নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ডায়েরি

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি

আত্মকেন্দ্রিক, একা থাকতে খুব ভালো লাগে এবং একাকীত্ব আমি দারুণ ভালবাসি এবং উপভোগ করি ।

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার প্রেম করার ব্যার্থ চেষ্টা আর আমার ভেঙে যাওয়া প্রেম।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৫৩

ক্লাস ফোরে যখন শাহিন স্কুলে পড়ি তখন একটা মেয়েকে খুব পছন্দ করতাম। মেয়েটা আর আমি সেম ক্লাসে পড়তাম কিন্তু আমাদের সেকশন ভিন্ন ছিল। টিফিন টাইমে যখন প্রতিদিন খেলাধুলা হতো তখন আমার অনেক বন্ধুবান্ধব মেয়েদের সাথে বউচি খেলতে যেত। আমিও যেতাম কিন্তু কি এক অদৃশ্য কারনে মেয়েটা আমাকে কোনদিন খেলায় নিতো না। যাহোক তার পরেও মেয়েটাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতাম এবং ভালোবাসতাম। ছোটবেলার স্বপ্ন আর কি হতে পারে। যাহোক এই চ্যাপ্টার শেষ কারন স্কুল বদলে ফেলেছি। মেয়েটাও মন থেকে হাওয়া হয়ে গেছে।



নতুন স্কুলে ভর্তি হলাম ক্লাস ফাইভে। এই স্কুলেও ছেলেমেয়েরা কম্বাইন্ড। তা আমাদের ম্যাডাম ক্লাসে দুষ্টামি করলে অন্য ধরনের শাস্তি দিতো। শাস্তি ছিল মেয়েদের সাথে এক মাস বসে ক্লাস করা। যাহোক একবার দুস্টামির কারনে আমারও এই শাস্তি হল। আমাকে মেয়েদের সাইডে পাঠানো হল। প্রতি ব্যাঞ্চে ৫ জন করে মেয়ে বসতো একটা মেয়েকে উঠিয়ে দিয়ে আমাকে মাজখানে বসানো হল। চিন্তা করেন আমার ছেলে বন্ধুরা সব অন্য সাইডে আর আমি মেয়েদের সাইডে বসে আছি তাও আমার বাম পাশে দুইটা মেয়ে ডান পাশে দুইটা মেয়ে আরে মাজে আমি। অন্যান্য ক্লাসের সবাই দেখে হাসাহাসি করতো টিটকারি মারতো। কি আর করা ? আমি মনে করলাম মাত্র একটি মাস দেখতে দেখতে শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু আমার আর মাস শেষ হলনা পুরো ৭টি মাস মেয়েদের মাজে বসে ক্লাস করতে হল। কি কারনে জানিনা।



যাহোক এবার মহল্লাতে আসি এটাও ক্লাস ফাইভের ঘটনা। মহল্লাতে একটা মেয়ে ছিল অসম্ভব সুন্দরী। আমাদের আবার এক ব্যাচ সিনিয়র। কিন্তু ওনিয়ে মাথা ঘামায় কে। মেয়েটা নানা রকমের ফ্রক পড়তো যখন সাদা ফ্রক পড়তো তা দেখে আমি কি আর বলবো, আমারতো বাচ্চা মন কিযে ভালোবাসা তৈরি হতো রাত্রে ঠিকমতো পরতেও পারতাম না। বিকালে মেয়েটা আমাদের সাথে আবার ফুল টোক্কা নামে একটি খেলা খেলতো, এখানে আমার চোখ একজন দু হাত দিয়ে আটকিয়ে রাখতো অন্য আর একজন আমার কপালে এসে টোক্কা দিয়ে যেত। আমার বের করতে হতো কে আমার কপালে টোক্কা দিয়েছে। তা মাজে মাজে আমার পছন্দের মেয়ে আমার চোখ এসে আটকিয়ে রাখতো আহা সেই মুহূর্ত আমার জিবনেও ভুলবোনা। সে যখন আমার পিছনে দারাতো তার গায়ের ঘ্রান তার দু হাতের ছোঁয়া এখনো যেন তার স্পর্শ আমার শরীরে লেগে আছে। যাহোক এখানেও আমি ব্যার্থ। আমারি এক বড়লোক বন্ধু মেয়েটাকে পটিয়ে ফেলে। কষ্ট কাকে বলে।



