেন । আপনি যথার্থ বলেছেন -ম্যাকিয়াভেলি আসলেও উনি উনার মতকেই ডিফেন্ড করতেন বলেই আমার মনে হয়’’
কেননা সে সাহস । লাস্কি সাহেবের সামনে িএমন কড়া উত্তর প্রদানে বাঙালির মধ্যে তিনিই প্রথম হবেন ।
আমার জাস্ট দু’জনের এ অবস্থান টুকু খারাপ লাগছে ,সেটাই একটু লিখলাম। বাকি সকল দি ক অসম্ভব রকমের ভাল লাগে । অনেক শ্রদ্ধা করি উনাদের ।
আমার এমন ,মন্তব্য পেয়ে ভাল লাগা ,কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ।
১৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২৬
লায়নহার্ট বলেছেন: {পদ্ম পুকুর সঠিক কথা বলেছেন। পৃথিবীতে সবার চিন্তা চেতনা একরকম হবে না এটাই স্বাভাবিক, আমাদের খারাপ লাগতে পারে বা আমরা সমালোচনা করতে পারি আমাদের অবস্থানে থেকে। কিন্তু গিয়ে দেখুন তাঁদের দৃষ্টিকোণ থেকে তারা সঠিক কাজটি করেছেন! লেখায় ভালোলাগা রেখে গেলাম}
১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫
রাকু হাসান বলেছেন: পৃথিবীতে সকল মানুষ যেমন একেক রকম তেমনি চিন্তা চেতনা সব কিছু অন্য রকম । মিলবে না স্বাভাবিক । কেউ স্বরণীয় হয় কেউ বা বরণীয় ,পৃথিবীর নিয়ম িই এটা । আপনার ভাল লাগা সাদরে গ্রহণ করলাাম ।
ভাল থাকবেব । মন্তব্যে শুভেচ্ছা ।
১৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪২
নীলপরি বলেছেন: তথ্য সমৃদ্ধ লেখা ভালো লাগলো । কিছু কথা জানলাম । ++
২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৩৩
রাকু হাসান বলেছেন: কবি আপু , এই ভাল লাাগা গুলো যেন আলতো করে কুঁড়িয়ে নিই,আামার ঝুড়িতে । প্লাস পেয়ে আনন্দ পাচ্ছি ।
ভাল থাকবেন আপু ,মন্তব্যে শুভেচ্ছা রইল আমার ।
১৬| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৭
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: দারুন বুদ্ধি করে একটা পোষ্ট দিয়েছেন। এরপর সামু কেন্দ্রীক একটা বুদ্ধিজীবি শ্রেনী গড়ে উঠলে ভাল হয়।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪১
রাকু হাসান বলেছেন:
বাহ,কি চমৎকার বলেছেন ,সনেট কবি সাহেব ।
দারুন বুদ্ধি করে একটা পোষ্ট দিয়েছেন। এরপর সামু কেন্দ্রীক একটা বুদ্ধিজীবি শ্রেনী গড়ে উঠলে ভাল হয়।
আমার এই পোস্টের মূল উদ্দেশ্য এটাই ছিল । একটু অতীত টেনে ,বর্তমানের আলোকে কিছু একটা বলা । যাতে করে আমরা সচেতন হই । অবশ্যই সামু একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে ।
আপনার এই নিকের একটি কমেন্ট দেখেছিলাম ,একটা পোস্টে ,তখন ভেবেছিলাম নিক টি মনে হয় সচল নেই । এখন দেখছি সচল ,তা ভাল লাগছে ।
অনেক বেশি ভাল থাকুন,সুস্থ থাকুন ।
১৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫৩
স্রাঞ্জি সে বলেছেন: অনেকদিন পর কেমন আছেন???
২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:০৪
রাকু হাসান বলেছেন:
খুব খুব ভাল লাগলো , ,হুম ভাল আছি সব মিলিয়ে,স্রষ্টার কাছে কৃতজ্ঞতা ।হুম আপনি কেমন আছেন? ছুটি ভাল কেমন কাটলো । বেশ কয়েকদিন ছিলাম না ,সবাই কে মিস করেছি
১৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৩
মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: কেমন আছেন হাসান ভাই? অনেকদিন পরে আপনার দেখা মিললো! ঈদ কেমন কাটলো?
