![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুব বেশি দিন আগেকার কথা নয়। আজ থেকে দেড়শত বৎসর আগেকার কথামাত্র। ব্রিটিশ ভারতের একটা ঘটনা। ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের একটা গ্রাম। নাম ‘কান্ডারা’। হিন্দু, মুসলমান প্রায় একই সমান সংখ্যক জনঅধ্যুষিত একটি গ্রাম। আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল নয়। আজ থেকে দেড়শত বৎসর আগেকার ভারতে ব্রিটিশ ভারতে আর্থিক অবস্থাটা কেমন ছিল? সেটা বোঝাতে নতুন কোন উদাহারণ দেবার প্রয়োজন পড়বেনা, কারণ, যে কোন সচেতন পাঠকই তা জানেন বা উপলব্ধী করতে পারবেন। এরকম একটা গ্রামে যারা বাস করত তারা বেশির ভাগই ছিল মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেনীর। হিন্দু, মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে বিবাদ ছিল, আবার তারা একত্রে বসবাসও করত। চিরাচরিত নিয়মেই।
এই গ্রামেই হঠাৎ করে একটা সঙ্ঘাত এর সূত্রপাত হলো। একখন্ড জমি ছিল গ্রামের মধ্যে, পরিত্যক্ত সম্পত্তি। উক্ত জমিটিতে গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায় তাদের উপাসনার জন্য একটা মন্দির বানাতে উদ্যোগী হলে মুসলমান‘রা তার বিরোধিতা করে বসে। তারা দাবী করে বসে যে, এটা মুসলমানদের জমি। তাই এখানে তারা মন্দির বানাতে পারেনা। বরং জনসমর্থন এবং ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগাতে মুসলমানরা উক্ত জমিতে মসজিদ বানাবে বলে ঘোষণা দিয়ে বসে। স্বাভাবিকভাবেই হিন্দু জনসাধারণ এই সিদ্ধান্তের ঘোরতর প্রতিবাদ করে বসে। আর মুসলমানরাও তাদের দাবীতে থাকে অনড়। ফলে উভয় জনগোষ্ঠির মধ্যে সঙ্ঘাত প্রায় অনিবার্য হয়ে উঠলে এই বিবাদ শেষ পর্যন্ত আদালতে গড়ায়।
আদালতে জমির মালিকানা নিয়ে যে মামলা হয়, তাও এক বিরাট প্রেস্টিজ ইস্যুতে পরিণত হয় উভয় গ্রুপ এর জন্যই। প্রত্যেক গ্র“পই তাদের সাধ্যমত দলীল, প্রমাণ জোগাড় করতে, স্বাক্ষী সুবুত বানাতে, জোগাড় করতে, ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
কিন্তু সেখানেও বাধে বিড়ম্বনা। পূরনো কোন অকাট্য দলীল প্রমাণই পাওয়া যায়নি হাতের কাছে কিংবা সরকারি সেরেস্তায়। যার উপরে ভিত্তি করে একথাটা কেউ অকাট্যভাবে প্রমাণ করতে পারে যে, এই জমিটা কোন বিশেষ কোন জাতিসত্তার, বা বিশেষ কোন গ্র“প বা গোষ্ঠির। মোট কথা, জমির মালিকানার বিষয়টা একটা বিতর্কিত বিষয়ই রয়ে যায়। আদালত শেষ পর্যন্ত গ্রামের বয়স্ক, বিশ্বাস যোগ্য দু‘একজন লোককে আদালতে সমন করার কিংবা হিন্দু ও মুসলমান অর্থাৎ মামলার বাদী ও বিবাদী উভয় পক্ষ যে সব লোককে তাদের মামলার পক্ষে সাক্ষী হিসেবে মেনেছে, তাদের উপরেই নির্ভর করতে বাধ্য হয় অনেকটা।
এখানে একটা মজার ব্যাপার হলো, মামলার একটি পক্ষ হিন্দু সম্প্রদায় তাদের পক্ষে সাক্ষী হিসেবে উক্ত গ্রামের মুসলিম সম্প্রদায়ের মসজিদে যিনি ইমামতি করতেন, সেই বৃদ্ধ ইমামকে সাক্ষী হিসেবে মানেন। হিন্দু হলেও তাদের অগাধ বিশ্বাস ছিল, এই মুসলমান বৃদ্ধ ইমামের উপরে, এই মর্মে যে, তিনি আর যাই হোক না কেন, মিথ্যা সাক্ষ্য দেবেন না। তিনি মিথ্যা কোন কথা বলবেন না, তাঁকে দিয়ে ন্যায় বিচার এর পরিপন্থি কোন কাজ করানো যাবেনা। তিনি কোন জাত, বেজাত বিচার না করে বরং কেবলমাত্র এবং একমাত্র সত্যের পক্ষেই তার সাক্ষ্য দেবেন, এ ব্যাপারে তিনি কোন ভয় ভীতির পরওয়াও করবেন না।
