![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অবৈধ ‘লিভ টুগেদার’ অাশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে। বিশেষ করে রাজধানীতে প্রেমিক-প্রেমিকা জুটি নিজেদের সমঝোতার ভিত্তিতে লিভ টুগেদারের পথ বেছে নিচ্ছেন। এর বাইরেও শিক্ষার্থীদের একটি অংশ নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বন্ধু-বান্ধবী সম্পর্কের সূত্র ধরে একসঙ্গে বসবাস করছেন। আর অবৈধ এ বসবাস শিক্ষার্থীদের জীবনে ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি ঘটনা অভিভাবকদের চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। লিভ টুগেদার নামক ব্যবস্থাটি যেন এখন ভাইরাল আকার ধারন করেছে।
এটা এমন একটা কালচার যেখানে দুইজন নারী-পুরুষ হতে পারে তারা বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড বা অন্য কিছু। গভীর বন্ধুত্ব এবং বোঝাপাড়ার ভিত্তিতে একসঙ্গে একবাড়ীতে বসবাস করে কোনোরকম বৈবাহিক সম্পর্ক ছাড়াই। তারা চাইলে সন্তানও নিতে পারে। পাশ্চাত্য দেশসমূহে এটা খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয়। কিন্তু বাংলাদেশে লিভ টুগেদারের কালচার ওইভাবে গড়ে ওঠেনি। এর কোন আইনগত ভিত্তিও নেই। তাই স্বামী-স্ত্রী না হওয়া সত্ত্বেও ওই পরিচয়ে লিভ টুগেদার করছে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর আত্মহত্যা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় লিভ টুগেদারের বিষয়টি আলোচনায় চলে এসেছে। লিভ টুগেদার তাদের জীবনে ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে এনেছে।
জানা গেছে, শারীরিক আকর্ষণ হোক বা নিজেকে অতিরিক্ত স্মার্টলি উপস্থাপনের জন্যই হোক বাংলাদেশে ‘লিভ টুগেদার’ কালচারটির সাথে এদেশের ছেলে মেয়েরা বেশ ভালোভাবেই জড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু এর শেষ পরিণাম কি হচ্ছে? বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে এই ‘লিভ টুগেদার’ এর শেষ পরিনতি হয় বিচ্ছেদ। ব্যাপারটা হল কিছুটা এমন যে ফেসবুকে যে মানুষটাকে নিয়ে ‘ইন এ রিলেশনশিপ’ স্ট্যাটাস চেঞ্জ হয়েছিলো এক সময় সেই মানুষটার শেষ পর্যন্ত স্থান হয় ব্লক লিস্টে। কিছু ক্ষেত্রে এর পরিণতি খুব ভয়ংকর রূপ ধারন করে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গত এক বছরে রাজধানীতে দশটি হত্যাকাণ্ড আর সাতটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশি অনুসন্ধানে শেষ পর্যন্ত বেরিয়ে এসেছে ওইসব হত্যাকাণ্ডের পেছনে ছিল লিভ টুগেদারের বিড়ম্বনা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে খুনের শিকার হয়েছে মেয়েরা। দেখা গেছে, স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এরা বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছে। এক পর্যায়ে মনোমালিন্য বা মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে তাকে ফেলে পালিয়ে যায় ছেলেটি। মেয়েটি এক ধরনের বাঁচার জন্যই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
ঘটনা:১-গত এপ্রিল মাসের একটি ঘটনা:
এক অজ্ঞাত তরুণীর লাশ পাওয়া যায় গাজীপুরের শালবন এলাকায়। পুলিশ অনুসন্ধানে জানা যায়, উত্তরা এলাকায় একটি বাড়িতে দুই-তিন বছর ধরে এক যুবকের সঙ্গে সে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ভাড়া থাকতো। মে মাসে রাজধানীর গুলশান এলাকায় বাসার ভেতরে এক তরুণীকে খুন করে পালিয়ে যায় ঘাতক। তারাও ভাড়া থাকতো স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে।
ঘটনা:২-সম্প্রতি ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্রী সাবিরা হোসাইন এর ঘটনা:
