নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সারা বাংলাদেশটা শান্তিতে ভরে যাক

রেদওয়ান কাদের

রেদওয়ান কাদের › বিস্তারিত পোস্টঃ

সম্ভাব্য হলিউড থ্রিলার প্লট: ডঃ আফিয়া সিদ্দিকি

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১০




“একটি জমজমাট হলিউডি থিলারের প্লট” একটা লেখার শেষে বাক্যটা পড়ে চমৎকৃত হলাম বটে।

যিনি ছিলেন একজন পি.এইচ.ডি. হোল্ডার এবং যিনি ছিলেন একজন কোরআনের হাফেজা যার বুকে ধারন করেছিলেন পবিত্রকোরআনের ত্রিশটি পারা।

এই আফিয়া সিদ্দিকাই কিডন্যাপ হয়েছিল ২০০৩ সালে যার স্থায়িত্ব ছিল ২০০৮ সাল পর্যন্ত।পরবর্তী তে নিয়ে যাওয়া হয় আমেরিকান টর্চার সেলে এবং সেখানে তার উপৱ চলে পাশবিক নির্যাতন, মানসিক নির্যাতন।

কোরআন শরীফের পাতা ছিড়ে মেঝেতে বিছিয়ে রেখে তাকে উলংগ করে বলা হত যাও কোরআনের উপর দিয়ে গিয়ে কাপড় নিয়ে আসো। ঐ নরপশুরা তাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালাতে শুরু করে, খেলায় মেতে ওঠে ঐ হায়েনার দলেরা। পালাক্রমে গনধর্ষনের স্বীকার হন এই কোরআনের হাফেজা, নিউরো সাইন্টিস্ট ড:আফিয়া সিদ্দিকা।

আমেরিকান আদালত তাকে ৮৬ বছরের সাজা ঘোষনা করে এক আমেরিকান সেনা হত্যা চেস্টার অপরাধে। সেনা হত্যার ঘটনা পরে বলছি।

আদালতে বিচারক কিছু বলার আছে কিনা জানতে চাইলে ড:আফিয়া সিদ্দিকা বলেন...

"আপনি তাদের ক্ষমতা দিয়েছেন আমাকে রেপ করার,উলঙ্গ করে সার্চ করার।আপনার কাছে কিছুই বলার নেই আমার, আমি আমারআল্লাহর কাছে যেয়েই যা বলার বলব। আমিতো সেদিনই মরে গেছি যেদিন আমাকে প্রথম ধর্ষন করা হয়েছিল। আমাকে ছেড়ে দিন, আমাকে আমার দেশে যেতে দিন।"

ড:আফিয়া সিদ্দিকার মূল অপরাধ ছিল তিনি একজন কোরআনের হাফেজা ছিলেন।
এত উচ্চশিক্ষিত হয়েও কেন তিনি কোরআনের দিকে ঝুঁকে ছিলেন,কেন তিনি তাঁর বক্তব্যে কোরআনের রেফারেন্স টানতেন..? কেন তিনি দ্বীনের পথে সামিল হওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়েছিলেন..?

এক বছর নয় দুই বছর নয়, ,,,,, নয় নয়টি বছর তাকে একটানা ধর্ষন করা হয়েছিল ঐ অন্ধকার কারাগারে আটকেরেখে। শুধু ধর্ষন নয় এর পাশাপাশি মরন ব্যাধি ক্যান্সারের বীজও তার শরীরে পুঁতে দিয়েছিল নরপশুরা।অবশেষে বিদায় নিলেন একজন হাফেজা বিশ্বের একমাত্রনিউরো সাইন্টিস্ট ড: আফিয়াসিদ্দিকা।

ধিক্কার জানাই বিশ্ব মানবতাকে, ধিক বিশ্ব বিবেককে।আমরা কোন হেল্প করতে পারিনি এই মানুষটিকে অথচ আমরাই আবার বড় বড় লেকচার দিয়ে যাই যেখানে মালালা ইউসুফ জাই কে গুলি করা হয়েছিল যেটা ছিল সাজানো একটা নাটক। হে আল্লাহ তুমি তোমার পবিত্র কোরআনের বানী ধারনকৃত ড: আফিয়া সিদ্দিকাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান কর।

