নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডক্টর এ.বি.এম. রেজাউল করিম ফকির, অধ্যাপক, জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগ \nআধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় e-mail: [email protected]

রেজাউল করিম ফকির

অধ্যাপক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

রেজাউল করিম ফকির › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঙ্গলার নওয়াবী আমল (১৭১৭-১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দ): আমাদের ঐতিহাসিক পরিজ্ঞান

২৪ শে মে, ২০২১ দুপুর ২:০৬



নওয়াব নিজাম মুর্শীদকুলি খান ১৭১৭ সালে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর মুঘল সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দুর্বলতার সুযোগে বাঙ্গলার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। তিনি দাক্ষিণাত্যের এক হিন্দু পরিবারে হিন্দু হিসাবে জন্ম গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তিনি শিয়া ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। বাঙ্গলার ক্ষমতা অধিকার করে, তিনি বাঙ্গলা নিজামত প্রতিষ্ঠা করেন। এই নিজামত বংশানুক্রমিকভাবে ছিলো শিয়া ধর্মবলম্বী অধ্যুষিত। কাজেই স্থানীয় সুন্নী মুসলমানদের সাথে তাঁদের বনিবনা ছিলো না। তবে তাঁরা বাঙ্গলার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে, হিন্দু-মুসলমান উভয়ের সহযোগিতায় শক্তিশালী নিজামত প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হন। সে আমলে যারা জমিদারী লাভ করেছিলেন, তাঁদের অধিকাংশই ছিলেন হিন্দু। কিন্তু এই নিজামত কার্যত: আভ্যন্তরীণ কোন্দল, মুঘলদের সাথে বৈরীতা, বর্গী ও মগ ক্ষাত্রশক্তির আগ্রাসন ইত্যাদি ফলে দুর্বল থেকে দুর্বলতর হচ্ছিলো। মুর্শীদকুলি খান প্রতিষ্ঠিত এই নিজামত ইংরেজদের হাতে সিরাজদ্দৌলার পতনের মাধ্যমে পরিসমাপ্তি ঘটে। কাজেই এই নিজামতের স্থায়ীত্বকাল ছিলো কেবল ৫০ বছর। আর সিরাজদ্দৌলা (মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ২৪ বছর) ক্ষমতায় ছিলেন কেবলমাত্র ৩৮০ দিন। এই বাঙ্গলা নিজামত শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলো নড়বড়ে অবস্থায়। কাজেই নওয়াবী আমলের চশমায় মুসলিম বাঙ্গলার ইতিহাস মূল্যায়ন করা হলে, বাঙ্গলায় মুসলমান শাসনের ইতিহাসকে অবমূল্যায়ন করা হবে। কাজেই বাঙ্গলার স্বাধীন মুসলমান শাসনামলকে মূল্যায়ন করা হলেই, কেবল বাঙ্গলার মুসলমান শাসনকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা যাবে।
বি.দ্র.: ইতিহাস আমার গবেষণার বিষয় নয়। সঠিক গবেষণা করতে হলে বিভিন্ন আমলে বাঙ্গলা সম্পর্কে লিখিত সংস্কৃত, ফার্সি ও পালি ভাষায় লিখিত বইগুলো পড়তে হবে। সে অর্থে আমি শুধু এখানে বাঙ্গলার ইতিহাসকে মূল্যায়নে দৃষ্টিকোণ পরিবর্তনের কথাটিই ইঙ্গিত করলাম।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০২১ দুপুর ২:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: ফার্সি, পালি ভাষা কোথায় শেখায়?

২| ২৪ শে মে, ২০২১ দুপুর ২:৩৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: মুসলিম ইতিহাস সম্পর্কে কিছুটা জানতে পারলাম।

৩| ২৪ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:২৫

রিফাত হোসেন বলেছেন: আপনার পোস্ট ভাল লাগে। কিন্তু বাংলা তাদের(নবাব Murshid Quli ও সিরাজ) মাতৃভাষা ছিল না কিংবা তারাও বাঙ্গালি ছিলেন না। আমরা তাদের অধিকৃত ছিলাম। আপনি যদি কষ্ট করে আমাদের মন্তব্যের উত্তর দেন তাহলে আলোচনা করা সঠিক বুঝতে পারতাম।
আমরা আদও কি স্বাধীন ছিলাম?

২৪ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৮

রেজাউল করিম ফকির বলেছেন: বাঙ্গলা সালতানাত (১৩৫২-১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দ) শাসনামলে বাঙ্গলা ছিলো স্বাধীন দেশ। সে সময়কালে বাঙ্গলায় সাহিত্য ও সংস্কৃতির ভাষা হিসাবে বাংলা ভাষা পরিণতি লাভ করে। এই শাসনামল তাৎপর্যপূর্ণ এই অর্থে যে, এই বাঙ্গলার শাসনামলের নাম দেশের নামে হয়। এ ছাড়া এর আগে বা পরে বাঙ্গলায় প্রতিষ্ঠিত অন্যান্য সমস্ত শাসনামলের নাম ছিলো রাজবংশের নামে। উল্লেখযোগ্য যে, বাঙ্গলা সালতানাত আমলে মুসলমান শাসকদের পারিবারিক ভাষা ছিলো বাংলা ভাষা। কিন্তু এর আগে ও পরের সমস্ত মুসলমান শাসকদের ভাষা ছিলো উর্দু বা ফার্সি বা অন্য কোনো মধ্যএশীয় দেশের ভাষা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.