প্রেমিকের কাছ থেকে প্রতারিত হয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি মডেলিংয়ের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। তার আত্মহত্যার পেছনের কারণ লিভ টুগেদার। আত্মহত্যার কারণ তিনি মৃত্যুর আগে ফেসবুকে লিখে গেছেন তিনি তার আত্মহত্যার জন্য নিজের প্রেমিককেই সরাসরি তার দায়ী করে গেছেন। সাবিরা ও তার প্রেমিক নির্ঝর সিনহা রওনক স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে রাজধানীর রূপনগর হাউজিংয়ের ১২ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাড়ির ছয় তলায় মাওলানা আব্দুল মান্নানের ফ্ল্যাটের একটি কক্ষ ভাড়া নিয়েছিলেন। ছয় মাসে আগে ৫ হাজার টাকায় ভাড়ায় ওঠেন। সপ্তাহে দু-তিন দিন সেখানে রাত কাটাতেন। অন্যসময় কক্ষ থাকতো তালা দেয়া। খাওয়া দাওয়াও করতেন বাইরে।
দুজনের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, নির্ঝর সিনহা রওনক পেশায় একজন ফটোগ্রাফার। তিন বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে দুজনের পরিচয়। ওই সময় সাবিরা একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের স্ট্যান্ডার্ড ‘ও’ লেভেলের ছাত্রী ছিল। বিনা পয়সায় সাবিরার ফটোসেশন করে দেওয়ার মধ্য দিয়ে ঘণিষ্ঠতা গড়ে তোলেন নির্ঝর।
সাবিরাকে মডেলিংয়ে আসতে অনুপ্রাণিত করেন নির্ঝর। তৈরি হয় দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। নির্ঝরের মাধ্যমে কয়েকটি পণ্যের মডেল হন সাবিরা। একপর্যায়ে প্রেমের বাহানায় ও বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে সাবিরার সঙ্গে নির্ঝর গড়ে তোলেন অনৈতিক সম্পর্ক। স্বপ্নের সংসার সাজানোর মোহে মোহনা টেলিভিশনে বিপনন বিভাগের নির্বাহী হিসাবে চাকরি নেন। সেখান থেকে পরে গানবাংলা নামে আরেকটি চ্যানেলে একই পদে যোগ দেন। সংসারে খরচ মেটাতে সাবিরা উপার্জনে নামলেও বিয়ে নিয়ে নির্ঝর টালবাহানা করতে থাকেন। প্রেমিকার উপার্জনের টাকায় লিভ টুগেদার করতে তার আপত্তি ছিল না, কিন্তু বিয়ের ব্যাপারে তার ছিল অনীহা।
ঘনিষ্ঠরা জানান, বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় সাবিরাকে কিছুদিন ধরে এড়িয়ে চলতে শুরু করে নির্ঝর। শেষে উপায় না পেয়ে সাবিরা প্রেমিকের বাসায় গিয়ে হাজির হন বিয়ের দাবি নিয়ে। ওই সময় নির্ঝরের ভাই প্রত্যয় তার সঙ্গে প্রচণ্ড দুর্ব্যবহার করে বাসা থেকে বের করে দেয়। এই অপমান সহ্য করতে না পেরে সাবিরা আত্মহত্যা করেন।
ঘটনা:৩-রাজধানীর বনানী এলাকায় লিভ টুগেদারে মগ্ন ছিলেন নুরাত জাহান নিশা-
নিশা একজন ছাত্রী। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে লিভ টুগেদার করছিলেন আরেফিন হাসান। প্রায় ৪ মাস একসঙ্গে এক ছাদের নিচে ছিলেন তারা। হাসানের ইচ্ছা ছিল এভাবেই তাদের সম্পর্ক যাতে চলে যায়। কিন্তু এই বিষয়টি মানতে পারেননি নিশা। বারবার হাসানকে বিয়ে করার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু হাসান নিশাকে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিলেন না। বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত জানতে পেরে নিশা একদিন সকালে বিষ পান করে আত্মহত্যা করেন।
আমি আমার বাবা-মাকে ছেড়ে এসেছি, সবকিছু ভুলে তোমাকে নিয়ে বাঁচতে চাই, আমার বাবা-মাও এখন আমাকে নিতে চাইবে না, এখন তুমি যদি আমাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি না দাও তাহলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না- আত্মহত্যার আগের রাতে এ কথাগুলোই ছিল হাসানের সঙ্গে নিশার শেষ কথা।