একজন কুরআনে হাফেজ, নিউরো সাইন্টিস্ট সুন্দরী পাকিস্তানী নারীর আলোচিত জীবন আর পশ্চিমাদের দেওয়া সন্ত্রাসী সিল মোহর নিয়ে নিঃসন্দেহে একটা জমজমাট হলিউড মুভি হবে, শুধু বিশ্ব জানবেনা সে একজন সন্ত্রাসী ছিল না, এক মুভিতেই বাজিমাত হয়ে যাবে। সারা দুনিয়া জানবে, আফিয়া সিদ্দিকি একজন সন্ত্রাসী ছিলেন।

আজ হোম পেইজে তার মৃত্যুর বিষয় সম্পর্কে জেনে আরও একটু বিস্তারিত জানার চেষ্টা করলাম। একটা সুশীল ব্লগে তাকে আল কায়েদার মাতাহারি বলে সম্বোধন করা হয়েছে।

আর বাংলা বিভিন্ন পত্র পত্রিকা এবং স্টোরি গুলো পড়লেও আপনার মনে অবশ্যই সন্দেহ নাড়া দিবেই যে তিনি হয়তো আসলেই আল কায়েদার সদস্য ছিলেন।

এরপর ইসলামিক লেখকদের লেখায় ও তেমন যুক্তিপূর্ণ কোন তথ্য প্রমাণ পাইনি । আবেগে ভরা , আর বিবরণ লোমহর্ষক নির্যাতনের। এবার আসুন, একটু প্রকৃত সত্য জানি!

ডক্টর আফিয়া সিদ্দিকি আমেরিকার এম আই টি, এবং ব্রাণ্ডিস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়া পি এইচ ডি ডিগ্রীধারী একজন স্নায়ু বিজ্ঞানী। এবং ডিগ্রীটা যথেষ্ট ভারি ও বলা যায়।

যে সময়টা তিনি আমেরিকায় ছিলেন সেই সময়টা তিনি বিভিন্ন ইসলামিক সাহায্য সংস্থা বিশেষ করে বসনিয়া , ফিলিস্তিনসহ অনেক জায়গায় কাজ করেছেন।

১৯৯০ তে তিনি আমেরিকায় আসেন। প্রথমে এম আই টি এবং পরবর্তীতে ব্র্যান্ডিস ইউনিভার্সিটি থেকে কগনিটিভ নিউরোসায়েন্সে স্নাতক হন।

১৯৯৫ সালে বিয়ে করেন করাচীর এক ডাক্তারকে, যাঁর নাম আমজাদ খান। বস্টনে থাকাকালীনই আফিয়া ছিলেন পরিচিত মুসলিম অ্যাকটিভিস্ট। আফগানিস্তান, বসনিয়া ও চেচনিয়ার জন্যে প্রচার এবং ফান্ড জোগাড় করায় তাঁর সক্রিয় ভূমিকা ছিল।
বুঝাই যাচ্ছে, আমেরিকায় আফিয়া বেশ পরিচিত মুসলিম অ্যাক্তিভিস্ট ছিলেন। হয়তো তখন থেকেই কড়া নজরদারিতে তিনি।
এরপর ২০০১ এর ১১ই সেপ্টেম্বরের ঘটনার পর, সেখানকার শিশুদের সাথে তার সন্তানদের চলাফেরা, এবং মুসলিম বিদ্বেষী পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারছিলেন না। তাই , ৩য় সন্তানকে গর্ভে নিয়েই ২০০২ এ পাকিস্তান ফিরে আসেন।

এরপর প্রথম স্বামীর সাথে তালাক হয়ে যায়, আদর্শগত দ্বন্দ্বের কারনে। আফিয়ার ধর্ম নিবেদিত প্রাণ তিনি খুব ভালো চোখে দেখতেন না।
এরপর ২০০২ এর ডিসেম্বরে আবার ইউ এস এ যান।

ডিভোর্সের ৬ মাসের মাথায় অফিয়া দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এই ভদ্রলোকের নাম আম্মার আল-বালুচি, যিনি ৯/১১-এর এক অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী খালিদ শেখ মহম্মদ এর ভাইপো।

আমেরিকার লিগাল আইনে এমন কোথাও লেখা নেই যে- সন্ত্রাসীর ভাইয়ের ছেলের বউকেও সন্ত্রাসী ভাবতে হবে। যার যার জীবন তো তার তারই!