ক্লাস টেনের কথা একটা মেয়েকে ভালো লেগে গেলো এখানে ব্যাড লাক আমি সাহস করে এগুতে পারিনি তাই কিছু হয়নি। সাহস করলে কিছু একটা হতো। অন্তত একটা থাপ্পর জুটতো কপালে।



এবার কলেজের প্রথম বর্ষের কথা। আমরা যে বাসাতে ভাড়া থাকতাম। আমরা থাকতাম তিন তলায় আর দ্বিতীয় তলায় একটা মেয়ে থাকতো ক্লাস নাইনে পরে। টানা ৬ মাস লেগে রইলাম তারপরে সফলতার মুখ দেখলাম। কিন্তু একই বিল্ডিং এ বাসা হওয়াতে আমাদের উভয় পরিবার ঘটনা জেনে ফেললো, কি আর করা প্রেম শেষ আমিও শেষ।



এই প্রেমে ব্যার্থ হওয়ার পর অনেক কষ্টে আছি মনও ভালো নেই। কি করি করি এরি মধ্যে কপাল খুলে গেলো অন্য কলেজের একটা মেয়েকে পছন্দ হয়ে গেলো এতো ঘুরলাম এতো কানলাম। ফলাফল শুন্য হাতে ফেরত।



আমাদের এলাকার একটা ব্যাচ ছিলো আমরা প্রতিদিন এক বন্ধুর ছাঁদে আড্ডা দিতাম তা পাশেই আমাদের এলাকার এক স্থানীয় পরিবারের বাসা। তা পাশের বাসার মেয়েগুলোকে ছোট থেকে দেখে এসেছি কোনদিন নজর দেওয়ার প্রয়োজন পরে নাই। ওরা আমাদের বাসায় এসে খেলতো। কি কপাল একদিন আমাদের এক বন্ধুর নজরে পড়লো আমরাও অবাক আরে এরা এতো বড় হয়ে গেছে। শুরু হল আমাদের মিশন। ওরা তিনজন কাজিন ছিল দুইজনকে দুই বন্ধু পছন্দ করা শুরু করলো আর বাকি একজনের পিছনে আমরা সবাই। ওদের বাসা থেকে আমাদের ছাঁদের দূরত্ব বেশী না বড়োজোর দুই হাত। আমরা যাকে পছন্দ করি একদিন দেখি ও বারান্দাতে একা দাড়িয়ে ওর কাজিনরাও নেই। আর আমার বন্ধুরাও অন্য মহল্লাতে গেছে। আমি আসলে ঐ মেয়েটার জন্য সহজে কোথায় যেতে চাইতাম না।



আমি হাঠতে হাঠতে ছাঁদের কিনারাতে চলে গেলাম ঠিক পাশে ওদের বারান্দা আমি তাকে সরাসরি প্রপোজ করলাম। মেয়েটার উত্তর আপনি তো আমার মামা হন। আমি পুরাই টাসকি খেয়ে গেলাম, আমার বন্ধু বান্ধবরা এই ঘটনা কেমনে জানি জেনে ফেলছিলো। এখনো আমাকে মামা ডাক শুনতে হয়।



যাহোক শেষ প্রেম হল অন্য এক জনের সাথে আমাদের বন্ধুর এক আত্মীয়। দীর্ঘ এক বছর পিছনে গাধার মতন ঘোরার পর আমাকে সে হ্যা বললো। প্রেমের ৬ মাসের মাথায় আমার সন্দেহ বেড়ে গেলো মনে হল প্রেমে কিছুটা ঘাপলা আছে। আমার সন্দেহ অবশেষে সঠিক প্রমান হল। আমার সাথে প্রেম শেষ হওয়ার পর যে বন্ধুকে আমি সন্দেহ করতাম তার সাথে আমার প্রাক্তন প্রেমিকার প্রেম শুরু।



এই ঘটনার শেষ ২০০০ এ এরপর আর কোন প্রেম নেই আমার জীবনে ২০১৪ চলে যাচ্ছে আমি একা খুব একা।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:০৮

সোজা কথা বলেছেন: হাহাহা। ভাই আমিও থার্ড পারসন সিঙ্গুলারিটি!!!