নিশার মা আরিফা বেগম জানান, নিশা এই ছেলের সঙ্গে থাকতো তা আমাদের জানা ছিল না। সে আমার সঙ্গে রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। আমি ভাবলাম রাগ কমে গেলে সে আবার আমার কাছে ফিরে আসবে। কিন্তু তা সে করলো না। তার বাবাকে জানিয়েছিল সে মহিলা হোস্টেলে থাকে। আমি আর তেমন কোন খোঁজখবর নেইনি। আমার মেয়ে এভাবে আত্মহত্যা করবে তা আমি বুঝিনি।
ঘটনা:৪-লিভ টুগেদারের আরো একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা:
লিভ টুগেদারের এক পর্যায়ে মেডিকেল কলেজের এক ছাত্রীকে হত্যা করা হয়েছে শয়ণকক্ষেই। জানা গেছে, মেডিকেলের ছাত্রী মিথি ও তার প্রেমিক আরিফ হাজারীবাগের সুলতানগঞ্জের ৩/৫ নম্বর সচিবের গলির বাসার ষষ্ঠ তলার একটি কক্ষ সাবলেট হিসেবে ভাড়া নেন। ওই বাসার ভাড়াটিয়া নুসরাত সাথী জানান, মিথি ও আরিফ নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে একটি কক্ষ ভাড়া নিয়েছিলো। এক পর্যােয়ে মিথির সহপাঠী একই মেডিকেল কলেজে পড়ুয়া রোমানা নাজনীন তার প্রেমিক আকিভ জাভেদ অনিকে স্বামী পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় রাত কাটায়। একদিন রাতে তারা চারজন একসঙ্গে আড্ডাবাজি করে। একপর্যায়ে মিথি ও আরিফের মধ্যে ঝগড়া শুরু হলে তারা নিজেদের রুমে চলে যায়। এসময় আরিফ কক্ষে উচ্চশব্দে গান বাজাতে থাকে। রাত ২টার দিকে আরিফ তাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে জানায় মিথি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে তারা মিথির কক্ষে গিয়ে মেঝেতে শোয়ানো অবস্থায় তার মৃতদেহ দেখতে পান। পরে জানা যায়, মিথিকে হত্যা করা হয়েছে।
মেডিকেলে পড়ুয়া মেয়ে মিথি কলেজ হোস্টেলে থাকতেন বলেই জানতেন তার মফস্বল শহরে থাকা বাবা-মা। প্রতি মাসে হোস্টেল খরচসহ অন্যান্য খরচ দিয়ে আসছিলেন নিয়মিতই। কিন্তু সেদিন ভোরে হঠাৎ জানতে পারেন মেয়ে মারা গেছে। শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, বর্তমান গ্লোবালাইজেশনের প্রভাবে নানা ধরনের মুভি সিনেমা ডকুমেন্টারি আমাদের সমাজমানসে পাশ্চাত্য জীবনের নানা দিক প্রভাব ফেলছে, অনেকে সেটা গ্রহণ করছে। তার সঙ্গে আমাদের সমাজে ইন্ডিভিজ্যুয়াল বা ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদের সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের চিন্তা ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। সে কারণে লিভ টুগেদারের সংখ্যা বাড়ছে।
সে ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, এরা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাড়ি ভাড়া নিয়ে এক সঙ্গে থাকছেন, লিভ টুগেদার করছেন। এতে তাদের জৈবিক চাহিদাও মিটছে আবার সামাজিক নিরাপত্তাও থাকছে। আবার অনেক ছেলেমেয়ে মনে করছে লিভ টুগেদার করে কয়েক বছর কাটিয়ে দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়ে তারা আবার অবিবাহিত পরিচয়ে সমাজে ফিরে যাবে যাতে সমাজে তাদের মর্যাদা ঠিক থাকে। তবে সমাজে লিভ টুগেদার ভয়ঙ্কর ক্রাইম ডেকে আনছে।
আজ এতকিছুর মূলে প্রধান কারন হলো-যথাযথ ধর্মীয় শিক্ষা না থাকা। যদি ছোট বেলা থেকেই বাবা মা বাচ্চাদেরকে সময়মত ধর্মীয় শিক্ষা দিতেন তবে এধরনের ঘটনাগুলো ঘটতনা। কিন্তু এখনকার বাবা-মা ছোট বেলা থেকেই বাচ্চাদেরকে ধর্ম বিমূখ করে রাখে। যার ফলাফল হিসাবে আজ এঘটনাগুলো ঘটছে।
এসব ঘটনাগুলো থেকে অত্যাধূনিক বাবা-মাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। তা না হলে এই ভয়ঙ্কর অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব নয়।
মূলঘটনা: বিডিটুুডেনেট ও ইন্টারনেট
৩০ শে মে, ২০১৬ রাত ১০:২৫
রেদওয়ান কাদের বলেছেন: পজিশন নয় পরিবেশ নেই। আমাদের দেশে লিভ-টুগেদারকে স্বাভাবিকভাবেই অসামাজিক কার্যকালাপ মনেকরা হয়।