ওদিকে খালেদ শেখ মোহাম্মদকে ও অকথ্য নির্যাতন করা হয়। এবং এক পর্যায়ে জোর পূর্বক বয়ান নেওয়া হয় আফিয়া সিদ্দিকির বিরুদ্ধে। অত্যাচারের মুখে খালেদ ও এমন স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য হন। আম্মারকেও ২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত গুয়ান্তানামোবেতে আটকে রাখা হয়।

এবং সেই সাথে ৩ সন্তানের জননী আফিয়া ও হটাত হারিয়ে যান। অদ্ভুত তাইনা! স্বামীকে গুয়ান্তামো বে তে নিয়ে গেলো, আর স্ত্রীকে নেওয়ার জন্য খুঁজেই পেলো না ! আমেরিকার আর্মি এতোই বোকা! কবির ভাষায় বলতে হয়- হাসালে মোরে।

আমাদের দেশটা অনেক ছোট। ছোট ছোট স্বার্থের জন্য এখানে কথায় কথায় মানুষ গুম করা হয়। আর আমেরিকার মতো ঘাগু দেশ কি করে?

জী পাঠক। ঠিক ধরেছেন। ২০০৩ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আফিয়ার কোন হদীস ছিল না। কারন, তাকে বিভিন্ন কারাগারে অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছে লোক চক্ষুর আড়ালে। আর তার বিরুদ্ধে আগেই GLOBAL ALERT জারি করে আমেরিকা বিশ্বকে বুঝিয়েছে- আফিয়া সিদ্দিকি গ্রেফতারের ভয়ে আত্মগোপন করেছেন। আর ওদিকে তলে তলে হাজার বার ধর্ষণ, কুরআনের পাতা ছিড়ে তার উপর হেটে যেতে বাধ্য করা, অত্যাচারে অত্যাচারে সুন্দরী পাকিস্তানী ডক্টরের মুখের কি করুন পরিণতি তা আমরা দেখেছি।

এরপর, ২০০৮ সালে হটাত আফিয়ার অবস্থান প্রকাশ হয়ে যায়।
আফগানিস্তানের গজনি থানা। ৪ জন আমেরিকান সৈন্য আফিয়াকে সেই থানার একটি রুমে আবিষ্কার করে। আফিয়া তখন ঘুমাচ্ছিলেন। সৈন্যরা তখন রুমে ঢুকে আফিয়াকে দেখে গুলি নিচে রাখে ( এতো নিস্পাপ আমেরিকার সৈন্যরা!!!!!)

এরপর আফিয়া জেগে যান। এবং নীচে রাখা সেই গুলি নিয়ে সৈন্যদের দিকে গুলি ছুড়তে থাকেন। যদিও তিনি ৫ ফুট তিন ইঞ্চি, তিন সন্তানের মাতা! তাও তিনি নাকি এই দুঃসাহসিক কাজ করেছেন । যাই হোক! তা গুলি ছুড়লেন, কিন্তু রুমের একটা জানালায় ও গুলি লাগলো না, লাগলো না ছাদে এমনকি লাগলো না একজন সৈন্যের গায়েও! আফিয়ার ফিঙ্গার প্রিন্ট পর্যন্ত লাগলো না গুলিতে। এরপর বেচারা সৈন্যরা আত্মরক্ষা করতে আফিয়ার পেটে ২ টি গুলি করে।

কতোটা বানোয়াট গল্প বলতে পারে আমেরিকান আর্মি! আর এই যায়গায়ই যদি আই এস এর হাতে আটক হওয়া বেটি ব্রাউন হতেন ! তিনি যদি আই এস গেরিলাদের গুলি ছুড়তেন। তিনি পৃথিবীর চোখে নিঃসন্দেহে এক মহীয়সী সাহসী নারী হিসেবেই পরিচিত হতেন।
এরপর এই মিথ্যা অভিযোগে প্রকাশ্য গ্রেফতারের ২ বছর পরে আফিয়ার বিরুদ্ধে আমেরিকায় মামলা হয়, একজন আমেরিকানকে শুট করার মিথ্যা অপবাদে।