হিন্দু সম্প্রদায় উক্ত ইমামের নাম সাক্ষী হিসেবে প্রস্তাব করায় বিচারক তাঁকে আদালতে হাজির হতে সমন জারী করে। কিন্তু সেই বৃদ্ধ ইমাম আদালতে হাজির হতে অস্বীকার করেন এই বলে যে, তিনি তাঁর দেশকে ধ্বংস করে দেয়া কোন কাফের, ইংরেজ এর মূখ দেখবেন না বলে পণ করেছেন, যেহেতু উক্ত আদালতের বিচারক একজন বিধর্মী ইংরেজ, তাই তিনি আদালতে যাবেন না সাক্ষ্য দিতে।
বিচারক ইমাম সাহেবের এই উক্তি শুনে বিব্রত ও ক্রোধান্বিত হলেও মামলার বিচার কার্য সমাধা করার স্বার্থেই বললেন, যদি ইমাম সাহেব সাক্ষ্য দিতে আদালতে আসেন, তবে তাঁর পণ রক্ষার্থে বিচারক উক্ত সময়ে এজলাসের বাইরে অবস্থান করবেন এবং আদালতে উকিল পেশকাররাই তাঁর সাক্ষ্য রেকর্ড করবেন। এই ব্যবস্থায় ইমাম সাহেব নির্দিষ্ট দিনে আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিতে সম্মত হলেন।
ইমাম সাহেব আদালতে সাক্ষী দিতে যাবেন এই খবরে হিন্দু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যেই এক দারুণ উত্তেজনা দেখা দিল। হিন্দু সম্প্রদায় খুশী, কারণ তাদের বিশ্বাস ইমাম সাহেব আদালতে সত্য কথাই বলবেন। আর যদি তিনি সত্য কথা বলেন তবে তা প্রকৃত অর্থে হিন্দুদের পক্ষেই যাবে, কারণ, উক্ত জমিটা আসলেই হিন্দুদের সম্পত্তি।
আর মুসলমানদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেবার কারণ, যদিও কোন কোন মুসলমান ভেবেছিলেন ইমাম সাহেব আদালতে সত্য কথাটাই বলবেন, যেটা প্রকৃত অর্থে মুসলমানদের বিপক্ষেই যাবে, কিন্তু অধিকাংশ মুসলমান ভেবেছিলেন এবং বিশ্বাস করেছিলেন, আর যাই হোক না কেন, এখানে হিন্দু মুসলমান দুটো জাতিসত্তার এই দ্বন্দে ইমাম সাহেব তার নিজ জাতির বিরুদ্ধে কোন রকম সাক্ষ্য প্রদান করবেন না। করবেন না কারণ, এখানে মুসলমান সম্প্রদায়ের মান, সম্মান, ইজ্জতের প্রশ্ন জড়িত। যে ভূমিখণ্ড নিয়ে এত উত্তেজনা, এত মামলা, মোকাদ্দমা সেখানে তো আল্লাহর ঘর মসজিদই বানানো হবে! অতএব মসজিদের একজন ইমাম হিসেবে উক্ত বৃদ্ধ ইমাম কী করে তার নিজ জাতির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবেন? কি করে প্রস্তাবিত মসজিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন?
এরকম একটা টান টান উত্তেজনার মধ্যেই সেই বৃদ্ধ ইমাম সাহেব আদালতে হাজির হলেন এবং গোরা ইংরেজ এর সাময়িক অনুপস্থিতিতে তাঁর সাক্ষ্যও দিলেন, সেই সাক্ষ্য আদালতে রেকর্ড হলো। ইমাম সাহেব বলিষ্ঠতার সাথে আদালতকে জানিয়ে দিলেন যে, তাঁর জ্ঞান ও বিশ্বাস মতে উক্ত ভূমিখণ্ডটা গ্রামের মুসলমান জনগোষ্টির নয়, এর প্রকৃত মালিক হলো হিন্দু সম্প্রদায়। মাত্র কয়েক মিনিটের এই সাক্ষ্য প্রদান শেষে ইমাম সাহেব বেরিয়ে এলেন।
বেরিয়ে এলেন বটে। কিন্তু তিনি আদালতের সিঁড়ি বেয়ে দু কদমেরও বেশি নামতে পারলেন না। তাঁকে ঘিরে ধরল আক্রমনোদ্যত এক বিশাল মুসলিম জনতা। মামলায় হেরে যাওয়া মুসলিম পক্ষ সকল আক্রোশ আর ক্ষোভ নিয়ে সম্মানিত ইমাম সাহেবের উপরে নেকড়ে বাঘের মত করে ঝাঁপিয়ে পড়ল। তিনি কেন মুসলিম জনগোষ্ঠির বিরুদ্ধে হিন্দুদের পক্ষে আদালতে সাক্ষ্য দিলেন? তিনি কেন তাঁর নিজের জাত ভাইদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন? তাঁর কারণেই তো আজ মুসলমান সম্প্রদায়ের এই পরাজয়! কিছু পাষন্ড সম্মানিত ইমাম সাহেবের মাথার টুপি, মুখের দাঁড়ি ধরে টান দিল। ‘গাদ্দার’ ‘হিন্দুদের পেইড এজেন্ট’ আখ্যা দিয়ে তাঁকে শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত করতে থাকল!