ধন্যবাদ।
২| ২৮ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংগালী অনেক ছেলেই কচুপাতার পানির মতো
৩০ শে মে, ২০১৬ রাত ১০:৪৬
রেদওয়ান কাদের বলেছেন: এককভাবে ছেলেদেরকে দোষ দেওয়া মনেহয় ঠিক না গাজী ভাই।
ধন্যবাদ।
৩| ২৮ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:০৬
মাহিরাহি বলেছেন: মা বাবা অনেক কষ্ট করে সন্তানদের লালন পালন করে। সন্তানদের উচিত নয় দায়িত্বহীনের মত কিছু করা যা মা বাবার আজীবন কষ্টের কারন হয়ে দাড়ায়। আল্লাহ সব সন্তানকে মা বাবার প্রতি দায়িত্বশীল আচরণের তওফিক দান করুন।
৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:২৪
রেদওয়ান কাদের বলেছেন: আমিন।
তবে বাবা-মা সঠিক পথে থাকলে সাধারনত সন্তান বিপথগামী হয়না।
ধন্যবাদ।
৪| ২৮ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:৪১
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কোথায় সবার সচেতন হওয়ার কথা, তা না আরো বেড়েই চলেছে এসব। আজব দেশ...
৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:৫৪
রেদওয়ান কাদের বলেছেন: মানুষের চরিত্রও আজব! সমাজে সুশৃঙ্খল ধর্মীয় নিয়ম থাকতে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরী করে। নৈতিক জ্ঞানের বড়ই অভাব মানুষের।
-ধন্যবাদ।
৫| ২৯ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এটাই সবচেয়ে বড় সত্য আমাদের মাঝে ধর্মীয় শিক্ষা না থাকায় এই সব অনৈতিক কাজ বেড়ে যাচ্ছে
০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ১০:০৯
রেদওয়ান কাদের বলেছেন: আমরা ধর্মকে জানার চেষ্টা করিনা, বোঝার চেষ্টা করিনা, মানার চেষ্টাও করিনা এটাই আমাদের বড় সমস্যা।-ধন্যবাদ।
৬| ২৯ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১:০৪
অদৃশ্য বলেছেন:
দারুন একটি বিষয় নিয়ে লিখলেন... এসব ভয়ংকর ব্যাপার... বিষয়টিকে গভীরভাবে সকলের বুঝে নেওয়া দরকার... সাবধান হওয়া দরকার...
এখনই সাবধান না হলে এটা মহামারি আকার ধারণ করবে...
শুভকামনা...
১১ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:১২
রেদওয়ান কাদের বলেছেন: ঠিক বলেছেন... তবুও যদি বাবা-মায়েরা সচেতন হয়!
ধন্যবাদ।
৭| ২৯ শে মে, ২০১৬ দুপুর ২:০২
কালপুরুষ কালপুরুষ বলেছেন: দেখুন লিভ টুগেদারটা নতুন জিনিস নয় বহু প্রাচীন একটা প্রথা। গন্ধর্ব মতে এটিও একপ্রকার বিবাহ। কিন্তু সমস্যা হোলো আমরা অনেকেই সেটা জানিনা। পুরাকালে এই ধরনের বিবাহ প্রচলিত ছিল, মানুষের চিন্তাভাবনাও ছিল অনেক উন্নত কিন্তু আজকের দিনে এটাকে পাশ্চাত্য অঙ্গ হিসাবেই গণ্য করা হয়। যারা লিভটুগেদার করছে তারাও পাশ্চাত্যের মতো করে নিজের জীবনকে সাজিয়ে নিতে গিয়ে এই পথে হাঁটছে ভুলে যাচেছ কোন্ মাটিতে দাঁড়িয়ে আছে, বিস্মৃত হচেছ এই ধরনের কাজ করার মতো উন্নত ও শক্তিশালী মন তার আছে কিনা।
আমি গন্ধর্ব মত উপস্থাপন করলাম সেই সমস্ত পুরুষ যারা সম্পর্ক অস্বীকার করে দায়ে এড়িয়ে পালিয়ে যাচেছ এই ভেবে যে কোনো প্রমাণ তো নেই তাদের জন্য। বিয়েটা অনেক রকম ভাবেই হয়। বাংলদেশ একসময় অখণ্ড ভারতের অন্তর্গত ছিল আর ভারতের প্রাচীন সংস্কৃতি হোলো বিবাহ- মনের সাথে মনের আত্মার সাথে আত্মার মিলন সেই হোলো বিবাহ। আর এর অনেক রকম পন্থাই আছে সে ব্যপারে এখানে বিস্তারিত আলোচনা করলামনা।
এবার আসি মেয়েদের কথায় -পাশ্চাত্য আদব কায়দায় নিজেকে মানিয়ে নিতে চাইছো; পাশ্চাত্য দেশে কুমারী মা বা কুমার বাবা কোনো নতুন কিছু নয়; কিন্তু সেই এক ঘটনা যখন নিজের সাথে ঘটছে তখন আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছ কেন? তুমি বলবে তোমার সমাজ অন্য রকম তাহলে তাকে আগে বুঝলেনা কেন?