এই কেইসের বিচারক ৮৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে আফিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছিলেন- এখন কোথায় তোমার আল্লাহ?
এইখানে অবশ্য বাংলা সেই ভাব সম্প্রসারণের কোন যায়গা নেই- দণ্ডিতের সাথে দণ্ড দাতা যদি কাঁদে, তবে সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার।
এই বিচার তো প্রহসন, ঘৃণ্য রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের। তাইতো আফিয়া আর আপিল করার নেন নি।

কিন্তু এই ঘটনার প্রকৃত সত্য বোঝা খুব দুরূহ। খবরের কাগজের বিষদ বর্ণনা আপনাকে ভাবাবে, সন্দেহ তৈরি করবে, আফিয়ার সন্ত্রাসী হওয়া নিয়ে।

পাঠক, পুরা পৃথিবীর সংবাদ আর মিডিয়া জগত পশ্চিমাদের ছড়ানো জ্বাল। এখানে সত্য অসত্য চেনার কোন উপায় নেই। তাই একটু নিজ দায়িত্তে সত্য জানুন। আমরা আমাদের বোন আফিয়ার জন্য কিছুই করতে পারিনি, অন্তত ঘরে বসে প্রকৃত সত্য তো জানতে চেষ্টা করতে পারি। এরপর হাশরের দিন জাতির একজন হিসেবে যখন বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে, অন্তত বিধাতার কাছে বলা তো যাবে- আমরা জানতাম! আমাদের বোন নির্দোষ ছিল। আমরা কিছুই করতে পারিনি।

আফিয়া সিদ্দিকি ও মুসলিম উম্মাহের প্রতি নিরাশ ছিলেন শেষ চিঠিতে তাই তো উম্মতকে ঘুমন্ত জাতি আখ্যা দিয়েছেন। মুহাম্মাদ বিন কাসিমের পথ চাইতে চাইতে শাহাদাতের পথেই হয়তো পাড়ি দিয়েছেন এই মহীয়সী।


Link: WomenExpress

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩

বিজন রয় বলেছেন: সাংঘাতিক ঘটনা!!!

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫

রেদওয়ান কাদের বলেছেন: সত্যিকার খাটিঁ মুসলামনদের অবস্থা এখন এরকমই!
ধন্যবাদ।

২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:২০

বিজন রয় বলেছেন: একদিন এসব দুর হয়ে যাবে।
যতদুর মনে হয় সৃষ্টিকর্তা সবই দেখছেন। তাঁর উপর ভরসা রাখতে হবে। ধৈর্য্য ধরতে হবে।

ভাল থাকুন।

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০৮

রেদওয়ান কাদের বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ঠিক বলেছেন। ধৈর্য্য ধরতে হবে।

৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫

দুখু বাঙাল বলেছেন: সেই মহিয়সী ওপারে নহরের কূলে ঘর বেঁধেছেন। পাখির ডাক শুনছেন আমাদেরকে ঋনী করে। আল্লাহ তায়ালা তাঁকে উঁচু আসন দান করুন।

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১৫

রেদওয়ান কাদের বলেছেন: আমিন। সুন্দর কথা বলেছেন।
ধন্যবাদ।

৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯

কিবরিয়া জাহিদ মামুন বলেছেন: ড: আফিয়া নিয়ে গাজাখোরী গল্প এর আগেও দেখেছিলাম এই ব্লগে । আগের গল্পর মত আপনিও দাবী করেছেন ওনি একমাত্র নিউরো সাইনটিষ্ট ছিলেন । তাই আগের লিংক এর উওর টা কপি পেষ্ট করে দিলাম ।

এমআইটিতে ১৯৬০ সালে সাইক্লোজি ডিপা: চালু হয় পরে সাইক্লোজি ডিপা: আর একটু এগিয়ে ১৯৮৬ সালে তারা নিউরোসায়েন্স নুতন ডিপা: খোলেন । উদাহরন হিসেবে ঢাকা ভার্সিটিতে ম্যানেজ ডিপামেন্ট আর একটু এগিয়ে ম্যানেজম্যান্ট ইনফরমেশন খুলেছেন । গনযোগাযোগ সাংবাদিকতা আর একটু এগিয়ে গিয়ে নুতন ডিপামেন্ট টেলিভিশন ও ফিল্ম স্টাডিজ খুলেছেন । আরও বলা যায় পদার্থ ডিপা: এগিয়ে গিয়ে এপলাইড পিজিক্চ নুতন ডিপা: চালু করে ।

