নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডক্টর এ.বি.এম. রেজাউল করিম ফকির, অধ্যাপক, জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগ \nআধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় e-mail: [email protected]

রেজাউল করিম ফকির

অধ্যাপক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

রেজাউল করিম ফকির › বিস্তারিত পোস্টঃ

!আমাদের জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থার সর্বনাশ হয়ে গেছে! (সংশোধন ও সম্পাদনা চলছে)

২৩ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:০৩

আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা খুবই নাজুক। এই শিক্ষাব্যবস্থা দিয়ে দেশের উপকারের চেয়ে ক্ষতিই হচ্ছে বেশী। এই শিক্ষাবব্যস্থার অনেকগুলো উপসর্গ রয়েছে, তার কতকগুলো এখানে তুলে ধরা হলো:
১) যারা মনে করে শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো- জ্ঞানদীপ্তি নয় বরং কর্মদক্ষতা অর্জন, তারাই হয় ইউজিসি চেয়ারম্যান।
২) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের যার অধ্যাপক হওয়ার যোগ্যতা নেই, তাকে উপাচার্য বানানোর কৌশল আবিষ্কারকগণ হয় শিক্ষক প্রতিনিধি।
৩) বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষে ১০০ নম্বরের ১টি ইংরেজি কোর্স করলেই, ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষাগ্রহণ করা যাবে- যারা এই মতবাদের অধিকারী, তারা হয় জাতীয় আধ্যাপক।

৪) সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের ঝামেলা এড়াতে এডিট করে ছবি প্রচার করে যে শিক্ষক, সে হয় শিক্ষা-সংস্কৃতি বিষয়ক শিক্ষক।
৫) ইসলামী আদর্শে উদ্বুদ্ধ জনগণের টাকায় মাদ্রাসা করে, কীভাবে ইসলাম ধর্ম বিজ্ঞান বিরোধী তার ছবক দেয় যে, সে হলো শিক্ষাবিদ।
৬) কোথাও চাকরি না পেয়ে তাস খেলে ঘুরে বেড়াতো যে, সে কয়েক জনকে নিয়ে একটি টিনের ঘর তুলে কলেজ নাম দিলো। তারপর কর্তাব্যক্তিদের টাকা-পয়সা দিয়ে এমপিওভুক্ত করালো, তাই তিনি এখন অধ্যাপক।
৭) জমানো টাকা-পয়সা দিয়ে গার্মেন্টস অথবা রাইস মিল দিবে ভাবছিলো যে, সে সেই টাকা দিয়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় বানিয়ে এখন যে প্রাইভেট কারে চড়ে বেড়াচ্ছে তার দামই তিন কোটি টাকা।
৮) যে বাজারে মুদির দোকান দেওয়ার জন্য দালান তুলেছিলো, সে লাভজনক ভেবে সেটিতে মেডিকেল টেকনোলজী কলেজ স্থাপন করেছে।
৯) বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হয়েছে যে সে কীভাবে পত্রিকায় লেখা ছাপিয়ে অথবা টকশোতে নাম লিখিয়ে কীভাবে সুনাম কুড়ানো যায় তা নিয়ে ব্যস্ত।
১০) ইংলিশ মিডিয়াম বিশ্ববিদ্যাল/স্কুলের শিক্ষক হয়েছে যে, সে কায়দা শিখেছে যে কীভাবে নিজের ইংরেজি দক্ষতা ও জ্ঞানের পরিধি লুকাতে পাওয়ার পয়েন্ট ও প্রজেক্টর ব্যবহার করা যায়।
১১) ফটোকপির দোকানদার লাভজনক ভেবে পদার্থ/রসায়ন/জীববিদ্যা প্র্যাকটিকেল পরীক্ষা ফাঁকি দেওয়ার ব্যবসা খুলে বসেছে।
১২) স্কুল-কলেজের পরীক্ষণাগারগুলো নামাজ ঘর হয়েছে, যার সুবাদে বিজ্ঞান পরীক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত শিক্ষকেরা [প্র্যাকটিকেল পরীক্ষা ফাঁকির পরিবর্তে অর্থ প্রকল্প] নামক চালু করেছে।
১৩) কারিগরী ওয়ার্কশপ নেই এমন টিনের ঘর যুক্ত সহজে পাশযোগ্য বিদ্যালয়ের নাম হয়েছে, কারিগরী বিদ্যালয়।
১৪) যারা তাঁদের সন্তানদের ইংরেজি শিক্ষা ও বিদেশি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে প্রয়োজনীয় অর্থ যোগাড় করতে জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে টাকা মারতে সিদ্ধহস্ত তাদেরকেই বানানো হচ্ছে জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি/সদস্য।
১৫) যারা নিজেদের সন্তানদের ভালো শিক্ষা দিতে ও মানুষ করতে শহরে ভালো স্কুল/কলেজের সাথে বাসা ভাড়া নিচ্ছে, তাদেরকে বানানো হচ্ছে জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রধান শিক্ষক।
১৬) যারা দানশীলতা প্রকাশে মাদ্রাসায় টাকা দিবে ভেবে জাতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের টাকা মেরে দিচ্ছে, তাদেরকে বানানো হচ্ছে জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রধান শিক্ষক।
১৭) যিনি ইংরেজি বা বংলা পারেন কি-না তাতেই সন্দেহ, তিনিই হন ইংরেজি শিক্ষক।
১৮) ক্লাস ফাঁকি দিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে বিদ্যালয়ে, তার নাম হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।
১৯) আন্তর্জাতিক শাস্ত্রীয় সম্মলনে গবেষণা কর্ম জমা দিতে যে ভীত, তাঁকে বানানো হয় আন্তর্জাতিক শাস্ত্রীয় সম্মেলনের প্রধান পৃষ্টপোষক।
২০) যিনি কোনো গবেষণা করেন না বা গবেষণামূলক সন্দর্ভ রচনা করেন না, তাকে বানানো হয় গবেষণামূলক শাস্ত্রীয় পত্রিকার প্রধান সম্পাদক।
২১) যে কওমী মাদ্রাসার উন্নয়নে অর্থ দান করতে জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টাকা মেরে দিতে সিদ্ধহস্ত তাকে বানানো হচ্ছে জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি।



মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:০৫

নতুন বলেছেন: জনগণের কি স্বজন প্রীতি ছেড়ে সঠিক কাজ করার মতন প্রজ্ঞা আছে

সার্টিফিকেট না শিক্ষার হার বাড়ানো দরকার।

একটি দেশের মানুষের জ্ঞানের লেভেল না বাড়লে দেশের উন্নয়ন সম্ভব না।

২| ২৪ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১:২৪

কামাল১৮ বলেছেন: আপনি একজন অধ্যাপক।ব্লগে শিক্ষা মুলক পোষ্ট দিয়ে আমাদের জ্ঞান সমৃদ্ধ করছেন,তাতেই আমরা বুঝতে পারছি ছাত্ররা কতো সমৃদ্ধ হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.