আসলে পাশ্চাত্য সম্পর্কে আমরা ধারনা নিয়ে থাকি পাশ্চাত্য সিনেমা থেকে আর এখানেই ভুলটা হয়ে যায়। তাদের মতন মানসিকতা ভাবনাচিন্তা আমদের নেই সেটা বিস্মিত হয়ে আমরা ওরকম কাজ করতে যাই আর তার ফলাফল স্বরূপ পাশ্চাত্যের একটি খুব সাধরণ অসুখ আমাদের মধ্যেও এসে গিয়েছে যার নাম depression। আর এর ফলেই এই সব বিপত্তি গুলো ঘটছে।
এই সমস্যা দূর করতে ভারতে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নতুন আইন আনয়ন করা হয়েছে। যাতে বহুদিন একসাথে থেকে কোনো পুরুষ বা মহিলা কাউকে অস্বীকার করলে যদি অভিযোগ করা হয় তাহলে অভিযুক্ত পুরুষ বা মহিলার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ থাকছে। বাংলাদেশে কি এমন আইন আছে যদি না থেকে থাকে তাহলে শীগ্র লাঘব করুন। সমস্যার কিছু উন্নতি নিশ্চয় হবে।
৮| ২৯ শে মে, ২০১৬ দুপুর ২:১৯
নতুন বলেছেন: এখানে একটা বিষয় গুলিয়ে ফেলেছে সেটা হইলো লিভ টুগেদারটারের ব্যাপারটাই পুরা না বুঝে লেখা সুরু করা।
যারা লিভ টুগেদারটা করতে চায় তারা কিন্তু ব্রেক আপ হলে সাভাবিক ভাবেই নেয়।
উপরের সেই উদাহরন দিয়েছেন তা হইলো বিয়ের প্রলোভনে এক সাথে থাকা এবং বিয়ে না হওয়াতে সমস্যা হওয়া।
সেটা প্রতারনা...
কিন্তু লিভ টুগেদারটা কিন্তু প্রতারনা নয়। এখানে দুইজন জানে যে তারা বিয়ে করছে না এবং যখন মনের মিল হবেনা তখন আলাদা পথে চলে যাবে দুজন।
আর উপরে অবস্হায় কিন্তু অনেক নারী ইচ্ছা করেই প্রগনেন্ট হয় যাতে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া যায়।
৯| ২৯ শে মে, ২০১৬ দুপুর ২:৫৫
সিলা বলেছেন: লিভ টুগেদার বিসয় টাই কেমন অস্লিল অরুচিকর লাগে তাই এসব নিয়ে কথা বলতে ইচ্ছে করেনা।
আর এসব নিয়ে কথা বলেও লাভ নেই বল্লেই মোউলবাদি, জংি, সেকেলে,আনকালচারার হয়ে যাব।
১০| ২৯ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:০০
মনসুর-উল-হাকিম বলেছেন: "আজ এতকিছুর মূলে প্রধান কারন হলো-যথাযথ ধর্মীয় শিক্ষা না থাকা। যদি ছোট বেলা থেকেই বাবা মা বাচ্চাদেরকে সময়মত ধর্মীয় শিক্ষা দিতেন তবে এধরনের ঘটনাগুলো ঘটতনা। কিন্তু এখনকার বাবা-মা ছোট বেলা থেকেই বাচ্চাদেরকে ধর্ম বিমূখ করে রাখে। যার ফলাফল হিসাবে আজ এঘটনাগুলো ঘটছে।" - এর পাশাপাশি কুশিক্ষার প্রসার আর অপসংষ্কৃতির অবাধ প্রসার আমাদের সমাজকে নষ্ট করে চলেছে।
১১| ২৯ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:২১
অদৃশ্য বলেছেন:
এখানে ব্লগার নতুন চমৎকার একটি উদাহারণ দিয়েছেন লিভ-টুগেদারের... ব্যাপারটা আসলে তাই যে লিভ-টুগেদার আসলে দু'জনের স্বেচ্ছায় একসাথে থাকা এবং নিজস্ব স্বার্থে অন্যকে চাপ প্রয়োগ না করা বা অন্যের সুবিধা অসুবিধা বিবেচনায় রেখে সবকিছু করা যতক্ষণ তারা একসাথে...