তো ১৯৬০ সালে এমআইটি পৃথিবীর টপ ফাইভ ভার্সিটি ডিপা: খুলে তারা নিউরো বিগ্গ্যানী তৈরি করতে পারে নাই । মেনে নিলাম । ১৯৮৬ সালে নুতন নিউরো সায়িন্স ডিপা: খুলেও তারা নিউরো বিগ্যানি তৈরি করতে পারে নাই ২০০১ সাল পর্যন্ত । পরে পাকিস্তানী ড: আফিয়া গিয়ে প্রথম নিউরো বিগ্যানী হলেন । আমি মুর্খ মানুষ একটু বুঝি কম । কিন্তু কম বুঝে তো মাননীয় স্পিকার হয়ে গেলাম ।

ড: আফিয়ার ২য় জামাই এর চাচা হলেন টুইনটাওয়ার হামলার সাথে সংশ্লিষ্ট । কোথাকার পানি কোথায় যায় । ড: আফিয়ার মা ইন্টারভিউ দিচ্ছেন তার ভ্রু প্লাক করা চিকন । ওনার মা পাকিস্তান পারলামেন্টের মেমবার ছিলেন । বাসার সোফা দেখলে সেটার দাম আন্দাজ করতে কষ্ট হয়না । অর্ধ পৃথিবী শাসন করা হযরত ওমর খেজুর পাতায় বিছানায় ঘুমাতেন । একদিন এক ক্রিচিয়ান বৃদ্ধ ফকির কে দেখে তিনি মাফ চান এই বলে আমি লজ্জিত । আমার রাজ্যে আপনি ভিখ্খা করছেন । আপনার শেষ জীবনের সামাজিক নিরাপত্তা আমি দিতে পারিনি ।

ড: আফিয়া কোরআন ভালবাসতেন আর তার পরিবারের নমুনা এই । ওনি সংসার, কাজ নিয়ে আম্রিকা থাকবার কথা ওনি আফগানিস্তানে চ্যারিটিতে কেন ? ওনি বিগ্গ্যানী ওনার কাজ গবেষনা । ওনি ইসলামের দাওয়াত দিবেন দিন ভাল কথা, আমাদের তাবলীগ জামাত নিয়মিত আম্রিকা যায় ইসলামের দাওয়াত দিতে, কোন ভিসার ঝামেলা হয়না । তাদের কে তো এফবিআই এরেষ্ট করেনা । তাদের কে তো কুকুরের মত জেলখানায় নিয়ে পিটায় না । আপনি দাওয়াত দিবেন চাদা তুলবেন আল কায়েদার নাইট ভিশন গ্লাস কেনার জন্য । আবার সেই টাকা আফগানিস্তানে ওয়ার ট্রান্সফার করবেন আর সিদ্ধ ডিমের দাম বাড়বেনা কি করে ভাবলেন ।

আমি বহু মানুষ কে চিনি যারা ঢাকা থেকে বিমানে নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি এয়ারপোর্টে নেমে এয়ারপোর্টর ভেতরের মসজিদে নামাজ পড়ে ট্যাকসি নিয়ে বাসায় যান । তাদের তো ঝামেলা হয়না ওনার হল কেন ?



লেখক ভাই মেহের বানী করে একটু উওর দিতেন ।

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫৬

রেদওয়ান কাদের বলেছেন: বুঝতে পারছি আপনার সাথে অনেক নিউরো সাইন্টিস্ট এর বন্ধুত্ব আছে। তো দু একজন বন্ধুর নাম বলেন?