২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০৩
রাকু হাসান বলেছেন:
খুব ভাল ভাই ,আপনাদের দোয়া ,আল্লাহর রহমতে । হুম বেশ কয়েকদিন বিরত ছিলাম । এখন থেকে নিয়মিত থাকবো ইনশাআল্লাহ্ । নিশ্চয় আপনারও ভাল কাটছে !! আছেন তো ভাল !! মিস করেছি আপনাদের ভাই !
১৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৫
চাঙ্কু বলেছেন: বাংলাদেশে অধিকাংশ হল রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবি।
শেষের কবিতাটা খুব ভাল্লাগছে।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০০
রাকু হাসান বলেছেন: হুম যথার্থ বলেছেন । একমত । কবিতাটি ভাল লাগার মত ,আমার খুব ভাল লাগছে ।
শুভেচ্ছা নিবেন,শুভকামনা সব সময় ও শুভরাত্রি । আপনার পোস্ট পায় না বেশ ক দিন ।
২০| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১৪
চাঙ্কু বলেছেন: আমি ৬ বছর পরে পোষ্ট দিলাম মাত্র। পরের পোষ্ট দিতে মনে হয় অন্তত ৬ মাস লাগবে।
আছ কিরাম?
২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৪৫
রাকু হাসান বলেছেন:
হুম আছি ভালা,বিন্দাস। ইহা কি শুনিলাম ,মাথার উপ্রে দিয়া গেল
ব্যস্ততা কাটিয়ে নতুন পোস্ট পাই যেন ,সে প্রত্যাশা ।
২১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫
এ.এস বাশার বলেছেন:
বাহঃ পোষ্টটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। কোন দিন এধরনের বই ছুয়েও দেখিনি। সত্যি জানার আগ্রহ বেড়ে গেল। জ্ঞান পিপাসা অন্য রকম জিনিস যাকে একবার পাই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পিপাসা রয়েই যায়।
৮ নং ও ১৩ নং মন্তব্য ও প্রতিত্তর আমার পিপাসাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
পোষ্টটি অনেক পরে পড়ার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রককাশ করছি......
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন .....
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯
রাকু হাসান বলেছেন: বাশার ভাই ভালবাসা নিবেন । এতবড় একটা লেখা পড়েছেন ,তারপর সুন্দর মন্তব্য করেছেন ,আমাকে খুশি করে দিলেন । এ পর্যন্ত আমার সবচেয়ে পরিশ্রমী পোস্ট এটি । দিয়ে দেখলাম কেমন পাঠ হয় । যতটুক হয়েছে এবং জ্ঞানী গুণিরা মন্তব্য করেছেন ,সেটা আমার জন্য অনেক । আপনার জানার আগ্রহ আরও বেড়ে যাওয়ায় শুভেচ্ছা ,আপনি সুন্দর একটি কথা বলেছেন ‘‘জ্ঞান পিপাসা অন্য রকম জিনিস যাকে একবার পাই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পিপাসা রয়েই যায়।। এই কথার সাথে আমি শতভাগ একমত । মন্তব্যের কথা বলেছেন ,৮নং,১৩নং মন্তব্য দুটির কথা ,এই পোস্টে সেরা মন্তব্য বলা যায় । উনাদের এমন মন্তব্যে আমি অনকে খুশি হয়েছি । আপনার ধৈর্য এর প্রশংসা করতেই হয় ,এত বড় পোস্ট পড়েছেন তারপর এ রকম আরেক টি পোস্ট সমান দুটি মন্তব্য ও প্রতি উত্তর মন দিয়ে পড়ছেন । বাহ ! একজন জ্ঞান পিপাসু বা নিরেট পাঠক না হলে পড়া সম্ভব না । আপনি কে তাই মনে হলো ।
আমার বিশ্বাস আপনি ব্যস্ত না থাকলে আরও আগে পড়তেন । এবং সুন্দর প্রেরণাদায়ী মন্তব্যটি আগেই রেখে যেতেন । আলহামদুলিল্লাহ্ ভাল আছি ,সুস্থ আছি আপনাদের দোয়ায় ,আশা করছি আপনিও ভাল আছেন ,শান্তিতে আছেন । অনেক বেশি ভাল থাকুন সে কামনা করি ।