সুতরাং প্রেম করে বা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একসাথে থাকাটা আসলে আলাদা ব্যাপার ( যদিও প্রেম করে লিভ-টুগেদারের ব্যাপারটাই অনেক বেশি দেখা যায় )... আর লিভ-টুগেদার আলাদা ব্যাপার...
তবে কথা হলো বিয়ের আগে এই একসাথে থাকার সম্পর্কটা অত্যন্ত ভয়াবহ একটি বিষয়... এটা ব্যক্তির জন্য যেমন ক্ষতিকর তেমনি সামাজের জন্যও ক্ষতিকর... এতে করে দীর্ঘ সম্পর্কের প্রতি বিশ্বাস দুর্বল হয়ে যায়... এ ক্ষেত্রে মেয়েরা সব থেকে বেশি বিপদগ্রস্থ হয়... আর পুরুষ ও নারী উভয়ই বহুগামীতায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ে... যা সমাজের চরম নৈতিক অধঃপতনের একটি...
সুতরাং, যে যতোই স্মার্ট হোন আর প্রাশ্চাত্য ঘেষা হোননা কেন... এমন সম্পর্ক থেকে দূরে থাকুন... এমন সম্পর্ক কখনোই সভ্যতার মঙ্গল বয়ে আনতে পারেনা... বরং সভ্যতার নিকৃষ্ট দিকের একটি অংশ এটি...
শুভকামনা...
১২| ২৯ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৩১
নতুন বলেছেন: আমাদের দেশে ছেলে মেয়ে বিয়ের আগে এক সাথে থাকাকেই লিভ টুগেদার বলে... (ইংরেজীর অনুবাদ করে আর কি)
কিন্তু আমাদের দেশের ছেলেরা মেয়েদের বিয়ের আশ্বাস দিয়েই এক সাথে থাকে.... এবং অনেকে পরে পালিয়ে যায়...
সেটা পশ্চিমের লিভ টুগেদারের থেকে সম্পূনই আলাদা.... কিন্তু এখানে পত্রিকার লেখক এবং ব্লগ লেখকও বিষটি গুলিয়ে ফেলেছেন।
পশ্চিমের সংস্কৃতি নিতে হলে তাদের মতন মনমানুষকতাও হতে হবে...যেটা আমাদের সমাজে হতে আরো ৫০ বছর লাগবে..
কিন্তু বিয়ে, সংসার, সন্তান এই গুলি যদি ভালোবাসার সাথে হয় তবে সেটা বেহেস্তের মতন হয়... সেটা ধান্দাবাজেরা বোঝেনা তাই তারা লিভটুগেদারের মতন বিষয় সৃস্টি করে।
১৩| ২৯ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৫১
জেন রসি বলেছেন: এখানে আপনি কিছু উদাহরন থেকে কিছু সিদ্ধান্ত টেনে ফেলেছেন। এমন অনেক বাজে উদাহরন বিবাহিতদের ক্ষেত্রেও দেওয়া যায়। বিয়ের পরও হাজার হাজার মেয়েদের হত্যা করা হয়েছে। অনেক ধর্মভীরু পরিবারেও দেখা যায় বউদের উপর নির্যাতন চালাতে। তাই আসল সমস্যা লিভ টুগেদার কিংবা বিয়াতে না। একটা কাপল যদি উন্নত জীবন বোধেরষঅধিকারী হয় তবে লিভ টুগেদারই হোক কিংবা বিয়ে এ ধরনের সমস্যা হবেনা।
১৪| ২৯ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯
ছয় শব্দের অস্তিত্ব বলেছেন: লিভ টুগেদার মানে (Live/Leave) Together.
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংগালী তরুণেরা বিয়ে না করে, পরস্পরের দায়িত্ব নেয়ার মতো পজিশনে নেই