আপনার তথ্য মতে ড: আফিয়ার মা ইন্টারভিউ দিচ্ছেন তার ভ্রু প্লাক করা চিকন । -ভাল কথা । আপনি কি মনে করেন আপনি আপনার বাবার মত হয়েছেন? আপনার বাবা যা করেন আপনিও কি তাই করেন? শুনেন ভাই বর্তমানে বাংলাদেশে ইসলাম বিরোধী নাস্তিকদের উপদ্রব অনেক বেড়েছে যা গত ৭/৮ বছর আগেও ছিলনা। এই সব ইসলাম বিরোধী নাস্তিকদের বাবা মায়েরা দেখবেন আস্তিক। এটা কেন হলো জানেন 'সন্তানের সুশিক্ষার অভাবে'। আবার অনেক সময় বাবা-মা সুশিক্ষা দিতে না পারলেও সন্তানরা ভাল মানুষের সংস্পর্শে এসে সঠিক পথে যায়।

৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬

কিবরিয়া জাহিদ মামুন বলেছেন: আমি বাস্তবতা বলেছি । নিউরোসাইনটিস্ট বন্ধু আছে বলিনি । ২০০০, ২০১৪ সালে চিকিৎসা তে নোবেল পেয়েছে নিউরো বিগ্যানী । ১৭০০ bc তে ইজিপশিয়ানদের ব্রেইন ডেমেজ নিয়ে ধারনা ছিল । তারমানে প্রায় তিনহাজার সাতশ ষোল বছর আগেও নিউরোসায়েন্সের ধারনা ছিল । আর প্রসংগ ছিল ড:আফিয়া ও পাকিস্তান সেখানে বাংলাদেশ, নাস্তিক, বাবা, সন্তান, কার ছেলে কেমন হবে, এইসব প্রসংগ এল কি করে । ট্রাফিক রুলে আছে লেন চেন্জ করলে ইনডিকেটর জ্বালাতে হয় আপনি ইনডিকেটর না জ্বালিয়ে লেন করছেন কেন লেখক ভাই । এটাতো সাইদি চান্দে যাবার গল্পের মত থ্রিলার মনে হচ্ছে ।

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৪

রেদওয়ান কাদের বলেছেন: মামুন ভাই আমার কথায় কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি তার জন্য দু:খিত। আমার মন্তব্যে বাবা-সন্তান আসার কারন ছিল আপনি বলেছেন ড: আফিয়ার মায়ের কথা। তাদের মা-মেয়ের পার্থক্য দেখিয়েছেন, সেজন্য একথা বলা হয়েছে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১০

কিবরিয়া জাহিদ মামুন বলেছেন: মায়ের কথা এজন্য বলেছি । চ্যারিটি বিগেন এট হোম । নিজের মা ভ্রু প্লাক করেন আর ড:আফিয়া অন্যকে ইসলামের দাওয়াত দ্যান । দাওয়াত তো ঘর থেকে আগে শুরু হবার কথা নিজের মাকে দিয়ে ।

৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২৩

রেদওয়ান কাদের বলেছেন: দাওয়াত ঘর থেকে দেয়নি তা নিশ্চিত হলেন কিভাবে?

৭| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এই গান্জা আর কতদিন চলবে? পুরা দুনিয়া ক্লান্ত হইয় যায় কিন্তু পাকীবন্ধুদের ক্লান্তি নেই!

খোদা রক্ষা করো এদের আকাশ পাতাল মিথ্যাচার থেকে!

৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩১

রেদওয়ান কাদের বলেছেন: আপনার মন্তব্যে মনে হচ্ছে আপনি শাহবাগী কবিরাজের দেওয়া চেতনার বড়ি খাইছেন!!!

৮| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভালো কথা, আফিয়া সিদ্দিকী কি নব্যুয়ত প্রাপ্তা ছিলেন?

জাস্ট আস্কিং! B-)

৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩৯

রেদওয়ান কাদের বলেছেন: নব্যুয়ত মানে বোঝেন তো?

৯| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বোঝা গেলো পাকী রাজাকার জাতটার জন্য আপনার অকৃত্রিম দরদ। এই দরদ দিয়ে গেলমানী করার জন্য পাকি ভিসা পাবেন তো?

রাজাকার কি ছোটবেলা থেকেই? মীরজাফর, গো আর জানাজাতে গিয়েছিলেন কি?

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০২

রেদওয়ান কাদের বলেছেন: বাংলাদেশের সত্যিকার মুক্তিযোদ্ধারা এখন সবাই রাজাকার জানেন তো!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.