![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রত্যেক মানুষকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে । সেটা যে কোন সময়ই হতে পারে ।
শুধু ইসলাম ধর্মালম্বীদের জন্য বলছি , যারা এখোনো বিবাহ করেননি বা যারা সামনে বিবাহ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তদের জন্য এই পোষ্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
"বিবাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
বিবাহ করা নবীগণের (আঃ) সুন্নাত। প্রচলিত কিছু প্রথা যা ইসলামে জায়েজ নয়"
১. চন্দ্র বর্ষের কোন মাসে বা কোন দিনে অথবা বর/কনের জন্ম তারিখে বা তাদের পূর্ব পুরুষের মৃত্যুর তারিখে বিবাহ হওয়া অথবা যে কোন শুভ সৎ কাজ করার জন্য ইসলামী শারী’য়াতে বা ইসলামী দিন তারিখের কোন বিধি নিষেধ নেই। বরং উপরোক্ত কাজগুলো বিশেষ কোন মাসে বা যে কোন দিনে করা যাবে না, তা মনে করাই গুনাহ।
২. বিবাহ উৎসবে অথবা অন্য যে কোন উৎসবে পটকা-আতশবাজি ফুটানো, অতিরিক্ত আলোকসজ্জা করা, রংবাজী করা বা রঙ দেওয়ার ছড়াছড়ি ইসলামের দৃষ্টিতে অবৈধ ও অপচয়। আল্লাহু বলেন, “নিশ্চয় অপচয়কারী শয়তানের ভাই। আর
শয়তান হচ্ছে তার প্রভুর প্রতি বড় অকৃতজ্ঞ।” আল কোরআন (বনী ইসরাঈলঃ ২৭)
৩. বাঁশের কুলায় চন্দন, মেহদি, হলুদ, কিছু ধান-দূর্বা ঘাস কিছু কলা, সিঁদুর ও মাটির চাটি নেওয়া হয়। মাটির চাটিতে তেল নিয়ে আগুন জ্বালানো হয়।স্ত্রী ও বরের কপালে তিনবার হলুদ লাগায়, এমনকি মূর্তিপূজার ন্যায় কুলাতে রাখা আগুন জ্বালানো চাটি বর-কনের মুখের সামনে ধরা হয় ও আগুনের ধুঁয়া ও কুলা হেলিয়ে-দুলিয়ে বাতাস দেওয়া হয়। এসব হিন্দুয়ানী প্রথা ও
অনৈসলামিক কাজ।
৪. বরের আত্মীয়রা কনেকে কোলে তুলে বাসর ঘর পর্যন্ত পৌছে দেওয়া অথবা বরের কোলে করে মুরুব্বীদের সামনে স্ত্রীর বাসর ঘরে গমনের নীতি একটি বেহায়াপনা, নিরলজ্জতা ও অনৈসলামিক কাজ।
৫. বরের ভাবী ও অন্য যুবতী মেয়েরা বরকে সমস্ত শরীরে হলুদ মাখিয়ে গোসল করিয়ে দেওয়া নির্লজ্জ কাজ যা ইসলাম সমর্থন করে না।
৬. বর ও কনেকে হলুদ বা গোসল করতে নিয়ে যাওয়ার সময় মাথার উপর বড় চাদর এর চার কোনা চার জনের ধরা হিন্দুয়ানী প্রথা।
৭. বিবাহ করতে যাওয়ার সময় বরকে পিড়িতে বসিয়ে বা সিল-পাটাইয়ে দাড় করিয়ে দই-ভাত খাওয়ানো ইসলামিক প্রথা নয়।
৮. বিবাহ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর, বরকে দাড় করিয়ে সালাম দেওয়ানোর প্রথা রাসুল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তার সাহাবীদের (রাযি আল্লাহু আনহুমা) দ্বারা প্রমানিত নয়।
৯. বর ও কনের মুরুব্বীদের কদমবুসি করা একটি মারাত্মক কু-প্রথা। বিয়ে তো নয় এমনকি যে কোন সময় কদমবুসি করা রাসুল (সাঃ) ও তার সাহাবীদের (রাঃ) দ্বারা কোন কালে প্রমানিত নয়। কদমবুসি করার সময় সালাতের রুকু-সিজদার মতো অবস্থা হয়। বেশি সম্মান প্রদর্শন করতে গিয়ে হিন্দুয়ানী প্রণামকে প্রথা হিসেবে নিয়ে আসা মুমিনদের বৈশিষ্ট্য নয়।
(collected)
২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:২৯
শংখনীল কারাগার বলেছেন: কন কি তাইলেতো এতদিন বিয়ার নামে হিন্দু পূজা কইরা্ আইলাম।
আফসোস!! ইসলাম ধর্ম আর হিন্দু ধর্মের তফাত বুঝলাম না। হিন্দু ধর্মের অনেক রীতিই বর্তমান সমাজে বিষফোড়ার মতো জেকে বসেছে। যেমন : যৌতুক প্রথা।
হিন্দু ধর্মে মেয়ে পক্ষ সমাজে তাদের না ফলানোর বরপক্ষকে প্রচুর উপটৌকন দিত, কালক্রমে তা এখন ঘৃণ্য যৌতুক প্রথায় পরিণত হয়েছে।
ধন্যবাদ প্রয়োজনীয় একটি বিষয় তুলে আনার জন্য।
৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৪২
দি সুফি বলেছেন: সবগুলোই সঠিক বলেছেন, এবং অবশ্যই পরিত্যাগ করা উচিত।
৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:১০
ইঁদুর চিকার মারামারি, নষ্ট করে বসত বাড়ি বলেছেন: অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা পোষ্ট!!
৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৫
টিভি পাগলা বলেছেন: বিয়েতে হিন্দুরা চেয়ার টেবিলে বসে ভাত খায়, এটা নিশ্চয় হিন্দুয়ানী কলাচার, এটা বাদ দেওয়া উচিত, তাই না?
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৩৬
নীল জোসনা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ । কদিন থেকে যে প্রশ্ন গুলো মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল তার কয়েকটার উত্তর পেলাম ।