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:২৯

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: কপাল কপাল কি দিয়ে যে পরিস্কার করতে হবে।

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:১৬

নতুন পথের পথিক বলেছেন: ভাই আমিও একা। আমার বিয়ে ঠিক হয়েছিল, কিন্তু মেয়ে এখন আমাকে অস্বীকার করছে। আমি সামু তে এটা নিয়ে পোস্ট করেছিলাম। আমার হবু বউ কে আমি ফিরে পেতে চাই। আপনি কি ক্কোনো উপায় বলতে পারেন???

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৩২

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: ভাই আজকাল বিয়ের আগে একটা জিনিস জেনে নিবেন যে মেয়ের প্রমিক আছে নাকি। থাকলে সেকি তাকে বাদ দিয়ে আপনার সাথে সংসার করতে ইচ্ছুক? যদি না হয় বাদ দিয়ে দেন। আমার এক বন্ধুর বিয়ে এভাবে ভেঙে গেছে। পরে ঐ মেয়েটার বিয়ে তার প্রেমিকের সাথে হয়। ঐটাও ঠিকে নাই।

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৪০

একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: ১ম ভালো লাগা ক্লাস ওয়ানে আমার বন্ধুর বড় বোন নাম ফারিয়া। ক্লাস থ্রীতে পড়তো। অসাধারন সুন্দরী। ২য় ভালো লাগাক্লাস থ্রী, ক্লাস মেট কিন্তু বলার উপায় নেই। ক্লাস ফাইভ, ক্লাস টীচার কিন্তু দেখাই সার বলার আর উপায় নেই।
ক্লাস সেভেন ম্যাথ টীচার, আমাকেও খুবই পছন্দ করতো। ক্লাস টেন, ক্লাস থ্রী'র পুরান ক্লাস মেটের সাথে আবার দেখা কিন্তু ব্যার্থ। কলেজে টাইম পাই নাই। ভার্সিটি তে ১ম দিনেই প্রেমে পড়লাম কিন্তু সে ফ্রেন্ড ছাড়া আর কিছু হইতে চায় নাই। কয়েকদিনের মাথায় আরেকজন আমার পিছনে লাগলো কিন্তু আমার সাহশ হইলো না কারন তার আরেক বন্ধু দেখি তার জন্য দিওয়ানা হয়ে ঘুরছে তাই সইরা খাড়াইলাম। তারপরে আরেক জন আইসা কইলো সে আমায় ভালোবাসে। আমি ১০ মাস তারে ঘুরাইলাম তারপরে হ্যাঁ কইলাম।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৪৫

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: একাকী বাংলাদেশি ভাই শেষ জন কি এখনো আছে। আপনার রাজকপাল একটা মেয়ে আপনাকে অফার করছে। যদি সম্পর্ক থাকে চালিয়ে যান। ভাই আমারও স্কুল টিচার নিয়ে কাহিনী আছে লজ্জায় বলি নাই।

৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:২৩

একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: হুমম ভাই আল্লাহ্‌র রহমতে তো চলতেছে। ২০০৫ থেকে এখন। গত বৎসর বিয়া করলাম।

আরে স্কুল টিচার নিয়া কাহিনী থাকবো না তো কি স্যার'দের নিয়া থাকবে? আরে শুনেন পরিপূর্ন রমনী বলতে যা বোঝায় তা তো ঐ স্কুলের টিচার রাই। পিচ্চি মেয়েদের কে তো আর পরিপূর্ন রমনীর মতো মোহময়ী লাগে না।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫৩

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: হা হা হা হা যথার্থ বলেছেন। আমিও বৌ হিসাবে স্কুল শিক্ষক পছন্দ করি। একটা শিক্ষা শিক্ষা ভাব আছেনা। যাহোক ভাই আপনার জীবন সুখী ও সুন্দর কামনা করি।

৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৮

রাজিব বলেছেন: যে মানুষ মনের মত বউ আর কাজ পায় তার মত সৌভাগ্যবান আর কেউ নেই। সুন্দর পোস্ট। পড়ে বেশ মজা পেলাম।

৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৬

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: রাজিব ভাই ঠিক বলেছেন। আসলেই দুইটা এক সাথে পাওয়া অনেক ভাজ্ঞর ব্যাপার।

আপনাকে ধন্যবাদ। আর আমি দুঃখিত যে আপনার এই মেসেজের নোটিফিকেশান আমি পাইনি। পরে চেক করতে গিয়ে দেখলাম আমাকে অনেকে মেসেজ দিয়েছে। আশা করি কিছু মনে করবেন না।

ভালো থাকুন ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.