বেচারা ইমাম সাহেব, যিনি তার সকল শক্তি সঞ্চয় করে উত্তেজিত জনতাকে বোঝাতে তৎপর হলেন, সকল শক্তি তাঁর গলায় জড় করে বলে গেলেন ‘হে ভাই সকল, আমি কোন অন্যায় করিনি, একজন মুসলমান হিসেবে কেবলমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর নির্দেশকে বাস্তবায়ন করেছি। মনে রেখো, আমরা মুসলমান, আল্লাহ পাক আমাদের নির্দেশ করেছেন তার পাক কালামে এভাবে ‘ …… তিনি তোমাদের নাম রেখেছেন মুসলিম, পূর্বে এবং এই আল কুরআনেও। যেন রাসূল তোমাদের উপের সাক্ষী হন, আর তোমরাও সাক্ষ্যদাতা হও মানবগোষ্ঠির জন্য’ (সুরা হাজ্জ -৭৮)
কে শোনে কার কথা! উত্তেজিত জনতা সম্মানিত ইমাম সাহেবের উপরে এক এক করে আক্রমন চালিয়ে যেতে থাকল। আর ইমাম সাহেব সকল আক্রমন বিনা বাক্য ব্যয়ে সহ্য করেও বলে চলেছেন ‘হে ভাই সকল! তোমরা আমার কথা শোন, বোঝার চেষ্টা কর, স্মরণ করো, মহান আল্লাহর নির্দেশ প্রতিটি মুসলমান এর উপরে, তিনি তাঁর পাক কালামে বলেছেন ‘ আর এভাবেই আমি তোমাদেরকে একটি মধ্যপন্থী গোষ্ঠী বানিয়েছি যেন তোমরা মানুষের জন্য সাক্ষ্যদাতা হও, আর রাসূল হন তোমাদের জন্য সাক্ষ্যদাতা’ (সূরা বাকারাহ – ১৪৩)
রক্তাক্ত ইমাম সাহেব বলে চলেছেন, ‘ভাই সকল আমি তোমাদের ক্ষোভ বুঝি, কিন্তু মিথ্যার মধ্যে কোন কল্যাণ নেই, বিশেষ করে একজন মুসলমান হিসেবে এটার ধারে কাছেও আমি যেতে পারিনা, তোমাদেরকেও যেতে দিতে পারিনা। মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে অপরের জমি বাগিয়ে সেখানে মসজিদ বানানোর কথা কোন মুসলমান চিন্তাও করতে পারেনা।
মনের রেখো মহান আল্লাহর বাণী, ‘তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে ফেলনা, আর জেনে শুনে সত্য গোপন করোনা’। (সূরা বাকারা ৪২)
কিন্তু হায়, ততক্ষণে ইমাম সাহেবের করূণ দশা। আঘাতে আঘাতে তিনি আহত, রক্তাক্ত! উত্তেজিত মুসলিম জনতা ইমাম সাহেবের কোন কথাই শুনতে প্রস্তুত নয় যেন! এমন সময়ে অদূরে দাঁড়ানো হিন্দু সম্প্রদায়, যারা আজকের মামলায় নিজেদের পক্ষে রায় পেয়েছেন, পেয়েছেন বিতর্কিত জমির মালিকানা, তারা এগিয়ে এলেন। এতক্ষণ তাঁরা দল বেধে মুসলিম জনগোষ্ঠির এই গর্হিত আচরণ দেখছিলেন। তাঁরাই এগিয়ে এলেন ইমাম সাহেবকে উদ্ধারে।
ইমাম সাহেবকে উদ্ধার করে তাঁরা নিজেদের গ্রামে নিয়ে এলেন, প্রাথমিক পরিচর্যা করলেন এবং সেখানেই তাদের নেতৃস্থানীয় একজনের উদ্যোগে ও নেতৃত্বে ইমাম সাহেবের কাছে নিবেদন করলেন আদালত থেকে পাওয়া জমির মালিকানার কাগজ পত্র। তাঁর হাতে তা তুলে ধরলেন। বললেন, হুজুর, আমরা আপনার মহানূভবতায়, সততায় মুগ্ধ। আমরা ‘আপনার মত’ হতে চাই। আপনার উপরে আক্রমনকারী ঐ জনগোষ্ঠির মত নয় বরং আমরা ‘আপনার মত’ই মুসলমান হতে চাই। এই জমি গ্রহণ করুন, এখানে আপনি মসজিদ বানান। আর আমাদেরকে, আমাদের সন্তানদেরকে আপনার মত করে তৈরী করুন। আমরা আপনার ধর্মে দীক্ষিত হতে চাই!