২২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাকু হাসান ,
খুব প্রাজ্ঞ এক লেখা ।
চাঙ্কু বলেছেন " বাংলাদেশে অধিকাংশ হল রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবি ।" আমার মনে হয় বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটাই ঠিক ।
যে সময়ের কথা বলেছেন , সে সময়ে সত্যিকারের বুদ্ধিজীবি ছিলেন আঙুলে গোনা । মুক্তিযুদ্ধে এদের অবদান তেমন উল্লেখ করার মতো নয় । করলেও তার ইতিহাস কোথাও লিপিবদ্ধ নেই । বাকীরা যারা সীমিত সামর্থ্য নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছেন তারা মনে হয় কেউই সেসময়ের বুদ্ধিজীবি ছিলেন না । তারা এসেছিলেন সাধারণ মানুষের স্তর থেকে , সমাজে তাদের কিছু না কিছু পরিচিতি নিয়ে । আর সরাসরি বন্দুক নিয়ে মাঠে নামলেই মাত্র মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা হয়েছে এমন সরলীকরণ মনে হয় ঠিক নয় । এর বাইরেও মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার অনেক বিষয়ই আছে ।
যাই হোক , আপনার আক্ষেপ ফেলনা নয় । জাতীয় ক্রান্তিকালে বুদ্ধিজীবিদের যে ধরনের ভূমিকা রাখার কথা তার ঘাটতি যথেষ্ঠ বলেই আপনার এমন আক্ষেপ । এটা হয়েছে সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের কোনও দায়বদ্ধতা না থাকার মানসিকতার কারনে ।
আমরা চেতনার ফেরি করি তখনই, যখনই রাজনৈতিক ফয়দা লোটার সুযোগ তৈরী হয় ।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯
রাকু হাসান বলেছেন:
শ্রদ্ধেয় আহমেদ জী এস স্যার ,
প্রথমে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি লেখাটি পড়ার জন্য সেই সাথে খুব গঠনমূলক মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য । আপনার প্রত্যেক পোস্টে প্রত্যেকটি মন্তব্য আমার খুব ভালোলাগে যেন স্ব মহিমায় উজ্জল । অনেক ব্যতিক্রম । এই বিষয় টা আমাকে শেখায় অনেক কিছু । কতটা শিখতে পারবো সেটা সময় বলে দিবে । তবে আমার আমৃত্যু চেষ্টা থাকবে ।
চাঙ্কু সাহেব ভালো বলেছেন । সব কিছুর পরও তো তাদের একটা দ্বায় বন্ধতা থাকে .আপনার মতামতের প্রতি আমি বিনয়ের সহিত শ্রদ্ধাপোষণ করছি ।
যে সময়ের কথা বলেছেন , সে সময়ে সত্যিকারের বুদ্ধিজীবি ছিলেন আঙুলে গোনা । মুক্তিযুদ্ধে এদের অবদান তেমন উল্লেখ করার মতো নয় । করলেও তার ইতিহাস কোথাও লিপিবদ্ধ নেই ।
গঠনমূলক বলেছেন । অাঙুলে গোনা তো অবশ্যই । যেহেতু সে সময়টাতে অবদান রাখা বেশ কিছু বুদ্ধিজীবীদের নাম আমরা জানি এবং ইতিহাস মনে রেখেছে সেহেতু তাদের নামও মনে রাখতো ইতিহাস ,আমরা পড়তে পারতাম । আর এটাও যৌক্তিক বলেছেন যে সবার টা লিপিবন্ধ নেই । আংশিক আংশিক আমরা পেয়েছি ।
আমার প্রথম আক্ষেপ তাঁরা ইচ্ছাকৃত ভাবে প্রাণের ভয়ে মুক্তিযুদ্ধ থেকে বিরত থেকেছে । ধরলাম একজন বুদ্ধিজীবী হিসাবে অন্য সব ক্ষেত্রে অবদান টা জুরুরি । আর একজন বুদ্ধিজীবী সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করে অন্যসব ক্ষেত্রে তাঁর জ্ঞান দিয়ে অবদান রাখাটা কোনো অংশেই কম হবে না । সেটা দরকার ছিলো কিন্তু আশানুরুপ পাইনি । বরং বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আমাকে /আমাদের খুব ব্যয়িত করেছে । বা ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ এমন ভূমিকা পালন করেছে । আপনার সাথে শতভাগ একমত যে ‘ মুক্তিযোদ্ধে সরাসরি অংশ গ্রহণ করা ছাড়াও অবদান রাখার জায়গা ছিলো । কিন্তু সে সব জায়গায় তারা অনেক্ষা কাপরুষতার পরিচয় দেওয়াতে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছি না । তবে সবাই না কেউ কেউ তো জীবন পর্যন্ত দিয়ে দিলো ।
