নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চোখ বন্ধ করে দেখতে চেষ্টা করা...

রাশীদ জামীল

রাশীদ জামীল › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনের বিপরীত যদি মরণ হয়, তাহলে আজীবন ও আমরণের মাঝে পার্থক্য কী??

২১ শে নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:০৫

জীবন মানে যদি হয় মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বেঁচে থাকা, তাহলে মরণ মানে হচ্ছে জীবনের যবনিকা।

এর মানে জীবনের বিপরীত শব্দ হচ্ছে মরণ। কিন্তু খটকায় পড়ে যাই তখন, যখন দেখি আজীবন ও আমরণ শব্দ দু'টি পাশাপাশি হাটছে হাত ধরা ধরি করে! ভাবি কেমন করে সম্ভব হলো? কারো কাছে ব্যাখ্যা আছে ?কেউ কি একটু জানাবেন?



ভালো কথা,

আমরা একটি ব্যাপারে সব সময় যে ভুল কথা বলি সেটা কি আমরা জানি?

আমরা যে কারো বেলায় বলি, বয়স বাড়ছে।

আসলেই কি তাই?

বয়স কি বাড়ে?

একটি শিশুর জন্মের আগেই নির্দিষ্ট হয়ে যায় সে কতদিন বাঁচবে। মনে করা যাক, সে ৮০ বছরের আয়ূ নিয়ে পৃথিবীতে এসেছে। এখন তার বয়স ৫ বছর থেকে ৭ বছর হওয়া মানে ৫ এর সাথে আর ২ বছর বেড়ে সাত বছর হওয়া নয়, যেমনটি আমরা বলে থাকি, বরং তার নির্দিষ্ট ৮০ থেকে আরো ২ বছর কমে যাওয়া।

তাহলে মানে দাঁড়ালো, বয়স আসলে বাড়ে না, বয়স কমে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৭

কিছুক্ষণ বলেছেন: আজীবণ = সারা জীবণ, যত দিন জীবণ থাকে!

আমরণ = মরণ পর্যন্ত, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।

বয়স সমসময় বাড়ে। কারণ এটার গণনা শুরু হয় ০ থেকে শেষ হয় নির্দিষ্ট একটা সংখ্যায় গিয়ে।আয়ু কমে। এটা শুরু হয় শেষ থেকে। কারণ আয়ু বলতে একটা নির্দিষ্ট সংখ্যাকে বোঝায়। সেখান থেকে সেটা শুন্যতে এসে থেমে যায়। শুণ্য থেকে এটা শুরু হয় না...

আয়ু আর বয়স একই না।

আপনি যেভাবে ভাবতেছেন ভাষা এভাবে সৃষ্টি হয়নি। তাহলে তো.... ঘড়ি উলটা দিকে ঘুরত। দশটার পরে এগারটা না বেজে, নয়টা বাজত। সবসময় শেষ থেকেই গণনা শুরু হত১

২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ৮:০৫

রাশীদ জামীল বলেছেন: আয়ূ এবং বয়সের ব্যাখ্যাটা সুন্দর দিয়েছেন। আমার পছন্দ হয়েছে। ধন্যবাদ।

কিন্তু আজীবন আর আমরণের ব্যাখ্যাটা যুতসই হয় নি। সারা জীবন মানেই তো মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।
গঠনমূলক মন্তব্যার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।

৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:১০

কিছুক্ষণ বলেছেন: আজীবণ = সারা জীবণ, যত দিন জীবণ থাকে!

আমরণ = মরণ পর্যন্ত, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।

এ ২টা বাংলা এক কথায়প্রকাশ।

২১ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৫১

রাশীদ জামীল বলেছেন: তাতো ঠিকই আছে। এ দু'টা এক কথায় প্রকাশ। কিন্তু আমি স্পেসিফিকলি জানতে চাছি বিপরীতধর্মী দু;টি শব্দের একই অর্থ হবে কেনো?

৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৪২

মৈত্রী বলেছেন:
আমি আজীবন রক্তদাতা, যতদিন বেঁচে আছি, ততদিন প্রতি ৪ মাস অন্তর অন্তর নিয়মিত রক্ত দেব।

আমি আমরণ রক্তদাতা, শরীরের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত দান করব; আর সেটাই হবে জীবনের প্রথম ও শেষ রক্তদান!! :-*

২১ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৫৪

রাশীদ জামীল বলেছেন:
কথা কি একই হয়ে গেলো না?

৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:২৫

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: তার মানে জীবনের বিপরীত শব্দ হচ্ছে মরণ

আমার মনে হয়, এই সিদ্ধান্তটাই কনফিউজড করে দিচ্ছে।

মরণ যদি শেষ স্টেশন হয় তবে তার বিপরীত হলো শুরুর স্টেশন অর্থাৎ জন্ম গ্রহণ। আর জীবনের সঙ্গে মরণের কনট্রাস্ট থাকলেও জীবন মূলত রেললাইন। আর সেই লাইনটা মরনের প্লাটফর্মে মিশে যায়।

আমরণ এর বিপরীত হলে আজন্ম। আজীবন বলতে জীবন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত বোঝানো হয়। সুতরাং আজন্ম আর আজীবন দুটো বিপরীতার্থক এক অর্থে।

অতএব আজীবনের আর আমরণ আক্ষরিক অর্থে এক থাকায় সমস্যা দেখছি না। দ্বন্দ্ব নেই। যেমন যাত্রীরা যতক্ষণ ট্রেন চলবে সীটে বসে থাকবে - আর স্টেশনে পৌছার আগ পর্যন্ত সীটে বসে থাকবে প্রায় একই।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ২:১২

রাশীদ জামীল বলেছেন: কী জানি ভাই। গোলমেলে লাগছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.