ইমাম সাহেবের উপরে আক্রমন পরিচালনাকারী সেই ক্রোধোম্নত্ত মুসলিম জনগোষ্ঠী দিনের পুরো একটি বেলা অবাক বিষ্ময়ে চেয়ে দেখল, পুরো গ্রামের কয়েক শত হিন্দু জনগোষ্ঠী ইমাম সাহেবের সামনে কলেমা পড়ে মুসলমান হয়ে গেল! বিষ্ময়ে হতবাক এই মুসলমান (!) জনগোষ্ঠির মুখে কোন কথা নেই! যে জমিটা করায়ত্ত করতে তারা শত ছল চাতুরীর কোন কমতিই করেনি, সেই জমিই কেবল আজ গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায় স্বেচ্ছায় ইমাম সাহেবের হাতে তুলে দিল, তাই নয়, বরং তারা সকলেই স্বেচ্ছায় বাপ দাদার ধর্ম বিসর্জন দিয়ে মুসলমান হয়ে গেল!
এরকমই হয়। এরকমটাই হতে হবে। কারণ, ইসলাম আল্লাহ রাব্বুল আলামীন‘র মনোনীত ধর্ম। বিশ্বের সকল মানুষের জন্য, সর্বকালের জন্য নির্ধারিত ধর্ম। কাল কেয়ামত পর্যন্ত টিকে থাকবে। বিশ্বের কোন না কোন মানব গোষ্ঠী এই ধর্মের মশালটিকে হাতে করে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তারাই পরিচিত হবে মুসলমান হিসেবে। কেউ যদি এ কাজে অবহেলা করে, তবে তাকে এই মশাল বাহকের মর্যাদা আর অবস্থান হতে সরিয়ে দিয়ে, তার স্থলে আল্লাহ পাক এমন একটা দলকে নিয়ে আসবেন, যাঁরা এই ইসলামকে এগিয়ে নিতে, মানব সম্প্রদায় এর কাছে উপস্থাপন করতে, তাকে তুলে ধরতে এগিয়ে আসবে। এ ব্যাপারে তারা এতটাই নিবেদিত প্রাণ হবে যে, কোন শক্তিরই তারা পরওয়া করবেনা, ভ্রূক্ষেপও করবেনা।
পুরো বিশ্বের মালিক তো আল্লাহ স্বয়ং। তাঁর বিশ্বে কি কোন কিছুর অভাব আছে? ছয়শত কোটি বিশ্ববাসীর দেড়শত কোটিকে তিনি মুসলমান বানিয়েছেন। এই দেড়শত কোটি মুসলমান যদি তাদের উপরে অর্পিত দায়িত্ব পালন না করে, তবে কি তিনি তাদের বসনিয়া, চেচনিয়া, ফিলিস্তিন আর কাশ্মীর এর আজাবে নির্মূল করে তদস্থলে ক্যাট স্টিভান্স’দের ইউসুফ ইসলাম বানিয়ে দাঁড় করিয়ে দিতে পারেন না ইসলামের মশাল বাহক হিসেবে? পারেন কিনা, তার জবাব জানতে হলে আল কুরআনে সুরা মায়েদার ৫৪ নম্বর আয়াতটি দেখে নিতে পারেন ভালো করে। উত্তরটা সেখানেই আছে সুষ্পষ্ঠভাবে।
ইসলামকে বুকে ধারন করতে হলে পুর্নাঙ্গভাবে ধারন করা উচিত। মনের মধ্যে কোনরুপ দ্বিধা রাখা উচিত নয়। সত্যিকার মুসলিম হওয়ার জন্য অনেক সময় ব্যয় করতে হবে। বেশী করে ইসলামকে জানতে হবে। সত্যিকার ইসলাম ও মুসলমানের সাথে করো কোন দ্বন্দ্ব থাকতে পারেনা। উপরোক্ত ঘটনার ইমাম সাহেব সত্যিই সঠিক কাজটাই করেছেন। ঘটনাটি যথেষ্ঠ অনুপ্রেরণাদায়ক। আমিও একজন সত্যিকার মুসলমান হতে চাই।
ঘটনাপ্রাপ্তি: IB
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩৭
রেদওয়ান কাদের বলেছেন: সত্যিকার ইসলাম এরকমই হয়।-ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:০৭
হোসেন মালিক বলেছেন: ঘটনা সত্যিঅ হইতে পারে
বলা যায় না