আমার আক্ষেপ টা আপনি ঠিক ধরতে পেরেছেন । সেই সাথে কারণও জানিয়েছেন । যা একদম যথার্থ কারণ বলে আমারও মনে হয় । জাতীয় ক্রান্তিকালে আমরা তাদের কাছ থেকে একটু আশা রাখতেই পারি । ৎ
চেতনার ফেরি ব্যাপারে একটি অপ্রিয় বাস্তবতার কথা বলেছেন । বর্তমানের বিচারে এটাই হচ্ছে ব্যাপকহারে । সেই আলতা ফ মাহদুম,জহির রায়হানের মত বুদ্ধিজীবীদের অবদান আমরা ভুলতে পারবো না । তখনও রাজনীতির ফয়দা লোটার যথেষ্ট সুযোগ ছিলো কিন্তু তাঁরা সে সুযোগের তোয়াক্কা করেনি । দেশপ্রেম ও তাঁদের আত্ম ত্যাগ আমাদের গর্বিত করে । মূল বিষয়টা আমার মনে হয় ,তাঁদের মানসিকতা । যা আপনি একটু আগেই বলেছেন ।
অনেক কৃতজ্ঞতা । পড়ে এমন মন্তব্য রাখায় খুব খুশি হয়েছি । এই লেখাটি আমার পরিশ্রমী একটি লেখা । তাই যতপড়া হয় এবং গঠনমূলক মন্তব্য করা হয় তত খুশি হই । আর আপনার মন্তব্য তো খুব খুব গঠনমূলক । সত্যি খুব ভালো লাগছে । অনেক বেশি ভালো থাকুন । শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ।
২৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:০৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: কোন জাতির বুদ্ধিজীবী লোকেরা যদি নিজেদের স্বার্থ নিয়ে রাজনৈতিক পদলেহনে ব্যস্ত থাকে তবে সে জাতির তেমন কোন আশা থাকেনা।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪
রাকু হাসান বলেছেন:
সুন্দর মন্তব্য করেছেন । মাইদুল সরকার ভাইয়া ।
আমরা তাঁদের নিয়ে বেশি । ভালো কিছুর প্রত্যাশ সদা থাকে । যখন এমন হয় খরাপর লাগে ।
দেরিতে উত্তর দেওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করছি ভাই । পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা । ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা ।
২৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৮
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ভালো পোস্ট
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৬
রাকু হাসান বলেছেন:
আপনি খুব ফাস্ট রিডার । ধন্যবাদ
২৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৪
মুজিব রহমান বলেছেন: বুদ্ধিজীবীদের প্রতি এমনিতেই আশাহত। পোস্টটি পড়ে আরো বেদনা জাগলো।
২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫২
রাকু হাসান বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ আমন্ত্রণ গ্রহণ করার জন্য। এখনও তেল সেবন করা বুদ্ধিজীবীদের অভাব নেই।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: সত্যি বলতে কি বাংলাদেশে আসলে কোন বুদ্ধিজীবি শ্রেনী নেই। অসততা, অনৈতিকতা, দুর্বত্তায়নের রাজনীতি করে এদেশে উপড়ের সারির পদ বাগাতে হয়। তাই বড় বড় পদে যাদের আমরা বসে থাকতে দেখি তারা আদতে একেকটা বিড়াট ক্রিমিনাল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, সচিব, বিখ্যাত কবি সাহিত্যিকদের মুখ থেকে তাই ক্রিমিনালের মত কথাবার্তাই শুনেই বেশি অভ্যস্ত আমরা।